HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকীদা
লেখকঃ শাইখ মুহাম্মাদ আস-সালেহ আল-উসাইমীন
১০
আক্বীদার শিক্ষাউপরোক্ত মৌলিক নীতি বিশিষ্ট পবিত্র আক্বীদা পোষণ করার অনেক সুমহান শিক্ষা ও ফলাফল রয়েছে।
আল্লাহর প্রতি ঈমানের ফল
আল্লাহ তা‘আলার প্রতি এবং তাঁর পবিত্র নাম ও সিফাতের প্রতি ঈমান পোষণ করার ফল হচ্ছে এই যে, এ দ্বারা আল্লাহর প্রতি বান্দার যথার্থ ভালবাসা, ভক্তি, শ্রদ্ধা সৃষ্টি হয়। এর বদৌলতেই বান্দাহ আল্লাহ তা‘আলার হুকুম পালনে মনোনিবেশ করে। তাঁরই নিষিদ্ধ কাজ থেকে দূরে থাকে।
আল্লাহ তা‘আলার বিধি-নিষেধের প্রতি বান্দাহর এ আনুগত্য ব্যক্তি ও সমাজের জন্য দুনিয়া এবং আখিরাতের পরম শান্তি এনে দেয়।
﴿مَنۡ عَمِلَ صَٰلِحٗا مِّن ذَكَرٍ أَوۡ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَلَنُحۡيِيَنَّهُۥ حَيَوٰةٗ طَيِّبَةٗۖ وَلَنَجۡزِيَنَّهُمۡ أَجۡرَهُم بِأَحۡسَنِ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ٩٧﴾ [ النحل : 97]
“যে ব্যক্তি নেক আমল করবে, সে পুরুষ হোক কিংবা নারী হোক যদি সে মুমিন হয়, তাকে দুনিয়াতে পবিত্র জীবন দান করবো, আর আখেরাতে এ ধরনের লোকদেরকে তাদের উত্তম আমল অনুযায়ী পুরস্কার দান করবো”। [নাহল : ৯৭]
ফিরিশ্তাদের প্রতি ঈমান আনার ফলাফল
ফিরিশ্তাদের উপর ঈমান আনার একাধিক উপকারিতা আছে। যেমন:
প্রথম : ফিরিশ্তাদের স্বীয় মহান স্রষ্টা অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার মহানুভবতা, মহত্ব, শক্তি ও ক্ষমতা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন।
দ্বিতীয় : বান্দাহর হেফাজত বা রক্ষণাবেক্ষনের জন্য আল্লাহ তা‘আলার শুকরিয়া জ্ঞাপন। কেননা তিনি এসব ফিরিশ্তাদের মধ্য থেকে কাউকে বান্দাহদের হেফাজতের জন্য, কাউকে তাদের আমল নামা লেখা ও অন্যান্য স্বার্থ রক্ষার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন।
তৃতীয় : পূর্ণাঙ্গরূপে আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করার জন্য এবং মুমিনদের জন্য আল্লাহর কাছে মাগফিরাত করার কারণে ফিরিশতাদের প্রতি মুহাব্বত ও ভালবাসা সৃষ্টি হয়।
আসমানী কিতাবের প্রতি ঈমানের ফলাফল
আসমানী কিতাবের উপর ঈমান আনারও বেশ উপকারিতা আছে।
প্রথম: সৃষ্টির প্রতি আল্লাহ তা‘আলার অপরিসীম রহমত ও দয়া সম্পর্কে জ্ঞানার্জন। কেননা তিনি দুনিয়ার প্রতিটি জাতির হিদায়াতের জন্যই আসমানী কিতাব নাযিল করেছেন।
দ্বিতীয়: আল্লাহর হিকমতের বহিঃপ্রকাশ। কেননা আল্লাহ তা‘আলা এসব আসমানী কিতাবের মাধ্যমে প্রতিটি জাতির উপযোগী ও প্রয়োজনীয় বিধান পাঠিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে সর্বশেষ কিতাব হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। কিয়ামত পর্যন্ত এ কিতাব স্থান-কাল-পাত্র ভেদে গোটা সৃষ্টি জগতের হিদায়াতের জন্য উপযোগী এবং কার্যকর।
তৃতীয়: উপরোক্ত মেহেরবাণীর জন্য আল্লাহ তা‘আলার শুকরিয়া জ্ঞাপন, ইত্যাদি।
নবী-রাসূলগণের প্রতি ঈমানের ফলাফল
নবী-রাসূলগণের প্রতি ঈমান পোষণ করার মধ্যেও অনেক কল্যাণ আছে।
এক: আল্লাহ তা‘আলার অপরিসীম রহমত সম্পর্কে জ্ঞান লাভ এবং সৃষ্টি জগতের হিদায়াতের উদ্দেশ্যে নবী-রাসূল পাঠানোর মাধ্যমে সৃষ্টির প্রতি যে করুণ করেছেন তা জানা।
দুই: আল্লাহ তা‘আলার উপরোক্ত মহান নেয়ামতের শুকরিয়া জ্ঞাপন।
তিন: নবী-রাসূলগণের প্রতি মহব্বত ও ভালবাসা সৃষ্টি, তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, তাঁদের যথাযোগ্য প্রশংসা জ্ঞাপন করা। কেননা তাঁরা হচ্ছেন আল্লাহর প্রেরিত রাসূল, এবং তাঁরই একনিষ্ঠ বান্দাহ। তাঁরা আল্লাহ তা‘আলার রিসালাত এবং উপদেশ মানুষের কাছে পৌঁছিয়েছেন। মানুষের পক্ষ থেকে সব যুলুম নিপীড়ন ও নির্যাতন তাঁরা সহ্য করেছেন।
আখেরাতের প্রতি ঈমানের ফলাফল
আখিরাতের উপর ঈমান পোষণ করার মাঝেও মানুষের জন্য কল্যাণ রয়েছে :
এক: আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্য করা, শেষ দিবসে সওয়াব ও পুরষ্কার লাভের ক্ষেত্রে এবং আখেরাতের আযাবের ভয়ে পাপ ও অন্যায় থেকে দূরে থাকার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা লাভ।
দুই: আখেরাতের পরম শান্তি ও সওয়াবের প্রত্যাশায় দুনিয়ার সুখ-স্বাচ্ছন্দ এবং উপভোগ্য বিলাস সামগ্রীর বঞ্চনায় মুমিন ব্যক্তির শান্তনা লাভ।
তকদীরের প্রতি ঈমানের ফলাফল
তকদীরের উপর ঈমান পোষণ করার মধ্যেও নিহিত আছে অনেক কল্যাণ।
এক: কোন কাজের কারণ সম্পন্ন করার সময় আল্লাহ তা‘আলার উপর ভরসা করা। কেননা কাজ এবং কাজের কারণ সবই আল্লাহর ফয়সালা ও তাকদীরের লিখন।
দুই: মনের সুখ ও অন্তরের প্রশান্তি লাভ। কেননা নিজ দায়িত্ব হিসেবে কার্যকারণ সম্পন্ন করার পর অন্তর যখন একথা জানতে পারবে যে, সবই আল্লাহর ফয়সালা তাই অনাকাংখিত যা ঘটার তা ঘটবেই তখন মন নিশ্চিন্ত থাকবে। অন্তর লাভ করবে প্রশান্তি। আল্লাহর ফয়াসালায় থাকবে সন্তুষ্টি। এমতাবস্থায় তাকদীরে বিশ্বাসী একজন লোকের চেয়ে অন্য কেউ এতটুকু সুন্দর জীবন, শক্তিশালী মন ও প্রশান্ত হৃদয়ের অধিকারী হতে পারে না।
তিন: উদ্দেশ্য হাসিল হলে আত্মগর্ব ও অহংকার পরিত্যাগ করা। কেননা উদ্দেশ্য হাসিল হওয়া আল্লাহরই নেয়ামত এবং কল্যাণ ও নাজাত লাভের কারণ। তাই নেক বান্দাহ আল্লাহ তা‘আলার শুকরিয়া আদায়ের মাধ্যমে আত্মগর্ব ও অহংকার পরিত্যাগ করে।
চার: উদ্দেশ্য হাসিল না হলে কিংবা অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটে গেলে অন্তরের অশান্তি ও অস্থিরতা দূর করা। কেন না বান্দাহর ভাগ্যে যা ঘটে তা আল্লাহ তা‘আলারই ফয়সালা। যিনি যমীন ও আসমানের সার্বভৌমত্বের অধিকারী। তাঁর যা ফয়সালা তা হবেই। এতে একমাত্র নেককার লোকেরাই ধৈর্য ধারণ করে এবং আখেরাতে এর পুরষ্কার কামনা করে। এ দিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন:
﴿مَآ أَصَابَ مِن مُّصِيبَةٖ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَلَا فِيٓ أَنفُسِكُمۡ إِلَّا فِي كِتَٰبٖ مِّن قَبۡلِ أَن نَّبۡرَأَهَآۚ إِنَّ ذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرٞ ٢٢ لِّكَيۡلَا تَأۡسَوۡاْ عَلَىٰ مَا فَاتَكُمۡ وَلَا تَفۡرَحُواْ بِمَآ ءَاتَىٰكُمۡۗ وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخۡتَالٖ فَخُورٍ ٢٣﴾ [ الحديد : 22-23]
“যমীনে কিংবা তোমাদের উপর আপতিত প্রত্যেকটি বিপদই সৃষ্টি করার পূর্বে তা একটি কিতাবে রয়েছে। এরূপ করা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজ ব্যাপার। এটা এ জন্য যে, তোমরা কোন কিছু থেকে বঞ্চিত হলে, তার জন্য কোন দুঃখ করবে না। আর কিছু পেয়ে গেলে তার জন্য আত্মগর্ব হবে না। আল্লাহ তা‘আলা কোন গর্বকারী ও অহংকারীকে পছন্দ করেন না”। [হাদীদ: ২২-২৩]
আল্লাহ তা‘আলার নিকট এ কামনাই করি, তিনি যেন আমাদেরকে এ পবিত্র আক্বীদার উপর দৃঢ়তা ও স্থিতিশীলতা দান করেন, আমাদেরকে এর সুফল দান করেন, আমাদের জন্য তাঁর করুণা বৃদ্ধি করেন, হিদায়াত লাভের পর অন্তরে বক্রতা সৃষ্টি না করেন, আমাদের উপর তাঁর অপরিসীম রহমত বর্ষণ করেন। বস্তুত তিনিই হচ্ছেন মহা অনুগ্রহ দানকারী।
ওয়াল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।
আল্লাহর প্রতি ঈমানের ফল
আল্লাহ তা‘আলার প্রতি এবং তাঁর পবিত্র নাম ও সিফাতের প্রতি ঈমান পোষণ করার ফল হচ্ছে এই যে, এ দ্বারা আল্লাহর প্রতি বান্দার যথার্থ ভালবাসা, ভক্তি, শ্রদ্ধা সৃষ্টি হয়। এর বদৌলতেই বান্দাহ আল্লাহ তা‘আলার হুকুম পালনে মনোনিবেশ করে। তাঁরই নিষিদ্ধ কাজ থেকে দূরে থাকে।
আল্লাহ তা‘আলার বিধি-নিষেধের প্রতি বান্দাহর এ আনুগত্য ব্যক্তি ও সমাজের জন্য দুনিয়া এবং আখিরাতের পরম শান্তি এনে দেয়।
﴿مَنۡ عَمِلَ صَٰلِحٗا مِّن ذَكَرٍ أَوۡ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَلَنُحۡيِيَنَّهُۥ حَيَوٰةٗ طَيِّبَةٗۖ وَلَنَجۡزِيَنَّهُمۡ أَجۡرَهُم بِأَحۡسَنِ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ٩٧﴾ [ النحل : 97]
“যে ব্যক্তি নেক আমল করবে, সে পুরুষ হোক কিংবা নারী হোক যদি সে মুমিন হয়, তাকে দুনিয়াতে পবিত্র জীবন দান করবো, আর আখেরাতে এ ধরনের লোকদেরকে তাদের উত্তম আমল অনুযায়ী পুরস্কার দান করবো”। [নাহল : ৯৭]
ফিরিশ্তাদের প্রতি ঈমান আনার ফলাফল
ফিরিশ্তাদের উপর ঈমান আনার একাধিক উপকারিতা আছে। যেমন:
প্রথম : ফিরিশ্তাদের স্বীয় মহান স্রষ্টা অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার মহানুভবতা, মহত্ব, শক্তি ও ক্ষমতা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন।
দ্বিতীয় : বান্দাহর হেফাজত বা রক্ষণাবেক্ষনের জন্য আল্লাহ তা‘আলার শুকরিয়া জ্ঞাপন। কেননা তিনি এসব ফিরিশ্তাদের মধ্য থেকে কাউকে বান্দাহদের হেফাজতের জন্য, কাউকে তাদের আমল নামা লেখা ও অন্যান্য স্বার্থ রক্ষার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন।
তৃতীয় : পূর্ণাঙ্গরূপে আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করার জন্য এবং মুমিনদের জন্য আল্লাহর কাছে মাগফিরাত করার কারণে ফিরিশতাদের প্রতি মুহাব্বত ও ভালবাসা সৃষ্টি হয়।
আসমানী কিতাবের প্রতি ঈমানের ফলাফল
আসমানী কিতাবের উপর ঈমান আনারও বেশ উপকারিতা আছে।
প্রথম: সৃষ্টির প্রতি আল্লাহ তা‘আলার অপরিসীম রহমত ও দয়া সম্পর্কে জ্ঞানার্জন। কেননা তিনি দুনিয়ার প্রতিটি জাতির হিদায়াতের জন্যই আসমানী কিতাব নাযিল করেছেন।
দ্বিতীয়: আল্লাহর হিকমতের বহিঃপ্রকাশ। কেননা আল্লাহ তা‘আলা এসব আসমানী কিতাবের মাধ্যমে প্রতিটি জাতির উপযোগী ও প্রয়োজনীয় বিধান পাঠিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে সর্বশেষ কিতাব হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। কিয়ামত পর্যন্ত এ কিতাব স্থান-কাল-পাত্র ভেদে গোটা সৃষ্টি জগতের হিদায়াতের জন্য উপযোগী এবং কার্যকর।
তৃতীয়: উপরোক্ত মেহেরবাণীর জন্য আল্লাহ তা‘আলার শুকরিয়া জ্ঞাপন, ইত্যাদি।
নবী-রাসূলগণের প্রতি ঈমানের ফলাফল
নবী-রাসূলগণের প্রতি ঈমান পোষণ করার মধ্যেও অনেক কল্যাণ আছে।
এক: আল্লাহ তা‘আলার অপরিসীম রহমত সম্পর্কে জ্ঞান লাভ এবং সৃষ্টি জগতের হিদায়াতের উদ্দেশ্যে নবী-রাসূল পাঠানোর মাধ্যমে সৃষ্টির প্রতি যে করুণ করেছেন তা জানা।
দুই: আল্লাহ তা‘আলার উপরোক্ত মহান নেয়ামতের শুকরিয়া জ্ঞাপন।
তিন: নবী-রাসূলগণের প্রতি মহব্বত ও ভালবাসা সৃষ্টি, তাঁদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, তাঁদের যথাযোগ্য প্রশংসা জ্ঞাপন করা। কেননা তাঁরা হচ্ছেন আল্লাহর প্রেরিত রাসূল, এবং তাঁরই একনিষ্ঠ বান্দাহ। তাঁরা আল্লাহ তা‘আলার রিসালাত এবং উপদেশ মানুষের কাছে পৌঁছিয়েছেন। মানুষের পক্ষ থেকে সব যুলুম নিপীড়ন ও নির্যাতন তাঁরা সহ্য করেছেন।
আখেরাতের প্রতি ঈমানের ফলাফল
আখিরাতের উপর ঈমান পোষণ করার মাঝেও মানুষের জন্য কল্যাণ রয়েছে :
এক: আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্য করা, শেষ দিবসে সওয়াব ও পুরষ্কার লাভের ক্ষেত্রে এবং আখেরাতের আযাবের ভয়ে পাপ ও অন্যায় থেকে দূরে থাকার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা লাভ।
দুই: আখেরাতের পরম শান্তি ও সওয়াবের প্রত্যাশায় দুনিয়ার সুখ-স্বাচ্ছন্দ এবং উপভোগ্য বিলাস সামগ্রীর বঞ্চনায় মুমিন ব্যক্তির শান্তনা লাভ।
তকদীরের প্রতি ঈমানের ফলাফল
তকদীরের উপর ঈমান পোষণ করার মধ্যেও নিহিত আছে অনেক কল্যাণ।
এক: কোন কাজের কারণ সম্পন্ন করার সময় আল্লাহ তা‘আলার উপর ভরসা করা। কেননা কাজ এবং কাজের কারণ সবই আল্লাহর ফয়সালা ও তাকদীরের লিখন।
দুই: মনের সুখ ও অন্তরের প্রশান্তি লাভ। কেননা নিজ দায়িত্ব হিসেবে কার্যকারণ সম্পন্ন করার পর অন্তর যখন একথা জানতে পারবে যে, সবই আল্লাহর ফয়সালা তাই অনাকাংখিত যা ঘটার তা ঘটবেই তখন মন নিশ্চিন্ত থাকবে। অন্তর লাভ করবে প্রশান্তি। আল্লাহর ফয়াসালায় থাকবে সন্তুষ্টি। এমতাবস্থায় তাকদীরে বিশ্বাসী একজন লোকের চেয়ে অন্য কেউ এতটুকু সুন্দর জীবন, শক্তিশালী মন ও প্রশান্ত হৃদয়ের অধিকারী হতে পারে না।
তিন: উদ্দেশ্য হাসিল হলে আত্মগর্ব ও অহংকার পরিত্যাগ করা। কেননা উদ্দেশ্য হাসিল হওয়া আল্লাহরই নেয়ামত এবং কল্যাণ ও নাজাত লাভের কারণ। তাই নেক বান্দাহ আল্লাহ তা‘আলার শুকরিয়া আদায়ের মাধ্যমে আত্মগর্ব ও অহংকার পরিত্যাগ করে।
চার: উদ্দেশ্য হাসিল না হলে কিংবা অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটে গেলে অন্তরের অশান্তি ও অস্থিরতা দূর করা। কেন না বান্দাহর ভাগ্যে যা ঘটে তা আল্লাহ তা‘আলারই ফয়সালা। যিনি যমীন ও আসমানের সার্বভৌমত্বের অধিকারী। তাঁর যা ফয়সালা তা হবেই। এতে একমাত্র নেককার লোকেরাই ধৈর্য ধারণ করে এবং আখেরাতে এর পুরষ্কার কামনা করে। এ দিকে ইঙ্গিত করে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন:
﴿مَآ أَصَابَ مِن مُّصِيبَةٖ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَلَا فِيٓ أَنفُسِكُمۡ إِلَّا فِي كِتَٰبٖ مِّن قَبۡلِ أَن نَّبۡرَأَهَآۚ إِنَّ ذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرٞ ٢٢ لِّكَيۡلَا تَأۡسَوۡاْ عَلَىٰ مَا فَاتَكُمۡ وَلَا تَفۡرَحُواْ بِمَآ ءَاتَىٰكُمۡۗ وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخۡتَالٖ فَخُورٍ ٢٣﴾ [ الحديد : 22-23]
“যমীনে কিংবা তোমাদের উপর আপতিত প্রত্যেকটি বিপদই সৃষ্টি করার পূর্বে তা একটি কিতাবে রয়েছে। এরূপ করা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজ ব্যাপার। এটা এ জন্য যে, তোমরা কোন কিছু থেকে বঞ্চিত হলে, তার জন্য কোন দুঃখ করবে না। আর কিছু পেয়ে গেলে তার জন্য আত্মগর্ব হবে না। আল্লাহ তা‘আলা কোন গর্বকারী ও অহংকারীকে পছন্দ করেন না”। [হাদীদ: ২২-২৩]
আল্লাহ তা‘আলার নিকট এ কামনাই করি, তিনি যেন আমাদেরকে এ পবিত্র আক্বীদার উপর দৃঢ়তা ও স্থিতিশীলতা দান করেন, আমাদেরকে এর সুফল দান করেন, আমাদের জন্য তাঁর করুণা বৃদ্ধি করেন, হিদায়াত লাভের পর অন্তরে বক্রতা সৃষ্টি না করেন, আমাদের উপর তাঁর অপরিসীম রহমত বর্ষণ করেন। বস্তুত তিনিই হচ্ছেন মহা অনুগ্রহ দানকারী।
ওয়াল হামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন