HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহর রাসূলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আদর্শ

লেখকঃ জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের

প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়গুলো কী হওয়া উচিৎ:
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীদের প্রথমে ঈমান শিক্ষা দিতেন তারপর অন্যান্য বিষয় গুলো শিক্ষা দিতেন। ঈমানের পর দ্বীনের জরুরি বিষয়গুলো শিক্ষা দেওয়া খুবই জরুরি। একজন মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনে যে সব কর্মগুলো থাকা জরুরি সেগুলো সমাধান করতে চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আল্লারহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেগুলোই তার সাহাবীদের বাতলিয়ে দিতেন। যেমন, হাদীসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট একজন ব্যক্তি এসে আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি তাকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো শিখিয়ে দেন।

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«أَنَّ أَعْرَابِيًّا جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ، دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ إِذَا عَمِلْتُهُ دَخَلْتُ الْجَنَّةَ، قَالَ : تَعْبُدُ اللهَ لَا تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا، وَتُقِيمُ الصَّلَاةَ الْمَكْتُوبَةَ، وَتُؤَدِّي الزَّكَاةَ الْمَفْرُوضَةَ، وَتَصُومُ رَمَضَانَ، قَالَ : وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَا أَزِيدُ عَلَى هَذَا شَيْئًا أَبَدًا، وَلَا أَنْقُصُ مِنْهُ، فَلَمَّا وَلَّى، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ، فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا» .

“একজন গ্রাম্য লোক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে এমন আমল শিক্ষা দেন, যার ওপর আমল করলে আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না। সালাত কায়েম করবে, যাকাত আদায় করবে, রমজান মাসের সাওম রাখবে। লোকটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা শুনে বলল, আল্লাহর কসম করে বলছি, আমি কখনোই এর ওপর কোনো কিছুকে বাড়াবো না এবং কোনো কিছু কমাবো না। এ কথা বলে লোকটি যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পেছনে রেখে সামনের দিকে হাঁটতে থাকে, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সম্পর্কে বললেন, যার ইচ্ছা হয় জান্নাতী কোনো লোককে দেখতে, সে যেন এ লোকটির দিকে তাকায়”। [আহমদ, হাদীস নং ৮৫১৫; সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৯৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৪।]

অপর একটি বর্ণনায় এসেছে-

সাহাবীদের মধ্যে জানার খুব আগ্রহ ছিল। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা অধিক প্রশ্ন করতে নিষেধ করলে, সাহাবীগণ ভয়ে জরুরি বিষয়গুলো জিজ্ঞাসা করতে সাহস পাচ্ছিলেন না। তবে তারা চাচ্ছিলেন বাহির থেকে একজন লোক এমন আসবেন, যিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দীনের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করবেন। ঠিক এমন এক মুহুর্তে একজন লোক এসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে।

আনাস ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«كُنَّا قَدْ نُهِينَا أَنْ نَسْأَلَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ شَيْءٍ، فَكَانَ يُعْجِبُنَا أَنْ يَجِيءَ الرَّجُلُ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ الْعَاقِلُ، فَيَسْأَلُهُ وَنَحْنُ نَسْمَعُ، فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ، فَقَالَ : يَا مُحَمَّدُ، أَتَانَا رَسُولُكَ فَزَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ اللهَ أَرْسَلَكَ . قَالَ : صَدَقَ " ، قَالَ : فَمَنْ خَلَقَ السَّمَاءَ؟ قَالَ : اللهُ " ، قَالَ : فَمَنْ خَلَقَ الْأَرْضَ؟ قَالَ : اللهُ " ، قَالَ : فَمَنْ نَصَبَ هَذِهِ الْجِبَالَ، وَجَعَلَ فِيهَا مَا جَعَلَ؟ قَالَ : اللهُ . قَالَ : فَبِالَّذِي خَلَقَ السَّمَاءَ وَخَلَقَ الْأَرْضَ، وَنَصَبَ هَذِهِ الْجِبَالَ آللَّهُ أَرْسَلَكَ؟ قَالَ : نَعَمْ . قَالَ : فَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي يَوْمِنَا وَلَيْلَتِنَا، قَالَ : صَدَقَ . قَالَ : فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ، آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ : نَعَمْ قَالَ : وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا زَكَاةً فِي أَمْوَالِنَا، قَالَ : صَدَقَ . قَالَ : فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ، آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ : نَعَمْ . قَالَ : وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا صَوْمَ شَهْرِ فِي سَنَتِنَا، قَالَ : صَدَقَ . قَالَ : فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ، آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ : نَعَمْ . قَالَ : وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا حَجَّ الْبَيْتِ مَنْ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا، قَالَ : صَدَقَ . قَالَ : ثُمَّ وَلَّى، فَقَالَ : وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَا أَزِيدُ عَلَيْهِنَّ شَيْئًا، وَلَا أَنْقُصُ مِنْهُنَّ شَيْئًا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لَئِنْ صَدَقَ لَيَدْخُلَنَّ الْجَنَّةَ» .

“এক সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করতে আমাদের নিষেধ করা হয়। ফলে আমরা কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করতামনা। আমরা চাইতাম গ্রাম থেকে কোনো বুদ্ধিমান লোক এসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করত আর আমরা শুনতাম। এ সময় গ্রাম থেকে এক লোক এসে বলল, হে মুহাম্মাদ! আমাদের নিকট আপনার দূত এসে বলল, নিশ্চয় আপনি আল্লাহর রাসূল, আপনাকে আল্লাহ প্রেরণ করেছেন? তিনি বললেন, সত্য বলেছে’ লোকটি বলল, কে আসমান সৃষ্টি করেছে? তিনি বললেন, “আল্লাহ”, সে বলল, কে যমিন সৃষ্টি করেছে? তিনি বললেন, “আল্লাহ”। সে বলল, কে পাহাড়সমূহ স্থাপন করেছেন, তিনি বললেন, “আল্লাহ”। সে বলল, যিনি আসমান সৃষ্টি করেছেন, যমিন সৃষ্টি করেছেন এবং পাহাড় স্থাপন করেছেন তার শপথ করে বলছি, আল্লাহ কি আপনাকে প্রেরণ করেছেন? তিনি বললেন, “হ্যাঁ”। লোকটি বলল, আপনার দূত এ কথার দাওয়াত দেন যে, আমাদের ওপর রাত ও দিনে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা ফরয। তিনি বললেন, ঠিক বলেছেন। লোকটি বলল, যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন, তার শপথ, আল্লাহ কি এ বিষয়ে আদেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, “হ্যাঁ”। লোকটি বলল, আপনার দূত বলল, আমাদের ওপর আমাদের সম্পদের যাকাত ফরয করা হয়েছে। তিনি বললেন, সত্য বলছে। লোকটি বলল, যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন, তার শপথ, আল্লাহ কি এ বিষয়ে আদেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, “হ্যাঁ”। সে বলল, আপনার দূত এ কথার দাওয়াত দেন যে, আমাদের ওপর বছরে এক মাস রোজা রাখা ফরয। তিনি বললেন, ঠিক বলেছেন। লোকটি বলল, যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন, তার শপথ, আল্লাহ কি এ বিষয়ে আদেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, “হ্যাঁ”। সে বলল, আপনার দূত এ কথার দাওয়াত দেন যে, আমাদের মধ্যে যার সামর্থ্য আছে তার ওপর বাইতুল্লাহর হজ করা ফরয, তিনি বললেন, ঠিক বলেছেন। তারপর লোকটি চলে যাওয়ার সময় বলল, যিনি আপনাকে সত্য বাণী দিয়ে প্রেরণ করেছেন, তার শপথ করে বলছি, আমি এর ওপর কোনো কিছু বাড়াবো না এবং কমাবোও না। তার কথা শুনে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি লোকটি সত্য বলে, অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২; নাসাঈ, হাদীস নং ২০৯১; আহমদ, হাদীস নং ১৩০১১।]

হাদীসে দ্বারা প্রমাণিত হয়, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে মানুষের মধ্যে জরুরি বিষয়গুলো শেখা এবং শেখানোর গুরুত্বই বেশি ছিল। আল্লাহর রাসূল তার দূতদের বিভিন্ন এলাকায় প্রেরণ করতেন, তারা যাতে মানুষকে ঈমানের বিষয়গুলোর প্রতি আহ্বান করেন এবং ঈমান ও দীনের জরুরি বিষয়গুলো শিক্ষা দেন। আল্লাহ রাসূল কখনো জটিল বিষয়গুলোর পিছনে সময় নষ্ট করতেন না। বর্তমানে আমরা জরুরি বিষয়গুলো শেখার পরিবর্তে মানতিক, ইলমে কালাম ইত্যাদিতে সময় নষ্ট করে থাকি। ফলে দীনের জরুরি বিষয়গুলো আমাদের অজানা থেকে যায়। এ জন্য আমাদের শিক্ষার বিষয়বস্তু এবং সিলেবাসকে সাজিয়ে বাচ্চাদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। অন্যথায় আমরা মুসলিম জাতি হিসেবে ইসলামী জ্ঞান থেকে অনেক পিছিয়ে যাব।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন