HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
প্রত্যেক শীয়ার প্রতি আমার নসিহত
লেখকঃ শায়খ আবু বকর জাবের আল-জাযায়েরি
৪
প্রথম বাস্তবতাশীয়াদের “আল-কাফি” গ্রন্থের একটি অধ্যায়ের শিরোনাম হচ্ছে: [আহলে বাইত কুরআনের মুখাপেক্ষী নয়, কারণ তাদের কাছে রয়েছে পূর্বের আসমানি কিতাবসমূহ!]
হে শীয়া, তুমি যদি শীয়া হও এ আকিদায় তোমাকে বিশ্বাসী হতে হবে, এর ওপর তোমার আমল করা জরুরী, কারণ “আল-কাফি”: (খ.১), কিতাবুল হুজ্জাহ, (পৃ.২০৭)-তে একটি অধ্যায় রয়েছে:
( باب إن الأئمة عليهم السلام عندهم جميع الكتب التي نزلت من الله عز وجل وأنهم يعرفونها كلها على اختلاف ألسنتها )
“অধ্যায়: ইমাম আলাইহিমুস সালামগণের নিকট সকল আসমানি কিতাব রয়েছে, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হয়েছে, ভিন্ন ভিন্ন ভাষা সত্ত্বেও তার সব তারা বুঝেন”। এর দলিল আবু আব্দুল্লাহ থেকে মরফু সনদে বর্ণিত “আল-কাফি” গ্রন্থের দু’টি হাদিস: তিনি [আবু আব্দুল্লাহ] ইঞ্জিল, তাওরাত ও জবুর সুরিয়ানি ভাষায় পাঠ করতেন। এর পশ্চাতে লেখকের উদ্দেশ্য কারো নিকট গোপন থাকার কথা নয়, অর্থাৎ আহলে বাইত ও শীয়ারা ইহুদী-খ্রীস্টানদের অনুসারী, তাই কুরআন ত্যাগ করা তাদের জন্য দোষণীয় নয়, কারণ তাদের নিকট পূর্বের আসমানি কিতাবসমূহ রয়েছে। শীয়াদেরকে ইসলাম ও মুসলিম থেকে দূরে রাখার এটা এক সুদূর পরিকল্পনা শীয়াগুরুদের। কুরআন থেকে বিমুখ হওয়ার আকিদা যে পোষণ করে, সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়, মুসলিম জামাত থেকে ছিটকে পড়ে। বিকৃত, পরিবর্তিত ও কুরআনের কারণে মনসুখ বা রহিত এসব আসমানি কিতাব পড়া, তার প্রতি মনোনিবেশ করা ও তার ওপর আমল করা কি কুরআন ত্যাগ করা নয়?! অথচ এ কুরআন-ই তো নিজস্ব আকিদা, আহকাম ও আদব দ্বারা মুসলিম জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, বরং মুসলিম জাতির পরিচয় এ কুরআন, মুসলিম কুরআনের উম্মত।
সন্দেহ নেই কুরআন থেকে বিমুখ হওয়া কুফরি ও ইসলাম ত্যাগ করার শামিল। ওমর ইব্ন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাতে তাওরাতের কয়েকটা পৃষ্ঠা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে শাসিয়ে বলেন: “আমি কি তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট গ্রন্থ [পবিত্র কুরআন] নিয়ে আসেনি”?! অর্থাৎ আমাদের জন্য কুরআন যথেষ্ট, অন্য কোন আসমানি কিতাব আমাদের প্রয়োজন নেই, যা কুরআন দ্বারাই রহিত। অতএব কুরআন থেকে বিমুখ হওয়ার এ আকিদা পোষণ করে শীয়ারা কিভাবে নিজেদের মুসলিম ও আহলে বাইতের অনুসারী দাবি করে!
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেখানে ওমর ইব্ন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাতে নিয়ে তাওরাতের কয়েকটা পৃষ্ঠা দেখা পছন্দ করেননি, সেখানে কোন বিবেকে বলা হয় আহলে বাইত এসব কিতাব সংগ্রহ করেন, তার প্রতি মনোনিবেশ করেন ও বিভিন্ন ভাষায় তা পাঠ করেন!!! কোন প্রয়োজন ও কি উদ্দেশ্যে এসব বলা হয়? নিশ্চয় এতে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে! না, শীয়ারা কুরআনের উম্মত নয়, মুহাম্মদের উম্মত নয়, আহলে বাইত তথা নবী পরিবার এসব কুফরি থেকে মুক্ত ও পবিত্র।
নিশ্চয় আহলে বাইতের ওপর এসব মিথ্যারোপ, ইসলাম ও মুসলিম ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র। প্রত্যেক শীয়া জেনে নিক, আল্লাহর কিতাব কুরআন থেকে বিমুখ হওয়ার বিশ্বাস পোষণ করা কুফরি, এ কুরআন আল্লাহ তা'আলা মুসলিমদের অন্তরে অন্তরে সংরক্ষণ করেছেন, খোদ শীয়াদের সামনেও রয়েছে মুসলিমদের এ কুরআন-ই, যার থেকে একটি বাক্য হ্রাস হয়নি, যাতে একটি বাক্যের বৃদ্ধি ঘটেনি, কখনো সম্ভবও হবে না ইনশাআল্লাহ, কারণ আল্লাহ তার হিফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন, ইরশাদ হচ্ছে:
﴿ إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ ٩ ﴾ [ الحجر : ٩ ]
“নিশ্চয় আমি কুরআন নাযিল করেছি, আর আমিই তার হিফাযতকারী”। সূরা হিজর: (৯), তাই জিবরীল আলাইহিস সালাম যে কুরআন নিয়ে অবতরণ করেছেন আজো তা বিদ্যমান। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবিগণসহ হাজারো মুসলিম যে কুরআন পাঠ করেছেন আজো তা বিদ্যমান। কুরআন থেকে বা তার কোন অংশ থেকে বিমুখ হওয়ার আকিদা ইসলাম ও মুসলিম জামাত থেকে খারিজ করে দেয়, এ বিশ্বাস পোষণ করে কেউ ইসলাম ও মুসলিমের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে না।
হে শীয়া, তুমি যদি শীয়া হও এ আকিদায় তোমাকে বিশ্বাসী হতে হবে, এর ওপর তোমার আমল করা জরুরী, কারণ “আল-কাফি”: (খ.১), কিতাবুল হুজ্জাহ, (পৃ.২০৭)-তে একটি অধ্যায় রয়েছে:
( باب إن الأئمة عليهم السلام عندهم جميع الكتب التي نزلت من الله عز وجل وأنهم يعرفونها كلها على اختلاف ألسنتها )
“অধ্যায়: ইমাম আলাইহিমুস সালামগণের নিকট সকল আসমানি কিতাব রয়েছে, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হয়েছে, ভিন্ন ভিন্ন ভাষা সত্ত্বেও তার সব তারা বুঝেন”। এর দলিল আবু আব্দুল্লাহ থেকে মরফু সনদে বর্ণিত “আল-কাফি” গ্রন্থের দু’টি হাদিস: তিনি [আবু আব্দুল্লাহ] ইঞ্জিল, তাওরাত ও জবুর সুরিয়ানি ভাষায় পাঠ করতেন। এর পশ্চাতে লেখকের উদ্দেশ্য কারো নিকট গোপন থাকার কথা নয়, অর্থাৎ আহলে বাইত ও শীয়ারা ইহুদী-খ্রীস্টানদের অনুসারী, তাই কুরআন ত্যাগ করা তাদের জন্য দোষণীয় নয়, কারণ তাদের নিকট পূর্বের আসমানি কিতাবসমূহ রয়েছে। শীয়াদেরকে ইসলাম ও মুসলিম থেকে দূরে রাখার এটা এক সুদূর পরিকল্পনা শীয়াগুরুদের। কুরআন থেকে বিমুখ হওয়ার আকিদা যে পোষণ করে, সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়, মুসলিম জামাত থেকে ছিটকে পড়ে। বিকৃত, পরিবর্তিত ও কুরআনের কারণে মনসুখ বা রহিত এসব আসমানি কিতাব পড়া, তার প্রতি মনোনিবেশ করা ও তার ওপর আমল করা কি কুরআন ত্যাগ করা নয়?! অথচ এ কুরআন-ই তো নিজস্ব আকিদা, আহকাম ও আদব দ্বারা মুসলিম জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, বরং মুসলিম জাতির পরিচয় এ কুরআন, মুসলিম কুরআনের উম্মত।
সন্দেহ নেই কুরআন থেকে বিমুখ হওয়া কুফরি ও ইসলাম ত্যাগ করার শামিল। ওমর ইব্ন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাতে তাওরাতের কয়েকটা পৃষ্ঠা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে শাসিয়ে বলেন: “আমি কি তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট গ্রন্থ [পবিত্র কুরআন] নিয়ে আসেনি”?! অর্থাৎ আমাদের জন্য কুরআন যথেষ্ট, অন্য কোন আসমানি কিতাব আমাদের প্রয়োজন নেই, যা কুরআন দ্বারাই রহিত। অতএব কুরআন থেকে বিমুখ হওয়ার এ আকিদা পোষণ করে শীয়ারা কিভাবে নিজেদের মুসলিম ও আহলে বাইতের অনুসারী দাবি করে!
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেখানে ওমর ইব্ন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাতে নিয়ে তাওরাতের কয়েকটা পৃষ্ঠা দেখা পছন্দ করেননি, সেখানে কোন বিবেকে বলা হয় আহলে বাইত এসব কিতাব সংগ্রহ করেন, তার প্রতি মনোনিবেশ করেন ও বিভিন্ন ভাষায় তা পাঠ করেন!!! কোন প্রয়োজন ও কি উদ্দেশ্যে এসব বলা হয়? নিশ্চয় এতে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে! না, শীয়ারা কুরআনের উম্মত নয়, মুহাম্মদের উম্মত নয়, আহলে বাইত তথা নবী পরিবার এসব কুফরি থেকে মুক্ত ও পবিত্র।
নিশ্চয় আহলে বাইতের ওপর এসব মিথ্যারোপ, ইসলাম ও মুসলিম ধ্বংসের গভীর ষড়যন্ত্র। প্রত্যেক শীয়া জেনে নিক, আল্লাহর কিতাব কুরআন থেকে বিমুখ হওয়ার বিশ্বাস পোষণ করা কুফরি, এ কুরআন আল্লাহ তা'আলা মুসলিমদের অন্তরে অন্তরে সংরক্ষণ করেছেন, খোদ শীয়াদের সামনেও রয়েছে মুসলিমদের এ কুরআন-ই, যার থেকে একটি বাক্য হ্রাস হয়নি, যাতে একটি বাক্যের বৃদ্ধি ঘটেনি, কখনো সম্ভবও হবে না ইনশাআল্লাহ, কারণ আল্লাহ তার হিফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন, ইরশাদ হচ্ছে:
﴿ إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ ٩ ﴾ [ الحجر : ٩ ]
“নিশ্চয় আমি কুরআন নাযিল করেছি, আর আমিই তার হিফাযতকারী”। সূরা হিজর: (৯), তাই জিবরীল আলাইহিস সালাম যে কুরআন নিয়ে অবতরণ করেছেন আজো তা বিদ্যমান। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবিগণসহ হাজারো মুসলিম যে কুরআন পাঠ করেছেন আজো তা বিদ্যমান। কুরআন থেকে বা তার কোন অংশ থেকে বিমুখ হওয়ার আকিদা ইসলাম ও মুসলিম জামাত থেকে খারিজ করে দেয়, এ বিশ্বাস পোষণ করে কেউ ইসলাম ও মুসলিমের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে না।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন