মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
লেখকঃ শাইখ মুহাম্মদ ইবন আহমদ ইবন ইসমাঈল আল-মুকাদ্দিম
২৩
আমরা শুনলাম ও আনুগত্য করলাম
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/651/23
সত্যিকার মুসলিম ব্যক্তি যখনই আল্লাহর কোনো নির্দেশ বা হুকুমের সন্মুখীন হয়, তখন সে সাথে সাথে তা বাস্তবায়ন করা বা আমল করার চেষ্টা করে। আল্লাহর আদেশ বাস্তবায়ন করা বা তদনুযায়ী আমল করতে সে খুব পছন্দ করে। সে আল্লাহর আদেশের খেলাপ করা বা বিরোধিতাকে পছন্দ করে না। সে ইসলামের সম্মান, আল্লাহর দেওয়া শরী‘আতের মর্যাদা এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের আনুগত্য করাকে পছন্দ করে। এর বিনিময়ে তার ওপর কি বর্তাবে বা তাকে কোনো অনাকাংখিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় কিনা তার প্রতি সে কোনো প্রকার ভ্রুক্ষেপ বা কর্ণপাত করে না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যারা তার আনুগত্য করা ও তার রাসূলের অনুকরণ করা হতে বিরত থাকে তাদের ঈমানকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,
“তারা বলে, ‘আমরা আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছি এবং আমরা আনুগত্য করেছি’, তারপর তাদের একটি দল এর পরে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর তারা সত্যিকার মুমিন নয়। আর যখন তাদেরকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি এ মর্মে আহ্বান করা হয় যে, তিনি তাদের মধ্যে বিচার-মীমাংসা করবেন, তখন তাদের একটি দল মুখ ফিরিয়ে নেয়।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৪৭, ৪৮]
“মুমিনদেরকে যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি এ মর্মে আহ্বান করা হয় যে, তিনি তাদের মধ্যে বিচার, মীমাংসা করবেন, তাদের কথা তো এই হয় যে, তখন তারা বলে: ‘আমরা শুনলাম ও আনুগত্য করলাম।’ আর তারাই সফলকাম। আর যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে, তারাই সফলকাম।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৫১, ৫২]
সুফিয়া বিনতে সাইবাহ রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«بينما نحن عند عائشة رضي الله عنها قالت فَذَكَرْنَ نساءَ قريشٍ وفضلَهن فقالت عائشة – رضي الله عنها - : ( إن لنساء قريش لفضلاً وإني والله ما رأيتُ أفضلَ من نساءِ الأنصار : أشَدَّ تصديقًا لكتاب الله ولا إيمانًا بالتنزيل لقد أُنزِلَتْ النور : ﴿وَلۡيَضۡرِبۡنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّۖ﴾ [ النور : ٣١ ] فانقلب رجالهن إليهن يتلون عليهن ما أنزل الله إليهم فيها ويتلو الرجل على امرأته وابنته وأخته وعلى كُلِّ ذِي قَرابته فما منهن امرأةٌ إلا قامت إلى مِرْطِها المُرَحَّلِ , فاعْتَجَرَتْ , به تصديقًا وإيمانًا بما أنزل الله من كتابه فأصبحن وراءَ رسولِ الله صلى الله عليه وسلم مُعْتَجِراتٍ كأن على رؤوسهن الغربان» .
“একদিন আমরা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন আমরা কুরাইশী নারীদের আলোচনা ও তাদের গুণাগুণ বর্ণনা করতে ছিলাম। তখন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা আমাদের বললেন, অবশ্যই কুরাইশ বংশের নারীদের মর্যাদা আছে, যা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। তবে আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, আনসারী নারীদের মতো এত বেশি আল্লাহর কিতাবের ওপর বিশ্বাসী ও আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়নকারী আর কোনো নারীকে আমি কখনো দেখি নি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যখন সূরা নূর নাযিল করল, তখন তাদের পুরুষরা তাদের নিকট ফিরে গিয়ে তাদের প্রতি যে কোরআন নাযিল করা হলো, তা তিলাওয়াত করল- পুরুষ তার স্ত্রীকে, তার মেয়েকে, বোনকে এবং প্রতিটি নিকটাত্মীয়কে শোনাল। তিলাওয়াত শোনা মাত্রই সাথে সাথে আনসারী নারীরা তাদের নকশী করা কাপড় নিয়ে তাদের দেহকে ডেকে ফেলল। তারা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনর কথার ওপর বিশ্বাস করতে এবং তার প্রতি ঈমান আনতে কোনো প্রকার বিলম্ব করল না। তাদের অবস্থা এমন হলো, তারা সবাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে তাদের মাথা ও চেহারা ডেকে রাখল, যেন তাদের মাথার উপর কাক”।
মোটকথা, আল্লাহর আদেশের সামনে কোনো প্রকার ঘড়ি-মসি করা ও মতামত ব্যক্ত করার কোনো অধিকার নেই। আল্লাহর নির্দেশ আসার সাথে সাথে বলতে হবে ‘আমরা শুনলাম এবং মানলাম’। এটি হলো, প্রকৃত ও সত্যিকার ঈমান। হে মুসলিম রমণীরা! যদি তোমরা সত্যিকার অর্থে আল্লাহকে রব হিসেবে স্বীকার কর, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাসূল হিসেবে মেনে নাও, আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী, মেয়ে এবং ঈমানদার নারীদের আদর্শ হিসেবে মান, তাহলে তোমরা আল্লাহর দরবারে তওবা করে নিজের অপকর্ম ও পাপাচারের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর। হে আল্লাহর বান্দা-বান্দিরা তোমরা এ ধরণের কথা বলা হতে বিরত থাক- আমরা তাওবা করব, অচিরেই সালাত আদায় করব, অচিরেই পর্দা করব ইত্যাদি। কারণ, তওবাকে বিলম্ব করা অপরাধ, তা থেকে তোমাদের অবশ্যই তাওবা করতে হবে। তোমরা মুসা আলাইহিস সালাম যে ধরণের কথা বলছেন, তোমরা সে ধরণের কথা বল।
“আর তারা বলে, আমরা শুনলাম এবং বললাম। হে আমাদের রব! আমরা আপনারই ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৫]
আল্লাহ আমাদের পর্দা করা ও আল্লাহর আনুগত্য করার তাওফীক দান করুন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/651/23
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।