hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

পর্দা কেন

লেখকঃ শাইখ মুহাম্মদ ইবন আহমদ ইবন ইসমাঈল আল-মুকাদ্দিম

২২
শরঈ পর্দা অবলম্বন বিষয়ে যে সব শর্তাবলী একত্র হওয়া জরুরি:
এক: গ্রহণযোগ্য ও অগ্রগণ্য মতানুযায়ী নারীদের জন্য তাদের সম্পূর্ণ শরীর ডেকে রাখা:

কোন কোনো আলিমের মতে যদি ফিতনার আশঙ্কা না থাকে, তখন চেহারা ও কব্জিদ্বয় সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়। অর্থাৎ, যদি নারী সুন্দরী না হয়ে থাকে, চেহারা ও হাতে কোনো সজ্জা গ্রহণ না করে, তখন কব্জিদ্বয় ও মুখ খুলে রাখাতে কোনো অসুবিধা নেই। আর মহিলাটি যে সমাজে বসবাস করে সে সমাজে এমন কোনো খারাপ লোক বা দুর্বৃত্ত নেই যারা মহিলাদের দিকে কু-দৃষ্টি দেয়। তখন নারীদের জন্য তাদের চেহারা ও হাতের কব্জিদ্বয় খোলা রাখাতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু যদি উল্লিখিত শর্তগুলো না পাওয়া যায়, তখন নারীদের জন্য তার চেহারা ও হাত খুলে রাখার বিষয়ে ওলামাদের ঐকমত্য হলো, তাদের চেহারা ও কব্জিদয় খুলে রাখা কোনো ক্রমেই বৈধ নয়।

দ্বিতীয়: পর্দা করা যেন সৌন্দর্য না হয়:

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,

﴿وَلَا يُبۡدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنۡهَاۖ﴾ [ النور : ٣١ ]

“আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না”। [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩১]

﴿وَلَا تَبَرَّجۡنَ تَبَرُّجَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ ٱلۡأُولَىٰۖ ﴾ [ الاحزاب : ٣٣ ]

“আর তোমরা প্রাক জাহেলী যুগের মত সৌন্দর্য প্রদর্শন করো না”। [সূরা আল আহযাব, আয়াত: ৩৩]

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পর্দা করার নির্দেশ দিয়েছেন যাতে নারীরা তাদের সৌন্দর্যকে গোপন করে এবং তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে। কিন্তু পর্দা যদি এমন সুন্দর হয়, যা দেখে পুরুষরা নারীদের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং ফিতনার মুখোমুখি হয়, তাহলে এ ধরণের পর্দার কোনো অর্থ হতে পারে না।

তিন. পর্দার জন্য মোটা ও ঢিলে-ঢালা কাপড় পরিধান করতে হবে যাতে কাপড়ের ফাঁক দিয়ে তাদের শরীর দেখা না যায়:

কারণ, এ ধরণের কাপড় ছাড়া পর্দা বাস্তবায়ন হবে না। কারণ, চিকন –পাতলা- কাপড় পরিধান করলে, বাস্তবে মহিলারা উলঙ্গই থেকে যায়। তারা তাদের পর্দার ভিতর আর থাকল না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«سيكون في آخر أمتي نساء كاسيات عاريات على رُؤوسهن كأسنمة البُخت العنوهن فإنهن ملعونات »

আমার আখেরি যামানার উম্মতদের মধ্যে এমন কতক নারীর আবির্ভাব হবে, যারা পোশাক পরিধান করলেও মূলতঃ তারা উলঙ্গ। তাদের মাথা উটের চোটের মতো উঁচা হবে। তোমরা তাদের অভিশাপ কর; কারণ, তারা অভিশপ্ত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বিষয়ে আরও বলেন,

«لا يدخلن الجنة ولا يجدن ريحها وإن ريحها ليوجد من مسيرةِ كذا وكذا»

“তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ জান্নাতের সুঘ্রাণ অনেক দূর থেকে পাওয়া যাবে।” (সহীহ মুসলিম) এতে এ কথা স্পষ্ট হয়, নারীদের জন্য পাতলা ও মসৃণ কাপড় পরিধান করা মারাত্মক কবিরা গুনাহ।

চার. ঢিলা-ডালা কাপড় পরিধান করতে হবে, সংকীর্ণ কাপড় পরিধান করবে না। কারণ, পর্দার উদ্দেশ্য হলো, জাতিকে ফিতনা থেকে রক্ষা করা। কিন্তু যখন কোনো মহিলা সংকীর্ণ কাপড় পরিধান করবে, তখন তার শরীরের গঠন একজন দর্শকের স্পষ্ট হবে। পুরুষের চোখে তা একেবারেই স্পষ্ট হবে। ফলে পুরুষরা তাদের এহেন অবস্থা দেখে ফিতনা-ফ্যাসাদের সন্মুখীন হবে। যা পর্দা না করার কারণে হয়ে থাকে। উসামা ইবন যায়িদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,

] كساني رسول الله صلى الله عليه وسلم قُبْطِيَّةً كثيفة مما أهداها له دِحْيَةُ الكلبي فكسوتُها امرأتي فقال : «ما لك لم تلبس القُبْطِيَّةً ؟» قلت : ] كسوتُها امرأتي [ فقال : «مُرها فلتجعل تحتها غُلالة» وهي شعار يُلْبَسُ تحت الثوب «فإني أخاف أن تَصِفَ حجمَ عِظامِها»

পাঁচ. মহিলার সু-গন্ধি ও আতর মাখিয়ে রাস্তায় বের হবে না।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«أَيُّما امرأةٍ استعطرت فَمَرَّتْ على قومٍ ليجدوا ريحها فهي زانية»

“যদি কোনো নারী খোশবু ব্যবহার করে কোনো পরুষ সম্প্রদায়ের নিকট দিয়ে অতিক্রম করে যাতে তারা তার সুগন্ধ উপলব্ধি করতে পারে। তাহলে সে নারী ব্যভিচারী”।

ছয়. নারীরা পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে না।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«ليس منا من تشبه بالرجال من النساء ولا من تشبه بالنساء من الرجال»

“যে নারী পরুষের সাথে সাদৃশ্য অবলম্বন করে এবং যে সব পুরুষ নারীর সাদৃশ্য অবলম্বন করে, তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়”।

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«لعن رسولُ الله صلى الله عليه وسلم الرجلَ يَلْبَس لِبْسَةَ المرأة والمرأة تلبَسُ لِبسَةَ الرجل»

“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে পরুষ নারীদের বেশ-ভুষা অবলম্বন করে তাদের অভিশাপ করেছেন আবার যে সব পুরুষরা নারীদের বেশ-ভুষা অবলম্বন করে তাদের অভিশাপ করেছেন”।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,

«ثلاث لا يدخلون الجنة ولا ينظر الله إليهم يومَ القيامة : العاقُ والديه والمرأةُ المترجلة المتشبهة بالرجال والدَّيُّوث»

“তিন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না। কিয়ামতের দিন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের প্রতি কোনো করুণা করবে না। এক- যে মাতা-পিতার নাফরমানি করে, দুই- যে নারী পুরুষের আকৃতি অবলম্বন করে, তিন- দাইয়ূস (এমন ব্যক্তি যার পরিবারের মেয়েরা অশ্লীল কাজে লিপ্ত ও অশ্লীল পোষাক পরে অথচ সে তা সমর্থন করে”।

সাত. অমুসলিমদের মতো পোশাক পরিধান করবে না।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«من تشبه بقوم فهو منهم» .

“যে ব্যক্তি কোনো কাওমের সাথে সাদৃশ্য রাখে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে”। [হাদীসটি বিশুদ্ধ]

আব্দুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«رأى رسول الله صلى الله عليه وسلم عَلَيَّ ثوبين معصفرين فقال : «إن هذه من ثياب الكفار فلا تَلْبَسها»

“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার আমাকে দুটি রঙিন কাপড় পরিহিত অবস্থায় দেখেন, তারপর তিনি বললেন, এ ধরণের কাপড় পরিধান করা কাফেরদের অভ্যাস তুমি এ ধরণের কাপড় পরিধান করো না”। (সহীহ মুসলিম)

আট. মানুষের মধ্যে প্রসিদ্ধি লাভ করার মানসিকতা থাকতে পারবে না।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«ومن لَبِسَ ثَوْبَ شُهْرَةٍ في الدنيا ألبسه الله ثوبَ مَذَلَّةٍ يوم القيامة ثم ألهب في ناراً»

“যে ব্যক্তি দুনিয়াতে প্রসিদ্ধ পোশাক পরিধান করল, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কিয়ামতের দিন তোমাকে অপমান অপদস্থের পোশাক পরিধান করাবে। তারপর তোমাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে”।

প্রসিদ্ধ পোশাক হলো, যে কাপড় পরিধান দ্বারা মানুষের মাঝে প্রসিদ্ধি লাভ করা উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। এটি দুই ধরণের হতে পারে। এক- অনেক দামি ও মূল্যবান কাপড়, যা অহংকার করে পরিধান থাকে। দুই- নিম্নমানের কাপড় যা এ কারণে পরিধান করা হয়ে থাকে যাতে মানুষ তাকে ইবাদতকারী, বুযুর্গ ও আল্লাহর অলি বলে আখ্যায়িত করবে। যেমন, সে এমন এক অসাধারণ কাপড় পরিধান করল, যার রঙ, জোড়া, তালি ও অভিনব সেলাই দেখে মানুষ তার দিকে তাকিয়ে থাকে এবং সে মানুষের ওপর বড়াই ও অহংকার করে।

হে মুসলিম মা বোনেরা! তোমরা সৌন্দর্য প্রদর্শন থেকে সতর্ক থাক!

যখন তুমি ওপর উল্লিখিত শর্তগুলো বিষয়ে চিন্তা করবে, তখন তোমার নিকট একটি বিষয় স্পষ্ট হবে, বর্তমানে অসংখ্য নারী এমন আছে, যারা পর্দার নামে বিভিন্ন ধরণের পোশাক পরিধান করে থাকে, বাস্তবে তা পর্দা নয়। তারা অন্যায় করে অথচ অন্যায়কে ন্যায় বলে চালিয়ে দেয়। ফলে তারা সৌন্দর্য প্রদর্শনকে পর্দা বলে নাম রাখে আর অন্যায়কে ইবাদত বলে চালিয়ে দেয়।

ইসলামী জাগরণকে যারা সহ্য করতে পারে না এবং ইসলামী আদর্শকে যারা বরদাশত করতে পারে না, তারা ইসলামকে নির্মূল করার জন্য তাদের সর্বোচ্চ শক্তি ব্যয় করে।

কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের সব চেষ্টাকে ধ্বংস করে দেন এবং তাদের সব ষড়যন্ত্রকে বানচাল করে দেয়। আর মুমিন নারী-পুরুষরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আনুগত্য ও তার হুকুমের অটল ও অবিচল থাকে এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুমিনদের আল্লাহর অনুকরণের ওপর অবিচল থাকার তাওফিক দেন। দুনিয়ার কোনো মোহ তাদেরকে তাদের আদর্শ থেকে চুল পরিমাণও সরাতে পারে না।

ফলে তারা ইসলাম ও মুসলিমদের সাথে এমন সব অসভ্য আচরণ করতে আরম্ভ করল, যা তাদেরকে তাদের মূল লক্ষ্য থেকে দূরে সরিয়ে দিল। তারা এ বলে পর্দাকে বিকৃত করে মানুষের সামনে তুলে ধরল, পর্দা করা কোনো গোঁড়ামি নয়, পর্দা হলো এমন একটি মধ্যম পন্থা যা দ্বারা পর্দাশীল মহিলা তার প্রভুর সন্তুষ্টি লাভে সক্ষম হয়। কিন্তু তারা মুখে যাই বলুক বা দাবি করুক না কেন, বাস্তবে তারা দুটি বিপরীত বিষয়কে একত্রে ঠিক রাখতে চায় একটি সমসাময়িক পরিবেশ আর অপরটি আল্লাহর বিধান ও ইসলামী ঐতিহ্য।

বর্তমান বাজারে পর্দার নামে এমন সব কাপড়-চোপড় পাওয়া যায়, যা প্রাথমিক অবস্থায় বিরোধিতা করা হয়েছিল। অথচ এ গুলো নারীদের সৌন্দর্য প্রদর্শন ও আকর্ষণ তৈরি করা ছাড়া আর কিছুই নয়। ব্যবসায়ীরা তাদের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য এ ধরণের পোশাক বাজারে ছাড়ে। যেমন কোনো এক কবি বলেন, ‘মনে রাখবে, তুমি যে ধরণের পর্দা ব্যবহার করছ, তাকে শরঈ পর্দা বলা হতে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবে, যে পর্দা করলে আল্লাহ ও তার রাসূলের সন্তুষ্টি লাভ হয়। যে ব্যক্তি তোমার এ ধরণের আমলকে ধন্যবাদ দেয়, তোমাকে সত্যিকার উপদেশ না দেয়, তাদের কথা দ্বারা ধোঁকা পড়া হতে তোমাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। সাবধান! তুমি ধোঁকায় পড়ে এ ধরণের কথা বলা থেকে বেঁচে থাক, ‘আমি সৌন্দর্য প্রদর্শনকারী নারীদের থেকে উন্নত’। কারণ, তুমি যে অবস্থার মধ্যে আছ, তা কোনো আদর্শ হতে পারে না। তাও অন্যায় যেমনটি সৌন্দর্য প্রদর্শন করা অন্যায়। আর জাহান্নামের বিভিন্ন স্তর আছে যেমনি-ভাবে জান্নাতের বিভিন্ন ক্লাস আছে। তোমার করনীয় হলো, তুমি সে মহিলাদের অনুকরণ করবে যারা প্রকৃত পর্দা অবলম্বন করে এবং পর্দার যাবতীয় শর্তাবলী সহ যথাযথ পর্দা পালন করে।’

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«انظروا إلى مَنْ هو أسفل منكم في الدنيا وفوقَكم في الدين فذلك أجدرُ أن لا تَزْدَرُوا» أي تحتقروا «نعمةَ الله عليكم» [ ضعيف ] وتلا عمر بن الخطاب رضي الله عنه قولَه عز وجل : ﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ قَالُواْ رَبُّنَا ٱللَّهُ ثُمَّ ٱسۡتَقَٰمُواْ تَتَنَزَّلُ عَلَيۡهِمُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ أَلَّا تَخَافُواْ وَلَا تَحۡزَنُواْ وَأَبۡشِرُواْ بِٱلۡجَنَّةِ ٱلَّتِي كُنتُمۡ تُوعَدُونَ ٣٠﴾ [ فصلت : ٣٠ ]

“তোমরা দুনিয়া বিষয়ে তোমাদের থেকে যারা নিম্নে তাদের দিকে দেখবে, আর দীনের ব্যাপারে যে তোমাদের চেয়ে বড় তার দিকে দেখবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নি‘আমতকে ছোট মনে না করার জন্য এটি তোমাদের উত্তম ও উপযুক্ত পদক্ষেপ। অর্থাৎ তোমরা তোমাদের ওপর আল্লাহর নি‘আমতসমূহকে ছোট মনে করবে না”। [দুর্বল হাদীস] তারপর ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু এ আয়াত-

﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ قَالُواْ رَبُّنَا ٱللَّهُ ثُمَّ ٱسۡتَقَٰمُواْ تَتَنَزَّلُ عَلَيۡهِمُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ أَلَّا تَخَافُواْ وَلَا تَحۡزَنُواْ وَأَبۡشِرُواْ بِٱلۡجَنَّةِ ٱلَّتِي كُنتُمۡ تُوعَدُونَ ٣٠﴾ [ فصلت : ٣٠ ]

তিলাওয়াত করেন, “নিশ্চয় যারা বলে, ‘আল্লাহই আমাদের রব’ অতঃপর অবিচল থাকে, ফিরিশতারা তাদের ওপর নাযিল হয়, (এবং বলে,) ‘তোমরা ভয় পেয়ো না, দুশ্চিন্তা করো না এবং জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ কর, তোমাদেরকে যার ওয়াদা দেওয়া হয়েছিল”। [সূরা ফুচ্ছিলাত, আয়াত: ৩০]

فقال : «استقاموا والله لله بطاعَتِهِ ولم يَرُ وغُوا رَوَغَانَ الثعالب» .

অতঃপর তিনি বললেন, তোমরা অটল অবিচল থাক, আল্লাহর শপথ করে বলছি আল্লাহর আনুগত্যের অবিচল থাক। শিয়ালের মতো বক্রতা অবলম্বন কর।

হাসান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«إذا نظر إليك الشيطان فرآك مُداوِمًا في طاعة الله فبغاك وبغاك- أي طلبك مرة بعد أخرى- فرآك مُداوِمًا مَلَّكَ ورفضك وإذا كنت مرةً هكذا ومرة هكذا طَمِعَ فيك»

“শয়তান যখন তোমাকে আল্লাহর বিধানের আনুগত্যের ওপর অটল ও অবিচল দেখবে। তখন সে তোমাকে আল্লাহর আনুগত্য থেকে বারবার সরানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু তারপরও যখন তোমাকে অবিচল দেখতে পাবে, তখন সে তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে। আর যখন শয়তান তোমাকে দুর্বল দেখতে পাবে এবং তোমার মধ্যে টালমাটাল দেখতে পাবে, তখন সে তোমার প্রতি ঝুঁকবে। তোমাকে গোমরাহ করার জন্য লালায়িত হবে”।

সুতরাং তোমরা আল্লাহর ইবাদত ও তাওহীদের ওপর অটল অবিচল থাক, এদিক সেদিক করো না। আর হিদায়েতের ওপর অবিচল থাক যার মধ্যে কোনো গোমরাহি নেই। আর তোমরা আল্লাহর দরবারে তাওবা খালেস তাওবা কর, তারপর আর কোনো অপরাধ করবে না।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,

﴿وَتُوبُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ ٣١﴾ [ النور : ٣١ ]

“হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার”। [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩১]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন