মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
(ক). কুরআনে কি “আয়াতে তাতহীর” নামে কোন আয়াত আছে? (খ). “আহলুল বাইত” দ্বারা উদ্দেশ্য কি? (গ). আহলে বায়েত দ্বারা যদি নবীগণের স্ত্রী উদ্দেশ্য হয়, পুংলিঙ্গের মীম দ্বারা কেন সম্বোধন করা হল? (ঘ). আয়াতের শানে নুযূল কী? (ঙ). “হাদিসুল কিসা” কি, অর্থসহ জানতে চাই? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন।
উত্তর:
الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وآله وأصحابه و من تبعهم بإحسان إلى يوم الدين . وبعد :
শিয়াদের দ্বারা কুরআনের যে কয়টি আয়াত বিকৃতি, অপব্যাখ্যা ও মিথ্যাচারের শিকার হয়েছে তার মধ্যে সূরা আহযাবের (৩৩)নং আয়াতের শেষাংশ অন্যতম, পূর্ণ আয়াতটি হচ্ছে:
“আর তোমরা নিজ গৃহে অবস্থান করবে এবং প্রাক-জাহেলী যুগের মত সৌন্দর্য প্রদর্শন করো না। আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর। হে নবী পরিবার, আল্লাহ তো কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতাকে দূরীভূত করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে”। সূরা আহযাব: (৩৩)
দ্বাদশ ইমামের ওপর ঈমান আনয়ন করা ও তাদেরকে নিষ্পাপ মানা শিয়াদের ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ আকিদা। তারা শিয়া ইমামিয়্যাহ, দ্বাদশ ইমামিয়্যাহ ও ইসনা আশারিয়্যাহ ইত্যাদি নামে প্রসিদ্ধ। বর্তমান ইরানে তাদেরই শাসন চলছে। এ আকিদার স্বপক্ষে তারা কুরআনের বিভিন্ন আয়াত দলিল হিসেবে পেশ করে। তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রসিদ্ধ দলিল উক্ত আয়াতের শেষাংশ এবং প্রশ্নে উল্লেখিত হাদিসুল কিসা।
হাদিসুল কিসার অন্তর্ভুক্ত আলি, ফাতেমা ও হাসান-হুসাইনের মধ্যে তারা নিষ্পাপ হওয়া সীমাবদ্ধ রাখে না, তাদের সন্তান পর্যন্ত বিস্তৃত করে এ পরম্পরা। তবে হাসানের কোনো সন্তান, হুসাইনের সবসন্তান, তাদের সবপুত্র, পৌত্র ও প্রপৌত্রগণ এর মধ্যে দাখিল করে না! এ ধারা শুধু দ্বাদশ পুরুষ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ রাখে, পরবর্তী প্রজন্মের কেউ ঈমান, আমল, ইলম ও তাকওয়ায় অধিক হলেও তাকে নিষ্পাপ দলে শামিল করে না! এক-গ্রুপ এক সন্তানকে ইমাম নির্বাচন করে তো অপর গ্রুপ অপর সন্তানকে। এভাবে শিয়াদের মাঝে নানা দল ও ফেরকার সৃষ্টি হয়, তাদের থেকে আবার বিভিন্ন গ্রুপ ও উপদলের জন্ম হয়। স্থান, কাল ও বিশেষ ব্যক্তিদের প্রভাবে বিভিন্ন সময় তারা বিভিন্ন নামে পরিচিতি লাভ করেছে। তাদের প্রধান প্রধান দলের মধ্যে রয়েছে যায়দিয়্যাহ, শিয়া ইমামিয়্যাহ ও ইসমা‘ঈলিয়্যাহ ইত্যাদি ফেরকা। নিম্নে তাদের সামান্য পরিচয় পেশ করলাম।
শিয়া ইমামিয়্যাহ: আলি যাইনুল আবেদিনের প্রপৌত্র, মুহাম্মদ আল-বাকের এর নাতি, জা‘ফর সাদেক এর ছেলে মুসা কাযেম এর অনুসারীদের শিয়া ইমামিয়্যাহ বা দ্বাদশ ইমামিয়্যাহ বলা হয়।
যাইদিয়্যাহ, ইসমা‘ঈলিয়্যাহ ও ইমামিয়্যাহ তিন গ্রুপের চতুর্থ ইমাম আলি যাইনুল আবেদিন ইব্ন হুসাইন ইব্ন আলি ইব্ন আবি তালিব। তার এগারো ছেলে ও চার মেয়ে থেকে পঞ্চম ইমাম হিসেবে যায়েদ ইব্ন আলি যাইনুল আবেদীনকে যাইদিয়্যারা ইমাম হিসেবে গ্রহণ করে থাকে, আর ইসমা‘ঈলিয়্যাহ ও ইমামিয়্যারা গ্রহণ করে মুহাম্মদ আল-বাকের ইব্ন আলি যাইনুল আবেদিনকে।
[আলি যাইনুল আবেদিন: নাম: আলি, উপাধি: যাইনুল আবেদিন, তিনি খুব ইবাদত গুজার ছিলেন তাই এ নামে তাকে ডাকা হত, তার অপর উপাধি সাজ্জাদ, অধিক সিজদাকারী]।
শিয়া ইমামিয়্যাহ ও ইসমা‘ঈলিয়্যাহ উভয় ফেরকার ষষ্ঠ ইমাম মুহাম্মদ আল-বাকেরের ছেলে জা‘ফর আস-সাদেক। এ পর্যন্ত তারা উভয়ে ইমামিয়্যাহ নামে পরিচিত ছিল। জা‘ফর সাদেক (১৪৮হি.) মারা গেলে তাদের মধ্যে বিভেদ দেখা দেয়। এক গ্রুপ ইসমাইল ইব্ন জা‘ফর সাদেককে ইমাম হিসেবে গ্রহণ করে ইসমা‘ঈলিয়্যাহ নামে পরিচিতি লাভ করে। অপর গ্রুপ মুসা কাযেম ইব্ন জা‘ফর সাদেককে ইমাম নির্বাচন করে। তারা ইমামিয়্যাহ নামে পরিচিতি লাভ করে। অর্থাৎ সপ্তম ইমাম নির্বাচনে বিভেদ সৃষ্টি হলে তারা ইসমা‘ঈলিয়্যাহ ও ইমামিয়্যাহ দু’ভাগে বিভক্ত হয়।
শিয়া ইসমা‘ঈলিয়্যাহ গ্রুপের বিভিন্ন উপদল: “বাতেনিয়্যাহ”, “তা‘লিমিয়্যাহ” ও “সাব‘ইয়্যাহ”। শিয়া ইসমা‘ঈলিয়্যাহ গ্রুপটি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত হয়ে যায়। ইরাকে “কারামাতিয়্যাহ” ও মুজদাকিয়্যাহ; মিসরে “উবাইদিয়্যাহ”; খোরাসানে “মাইমুনিয়্যাহ”; সিরিয়ায় “নুসাইরিয়্যাহ”, “দারুজ”, “তায়ামুনাহ”, “নাযারিয়্যাহ” ও “সানানিয়্যাহ” ও ইন্ডিয়ায় “বুহরাহ” নামে পরিচিত। আর বাংলাদেশে তাহেরিয়্যাহ নামে খ্যাত। তারা “আগাখানিয়্যাহ” নামেও পরিচিত। ইয়ামানে তাদের নাম “আল-ইয়ামামিয়্যাহ”, যদিও প্রত্যেক ইয়ামামিয়্যাহ ইসমা‘ঈলিয়্যাহ নয়। তারা বলে, প্রত্যেক বস্তুর যাহির ও বাতিন রয়েছে, এমনকি কুরআনেও, যাহেরী বা প্রকাশ্য অর্থ সবাই জানলেও বাতেনি বা গোপন অর্থ তারা ব্যতীত কেউ বুঝে না। মূলত এ চিন্তাধারা গোমরাহ ফেরকাগুলোর ইসলাম ধ্বংস করার প্রধান হাতিয়ার। তাদের ন্যায় রাফেযী ও সূফীদেরকে বাতেনিয়্যাহ বলা হয়।
শিয়া যাইদিয়্যাহ গ্রুপের বিভিন্ন উপদল: “আল-জাওয়েরদিয়্যাহ”, “সুলাইমানিয়্যাহ”, “আস-সালেহিয়্যাহ”, বর্তমানে তারা “প্রজাতন্ত্র ইয়ামান” বা উত্তর ইয়ামানে বৃহৎ সংখ্যায় রয়েছে, বিশেষ করে সান‘আ, হাদিদা ও জাদাহ শহরে। সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চল নাজরান শহরেও তারা রয়েছে অল্প সংখ্যায়।
শিয়া ইমামিয়্যাহ গ্রুপের বিভিন্ন উপদল: বর্তমান যুগে শিয়া বলতে ইমামিয়্যাদেরই বুঝায়, অন্যান্য শিয়ারা তাদের নিজস্ব নামেই পরিচিত। ইমামিয়্যাহ নামে তাদের প্রসিদ্ধির কারণ, তারা বলে যে রাসুলুল্লাহর পরে আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু-ই একমাত্র ইমাম। তারপর তার সন্তানরা। কেউ বলেছেন: তাদের বিশ্বাস কোনো যুগ ইমাম বিহীন নয়, প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য সর্বদা ইমাম থাকা জরুরী, তাই তাদেরকে ইমামিয়্যাহ বলা হয়। কেউ বলেছেন: তারা দীনের প্রত্যেক বিষয় ইমামের ওপর ন্যস্ত করে, তাদের নিকট ইমাম নবীর মত, তাদের ইমাম সবযুগে বিদ্যমান থাকেন, দীনি ও দুনিয়াবি প্রয়োজনে তারা তার শরণাপন্ন হয়। এ জন্য তাদেরকে ইমামিয়্যাহ বলা হয়। তারা রাফেযী, জা‘ফরিয়্যাহ ও মুতাওয়ালিয়্যাহ নামেও প্রসিদ্ধ। এ ছাড়া শিয়াদের আরো গ্রুপ রয়েছে। বর্তমান ইরানের বেশিরভাগ শিয়া হচ্ছে ইমামিয়্যাহ ফের্কার লোক। তাছাড়া পাকিস্তান ও ভারতে তাদের ব্যাপক অনুসারী রয়েছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ শিয়ারাও ইমামিয়্যাহ ফের্কার অর্ন্তভুক্ত।
দ্বাদশ ইমামিয়্যাহ: ইমামিয়্যাদের দ্বাদশ ইমাম হাসান আসকারি (মৃ.২৬০) এর মৃত্যুর পূর্বে তারা দ্বাদশ ইমামিয়্যাহ নামে পরিচিত ছিল না। আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু ও উমাইয়্যাদের খিলাফতকালে কেউ দ্বাদশ ইমামের তথ্য পেশ করেছেন জানা যায় নি।
“মুখতাসারুত তুহফা ইসনা আশারিয়্যাহ” গ্রন্থের লেখক বলেন: দ্বাদশ ইমামিয়্যাহ মতবাদ সৃষ্টি হয় ২৫৫হি. সনে। দেখুন: “মুখতাসারুত তুহফাহ”: (পৃ.২১), এ সিদ্ধান্তই যথাযথ মনে হয়, কারণ শিয়া পণ্ডিত কুলাইনি “আল-কাফি”: (১/৫১৪) গ্রন্থে, মুফিদ “আল-ইরশাদ”: (৩৯০) গ্রন্থে এবং তাবরাসি “আ‘লামুল ওরা”: (৩৯৩) গ্রন্থে বলেন: দ্বাদশ ইমামের জন্ম (২৫৬হি.), মৃত্যু বা আত্মগোপন (২৬০হি.)।
তাদের নিকট দ্বাদশ ইমাম এখনো জীবিত, তার বের হওয়ার অপেক্ষায় আছে তারা। যেহেতু দ্বাদশ ইমামিয়্যাহ মতবাদ প্রকাশ পায় হাসান আল-আসকারির মৃত্যুর পর, তাই নির্দিষ্টভাবে বলা যায় (২৬০হি.) পরবর্তী সময়েই এই “দ্বাদশ ইমামিয়্যাহ” মতবাদ সৃষ্টি হয়।
বস্তুত: সঠিক ইতিহাস অনুযায়ী শিয়াদের দ্বাদশ ইমামের জন্মই হয়নি, হাসান আসকারির কোন সন্তান ছিল না। তিনি নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যান। সুতরাং তাদের ইমামের সংখ্যা ১১ জন হয়; ১২ হয় না। তারপরও তারা মিথ্যা বানিয়ে বলে যে হাসান আসকারীর কোনো এক দাসীর ঘরে এক সন্তান ছিল, যার নাম মুহাম্মাদ ইবন হাসান আসকারী। এটা তাদের বানানো ঘটনা, খোদ তাদের কতক লেখক থেকেও এ সত্য বের হয়ে এসেছে। এ হল শিয়াদের বিভিন্ন দল ও উপদলে বিভক্ত হওয়ার চিত্র। আল্লাহ যথার্থ বলেছেন:
“আর এটি তো আমার সোজা পথ। সুতরাং তোমরা তার অনুসরণ কর এবং অন্যান্য পথ অনুসরণ করো না, তাহলে তা তোমাদেরকে তার পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে”। সূরা আল-আন‘আম: (১৫৩)
শিয়া ইমামিয়্যারা সূরা আল-আহযাবের (৩৩)নং আয়াতের শেষাংশ দ্বারা দলীল পেশ করে যে, “আহলে বায়েত” নিষ্পাপ, যেমন আলি, ফাতেমা ও হাসান-হুসাইন। ইমামদের নিষ্পাপ বলার কারণ হিসেবে তারা বলে: ইমামত তথা নেতৃত্ব দেয়া ও আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন করা মহান দায়িত্ব, এ দায়িত্ব আদায়কারীদের নিষ্পাপ হওয়া জরুরী। ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা ইমাম না হলেও নিষ্পাপ, যেহেতু তিনি আল্লাহর প্রিয়। নিষ্পাপ শুধু এ চার জনই নয়; তাদের সন্তানগণও, তবে সব সন্তান নয়, যদিও তারা আলি ও ফাতেমার বংশধর। বিশেষ করে হাসানের কোন সন্তানকে তারা নিষ্পাপ বলে না। হুসাইনের সন্তানের মধ্যে শুধু আলি যাইনুল আবেদিনকে নিষ্পাপ মানে। এর কারণ সম্ভবত হুসাইনের সে স্ত্রীর গর্ভে তার জন্ম নেয়া, যে পারস্যের বাদশাহর মেয়ে ছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/697/3
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।