hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আত্মশুদ্ধি

লেখকঃ খালেদ ইবন আব্দুল্লাহ আল-মুসলেহ

১১
চতুর্থ ঔষধ: আন্তরিক তাওবাহ করা এবং অধিক মাত্রায় আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া
বস্তুত খাঁটি বা আন্তরিকভাবে করা তাওবা, যাতে তাওবার শর্ত পরিপূর্ণ থাকে, তা অন্তরকে উজ্জ্বলতা প্রদান করে এবং অন্তর থেকে পাপ ও খারাপ কাজের ময়লা দূরীভূত করে দেয়। কারণ, অনবরত পাপ ও অন্যায়ের কাজ করতে থাকলে তা অন্তরকে কালো করে তোলে, ফলে পাপী ও অন্যায়কারীর অন্তরকে ঘোর অন্ধকার, কঠোর নিষ্ঠুর প্রকৃতির ও নির্দয় দেখতে পাবে এবং তার মধ্যে স্বচ্ছতা, নির্মলতা ও আনন্দ খুঁজে পাবে না, বরং আল্লাহর শপথ সে অন্তর আযাব, দুর্ভাগ্য ও কষ্টের মধ্যে নিপতিত।

কাজেই তাওবা হলো অন্তরের এক প্রায়াস ও প্রচেষ্টার নাম। অন্তরের পরিশুদ্ধতা, সংস্কার, সংশোধন ও সুদৃঢ় করার জন্য তাওবার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। তাই বেশি বেশি তাওবাহ করা এবং তাওবাকে বার বার নবায়ন করা ও সর্বদা ইসতেগফার করা অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে তুলে এবং তাকে ভালো কাজের আগ্রহী করে তুলে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহীহ হাদীসে বলেন,

«إنه ليغان على قلبي، وإني لأستغفر الله في اليوم مائة مرة»

“অন্যমনস্কতা আমার অন্তরকে ঢেকে নেয়। তাই আমি দিনে আল্লাহর কাছে একশত বার ইসতেগফার করি।” [আহমাদ, হাদীস নং ১৮০০২।]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খবর দিয়েছেন যে, ইসতেগফারের দ্বারা তাঁর অন্তর থেকে অন্যমনস্কতা দূর হয়ে যায়, অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পূর্বের এবং পরের সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করা হয়েছে। তাহলে অন্য যাদের গোনাহের বোঝায় স্কন্ধ ভারি হয়ে গেছে এবং অধিক অন্যায় ও পাপ বৃদ্ধি করেছে, তার কি অধিক মাত্রায় ক্ষমা চাওয়া দরকার নয়? যার মাধ্যমে তার অন্তরের ভ্রান্তি ও অন্যায় সংশোধন হয়ে যাবে? আল্লাহর শপথ অবশ্যই আমরা সকলেরই অধিক তাওবা করার মুখাপেক্ষী। কারণ, বান্দা যখন গুনাহ থেকে তাওবাহ করে এবং তার অন্তরে যে সমস্ত ভালো ও খারাপ আমলের মিশ্রিত হয়েছিল তা থেকে খালি করে নেয় এবং যখন সে গোনাহ থেকে তাওবাহ করবে তখন অন্তরের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং সে ভালো কাজ করার ইচ্ছা খুঁজে পায়। আর তার অন্তরে যে সব নষ্ট ও বিকৃত বস্তু প্রবিষ্ট হয়েছিল তা থেকে মুক্তি পায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿أَوَ مَن كَانَ مَيۡتٗا فَأَحۡيَيۡنَٰهُ وَجَعَلۡنَا لَهُۥ نُورٗا يَمۡشِي بِهِۦ فِي ٱلنَّاسِ كَمَن مَّثَلُهُۥ فِي ٱلظُّلُمَٰتِ لَيۡسَ بِخَارِجٖ مِّنۡهَا﴾ [ الانعام : ١٢٢ ]

“এমন ব্যক্তি যে ছিল প্রাণহীন তৎপর তাকে আমরা জীবন প্রদান করি এবং তার জন্যে আমরা এমন আলোকের (ব্যবস্থা) করে দেই, যার সাহায্যে সে জনগণের মধ্যে চলাফেরা করতে থাকে সে কি এমন কোনো লোকের মতো হতে পারে যে, (ডুবে) আছে অন্ধকার পুঞ্জে, তা থেকে বের হওয়ার পথ পাচ্ছে না।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১২২]

এটি একটি উদাহরণ, যাদের অন্তর কুফুরী ও অজ্ঞতা দ্বারা মৃত আল্লাহ তা‘আলা তাদের জন্য তা বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা উক্ত কুফুরী ও অজ্ঞতা থেকে তাওবাহ করার মাধ্যমে হিদায়াত প্রদান করেন এবং তাকে ঈমান দ্বারা জীবিত করেন এবং তাকে আলো দান করেন যার দ্বারা সে আলোকিত হয়ে চলতে পারে এবং তার মাধ্যমে সে মানুষের মাঝে পথ চলতে পারে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন