HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকীদা
লেখকঃ শাইখ মুহাম্মাদ আস-সালেহ আল-উসাইমীন
৪
আল্লাহর উপর ঈমানআল্লাহ তা‘আলার উপর যে সব ইতিবাচক বা নেতিবাচক সিফাত ও গুণাবলীর কথা বিস্তারিতভাবে কিংবা সংক্ষেপে পেশ করেছি সেগুলোর ব্যাপারে আমরা সবচেয়ে বেশী নির্ভর করছি কুরআন ও সুন্নাহর উপর। আমরা সবচেয়ে বেশী আস্থাশীল সে পথ ও নীতির উপর যা অবলম্বন করেছেন এ উম্মাতেরই সালাফে সালেহীন এবং হেদায়াতের পথিকৃত ইমামগণ।
আমরা মনে করি আল্লাহর নাম ও সিফাতের ক্ষেত্রে কুরআন ও সুন্নাহর উক্তিগুলোর প্রকাশ্য অর্থ গ্রহণ করা অপরিহার্য। এমনিভাবে আল্লাহ তা‘আলার শানের সাথে সামঞ্জস্যশীল ও শোভনীয় “হাকীকত” এর উপর এগুলোর বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক।
আমরা কুরআন ও সুন্নাহর এসব উক্তিকে যারা পরিবর্তন করেছে এবং আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এগুলো যে উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন, সে উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে যারাই তা পরিবর্তন করেছে তাদের পথকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি।
তাদের পথকেও আমরা পরিত্যাগ করি যারা আল্লাহ তা‘আলার সিফাতগুলোকে বিকৃত করে এবং এসব উক্তির দ্বারা আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা উদ্দেশ্য নিয়েছেন তা গ্রহণ না করে অন্য দিকে ফিরিয়ে দেয়।
অনুরূপভাবে, আমরা তাদের পথও পরিত্যাগ করি, যারা আল্লাহর সিফাতসংক্রান্ত এ বাণীগুলোকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উদ্দেশ্যকৃত অর্থ নিষিদ্ধ করে সেগুলোকে তা‘তীল বা অর্থহীন করে নেয়।
তদ্রূপ, আমরা সে পথও পরিত্যাগ করি, যারা “মুগালীন” অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার সিফাতগুলোর ক্ষেত্রে সীমা অতিক্রম করে এবং বাড়াবাড়ি করে এগুলোকে কোন সুনির্দিষ্ট আকার আকৃতির উপর প্রয়োগ দেখায় অথবা এগুলোর উদ্দেশ্যকে বুঝানোর জন্য নিজেরাই অবয়ব বানিয়ে নেয়।
আমরা নিশ্চিতভাবে জানি যে কুরআন ও সুন্নায় যা এসেছে তার সবই হক এবং সত্য। একটা অপরটার বিরোধী কিংবা বিপরীত নয়। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করছেন:
﴿أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ ٱلۡقُرۡءَانَۚ وَلَوۡ كَانَ مِنۡ عِندِ غَيۡرِ ٱللَّهِ لَوَجَدُواْ فِيهِ ٱخۡتِلَٰفٗا كَثِيرٗا ٨٢﴾ [ النساء : 82]
“এরা কি কুরআন নিয়ে গভীর মনোনিবশের সাথে চিন্তা-ভাবনা করে না? এটা যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছ থেকে আসতো তাহলে এতে অনেক স্ববিরোধিতা পাওয়া যেতো।” [নিসা : ৮২]
কারণ, খবরাদি যদি পরস্পর বিরোধী হয় তাহলে একটি অপরটির মিথ্যা হওয়াকে অবধারিত করে তোলে। আল্লাহ ও রাসূলের পরিবেশিত খবরের ক্ষেত্রে এ রকম হওয়া একেবারেই অসম্ভব।
যে ব্যক্তি এই দাবী করে যে, আল্লাহ তআলার কিতাবে কিংবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নায় অথবা উভয়টিতেই পরস্পর বিরোধিতা রয়েছে, তাহলে এ দাবী হবে তার অসৎ উদ্দেশ্য বা তার অন্তরে বিদ্যমান বক্রতার কারণে। এ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক দাবীর জন্য আল্লাহ তা‘আলার কাছে তার তাওবা করা এবং সাথে সাথে তার এ ভ্রান্তি ও গোমরাহী পরিত্যাগ করা উচিৎ।
আল্লাহর কিতাব কিংবা নবীর সুন্নায় অথবা উভয়টাতেই পরস্পর বিরোধিতা আছে বলে যদি কারো মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ দেখা দেয়, তাহলে মনে করতে হবে, তার মধ্যে জ্ঞানের স্বল্পতা অথবা বুঝতে অক্ষমতা অথবা তার চিন্তা শক্তিতে রয়েছে যথেষ্ট অপরিপক্বতা ও অপরিচ্ছন্নতা। এমতাবস্থায় তার উচিৎ আরো জ্ঞান-সাধনা করা। চিন্তা-ভাবনার ক্ষেত্রে আরো অধ্যাবসায়ী হওয়া। যাতে করে তার কাছে সত্য আরো উদ্ভাসিত হয়ে উঠে। আর যদি কোন বিষয় তার কাছে সুস্পষ্ট না হয়, তাহলে বিষয়টি কোন আলেমের উপর ন্যাস্ত করা উচিৎ। সংশয়ের পথ পরিত্যাগ করা উচিৎ। জ্ঞানে অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণ যা বলে থাকেন এমতাবস্থায় তারও তাই বলা উচিৎ।
﴿ءَامَنَّا بِهِۦ كُلّٞ مِّنۡ عِندِ رَبِّنَاۗ﴾ [ آل عمران : 7]
“এর প্রতি আমরা ঈমান এনেছি। এর সবই আমাদের রবের পক্ষ থেকে এসেছে”। [আল ইমরান : ৭] তার জেনে রাখা উচিৎ যে, কুরআন ও সুন্নায় কোন পারস্পরিক বিরোধিতা নেই। এ দু’য়ের মধ্যে কোন বৈপরিত্য ও বিরোধিতা নেই।
আমরা মনে করি আল্লাহর নাম ও সিফাতের ক্ষেত্রে কুরআন ও সুন্নাহর উক্তিগুলোর প্রকাশ্য অর্থ গ্রহণ করা অপরিহার্য। এমনিভাবে আল্লাহ তা‘আলার শানের সাথে সামঞ্জস্যশীল ও শোভনীয় “হাকীকত” এর উপর এগুলোর বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক।
আমরা কুরআন ও সুন্নাহর এসব উক্তিকে যারা পরিবর্তন করেছে এবং আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এগুলো যে উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন, সে উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে যারাই তা পরিবর্তন করেছে তাদের পথকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি।
তাদের পথকেও আমরা পরিত্যাগ করি যারা আল্লাহ তা‘আলার সিফাতগুলোকে বিকৃত করে এবং এসব উক্তির দ্বারা আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা উদ্দেশ্য নিয়েছেন তা গ্রহণ না করে অন্য দিকে ফিরিয়ে দেয়।
অনুরূপভাবে, আমরা তাদের পথও পরিত্যাগ করি, যারা আল্লাহর সিফাতসংক্রান্ত এ বাণীগুলোকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উদ্দেশ্যকৃত অর্থ নিষিদ্ধ করে সেগুলোকে তা‘তীল বা অর্থহীন করে নেয়।
তদ্রূপ, আমরা সে পথও পরিত্যাগ করি, যারা “মুগালীন” অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার সিফাতগুলোর ক্ষেত্রে সীমা অতিক্রম করে এবং বাড়াবাড়ি করে এগুলোকে কোন সুনির্দিষ্ট আকার আকৃতির উপর প্রয়োগ দেখায় অথবা এগুলোর উদ্দেশ্যকে বুঝানোর জন্য নিজেরাই অবয়ব বানিয়ে নেয়।
আমরা নিশ্চিতভাবে জানি যে কুরআন ও সুন্নায় যা এসেছে তার সবই হক এবং সত্য। একটা অপরটার বিরোধী কিংবা বিপরীত নয়। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করছেন:
﴿أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ ٱلۡقُرۡءَانَۚ وَلَوۡ كَانَ مِنۡ عِندِ غَيۡرِ ٱللَّهِ لَوَجَدُواْ فِيهِ ٱخۡتِلَٰفٗا كَثِيرٗا ٨٢﴾ [ النساء : 82]
“এরা কি কুরআন নিয়ে গভীর মনোনিবশের সাথে চিন্তা-ভাবনা করে না? এটা যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছ থেকে আসতো তাহলে এতে অনেক স্ববিরোধিতা পাওয়া যেতো।” [নিসা : ৮২]
কারণ, খবরাদি যদি পরস্পর বিরোধী হয় তাহলে একটি অপরটির মিথ্যা হওয়াকে অবধারিত করে তোলে। আল্লাহ ও রাসূলের পরিবেশিত খবরের ক্ষেত্রে এ রকম হওয়া একেবারেই অসম্ভব।
যে ব্যক্তি এই দাবী করে যে, আল্লাহ তআলার কিতাবে কিংবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নায় অথবা উভয়টিতেই পরস্পর বিরোধিতা রয়েছে, তাহলে এ দাবী হবে তার অসৎ উদ্দেশ্য বা তার অন্তরে বিদ্যমান বক্রতার কারণে। এ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক দাবীর জন্য আল্লাহ তা‘আলার কাছে তার তাওবা করা এবং সাথে সাথে তার এ ভ্রান্তি ও গোমরাহী পরিত্যাগ করা উচিৎ।
আল্লাহর কিতাব কিংবা নবীর সুন্নায় অথবা উভয়টাতেই পরস্পর বিরোধিতা আছে বলে যদি কারো মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ দেখা দেয়, তাহলে মনে করতে হবে, তার মধ্যে জ্ঞানের স্বল্পতা অথবা বুঝতে অক্ষমতা অথবা তার চিন্তা শক্তিতে রয়েছে যথেষ্ট অপরিপক্বতা ও অপরিচ্ছন্নতা। এমতাবস্থায় তার উচিৎ আরো জ্ঞান-সাধনা করা। চিন্তা-ভাবনার ক্ষেত্রে আরো অধ্যাবসায়ী হওয়া। যাতে করে তার কাছে সত্য আরো উদ্ভাসিত হয়ে উঠে। আর যদি কোন বিষয় তার কাছে সুস্পষ্ট না হয়, তাহলে বিষয়টি কোন আলেমের উপর ন্যাস্ত করা উচিৎ। সংশয়ের পথ পরিত্যাগ করা উচিৎ। জ্ঞানে অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণ যা বলে থাকেন এমতাবস্থায় তারও তাই বলা উচিৎ।
﴿ءَامَنَّا بِهِۦ كُلّٞ مِّنۡ عِندِ رَبِّنَاۗ﴾ [ آل عمران : 7]
“এর প্রতি আমরা ঈমান এনেছি। এর সবই আমাদের রবের পক্ষ থেকে এসেছে”। [আল ইমরান : ৭] তার জেনে রাখা উচিৎ যে, কুরআন ও সুন্নায় কোন পারস্পরিক বিরোধিতা নেই। এ দু’য়ের মধ্যে কোন বৈপরিত্য ও বিরোধিতা নেই।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন