hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

পর্দা কেন

লেখকঃ শাইখ মুহাম্মদ ইবন আহমদ ইবন ইসমাঈল আল-মুকাদ্দিম

২১
সৌন্দর্য প্রদর্শন ও পর্দাহীনতার ভয়াবহ পরিণতিসমূহ:
নারীরা তাদের প্রতি পুরুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার লক্ষ্যে নিষিদ্ধ সাজ-সজ্জা গ্রহণের ক্ষেত্রে পরস্পর প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে। তারা তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শনের জন্য নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে। এর ফলে তারা যেমনিভাবে তাদের চরিত্রকে কলঙ্কিত করে, অনুরূপভাবে তারা তাদের অনেক ধন-সম্পদ এ পথে ব্যয় করে। যার পরিণতিতে নারীরা বর্তমান সমাজে নিকৃষ্ট ও পঁচা-গন্ধ পণ্যে পরিণত হয়েছে।

দুই. সৌন্দর্য প্রদর্শনের ফলে পুরুষদের চরিত্র ধ্বংস হয়। বিশেষ করে যুব সমাজ ও প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেরা সৌন্দর্য প্রদর্শনকারী নারীদের কারণে ধ্বংসের ধার প্রান্তে উপনীত হয় এবং তাদের বিভিন্ন ধরণের অশ্লীল কাজ ও অপরাধের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়।

দুই. পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস হয় এবং পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনৈক্য ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং বিবাহ বিচ্ছেদ অহরহ ঘটতে থাকে।

তিন. যারা নারীদের দিয়ে চাকুরী করায় তাদের অবস্থা এমন তারা যেন তাদের নারীদের দিয়ে ব্যবসা করছে।

চার. সৌন্দর্য প্রদর্শনকারী নারীরা তাদের নিজেদের দুর্নাম ও তাদের নিজেদের প্রতি মানুষের খারাপ ধারণা কামাই করে। কারণ, তারা যখন সেজে-গুজে ঘর থেকে বের হয়, এতে বুঝা যায় তাদের নিয়ত খারাপ এবং তাদের উদ্দেশ্য অসৎ। অন্যথায় সেজে-গুজে বের হওয়ার কারণ কি? তাদের আচরণের কারণে সমাজের দুর্বৃত্ত ও দাম্ভিকরা সুযোগ পেয়ে তার সদ্ব্যবহার করে।

পাঁচ. সামাজিক ব্যাধির সাথে সাথে সমাজে বিভিন্ন ধরণের মহামারি ও রোগ ব্যাধি দেখা দেয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«لم تظهر الفاحشة في قومٍ قَطُّ حتى يُعْلِنوا بها إلا فشا فيهم الطاعونُ والأوجاعُ التي لم تكن في أسلافهم الذين مَضَوْا»

“কোনো কাওমের মধ্যে কোনো অশ্লীল কর্ম ও ব্যভিচার দেখা দেওয়ার পর তারা যখন তা প্রচার করত, তখন তাদের মধ্যে এমন মহামারি ও দুর্ভিক্ষ দেখা দিত, যা তাদের পূর্বে যারা অতিবাহিত হয়েছে, তাদের মধ্যে দেখা যায় নি”।

ছয়. চোখের ব্যভিচার ব্যাপক হারে সংঘটিত হতে থাকবে এবং চোখের হিফাযত করা যার জন্য আদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা কঠিন হয়ে যাবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«العينان زناهما النظر»

“চোখ দুটির ব্যভিচার হলো, দৃষ্টি”। (সহীহ মুসলিম)

সাত. আসমানি মুসিবতসমূহ নাযিল হওয়ার উপযুক্ত হবে। এমন এমন বিপদের সন্মুখীন হতে হবে, যেগুলো ভূমিকম্প ও আণবিক বিস্ফোরণ হতেও মারাত্মক। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআন করীমে বলেন,

﴿وَإِذَآ أَرَدۡنَآ أَن نُّهۡلِكَ قَرۡيَةً أَمَرۡنَا مُتۡرَفِيهَا فَفَسَقُواْ فِيهَا فَحَقَّ عَلَيۡهَا ٱلۡقَوۡلُ فَدَمَّرۡنَٰهَا تَدۡمِيرٗا ١٦﴾ [ الاسراء : ١٦ ]

“আর যখন আমি কোনো জনপদ ধ্বংস করার ইচ্ছা করি, তখন তার সম্পদশালীদেরকে (সৎ কাজের) আদেশ করি। অতঃপর তারা তাতে সীমালঙ্ঘন করে। তখন তাদের ওপর নির্দেশটি সাব্যস্ত হয়ে যায় এবং আমি তা সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত করি।” [সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ১৬]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«إن الناس إذا رأوا المنكر فلم يُغَيِّروه أوشك أن يَعُمَّهم الله بعذاب» .

“মানুষ যখন অন্যায়কে দেখে এবং তা পরিবর্তন করে না, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের অচিরেই আযাব দ্বারা ঢেকে ফেলবে”।

হে মুসলিম মা ও বোনেরা!

তোমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীর প্রতি একটু চিন্তা করে দেখ, যাতে তিনি বলেন,

«نَحِّ الأذى عن طريق المسلمين»؟

“মুসলিমদের চলাচলের রাস্তা থেকে তোমরা কষ্টদায়ক বস্তু সরাও।”

রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরানো যার প্রতি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, তা যদি ঈমানের অন্যতম শাখা হয়ে থাকে, তাহলে তোমাদের বুঝতে হবে, রাস্তায় কষ্টদায়ক বস্তু কাটা, পাথর, গোবর ইত্যাদি যা মানুষকে দৈহিক কষ্ট দেয় তা মারাত্মক নাকি যা মানুষের আত্মাকে ধ্বংস করে দেয়, জ্ঞান-বুদ্ধি নষ্ট করে এবং ঈমানদারদের নৈতিক পতন নিশ্চিত করে তা বেশি মারাত্মক?

মনে রাখবে একজন যুবকও যদি তোমার কারণে এমন ফিতনায় পড়ল, যা তাকে আল্লাহর যিকির থেকে বিরত রাখল বা সঠিক পথ হতে তাকে ফিরিয়ে রাখল, অথচ ইচ্ছা করলে তুমি তাকে নিরাপত্তা দিতে পারতে, কিন্তু তা তুমি করলে না, তাহলে তোমাকে অবশ্যই আল্লাহর পক্ষ হতে ভয়াবহ আযাব গ্রাস করবে এবং তুমি কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

হে মুসলিম নারীরা! তোমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইবাদত বন্দেগী ও আনুগত্যর প্রতি অগ্রসর হও। মানুষের গোলামী করা ও তাদের আনুগত্য হতে বেঁচে থাক। কারণ, কিয়ামতের দিন আল্লাহর হিসাব অনেক কঠিন ও ভয়াবহ। মানুষ কে কি বলল, তা তোমার বিবেচ্য নয়, মানুষকে খুশি করা ও তাদের পদলেহন হতে বিরত থাক। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি লাভের জন্য কাজ করা, তোমার জন্য কল্যাণ ও নিরাপদ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«من التمس رضا الله بِسَخَطِ الناسِ كفاه الله مؤنة الناس ومن التمس رضا الناسِ بِسَخَطِ الله وَكَلَه الله إلى الناس» .

“যে ব্যক্তি মানুষকে নারাজ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষের থেকে তাকে ফিরিয়ে নেবে এবং আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট হবে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে নারাজ করে মানুষের সন্তুষ্টি কামনা করে আল্লাহ তা‘আলা তাকে মানুষের নিকট সোপর্দ করবে”। [হাদীসটি বিশুদ্ধ]

একজন বান্দার ওপর ওয়াজিব হলো, একমাত্র আল্লাহকে ভয় করা এবং আল্লাহর আদেশ নিষেধ মেনে চলা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,

﴿فَلَا تَخۡشَوُاْ ٱلنَّاسَ وَٱخۡشَوۡنِ﴾ [ المائ‍دة : ٤٤ ]

“তোমরা মানুষকে ভয় করো না আমাকে ভয় কর”। [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৪৪]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿وَإِيَّٰيَ فَٱرۡهَبُونِ﴾ [ البقرة : ٤٠ ]

“তোমরা আমাকেই ভয় কর”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ৪০]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿هُوَ أَهۡلُ ٱلتَّقۡوَىٰ وَأَهۡلُ ٱلۡمَغۡفِرَةِ﴾ [ المدثر : ٥٦ ]

“তিনিই ভয়ের যোগ্য এবং ক্ষমার অধিকারী”। [সূরা আল-মুদ্দাচ্ছির, আয়াত: ৫৬]

মাখলুকের সন্তুষ্টি অর্জন করার কোনো প্রয়োজন নেই। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষের সন্তুষ্টি লাভের জন্য নির্দেশ দেন নি এবং এটি কোনো জরুরি বিষয় নয়। ইমাম শাফেঈ রহ. বলেন, “মানুষের সন্তুষ্টি লাভ এমন একটি পরিণতি যা লাভ করা কখনোই সম্ভব নয়, সুতরাং এর জন্য তোমার কষ্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই। তুমি এমন কর্ম অবলম্বন কর, যা তোমাকে সংশোধন করবে। আর অন্য সব কিছুকে তুমি ছাড়”।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুত্তাকীদের উপায় বের করে দেবেন। যা মানুষের জন্য সংকীর্ণ ও সংকোচিত। আর আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুত্তাকীদেরকে তাদের ধারণার বাহিরে রিযিক দান করবেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,

﴿وَمَن يَتَّقِ ٱللَّهَ يَجۡعَل لَّهُۥ مَخۡرَجٗا ٢ وَيَرۡزُقۡهُ مِنۡ حَيۡثُ لَا يَحۡتَسِبُۚ وَمَن يَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱللَّهِ فَهُوَ حَسۡبُهُۥٓۚ﴾ [ الطلاق : ٢، ٣ ]

“যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরি করে দেন। এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিযক দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াককুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট”। [সূরা আত-তালাক, আয়াত: ২,৩]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন