HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
প্রত্যেক শীয়ার প্রতি আমার নসিহত
লেখকঃ শায়খ আবু বকর জাবের আল-জাযায়েরি
১০
সপ্তম বাস্তবতাশীয়াদের বিশ্বাস: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর আহলে বাইত ও অল্প সংখ্যক সাহাবি যেমন সালমান ফারসি, আম্মার ইব্ন ইয়াসির ও বেলাল প্রমুখগণ ব্যতীত সকল সাহাবি কুফরিতে ফিরে যান”।
শীয়াদের প্রায় সকল পণ্ডিত বিশ্বাস করে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর আহলে বাইত ও অল্প সংখ্যক সাহাবি যেমন সালমান ফারসি, আম্মার ইব্ন ইয়াসির ও বেলাল প্রমুখগণ ব্যতীত সকল সাহাবি কাফের হয়ে যান। ছোট-বড় প্রত্যেক শীয়া লেখক তাদের গ্রন্থ ও লিখনিতে কমবেশি এ বিষয়টি উল্লেখ করেছেন, সবাই এর ঘোষণা দিয়েছেন, হয়তো তাকিয়ার আশ্রয়ে কেউ তা গোপন করেছেন, কারণ তাকিয়া তাদের নিকট ওয়াজিব।
এ বাস্তবতার দলিল হিসেবে আমরা নিম্নের প্রমাণসমূহ পেশ করছি:
এক. “আল-কাফি” গ্রন্থের প্রণেতা কুলাইনি নিজ রচনা “রাওদাতুল কাফি”, (পৃ.২০২)-তে বলেন:
عن حنان عن أبيه عن أبي جعفر قال : هم المقداد، وسلمان، وأبو ذر كما جاء في تفسير الصافي - والذي هو من أشهر وأجل تفاسير الشيعة وأكثرها اعتبارا - روايات كثيرة تؤكد هذا المعتقد وهو أن أصحاب رسول الله قد ارتدوا بعد وفاته إلا آل البيت ونفرا قليلا كسلمان وعمار وبلال رضى الله تعالى عنهم .
হানান থেকে বর্ণিত, তিনি তার পিতা থেকে, তিনি আবু জাফর থেকে বর্ণনা করেন: তারা হচ্ছে [অর্থাৎ যারা নবীর মৃত্যুর পর কাফের হয়নি] মিকদাদ, সালমান, আবু যর যেমন “তাফসিরে সাফি” গ্রন্থে রয়েছে। “তাফসির সাফি” শীয়াদের নিকট প্রসিদ্ধ ও সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য তাফসির। এ ছাড়া আরো বর্ণনা রয়েছে, যা থেকে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর তার সাথীগণ মুরতাদ হয়ে গিয়েছিল, অর্থাৎ ইসলাম ত্যাগ করে ছিলেন শুধু আহলে বায়েত ও অল্প সংখ্যক সাহাবি ব্যতীত যেমন সালমান ফারসি, আম্মার ইব্ন ইয়াসির ও বেলাল রাদিয়াল্লাহু আনহুম প্রমুখগণ।
২. আবু বকর ও ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমের কুফরির বিষয়টি তাদের বই-পুস্তক ও লিখনিতে বিশেষ গুরুত্বসহ উল্লেখ করা হয়, যেমন কুলাইনির কিতাব “রাওদাতুল কাফি” (পৃ.২০)-তে রয়েছে:
سألت أبا جعفر عن الشيخين فقال : فارقا الدنيا ولم يتوبا، ولم يتذكرا ما صنعا بأمير المؤمنين فعليهما لعنة الله والملائكة والناس أجمعين .!!!
আমি আবু জাফরকে শায়খাইন (আবু বকর ও ওমর) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনি বলেন: তারা দুনিয়া ত্যাগ করেছে কিন্তু তওবা করেনি, আমিরুল মুমেনিন (আলি রা.) এর সাথে তারা কি আচরণ করেছে সে কথা স্মরণ করেনি, তাদের ওপর আল্লাহ, ফেরেশতা ও সকল মানুষের লানত”!!!
৩. কুলাইনি “রাওদাতুল কাফি” গ্রন্থের (১০৭নং) পৃষ্ঠায় বলেন:
تسألني عن أبي بكر وعمر ؟ فلعمري لقد نافقا وردا على الله كلامه وهزئا برسوله، وهما الكافران عليهما لعنة الله والملائكة والناس أجمعين . !!!
“তোমরা আমাকে আবু বকর ও ওমর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা কর? আমার বয়সের কসম তারা উভয়ে নেফাকি করেছে, আল্লাহর কালাম আল্লাহর প্রতি ছুড়ে মেরেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে উপহাস করেছে। তিনি বলেন: তারা উভয়ে কাফের, তাদের ওপর আল্লাহ, ফেরেশতা ও মানব জাতির লানত!!!
হে শীয়া, তোমার বিবেক সমর্থন করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথীগণ তার মৃত্যুর পর কাফের হয়ে গিয়েছিল? তুমি জান না তারাই ছিল তার সাথী, তার দীনের সাহায্যকারী ও তার আনিত শরীয়তের ধারক-বাহক! তুমি জান না আল্লাহ তা'আলা নিজ কিতাব পবিত্র কুরআনে তাদের ওপর সন্তুষ্টির ঘোষণা দিয়েছেন, তার নবীর ভাষায় তাদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করেছেন! তুমি জান না তাদের দ্বারা আল্লাহ ইসলামের সুরক্ষা ও সম্মান বৃদ্ধি করেছেন, কিয়ামত পর্যন্ত তাদের প্রশংসাই মানুষের মুখে মুখে অনুরণিত হবে!
হে শীয়া আমাকে বল, রাসূলের সাহাবিদের কাফের বলা, তাদের ওপর লানত করা, তাদের থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করার পশ্চাতে কোন ষড়যন্ত্র নেই?!
হে শীয়া, নিশ্চয় এর পশ্চাতে গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে, আর তা হচ্ছে ইসলাম ধ্বংস করা এবং ইসলামের দুশমন ইহুদী, অগ্নিপূজক ও প্রত্যেক মুশরিক-মূর্তিপূজকদের পক্ষাবলম্বন করা!!
নিশ্চয় এর অন্তরালে শীয়াদের মূল উদ্দেশ্য ইসলাম ও তার রোকনসমূহ সমূলে ধ্বংস করা, ইসলাম ও তার নিদর্শনসমূহ নিঃশেষ করা এবং পারস্যের জমিতে অগ্নিপূজক কিসরার রাজত্ব পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা। ইনশাআল্লাহ কখনো তা সম্ভব হবে না। এখানে স্মরণ করিয়ে দেই: মুসলিমদের দ্বিতীয় খলিফা ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে পারস্যের (ইরানি) অগ্নিপূজক গোলাম আবু লুলু শহীদ করেছিল।
মুসলিম দেশে দেশে ফিতনার সূচনা করে ইসলাম ও মুসলিম ধ্বংসের ষড়যন্ত্রকারী ইহুদী আব্দুল্লাহ ইব্ন সাবা মুসলিমদের তৃতীয় খলিফা উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর বিরুদ্ধে ফিতনা আরম্ভ করেছিল, সে পাপিষ্ঠ ঔরসেই জন্ম নেয় শীয়া শয়তান ও তার অনুসারীরা, তারা ইসলাম ও মুসলিমের বিরুদ্ধে উন্মুক্ত তলোয়ারের ন্যায় “ইমামত ও বিলায়েত” নামে দু’টি অযৌক্তিক ও বিদআতি দাবি উত্থাপন করে। বিলায়েতের দাবিতে তারা সাহাবিদের কাফের বলে, লানত করে, মুসলিম উম্মাহ যাদেরকে বলে রাদিয়াল্লাহু আনহুম।
তারা ইমামতের দাবিতে মুসলিম খিলাফতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, মুসলিমদের মাঝে যুদ্ধ উসকে দেয়, তাদের রক্তপাত ঘটায়, বাড়ি-ঘর ধ্বংস করে মূলত ইসলামকে চূর্ণবিচূর্ণ করা ও তার বিধানে বিকৃতি সৃষ্টির লক্ষ্যেই। ইসলামের অন্যান্য দুশমনদের মত শীয়ারা মুসলিম উম্মাহর দুশমন। অন্যান্য কাফেরদের ন্যায় শীয়ারা ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতিপক্ষ, বরং তার চেয়ে অধিক।
শীয়া তুমি জেনে রাখ, এ মূলনীতির ওপরই শীয়া আকিদার ভিত্তি ও শীয়া মাযহাবের পত্তন, তাই ইসলাম ধর্মের বিপরীত শীয়া একটি আলাদা ধর্ম, যার রয়েছে স্বতন্ত্র বিশ্বাস, মূলনীতি, কিতাব, হাদিস এবং দর্শন ও বিদ্যা, নমুনা স্বরূপ পূর্বে কতক উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ইসলামী আকিদা, বিশ্বাস, কুরআন ও হাদিসের বিপরীত।
হে শীয়া, তোমার অন্তরে যদি সন্দেহের সৃষ্টি হয় শীয়া ধর্ম ত্যাগ কর, চিন্তা কর যদি তোমার কোন অসৎ উদ্দেশ্য না থাকে, কারণ শীয়াদের বিলায়েতের মূল উদ্দেশ্য মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা, ফিতনার বীজ বপন করা এবং তাদের মাঝে শত্রুতা ও ঝগড়া উসকে দেয়া।
আলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতই প্রকৃত মুসলিম, মুসলিম শব্দ তাদের ওপরই যথাযথ প্রয়োগ হয়। তাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে রাসূলের পরিবারের কোন সদস্যকে অপছন্দ করে, তাহলে কেন শীয়ারা বিলায়েত নাম ধারণ করে, একে আসল উদ্দেশ্য ও মূল লক্ষ্য স্থির করেছে! কেন তারা এ জন্য মুসলিমদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে, বরং তাদেরকে কাফের বলে, তাদের ওপর লানত করে, যেমন পূর্বে উল্লেখ করেছি, কেন?!
অনুরূপ ইমামতের বিষয়টি: ইসলাম কর্তৃক মুসলিমদের এ স্বাধীনতা দেয়া যে, যার মধ্যে ইমামত ও নেতৃত্বের যোগ্যতা রয়েছে তাকেই তারা ইমামতের জন্য গ্রহণ করবে, যে তাদেরকে তাদের রবের শরীয়ত ও নবীর আদর্শ মোতাবেক পরিচালনা করবে, এ স্বাধীনতা কি তামাশা বা উপহাস! কিন্তু শীয়ারা বলে: না, না, বরং মুসলিমদের নেতা হবেন ওসী, তার সম্পর্কে নস তথা কুরআন ও হাদিসের সরাসরি নির্দেশ থাকা জরুরী, তার নিষ্পাপ হওয়া, ওহী লাভ করাও জরুরী। অদ্ভুত কথা মুসলিমগণ এমন ইমাম কোথায় পাবে?! এ জন্যই কি শীয়ারা মুসলিম থেকে আলাদা, মুসলিমদেরকে লানত করে, তাদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে!
হে শীয়া, তুমি কেন নিজের ওপর রহম কর না, কেন তুমি নিজেকে এসব বাতিল-ভ্রান্ত আকিদা থেকে পবিত্র কর না, কেন নিজেকে এ অন্ধকার মাযহাব থেকে মুক্ত কর না!!
হে শীয়া জেনে রেখ, তুমি তোমার নিজের ও পরিবারের মুক্তির ব্যাপারে দায়িত্বশীল, অতএব তুমি নিজেকে ও তোমার পরিবারকে আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচানোর চেষ্টা কর। জেনে রেখ সঠিক ইমান ও নেক আমল ব্যতীত তা কখনো সম্ভব নয়, যা তুমি আল্লাহর কিতাব ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ব্যতীত কোথাও পাবে না। আমি নিশ্চিত তুমি শীয়া মাযহাবের অন্ধকার গণ্ডিরে আবদ্ধ, তোমার পক্ষে সম্ভব নয় সঠিক ইমান ও সঠিক আমল জানা, যতক্ষণ না তুমি পলায়ন করে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের পরিবেশে প্রবেশ কর, সেখানে তুমি পাবে আল্লাহর কিতাব পরিচ্ছন্ন ও অপব্যাখ্যা মুক্ত, যা শীয়ারা মানুষকে গোমরাহ ও পথভ্রষ্ট করার জন্য সময়ে সময়ে কুরআন ও হাদিসে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে।
তুমি আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের নিকট পাবে সুন্নতে নববী অপব্যাখ্যা ও বানোয়াট কাহিনী মুক্ত। আরো পাবে তুমি সঠিক ইমান, ইসলামি আকিদা ও সঠিক আমলের সন্ধান, যা আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য অনুমোদন করেছেন, যেন তারা নিজেদের পবিত্র করে সফলতা ও কামিয়াবি অর্জনে সক্ষম হয়। হে শীয়া তুমি আল্লাহর কিতাব ও সুন্নতের জন্য হিজরত কর, তুমি নিশ্চয় অনেক প্রশস্ততা ও সচ্ছলতা পাবে আল্লাহর জমিনে।
জেনে রেখ, আমি তোমার থেকে কোন আশায় এ উপদেশ দিচ্ছি না, না তুমি ছাড়া কারো থেকে কিছুর আশায়; না তোমার ভয়ে, না তুমি ছাড়া কোন মানুষের ভয়ে; কখনোই না, বরং এ হচ্ছে ইসলামী ভ্রাতৃত্ব ও তোমার জন্য হিতকামনা। কারণ দীন হচ্ছে আল্লাহ, তার রাসূল, মুসলিমদের নেতা ও জনসাধারণের জন্য হিতকামনা করা। এ প্রেরণাই আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে তোমাকে উদ্দেশ্য করে এ উপদেশ লেখার জন্য, হয়ত আল্লাহ তোমার অন্তর খুলে দিবে, তুমি দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা অর্জনের তাওফিক লাভ করবে।
দুরূদ ও সালাম আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর, সকল প্রশংসা আল্লাহ তা'আলার জন্য।
সমাপ্ত
শীয়াদের প্রায় সকল পণ্ডিত বিশ্বাস করে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর আহলে বাইত ও অল্প সংখ্যক সাহাবি যেমন সালমান ফারসি, আম্মার ইব্ন ইয়াসির ও বেলাল প্রমুখগণ ব্যতীত সকল সাহাবি কাফের হয়ে যান। ছোট-বড় প্রত্যেক শীয়া লেখক তাদের গ্রন্থ ও লিখনিতে কমবেশি এ বিষয়টি উল্লেখ করেছেন, সবাই এর ঘোষণা দিয়েছেন, হয়তো তাকিয়ার আশ্রয়ে কেউ তা গোপন করেছেন, কারণ তাকিয়া তাদের নিকট ওয়াজিব।
এ বাস্তবতার দলিল হিসেবে আমরা নিম্নের প্রমাণসমূহ পেশ করছি:
এক. “আল-কাফি” গ্রন্থের প্রণেতা কুলাইনি নিজ রচনা “রাওদাতুল কাফি”, (পৃ.২০২)-তে বলেন:
عن حنان عن أبيه عن أبي جعفر قال : هم المقداد، وسلمان، وأبو ذر كما جاء في تفسير الصافي - والذي هو من أشهر وأجل تفاسير الشيعة وأكثرها اعتبارا - روايات كثيرة تؤكد هذا المعتقد وهو أن أصحاب رسول الله قد ارتدوا بعد وفاته إلا آل البيت ونفرا قليلا كسلمان وعمار وبلال رضى الله تعالى عنهم .
হানান থেকে বর্ণিত, তিনি তার পিতা থেকে, তিনি আবু জাফর থেকে বর্ণনা করেন: তারা হচ্ছে [অর্থাৎ যারা নবীর মৃত্যুর পর কাফের হয়নি] মিকদাদ, সালমান, আবু যর যেমন “তাফসিরে সাফি” গ্রন্থে রয়েছে। “তাফসির সাফি” শীয়াদের নিকট প্রসিদ্ধ ও সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য তাফসির। এ ছাড়া আরো বর্ণনা রয়েছে, যা থেকে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর তার সাথীগণ মুরতাদ হয়ে গিয়েছিল, অর্থাৎ ইসলাম ত্যাগ করে ছিলেন শুধু আহলে বায়েত ও অল্প সংখ্যক সাহাবি ব্যতীত যেমন সালমান ফারসি, আম্মার ইব্ন ইয়াসির ও বেলাল রাদিয়াল্লাহু আনহুম প্রমুখগণ।
২. আবু বকর ও ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমের কুফরির বিষয়টি তাদের বই-পুস্তক ও লিখনিতে বিশেষ গুরুত্বসহ উল্লেখ করা হয়, যেমন কুলাইনির কিতাব “রাওদাতুল কাফি” (পৃ.২০)-তে রয়েছে:
سألت أبا جعفر عن الشيخين فقال : فارقا الدنيا ولم يتوبا، ولم يتذكرا ما صنعا بأمير المؤمنين فعليهما لعنة الله والملائكة والناس أجمعين .!!!
আমি আবু জাফরকে শায়খাইন (আবু বকর ও ওমর) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনি বলেন: তারা দুনিয়া ত্যাগ করেছে কিন্তু তওবা করেনি, আমিরুল মুমেনিন (আলি রা.) এর সাথে তারা কি আচরণ করেছে সে কথা স্মরণ করেনি, তাদের ওপর আল্লাহ, ফেরেশতা ও সকল মানুষের লানত”!!!
৩. কুলাইনি “রাওদাতুল কাফি” গ্রন্থের (১০৭নং) পৃষ্ঠায় বলেন:
تسألني عن أبي بكر وعمر ؟ فلعمري لقد نافقا وردا على الله كلامه وهزئا برسوله، وهما الكافران عليهما لعنة الله والملائكة والناس أجمعين . !!!
“তোমরা আমাকে আবু বকর ও ওমর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা কর? আমার বয়সের কসম তারা উভয়ে নেফাকি করেছে, আল্লাহর কালাম আল্লাহর প্রতি ছুড়ে মেরেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে উপহাস করেছে। তিনি বলেন: তারা উভয়ে কাফের, তাদের ওপর আল্লাহ, ফেরেশতা ও মানব জাতির লানত!!!
হে শীয়া, তোমার বিবেক সমর্থন করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথীগণ তার মৃত্যুর পর কাফের হয়ে গিয়েছিল? তুমি জান না তারাই ছিল তার সাথী, তার দীনের সাহায্যকারী ও তার আনিত শরীয়তের ধারক-বাহক! তুমি জান না আল্লাহ তা'আলা নিজ কিতাব পবিত্র কুরআনে তাদের ওপর সন্তুষ্টির ঘোষণা দিয়েছেন, তার নবীর ভাষায় তাদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করেছেন! তুমি জান না তাদের দ্বারা আল্লাহ ইসলামের সুরক্ষা ও সম্মান বৃদ্ধি করেছেন, কিয়ামত পর্যন্ত তাদের প্রশংসাই মানুষের মুখে মুখে অনুরণিত হবে!
হে শীয়া আমাকে বল, রাসূলের সাহাবিদের কাফের বলা, তাদের ওপর লানত করা, তাদের থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করার পশ্চাতে কোন ষড়যন্ত্র নেই?!
হে শীয়া, নিশ্চয় এর পশ্চাতে গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে, আর তা হচ্ছে ইসলাম ধ্বংস করা এবং ইসলামের দুশমন ইহুদী, অগ্নিপূজক ও প্রত্যেক মুশরিক-মূর্তিপূজকদের পক্ষাবলম্বন করা!!
নিশ্চয় এর অন্তরালে শীয়াদের মূল উদ্দেশ্য ইসলাম ও তার রোকনসমূহ সমূলে ধ্বংস করা, ইসলাম ও তার নিদর্শনসমূহ নিঃশেষ করা এবং পারস্যের জমিতে অগ্নিপূজক কিসরার রাজত্ব পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা। ইনশাআল্লাহ কখনো তা সম্ভব হবে না। এখানে স্মরণ করিয়ে দেই: মুসলিমদের দ্বিতীয় খলিফা ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে পারস্যের (ইরানি) অগ্নিপূজক গোলাম আবু লুলু শহীদ করেছিল।
মুসলিম দেশে দেশে ফিতনার সূচনা করে ইসলাম ও মুসলিম ধ্বংসের ষড়যন্ত্রকারী ইহুদী আব্দুল্লাহ ইব্ন সাবা মুসলিমদের তৃতীয় খলিফা উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর বিরুদ্ধে ফিতনা আরম্ভ করেছিল, সে পাপিষ্ঠ ঔরসেই জন্ম নেয় শীয়া শয়তান ও তার অনুসারীরা, তারা ইসলাম ও মুসলিমের বিরুদ্ধে উন্মুক্ত তলোয়ারের ন্যায় “ইমামত ও বিলায়েত” নামে দু’টি অযৌক্তিক ও বিদআতি দাবি উত্থাপন করে। বিলায়েতের দাবিতে তারা সাহাবিদের কাফের বলে, লানত করে, মুসলিম উম্মাহ যাদেরকে বলে রাদিয়াল্লাহু আনহুম।
তারা ইমামতের দাবিতে মুসলিম খিলাফতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, মুসলিমদের মাঝে যুদ্ধ উসকে দেয়, তাদের রক্তপাত ঘটায়, বাড়ি-ঘর ধ্বংস করে মূলত ইসলামকে চূর্ণবিচূর্ণ করা ও তার বিধানে বিকৃতি সৃষ্টির লক্ষ্যেই। ইসলামের অন্যান্য দুশমনদের মত শীয়ারা মুসলিম উম্মাহর দুশমন। অন্যান্য কাফেরদের ন্যায় শীয়ারা ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতিপক্ষ, বরং তার চেয়ে অধিক।
শীয়া তুমি জেনে রাখ, এ মূলনীতির ওপরই শীয়া আকিদার ভিত্তি ও শীয়া মাযহাবের পত্তন, তাই ইসলাম ধর্মের বিপরীত শীয়া একটি আলাদা ধর্ম, যার রয়েছে স্বতন্ত্র বিশ্বাস, মূলনীতি, কিতাব, হাদিস এবং দর্শন ও বিদ্যা, নমুনা স্বরূপ পূর্বে কতক উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ইসলামী আকিদা, বিশ্বাস, কুরআন ও হাদিসের বিপরীত।
হে শীয়া, তোমার অন্তরে যদি সন্দেহের সৃষ্টি হয় শীয়া ধর্ম ত্যাগ কর, চিন্তা কর যদি তোমার কোন অসৎ উদ্দেশ্য না থাকে, কারণ শীয়াদের বিলায়েতের মূল উদ্দেশ্য মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা, ফিতনার বীজ বপন করা এবং তাদের মাঝে শত্রুতা ও ঝগড়া উসকে দেয়া।
আলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতই প্রকৃত মুসলিম, মুসলিম শব্দ তাদের ওপরই যথাযথ প্রয়োগ হয়। তাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে রাসূলের পরিবারের কোন সদস্যকে অপছন্দ করে, তাহলে কেন শীয়ারা বিলায়েত নাম ধারণ করে, একে আসল উদ্দেশ্য ও মূল লক্ষ্য স্থির করেছে! কেন তারা এ জন্য মুসলিমদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে, বরং তাদেরকে কাফের বলে, তাদের ওপর লানত করে, যেমন পূর্বে উল্লেখ করেছি, কেন?!
অনুরূপ ইমামতের বিষয়টি: ইসলাম কর্তৃক মুসলিমদের এ স্বাধীনতা দেয়া যে, যার মধ্যে ইমামত ও নেতৃত্বের যোগ্যতা রয়েছে তাকেই তারা ইমামতের জন্য গ্রহণ করবে, যে তাদেরকে তাদের রবের শরীয়ত ও নবীর আদর্শ মোতাবেক পরিচালনা করবে, এ স্বাধীনতা কি তামাশা বা উপহাস! কিন্তু শীয়ারা বলে: না, না, বরং মুসলিমদের নেতা হবেন ওসী, তার সম্পর্কে নস তথা কুরআন ও হাদিসের সরাসরি নির্দেশ থাকা জরুরী, তার নিষ্পাপ হওয়া, ওহী লাভ করাও জরুরী। অদ্ভুত কথা মুসলিমগণ এমন ইমাম কোথায় পাবে?! এ জন্যই কি শীয়ারা মুসলিম থেকে আলাদা, মুসলিমদেরকে লানত করে, তাদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে!
হে শীয়া, তুমি কেন নিজের ওপর রহম কর না, কেন তুমি নিজেকে এসব বাতিল-ভ্রান্ত আকিদা থেকে পবিত্র কর না, কেন নিজেকে এ অন্ধকার মাযহাব থেকে মুক্ত কর না!!
হে শীয়া জেনে রেখ, তুমি তোমার নিজের ও পরিবারের মুক্তির ব্যাপারে দায়িত্বশীল, অতএব তুমি নিজেকে ও তোমার পরিবারকে আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচানোর চেষ্টা কর। জেনে রেখ সঠিক ইমান ও নেক আমল ব্যতীত তা কখনো সম্ভব নয়, যা তুমি আল্লাহর কিতাব ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত ব্যতীত কোথাও পাবে না। আমি নিশ্চিত তুমি শীয়া মাযহাবের অন্ধকার গণ্ডিরে আবদ্ধ, তোমার পক্ষে সম্ভব নয় সঠিক ইমান ও সঠিক আমল জানা, যতক্ষণ না তুমি পলায়ন করে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের পরিবেশে প্রবেশ কর, সেখানে তুমি পাবে আল্লাহর কিতাব পরিচ্ছন্ন ও অপব্যাখ্যা মুক্ত, যা শীয়ারা মানুষকে গোমরাহ ও পথভ্রষ্ট করার জন্য সময়ে সময়ে কুরআন ও হাদিসে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে।
তুমি আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের নিকট পাবে সুন্নতে নববী অপব্যাখ্যা ও বানোয়াট কাহিনী মুক্ত। আরো পাবে তুমি সঠিক ইমান, ইসলামি আকিদা ও সঠিক আমলের সন্ধান, যা আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য অনুমোদন করেছেন, যেন তারা নিজেদের পবিত্র করে সফলতা ও কামিয়াবি অর্জনে সক্ষম হয়। হে শীয়া তুমি আল্লাহর কিতাব ও সুন্নতের জন্য হিজরত কর, তুমি নিশ্চয় অনেক প্রশস্ততা ও সচ্ছলতা পাবে আল্লাহর জমিনে।
জেনে রেখ, আমি তোমার থেকে কোন আশায় এ উপদেশ দিচ্ছি না, না তুমি ছাড়া কারো থেকে কিছুর আশায়; না তোমার ভয়ে, না তুমি ছাড়া কোন মানুষের ভয়ে; কখনোই না, বরং এ হচ্ছে ইসলামী ভ্রাতৃত্ব ও তোমার জন্য হিতকামনা। কারণ দীন হচ্ছে আল্লাহ, তার রাসূল, মুসলিমদের নেতা ও জনসাধারণের জন্য হিতকামনা করা। এ প্রেরণাই আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে তোমাকে উদ্দেশ্য করে এ উপদেশ লেখার জন্য, হয়ত আল্লাহ তোমার অন্তর খুলে দিবে, তুমি দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা অর্জনের তাওফিক লাভ করবে।
দুরূদ ও সালাম আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর, সকল প্রশংসা আল্লাহ তা'আলার জন্য।
সমাপ্ত
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন