মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আমরা যারা এতিমের অভিভাবক হতে চাই এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে জান্নাতে অবস্থান করতে ইচ্ছুক। অনুরূপভাবে যারা প্রসস্ত রিজিকের কামনা করি, তাদের উচিৎ পিতৃহারা অসহায় এতিমদেরকে নিজেদের সন্তানের মত লালন-পালন, শিক্ষা দিক্ষা ও জীবন গঠনের উপযুক্ত ব্যবস্থা করা। অত:পর বয়:বৃদ্ধির সাথে সাথে বিচার বুদ্ধি বিকাশ ঘটানোর স্বার্থে ছোট ছোট কাজ ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। এবং এর মাধ্যমে তাদেরকে যেন ভবিষ্যৎ জীবনে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় তার পাকা বন্দবস্ত করা।
ছোট থেকেই এতিমদের অন্তরে আপন সন্তানের ন্যায় ঈমান ও সহিহ আক্বিদার বীজ বপন করা । শিরক ও বিদআত থেকে দূরে থাকার মাধ্যমে আল্লাহর মহাব্বত ও ভালবাসা সৃষ্টি করা। লোকমান আ: স্বীয় সন্তানকে লালন পালন ও শিক্ষা দান কল্পে যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন তা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয় হয়েছিল। তাইতো আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন:
অর্থ: ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদিন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পিছনে বসা ছিলাম। তিনি আমাকে বললেন: হে বৎস! আমি তোমাকে কিছু কথা শিক্ষা দিব। তুমি আল্লাহর হুকুমকে সংরক্ষণ কর আল্লাহ তোমাকে সংরক্ষণ করবেন, আল্লাহর সীমাকে হিফাজত কর আল্লাহকে তোমার সামনে পাবে। যখন চাইবে একমাত্র আল্লাহর কাছেই চাইবে আর যখন সাহায্য প্রার্থনা করবে কেবল আল্লাহর কাছেই করবে। জেনে রেখ, সমস্ত জাতি যদি তোমার উপকার করার জন্য একত্রিত হয় তাহলে এতটুকু উপকারই করতে পারবে যা আল্লাহ লিখে রেখেছেন। আর যদি তারা তোমার কোনো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয় তাহলেও ততটুকু ক্ষতিই করতে পারবে যা আল্লাহ লিখে রেখেছেন। কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে এবং কালি শুকিয়ে গেছে। ( বর্ণনায় তিরমিযী)
আলোচ্য হাদিস থেকে আমরা শিশু-কিশোরদের প্রতি মহাব্বতের শিক্ষা পেয়ে থাকি।
আরো শিক্ষা পাচ্ছি ছোট থেকেই তাদেরকে আল্লাহর হুকুমের অনুসরণ ও নাফরমানী থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়ার, যাতে করে তারা দুনিয়া ও আখিরাতে সৌভাগ্যের অধিকারী হয়।
একমাত্র আল্লাহর কাছে চাওয়া ও সাহায্য প্রার্থনার মাধ্যমে তাদের হৃদয়ে আল্লাহর একত্ববাদের বিশ্বাস স্থাপন করা। তাদেরকে এমনভাবে লালন-পালন করা যাতে তারা ভবিষ্যৎ জীবনে আশা-প্রত্যাশা ও সাহসীকতার সাথে গড়ে উঠতে পারে।
সুখের সময় আল্লাহকে স্মরণে রাখবে, তিনি দু:খের সময় তোমাকে মনে রাখবেন। ( তবরাণী, মুজাম কাবির)
واعلم أن ما أخطأك لم يكن ليصيبك ، وما أصابك لم يكن ليخطئك ، شعب الإيمان للبيهقي - (ج 20 / ص 463)
জেনে রাখ, যা তোমাকে এড়িয়ে গেছে তা তোমার নিকট পৌছার ছিল না, আর যা পৌঁছেছে তা এড়িয়ে যাবার ছিল না। (বায়হাকি, শুআবুল ঈমান)
উপরোক্ত আলোচনা থেকে সুস্পষ্ট যে, এতিম প্রতিপালনকারীর দায়িত্ব হবে:
১. এতিমকে তাওহিদের কালিমা শিক্ষা দেয়া, বুদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে এর সঠিক অর্থ বুঝিয়ে দেয়া যে আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল।
২. এতিমকে ছোট থেকেই এ শিক্ষা দেয়া যে, তারা যেন আল্লাহর কাছেই চায় এবং এককভাবে তারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে।
৩.তাদেরকে হারাম কাজোর ব্যাপারে সতর্ক করা, যেমন আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক না করা, মৃত ব্যক্তির কাছে কিছু প্রার্থনা না করা, তাদের কাছে কোনো সাহায্য না চাওয়া ইত্যাদি। তাদেরকে ভাল করে বুঝিয়ে দেয়া যে, ওরা হচ্ছে সৃষ্টজীব, কোনো উপকারও করতে পারে না এবং ক্ষতিও করার ক্ষমতা রাখেনা।
তুমি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডাকবে না যা তোমার কোনো উপকার করতে পারে না। আর না তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারে। যদি তুমি তা কর তাহলে নিশ্চয়ই তুমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা ইউনুস : ১০৬)
৪. এতিমের মা যদি বেঁচে থাকে তাহলে তার সাথে ভাল ব্যবহারের উৎসাহ প্রদান করা ।
আর আমি মানুষকে তার মাতাপিতার ব্যাপারে (সদাচরণের) নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভে ধারণ করে। আর তার দুধ ছাড়ানো হয় দু’বছরে; সুতরাং আমার ও তোমার পিতা-মাতার শুকরিয়া আদায় কর। প্রত্যাবর্তন তো আমার কাছেই। আর যদি তারা তোমাকে আমার সাথে শিরক করতে জোর চেষ্টা করে, যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তখন তাদের আনুগত্য করবে না এবং দুনিয়ায় তাদের সাথে বসবাস করবে সদ্ভাবে। আর অনুসরণ কর তার পথ যে আমার অভিমুখী হয়। তারপর আমার কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন। তখন আমি তোমাদেরকে জানয়ে দেব যা তোমরা করতে। (সূরা লুকমান: ১৪-১৫)
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لاطاعة لأحد في معصية االله، إنما الطاعة في المعروف .
আল্লাহর নাফরমানী করে কারো আনুগত্য নেই। আনুগত্য শুধু সৎ কাজে।
এতিমকে এ শিক্ষাও প্রদান করতে হবে যে, আল্লাহ তাআলা আসমানে রয়েছেন, তিনি আমাদের সব কিছু অবলোকন করছেন ও সব কিছুই শুনছেন।
মুয়াবিয়া বিন হাকাম আসসুলামী রা. বলেন, আমার একজন দাসী ছিল সে উহুদ ও আল জাওয়ানীয়া প্রান্তে আমার ছাগল চরাতো। একদিন আমি লক্ষ্য করলাম হঠাৎ একটি বাঘি তার ছাগপাল থেকে একটি ছাগল নিয়ে গেল। আমি যেহেতু আদম সন্তান, তাই তারা যেমন দু:খ করে, আমিও তেমনি দু:খিত হলাম। কিন্তু আমি তাকে একটা চড় মেরেছি। অত:পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসলাম, তিনি বিষয়টি আমার নিকট অনেক বড় করে তুলে ধরলেন। আমি বললাম: তাহলে কি তাকে আজাদ করে দিব? তিনি বললেন: তাকে তুমি আমার কাছে নিয়ে আস। আমি তাই করলাম, তাকে তার কাছে নিয়ে আসলাম। তারপর তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন: আল্লাহ কোথায়? সে বলল: আসমানে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আমি কে? সে বলল: আপনি আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেন: তাকে তুমি আজাদ করে দাও, কেননা সে মুমিন। ( সহিহ মুসলিম)
এতিমকে ছোটকাল থেকেই নামাজ শিক্ষা দেয়া, নামাজের আরকান ও ওয়াজিবসহ তা কায়েম করাতে সচেষ্ট হওয়া। ধীর-স্থিরভাবে তা পালন করার নির্দেশ দেয়া, যাতে সে বড় হয়ে তা যথাযথভাবে পালন করতে অভ্যস্ত হয়। সাথে সাথে অজু গোসল, ও অন্যান্য বিষয় শিক্ষা দেয়া, যেমন আল্লাহভীরুতা, সত্যবাদীতা, আমানতদারী, ধৈর্য ও সুন্দর চরিত্রের প্রশিক্ষণ দিয়ে মিথ্যা, হিংসা, খিয়ানত, গিবত, চোগলখোরী ইত্যাদি থেকে বিরত রাখা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত মোতাবেক সালামের আদব, খাওয়ার আদব, প্রস্রাব পায়খানার আদব ও অন্যান্য আদব শিক্ষা দেয়া।
এতিমরা সমাজ ও জাতিরই একটি অংশ। তাই শুধু এতিমের অভিভাবকের নয়, বরং সমাজের সকলেরই দায়িত্ব হল সঠিকভাবে তাদের প্রতিপালন ও শিক্ষা দীক্ষার ব্যবস্থা করা। কারণ সকলকে আল্লাহর সম্মুখে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। যদি তারা সুন্দর ও সুচারু রূপে তাদেরকে প্রতিপালন করে তাহলে তারা দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াব ও সৌভাগ্যবান হবে। আর যদি অবহেলা করে তাহলে দুর্ভাগা হবে এবং তাদের উপরই বর্তাবে এর কুফল, তাদেরকেই দিতে হবে এর মাসূল।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ সম্পর্কে বলেন:
كلكم راع وكلكم مسؤل عن رعيته . متفق عليه
তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। তোমাদের প্রত্যেককেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। (বুখারি ও মুসলিম)
যারা এতিমের শিক্ষা ও প্রতিপালন করার দায়িত্ব পালন করবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভাষায় তাদেরর জন্য সুসংবাদ রয়েছে। নবীজী তার এক সাহাবিকে সম্বোধন করে বলেন,
فوالله لأن يهدي الله بك رجلا واحدا خير لك من حمر النعم . رواه البخاري ومسلم
আল্লাহর কসম, তোমার দ্বারা আল্লাহ যদি একজন ব্যক্তিকে হিদায়াত দান করেন তা তোমার জন্য উৎকৃষ্ট সম্পদ থেকেও উত্তম। ( বুখারি ও মুসলিম।)
তোমাদের সম্পদ যা আল্লাহ তোমাদের জন্য উপজীবিকা করেছেন তা নির্বোধদের হাতে অর্পণ কর না। এবং তোমরা তা হতে তাদেরকে আহার দাও, তাদেরকে পরিধান করাও এবং তাদের সাথে উত্তম কথা বল। (সূরা নিসা : ৫)
মুফাসসিরে কোরআন আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহ আনহু বলেছেন, পবিত্র কোরআনের এ আয়াতে নির্দেশ করা হচ্ছে যে, তোমরা তোমাদের ধন-সম্পদ অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান-সন্তুতি কিংবা অনভিজ্ঞ স্ত্রীলোকদের হাতে তুলে দিয়ে তাদের মুখাপেক্ষী হয়ে থেকো না, রবং আল্লাহ তাআলা যেহেতু তোমাকে অভিভাবক এবং দেখা শোনার দায়িত্ব দিয়েছেন, তাই তুমি সম্পদ তোমার নিজের হাতে রেখে তাদের খাওয়া পরার দায়-দায়িত্ব পালন করতে থাক।
যদি তারা অর্থ সম্পদের দায়িত্ব নিজ হাতে নিয়ে নেয়ার আপত্তি করে, তাহলে তাদেরকে ভালভাবে বুঝিয়ে দাও যে, এসব তোমাদের জন্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে, যাতে তাদের মন:কষ্টের কারণ না হয়, আবার সম্পদ বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা না দেয় ।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাসের ব্যাখ্যা মতে, অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক বালিকা এবং অনভিজ্ঞ যে কোনো স্ত্রীলোকের হাতে ধন সম্পদ তুলে না দেয়ার নির্দেশ প্রদান করায় প্রমাণ হয় যে, তাদের হাতে সম্পদ বিনষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে। এতে এতিম শিশু বা নিজের সন্তানের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সাহাবি আবু মূসা আশআরী রা.-ও আয়াতের এরূপ তাফসিরই বর্ণনা করেছেন। ইমামে তাফসির হাফেজ তাবারিও এ মত গ্রহণ করেছেন। তাছাড়া প্রসঙ্গ আলোচনার মধ্যেও আয়াতের নির্দেশ এতিমদের জন্যই প্রযোজ্য বলে অনুভূত হয়।
এতিম প্রতিপালনকারী বা এতিমের অভিভাবকের সম্পদের সাথে যদি এতিমের সম্পদের মিশ্রণ ঘটে, আর যদি এতিমের সম্পদের কোনো ক্ষতির আশংকা না হয় তাহলে এ মিশ্রণ জায়েয ।
যদি তাদের ব্যয়ভার নিজের সাথে মিশিয়ে নাও তাহলে মনে করবে তারা তোমাদের ভাই। বস্তুত: অমঙ্গলকামী ও মঙ্গলকামীদেরকে আল্লাহ জানেন। (সূরা বাকারা : ২২০)
কেউ যদি নিজের খাওয়া দাওয়া ও ব্যবসা বাসস্থান থেকে এতিমের খাওয়া দাওয়া ও বাসস্থান সম্পূর্ণ আলাদা করে, এতে কোনো দোষ নেই মহান আল্লাহ তা মুবাহ করেছেন।
উপরোল্লেখিত আয়াত থেকে কোনো কোনো তাফসিরকারক বলেছেন, অভিভাবক এতিমের সম্পদ থেকে ঐ পরিমাণ উপকৃত হতে পারবে যে পরিমাণ তার এই কাজের মজুরি বা পারিশ্রমিক হতে পারে। তবে ব্যক্তি যদি ধনী হয় কিংবা এমন হয় যার প্রয়োজনীয় খরচ-পত্রের ব্যবস্থা অন্যত্র সংস্থান করতে পারে তাহলে তার উচিত এতিমের মাল থেকে তার পরিশ্রমিক গ্রহণ না করা।
وَمَنْ كَانَ غَنِيًّا فَلْيَسْتَعْفِفْ ( النساء : 6)
যারা স্বচ্ছল তারা অবশ্যই এতিমের মাল খরচ করা থেকে বিরত থাকবে। (সূরা নিসা: ৬)
আর এতিমের তত্ত্বাবধানকারী যদি দরিদ্র হয় তাহলে এতিমের মাল থেকে তার প্রয়োজন পরিমাণ খরচ করতে পারবে। আল্লাহ তাআলা বলেন:
যে ব্যক্তি অভাবগ্রস্ত সে সঙ্গত পরিমাণ ভোগ করবে। যখন তাদের হাতে তাদের সম্পত্তি প্রত্যার্পণ করবে তখন তাদের উপর তোমরা সাক্ষী রাখবে। আর হিসাবগ্রহণকারী হিসেবে আল্লাহ যথেষ্ট। (সূরা নিসা: ৬)
আমর ইবনে শুয়াইব হতে বর্ণিত । তিনি তার পিতা এবং তিনি তার দাদার থেকে বর্ণনা করেছেন যে, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বলল: আমি দরিদ্র ব্যক্তি, আমার কিছুই নেই। আমার একজন এতিম রয়েছে। তিনি বললেন: তোমার এতিমের সম্পদ থেকে খাও, তবে নষ্ট ও অপব্যয় করবে না এবং মূলধন থেকেও খাবে না। (আবু দাউদ)
কারো কারো মতে উক্ত ব্যক্তির যদি কোনো সময় স্বচ্ছলতা আসে তাহলে সে এতিমের মাল হতে গ্রহণকৃত সম্পদ ফেরত দিবে। আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে এতিমের মাধ্যমে তা হালাল করে নিবে।
ওমর রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন:
إني أنزلت نفسي من مال الله بمنزلة مال اليتيم ، إن استغنيت استعففت ، وإن افتقرت أكلت بالمعروف » ) معرفة السنن والآثار للبيهقي - (ج 11 / ص 115(
আল্লাহর সম্পদের ব্যাপারে আমি আমাকে এতিমের সম্পদের জায়গায় এনেছি, আমার যখন স্বচ্ছলতা দেখা দেয় তখন আমি এতিমের মাল থেকে বিরত থাকি এবং যখন অভাব দেখা দেয় তখন আমি ন্যায়সঙ্গতভাবে ঋণ হিসাবে খাই , অত:পর তা পরিশোধ করি। ( মা’রেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকি, ১১/১১৫)
মুজাহিদ রহ. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: যদি অভাবগ্রস্ত হয় এবং সঙ্গত পরিমাণ খায় তাহলে তা পরিশোধ করতে হবে না।
এতিম মেয়েদের বৈবাহিক জীবনে যাবতীয় অধিকার সংরক্ষণের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন:
আর যদি তোমরা আশংকা কর যে, এতিমদের ব্যাপারে তোমরা ইনসাফ করতে পারবে না, তাহলে তোমারা বিয়ে কর নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে; দু’টি তিনটি অথবা চারটি। আর যদি ভয় কর যে তোমর সমান আচরণ করতে পারবে না, তবে একটি অথবা তোমাদের হাত যার মালিক হয়েছে। এটা অধিকতর নিকটবর্তী যে, তোমরা যুলম করবে না। (সূরা নিসা: ৩)
তারা তোমার কাছে নারীদের ব্যাপারে সমাধান চায়। বল, আল্লাহ তাদের ব্যাপারে তোমাদেরকে সমাধান দিচ্ছেন এবং সমাধান দিচ্ছেন ঐ আয়াতসমূহ যা কিতাবে তোমাদেরকে পাঠ করে শুনানো হয় এতিম নারীদের ব্যাপারে। যাদেরকে তোমরা প্রদান কর না যা তাদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, অথচ তোমরা তাদের বিবাহ করতে আগ্রহী হও। আর দুর্বল শিশুদের ব্যাপারে ও ইতিমদের প্রতি তোমাদের ইনসাফ প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে। আর তোমরা যে কোনো ভালো কাজ কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে পরিজ্ঞাত। (সূরা নিসা : ১২৭)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/502/14
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।