মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
সহীহ হদীসে আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«مثل الذي يذكر ربه والذي لا يذكر ربه كمثل الحي والميت»
“যে ব্যক্তি তার রবকে স্মরণ করে, আর যে ব্যক্তি তার রবকে স্মরণ করে না, তাদের উভয়ের দৃষ্টান্ত হলো জীবিত এবং মৃতের ন্যয়।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৪০৭।]
অতএব, অন্তরের জন্য আল্লাহর যিকির বা স্মরণ হলো যেমন, পানিতে মাছের অবস্থা। পানি থেকে মাছকে উপরে উঠানো হলে মাছের অবস্থা কেমন হতে পারে? অন্তরকে যদি যিকির থেকে বিরত রাখা হয় তাহলে তার অবস্থা উক্ত মাছের অবস্থার ন্যায় হয়ে যায়। তাই অন্তরকে আল্লাহর যিকির থেকে বিরত রাখা হলে অন্তর কঠিন ও শক্ত, অন্ধকার ও তমাসাচ্ছন্ন হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“দুর্ভোগ সেই কঠোর হৃদয় ব্যক্তিদের জন্যে, যারা আল্লাহর স্মরণে পরন্মুখ।” [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ২২]
ইবনুল কাইয়্যেম রহ. বলেন, ‘প্রত্যেক বস্তুর জন্য উজ্জ্বলতা প্রদানকারী বস্তু রয়েছে আর অন্তরের উজ্জ্বলতা বা আলো হলো আল্লাহর যিকির বা স্মরণ’।
এক ব্যক্তি হাসান বাসরীকে জিজ্ঞাসা করল: “হে আবু সাঈদ, আপনার কাছে আমার অন্তর শক্ত ও কঠিন হওয়া সম্পর্কে অভিযোগ করছি। এ কথা শুনে আবু সাঈদ হাসান বাসরী বললেন: আল্লাহর যিকির দ্বারা তা তরল ও গলিয়ে দাও। আল্লাহর যিকির এর ন্যায় এমন অন্য কোনো ব্যবস্থা নেই, যার দ্বারা অন্তরের কঠিনতাকে তরল করা সম্ভব। এ কারণেই আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদেরকে অধিক মাত্রায় তাঁকে স্মরণ করার জন্য কুরআনে বিভিন্ন স্থানে নির্দেশ প্রদান করেছেন। তার মধ্যে আল্লাহ তা‘আলার বাণী হলো:
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিক স্মরণ করবে এবং সকাল-সন্ধায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করবে।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৪১-৪২ আয়াত]
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা জানিয়েছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করতেন। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে জ্ঞানী বলে উল্লেখ করেছেন যারা সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
কমপক্ষে শর্তযুক্ত আযকারগুলো হিফাযত করা। যেমন, সকাল ও বিকালে পাঠ করার দো‘আ এবং সালাতের পর যে সমস্ত আযকার পাঠ করা হয় তার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং ঐ সমস্ত দো‘আ যা কোনো কারণে অথবা বিশেষ অবস্থায় পাঠ করা হয়।
প্রিয় পাঠক! আল্লাহ তোমাকে বরকত দান করুন, তুমি আল্লাহর যিকির করার ব্যাপারে যথাসাধ্য যত্নবান হবে। কারণ, আল্লাহর যিকির বা স্মরণ হলো অন্ধকার থেকে আলোর পথে বের হয়ে আসার এবং আল্লাহ তা‘আলার কাছ থেকে রহমত, দয়া ও অনুগ্রহের সবচেয়ে বড় মাধ্যম। এ কারণেই আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে বেশি বেশি স্মরণ এবং সকাল এবং বিকাল তাঁর তাসবীহ পাঠ করার নির্দেশ প্রদান করার পর এর প্রতিদান উল্লেখ করে বলেন,
“তিনি (আল্লাহ) তোমাদের ওপর সালাত প্রেরণ করেন আর তাঁর ফিরিশতারাও; তোমাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোতে আনার জন্যে এবং তিনি মুমিনদের প্রতি পরম দয়ালূ।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৪৩]
তাই আল্লাহকে স্মরণকারীর প্রতিদান হলো অন্ধকার থেকে বের করে আলোর পথে নিয়ে আসা এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে সালাত বা রহমত এবং ফিরিশতার পক্ষ থেকে ক্ষমার দো‘আ করা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/554/10
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।