HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকীদা
লেখকঃ শাইখ মুহাম্মাদ আস-সালেহ আল-উসাইমীন
৬
আসমানী কিতাবের প্রতি ঈমানআমরা ঈমান আনি যে, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবী-রাসূলগণের উপর কিতাব নাযিল করেছেন। এসব কিতাব নাযিল করেছেন সমগ্র সৃষ্টিকুলের বিপক্ষে প্রমাণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য এবং নেক আমলকারীদের পক্ষে দলীল প্রমাণ হিসেবে। এসব কিতাবের মাধ্যমে নবী রাসূলগণ মানুষকে হিকমত শিক্ষা দেন এবং তাদের আত্মশুদ্ধি করেন।
আমরা ঈমান আনি যে, আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক রাসূলের উপরই কিতাব নাযিল করেছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন:
﴿لَقَدۡ أَرۡسَلۡنَا رُسُلَنَا بِٱلۡبَيِّنَٰتِ وَأَنزَلۡنَا مَعَهُمُ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡمِيزَانَ لِيَقُومَ ٱلنَّاسُ بِٱلۡقِسۡطِۖ﴾ [ الحديد : 25]
“আমি আমার রাসূলগণকে সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ পাঠিয়েছি। তাদের সাথে নাযিল করেছি কিতাব এবং মীযান। যাতে করে মানুষ ইনসাফ ও সুবিচারের উপর কায়েম থাকতে পারে।” [হাদীদ : ২৫]
আমরা আসমানী কিতাবসমূহের মধ্যে নিম্নোক্ত কিতাবগুলোর কথা জানি:
১. তাওরাত: এ কিতাব আল্লাহ তা‘আলা মূসা [আলাইহিস সালাম] এর উপর নাযিল করেছেন। বনী ইসরাইলের জন্য এটা সর্বশ্র্রেষ্ঠ কিতাব।
﴿فِيهَا هُدٗى وَنُورٞۚ يَحۡكُمُ بِهَا ٱلنَّبِيُّونَ ٱلَّذِينَ أَسۡلَمُواْ لِلَّذِينَ هَادُواْ وَٱلرَّبَّٰنِيُّونَ وَٱلۡأَحۡبَارُ بِمَا ٱسۡتُحۡفِظُواْ مِن كِتَٰبِ ٱللَّهِ وَكَانُواْ عَلَيۡهِ شُهَدَآءَۚ ﴾ [ المائدة : 44]
“এতে রয়েছে হেদায়াত এবং আলোকবর্তিকা। এর দ্বারা নিবেদিত প্রাণ নবীগণ ইয়াহূদীদের যাবতীয় বিচার-ফয়সালা করতেন, অনুরূপভাবে আলেম ও ফকীহগণও। কারণ তাঁদেরকে আল্লাহর কিতাবের হিফাযত ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। আর তারা ছিলো এ কিতাবের সাক্ষী।” [মায়েদা : ৪৪]
২. ইঞ্জীল: ঈসা [আলাইহিস সালাম] এর উপর আল্লাহ তা‘আলা ইঞ্জীল কিতাব নাযিল করেছেন। এ কিতাবটি তাওরাতের সমর্থক ও পরিপূরক।
﴿وَءَاتَيۡنَٰهُ ٱلۡإِنجِيلَ فِيهِ هُدٗى وَنُورٞ وَمُصَدِّقٗا لِّمَا بَيۡنَ يَدَيۡهِ مِنَ ٱلتَّوۡرَىٰةِ وَهُدٗى وَمَوۡعِظَةٗ لِّلۡمُتَّقِينَ ٤٦﴾ [ المائدة : 46]
“আমি ঈসাকে ইঞ্জীল দান করেছি। এতে রয়েছে হিদায়াত ও [গোমরাহী থেকে বেচে থাকার] আলো। তাওরাতের [হুকুম আহকাম থেকে] যা কিছু এর সামনে ছিলো এ কিতাব তারই সমর্থক এবং সত্যতা প্রমাণকারী। এতে রয়েছে মুত্তাকী লোকদের জন্য হিদায়াত ও নসীহত।” [মায়েদা : ৪৬]
﴿وَلِأُحِلَّ لَكُم بَعۡضَ ٱلَّذِي حُرِّمَ عَلَيۡكُمۡۚ﴾ [ آل عمران : 50]
“ইঞ্জীল কিতাব নাযিলের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো, তোমাদের উপর যা হারাম ছিলো এমন কতিপয় জিনিস আমি তোমাদের জন্য হালাল করে দেবো।” [আল-ইমরান :৫০]
৩. যাবূর: আল্লাহ তা‘আলা যাবূর কিতাবটি দাউদ [আলাইহিস সালাম] এর উপর নাযিল করেছেন।
৪. ইবরাহীম এবং মূসা [আলাইহিস সালাম] এর উপর ছহীফা [ছোট কিতাব] নাযিল হয়েছে।
৫. সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে কারীম নাযিল করেছেন।
﴿هُدٗى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَٰتٖ مِّنَ ٱلۡهُدَىٰ وَٱلۡفُرۡقَانِۚ﴾ [ البقرة : 185]
“গোটা মানব জাতির জন্য হিদায়েত স্বরূপ এ কুতাব এমন সুস্পষ্ট নির্দশনাবলী দ্বারা পরিপূর্ণ যা সঠিক ও সত্য পথ প্রদর্শন করে। হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য পরিস্কার ভাবে তুলে ধরে।” [বাকারা : ১৮৫]
﴿مُصَدِّقٗا لِّمَا بَيۡنَ يَدَيۡهِ مِنَ ٱلۡكِتَٰبِ وَمُهَيۡمِنًا عَلَيۡهِۖ﴾ [ المائدة : 48]
“পূর্বে নাযিলকৃত কিতাবের মধ্য থেকে সত্যরূপে যা এ কিতাবের সামনে রয়েছে এটি তার সত্যতা প্রমাণকারী এবং হিফাযত ও সংরক্ষণকারী।” [মায়েদা : ৪৮]
এ কিতাব নাযিলের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা পূর্বের যাবতীয় কিতাবের হুকুম রহিত করে দিয়েছেন। তিনি এ কিতাবকে সব ধরনের সংশয়কারী এবং পরিবর্তন সাধনকারীর দুষ্কর্ম থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
﴿إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ ٩﴾ [ الحجر : 9]
“কুরআন আমিই নাযিল করেছি এবং নিজেই এর হিফাযতকারী।” [হিজর : ৯] কারণ এ কিতাব কিয়ামত পর্যন্ত গোটা সৃষ্টির জন্য দলীল হিসেবে অবশিষ্ট থাকবে।
পূর্ববর্তী কিতাবগুলো ছিলো অস্থায়ী/সাময়িক। এগুলোর জন্য একটা সময় নির্ধারিত ছিলো। রহিতকারী কিতাব (কুরআন) নাযিলের মাধ্যমে পূর্বেকার কিতাবগুলোর নিজস্ব কার্যকারিতার পরিসমাপ্তি ঘটেছে এবং পূর্ববর্তী কিতাবগুলোতে কি কি রদ-বদল ও পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তারও বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এজন্যই এ কিতাবগুলো (পরবর্তী সময়ের জন্য) ত্রুটিমুক্ত ছিল না বরং সেগুলোতে অনেক পরিবর্তন, পরিবর্ধন সাধিত হয়েছে।
﴿ٱلَّذِينَ هَادُواْ يُحَرِّفُونَ ٱلۡكَلِمَ عَن مَّوَاضِعِهِۦ﴾ [ النساء : 46]
“ইয়াহূদীদের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা কিতাবের বাক্যগুলোকে তাদের মূল অর্থ হতে সরিয়ে দেয়।” (অর্থাৎ বিকৃতি ঘটায়) [নিসা : ৪৬]
﴿فَوَيۡلٞ لِّلَّذِينَ يَكۡتُبُونَ ٱلۡكِتَٰبَ بِأَيۡدِيهِمۡ ثُمَّ يَقُولُونَ هَٰذَا مِنۡ عِندِ ٱللَّهِ لِيَشۡتَرُواْ بِهِۦ ثَمَنٗا قَلِيلٗاۖ فَوَيۡلٞ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتۡ أَيۡدِيهِمۡ وَوَيۡلٞ لَّهُم مِّمَّا يَكۡسِبُونَ ٧٩﴾ [ البقرة : 79]
“সে সব লোকের জন্য ধ্বংস অনিবার্য যারা নিজেদের হাতে শরী‘আতের বিধান রচনা করে। তারপর লোকদেরকে বলে যে, এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হয়েছে। এ রকম করার উদ্দেশ্য হচ্ছে এর বিনিময়ে তারা সামান্য স্বার্থ উদ্ধার করবে। তাই তারা নিজ হাতে যা রচনা করেছে এবং অন্যায়ভাবে যা কামাই করেছে তার জন্য রয়েছে ধ্বংস ও শাস্তি।” [বাকারা: ৭৯]
﴿قُلۡ مَنۡ أَنزَلَ ٱلۡكِتَٰبَ ٱلَّذِي جَآءَ بِهِۦ مُوسَىٰ نُورٗا وَهُدٗى لِّلنَّاسِۖ تَجۡعَلُونَهُۥ قَرَاطِيسَ تُبۡدُونَهَا وَتُخۡفُونَ كَثِيرٗا﴾ [ الأنعام : 91]
“হে মুহাম্মাদ! বল, মানুষের জন্য আলোকবর্তিকা এবং পথ নির্দেশনা হিসেবে মূসা যে কিতাব নিয়ে এসেছিল যা তোমরা টুকরা-টুকরা করে রেখে দিচ্ছ, যার কিছু অংশ দেখাও আর বহুলাংশই লুকিয়ে রাখ- সে কিতাব কে নাযিল করেছিল?” [আন‘আম: ৯১]
﴿وَإِنَّ مِنۡهُمۡ لَفَرِيقٗا يَلۡوُۥنَ أَلۡسِنَتَهُم بِٱلۡكِتَٰبِ لِتَحۡسَبُوهُ مِنَ ٱلۡكِتَٰبِ وَمَا هُوَ مِنَ ٱلۡكِتَٰبِ وَيَقُولُونَ هُوَ مِنۡ عِندِ ٱللَّهِ وَمَا هُوَ مِنۡ عِندِ ٱللَّهِ وَيَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلۡكَذِبَ وَهُمۡ يَعۡلَمُونَ ٧٨ مَا كَانَ لِبَشَرٍ أَن يُؤۡتِيَهُ ٱللَّهُ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡحُكۡمَ وَٱلنُّبُوَّةَ ثُمَّ يَقُولَ لِلنَّاسِ كُونُواْ عِبَادٗا لِّي مِن دُونِ ٱللَّهِ﴾ [ آل عمران : 78-79]
“আর তাদের মধ্যে কিছু লোক এমনও রয়েছে যারা কিতাব পাঠ করার সময় জিহবা এমন ভাবে উলট-পালট করে যাতে তোমরা মনে করো যে তারা যা পাঠ করছে তা কিতাবেরই কথা। অথচ প্রকৃতপক্ষে তা কিতাবের কথা নয়। তারা বলে এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে অথচ আল্লাহর পক্ষ থেকে তা আসে নি। আসলে তারা জেনে শুনেই আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করছে। কোন মানুষের পক্ষেই এটা শোভনীয় নয় যে, আল্লাহ তাকে কিতাব, ক্ষমতা আর নবুয়াত দান করবে আর সে এগুলো পেয়ে মানুষকে বলবে, আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা আমার বান্দাহ হয়ে যাও।” [আল ইমরান : ৭৮-৭৯]
﴿يَٰٓأَهۡلَ ٱلۡكِتَٰبِ قَدۡ جَآءَكُمۡ رَسُولُنَا يُبَيِّنُ لَكُمۡ كَثِيرٗا مِّمَّا كُنتُمۡ تُخۡفُونَ مِنَ ٱلۡكِتَٰبِ وَيَعۡفُواْ عَن كَثِيرٖۚ قَدۡ جَآءَكُم مِّنَ ٱللَّهِ نُورٞ وَكِتَٰبٞ مُّبِينٞ ١٥ يَهۡدِي بِهِ ٱللَّهُ مَنِ ٱتَّبَعَ رِضۡوَٰنَهُۥ سُبُلَ ٱلسَّلَٰمِ وَيُخۡرِجُهُم مِّنَ ٱلظُّلُمَٰتِ إِلَى ٱلنُّورِ بِإِذۡنِهِۦ وَيَهۡدِيهِمۡ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ ١٦ لَّقَدۡ كَفَرَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓاْ إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡمَسِيحُ ٱبۡنُ مَرۡيَمَۚ﴾ [ المائدة : 15-17]
“হে আহলে কিতাব আমার রাসূল তোমাদের কাছে এসেছে। তিনি তোমাদেরকে এমন অনেক কিছুই কিতাব থেকে বলে দেন যা তোমরা গোপন করে রাখছিলে।”[মায়েদা : ১৫-১৭]
আমরা ঈমান আনি যে, আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক রাসূলের উপরই কিতাব নাযিল করেছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন:
﴿لَقَدۡ أَرۡسَلۡنَا رُسُلَنَا بِٱلۡبَيِّنَٰتِ وَأَنزَلۡنَا مَعَهُمُ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡمِيزَانَ لِيَقُومَ ٱلنَّاسُ بِٱلۡقِسۡطِۖ﴾ [ الحديد : 25]
“আমি আমার রাসূলগণকে সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ পাঠিয়েছি। তাদের সাথে নাযিল করেছি কিতাব এবং মীযান। যাতে করে মানুষ ইনসাফ ও সুবিচারের উপর কায়েম থাকতে পারে।” [হাদীদ : ২৫]
আমরা আসমানী কিতাবসমূহের মধ্যে নিম্নোক্ত কিতাবগুলোর কথা জানি:
১. তাওরাত: এ কিতাব আল্লাহ তা‘আলা মূসা [আলাইহিস সালাম] এর উপর নাযিল করেছেন। বনী ইসরাইলের জন্য এটা সর্বশ্র্রেষ্ঠ কিতাব।
﴿فِيهَا هُدٗى وَنُورٞۚ يَحۡكُمُ بِهَا ٱلنَّبِيُّونَ ٱلَّذِينَ أَسۡلَمُواْ لِلَّذِينَ هَادُواْ وَٱلرَّبَّٰنِيُّونَ وَٱلۡأَحۡبَارُ بِمَا ٱسۡتُحۡفِظُواْ مِن كِتَٰبِ ٱللَّهِ وَكَانُواْ عَلَيۡهِ شُهَدَآءَۚ ﴾ [ المائدة : 44]
“এতে রয়েছে হেদায়াত এবং আলোকবর্তিকা। এর দ্বারা নিবেদিত প্রাণ নবীগণ ইয়াহূদীদের যাবতীয় বিচার-ফয়সালা করতেন, অনুরূপভাবে আলেম ও ফকীহগণও। কারণ তাঁদেরকে আল্লাহর কিতাবের হিফাযত ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। আর তারা ছিলো এ কিতাবের সাক্ষী।” [মায়েদা : ৪৪]
২. ইঞ্জীল: ঈসা [আলাইহিস সালাম] এর উপর আল্লাহ তা‘আলা ইঞ্জীল কিতাব নাযিল করেছেন। এ কিতাবটি তাওরাতের সমর্থক ও পরিপূরক।
﴿وَءَاتَيۡنَٰهُ ٱلۡإِنجِيلَ فِيهِ هُدٗى وَنُورٞ وَمُصَدِّقٗا لِّمَا بَيۡنَ يَدَيۡهِ مِنَ ٱلتَّوۡرَىٰةِ وَهُدٗى وَمَوۡعِظَةٗ لِّلۡمُتَّقِينَ ٤٦﴾ [ المائدة : 46]
“আমি ঈসাকে ইঞ্জীল দান করেছি। এতে রয়েছে হিদায়াত ও [গোমরাহী থেকে বেচে থাকার] আলো। তাওরাতের [হুকুম আহকাম থেকে] যা কিছু এর সামনে ছিলো এ কিতাব তারই সমর্থক এবং সত্যতা প্রমাণকারী। এতে রয়েছে মুত্তাকী লোকদের জন্য হিদায়াত ও নসীহত।” [মায়েদা : ৪৬]
﴿وَلِأُحِلَّ لَكُم بَعۡضَ ٱلَّذِي حُرِّمَ عَلَيۡكُمۡۚ﴾ [ آل عمران : 50]
“ইঞ্জীল কিতাব নাযিলের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো, তোমাদের উপর যা হারাম ছিলো এমন কতিপয় জিনিস আমি তোমাদের জন্য হালাল করে দেবো।” [আল-ইমরান :৫০]
৩. যাবূর: আল্লাহ তা‘আলা যাবূর কিতাবটি দাউদ [আলাইহিস সালাম] এর উপর নাযিল করেছেন।
৪. ইবরাহীম এবং মূসা [আলাইহিস সালাম] এর উপর ছহীফা [ছোট কিতাব] নাযিল হয়েছে।
৫. সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে কারীম নাযিল করেছেন।
﴿هُدٗى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَٰتٖ مِّنَ ٱلۡهُدَىٰ وَٱلۡفُرۡقَانِۚ﴾ [ البقرة : 185]
“গোটা মানব জাতির জন্য হিদায়েত স্বরূপ এ কুতাব এমন সুস্পষ্ট নির্দশনাবলী দ্বারা পরিপূর্ণ যা সঠিক ও সত্য পথ প্রদর্শন করে। হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য পরিস্কার ভাবে তুলে ধরে।” [বাকারা : ১৮৫]
﴿مُصَدِّقٗا لِّمَا بَيۡنَ يَدَيۡهِ مِنَ ٱلۡكِتَٰبِ وَمُهَيۡمِنًا عَلَيۡهِۖ﴾ [ المائدة : 48]
“পূর্বে নাযিলকৃত কিতাবের মধ্য থেকে সত্যরূপে যা এ কিতাবের সামনে রয়েছে এটি তার সত্যতা প্রমাণকারী এবং হিফাযত ও সংরক্ষণকারী।” [মায়েদা : ৪৮]
এ কিতাব নাযিলের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা পূর্বের যাবতীয় কিতাবের হুকুম রহিত করে দিয়েছেন। তিনি এ কিতাবকে সব ধরনের সংশয়কারী এবং পরিবর্তন সাধনকারীর দুষ্কর্ম থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
﴿إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ ٩﴾ [ الحجر : 9]
“কুরআন আমিই নাযিল করেছি এবং নিজেই এর হিফাযতকারী।” [হিজর : ৯] কারণ এ কিতাব কিয়ামত পর্যন্ত গোটা সৃষ্টির জন্য দলীল হিসেবে অবশিষ্ট থাকবে।
পূর্ববর্তী কিতাবগুলো ছিলো অস্থায়ী/সাময়িক। এগুলোর জন্য একটা সময় নির্ধারিত ছিলো। রহিতকারী কিতাব (কুরআন) নাযিলের মাধ্যমে পূর্বেকার কিতাবগুলোর নিজস্ব কার্যকারিতার পরিসমাপ্তি ঘটেছে এবং পূর্ববর্তী কিতাবগুলোতে কি কি রদ-বদল ও পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তারও বর্ণনা দেয়া হয়েছে। এজন্যই এ কিতাবগুলো (পরবর্তী সময়ের জন্য) ত্রুটিমুক্ত ছিল না বরং সেগুলোতে অনেক পরিবর্তন, পরিবর্ধন সাধিত হয়েছে।
﴿ٱلَّذِينَ هَادُواْ يُحَرِّفُونَ ٱلۡكَلِمَ عَن مَّوَاضِعِهِۦ﴾ [ النساء : 46]
“ইয়াহূদীদের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা কিতাবের বাক্যগুলোকে তাদের মূল অর্থ হতে সরিয়ে দেয়।” (অর্থাৎ বিকৃতি ঘটায়) [নিসা : ৪৬]
﴿فَوَيۡلٞ لِّلَّذِينَ يَكۡتُبُونَ ٱلۡكِتَٰبَ بِأَيۡدِيهِمۡ ثُمَّ يَقُولُونَ هَٰذَا مِنۡ عِندِ ٱللَّهِ لِيَشۡتَرُواْ بِهِۦ ثَمَنٗا قَلِيلٗاۖ فَوَيۡلٞ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتۡ أَيۡدِيهِمۡ وَوَيۡلٞ لَّهُم مِّمَّا يَكۡسِبُونَ ٧٩﴾ [ البقرة : 79]
“সে সব লোকের জন্য ধ্বংস অনিবার্য যারা নিজেদের হাতে শরী‘আতের বিধান রচনা করে। তারপর লোকদেরকে বলে যে, এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হয়েছে। এ রকম করার উদ্দেশ্য হচ্ছে এর বিনিময়ে তারা সামান্য স্বার্থ উদ্ধার করবে। তাই তারা নিজ হাতে যা রচনা করেছে এবং অন্যায়ভাবে যা কামাই করেছে তার জন্য রয়েছে ধ্বংস ও শাস্তি।” [বাকারা: ৭৯]
﴿قُلۡ مَنۡ أَنزَلَ ٱلۡكِتَٰبَ ٱلَّذِي جَآءَ بِهِۦ مُوسَىٰ نُورٗا وَهُدٗى لِّلنَّاسِۖ تَجۡعَلُونَهُۥ قَرَاطِيسَ تُبۡدُونَهَا وَتُخۡفُونَ كَثِيرٗا﴾ [ الأنعام : 91]
“হে মুহাম্মাদ! বল, মানুষের জন্য আলোকবর্তিকা এবং পথ নির্দেশনা হিসেবে মূসা যে কিতাব নিয়ে এসেছিল যা তোমরা টুকরা-টুকরা করে রেখে দিচ্ছ, যার কিছু অংশ দেখাও আর বহুলাংশই লুকিয়ে রাখ- সে কিতাব কে নাযিল করেছিল?” [আন‘আম: ৯১]
﴿وَإِنَّ مِنۡهُمۡ لَفَرِيقٗا يَلۡوُۥنَ أَلۡسِنَتَهُم بِٱلۡكِتَٰبِ لِتَحۡسَبُوهُ مِنَ ٱلۡكِتَٰبِ وَمَا هُوَ مِنَ ٱلۡكِتَٰبِ وَيَقُولُونَ هُوَ مِنۡ عِندِ ٱللَّهِ وَمَا هُوَ مِنۡ عِندِ ٱللَّهِ وَيَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلۡكَذِبَ وَهُمۡ يَعۡلَمُونَ ٧٨ مَا كَانَ لِبَشَرٍ أَن يُؤۡتِيَهُ ٱللَّهُ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡحُكۡمَ وَٱلنُّبُوَّةَ ثُمَّ يَقُولَ لِلنَّاسِ كُونُواْ عِبَادٗا لِّي مِن دُونِ ٱللَّهِ﴾ [ آل عمران : 78-79]
“আর তাদের মধ্যে কিছু লোক এমনও রয়েছে যারা কিতাব পাঠ করার সময় জিহবা এমন ভাবে উলট-পালট করে যাতে তোমরা মনে করো যে তারা যা পাঠ করছে তা কিতাবেরই কথা। অথচ প্রকৃতপক্ষে তা কিতাবের কথা নয়। তারা বলে এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে অথচ আল্লাহর পক্ষ থেকে তা আসে নি। আসলে তারা জেনে শুনেই আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করছে। কোন মানুষের পক্ষেই এটা শোভনীয় নয় যে, আল্লাহ তাকে কিতাব, ক্ষমতা আর নবুয়াত দান করবে আর সে এগুলো পেয়ে মানুষকে বলবে, আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা আমার বান্দাহ হয়ে যাও।” [আল ইমরান : ৭৮-৭৯]
﴿يَٰٓأَهۡلَ ٱلۡكِتَٰبِ قَدۡ جَآءَكُمۡ رَسُولُنَا يُبَيِّنُ لَكُمۡ كَثِيرٗا مِّمَّا كُنتُمۡ تُخۡفُونَ مِنَ ٱلۡكِتَٰبِ وَيَعۡفُواْ عَن كَثِيرٖۚ قَدۡ جَآءَكُم مِّنَ ٱللَّهِ نُورٞ وَكِتَٰبٞ مُّبِينٞ ١٥ يَهۡدِي بِهِ ٱللَّهُ مَنِ ٱتَّبَعَ رِضۡوَٰنَهُۥ سُبُلَ ٱلسَّلَٰمِ وَيُخۡرِجُهُم مِّنَ ٱلظُّلُمَٰتِ إِلَى ٱلنُّورِ بِإِذۡنِهِۦ وَيَهۡدِيهِمۡ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ ١٦ لَّقَدۡ كَفَرَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓاْ إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡمَسِيحُ ٱبۡنُ مَرۡيَمَۚ﴾ [ المائدة : 15-17]
“হে আহলে কিতাব আমার রাসূল তোমাদের কাছে এসেছে। তিনি তোমাদেরকে এমন অনেক কিছুই কিতাব থেকে বলে দেন যা তোমরা গোপন করে রাখছিলে।”[মায়েদা : ১৫-১৭]
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন