HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
প্রত্যেক শীয়ার প্রতি আমার নসিহত
লেখকঃ শায়খ আবু বকর জাবের আল-জাযায়েরি
৫
দ্বিতীয় বাস্তবতাশীয়াদের বিশ্বাস: “সাহাবিদের কেউ কুরআন একত্র করেননি, সংরক্ষণও করতে পারেনি শুধু আলি ও আহলে বাইতের ইমামগণ ব্যতীত”।
এ আকিদা কুলাইনি তার “আল-কাফি” গ্রন্থে (খ.১), (পৃ.২৬)-তে উল্লেখ করেছেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন: জাবের থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: আমি আবু জাফর আলাইহিস সালামকে বলতে শুনেছি:
ما ادعى أحد من الناس أنه جمع القرآن كله إلا كذاب وما جمعه وحفظه كما نزل إلا علي بن أبي طالب والأئمة من بعده .
“মিথ্যুক ব্যতীত কেউ দাবি করেনি যে, সে পূর্ণ কুরআন জমা করেছে, কুরআন যেভাবে নাযিল হয়েছে সেভাবে কেউ জমা করেনি, সংরক্ষণও করেনি একমাত্র আলি ইব্ন আবি তালেব ও তার পরবর্তী ইমামগণ ব্যতীত”।
হে শীয়া, আল্লাহ তোমাকে ও আমাকে হিদায়েত দান করুন, এরূপ বিশ্বাস অর্থাৎ আহলে বায়েত ও তার অনুসারী শীয়া ব্যতীত কেউ কুরআন জমা ও সংরক্ষণ করেনি মিথ্যাচার, বাতিল ও ভ্রষ্টতা নয় কি! আল্লাহর নিকট পানাহ চাই, তোমাদের এ দাবির পরিণতি শোন।
১. তোমাদের এ দাবি প্রমাণ করে যে, যারা কুরআন হিফয ও সংরক্ষণ করার দাবি করে তারা মিথ্যাবাদী, যেমন উসমান, উবাই ইব্ন কাব, জায়েদ ইব্ন সাবেত ও আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ প্রমুখসহ হাজারো সাহাবি। তোমাদের এ দাবি আরো প্রমাণ করে যে, তারা ছিল অসৎ ও পাপাচারী, অথচ আহলে বায়েতের কেউ তা বলেনি। এ তো ইসলামের দুশমন ও প্রতিপক্ষের মুসলিমের মাঝে ফিতনার জন্ম দেয়া ও তাদের পরস্পরে বিভেদ সৃষ্টি করা বৈ কিছু নয়।
২. তোমাদের এ দাবি প্রমাণ করে যে, আহলে বাইতের অনুসারী ব্যতীত সাধারণ মুসলিমগণ গোমরাহ ও পথভ্রষ্ট। তারা কুরআনের কতক অংশের ওপর আমল করে ও কতক অংশের ওপর আমল করে না, কারণ উল্লেখিত দাবি মোতাবেক তারা সম্পূর্ণ কুরআন সংরক্ষণ করেনি, তাই পূর্ণ শরীয়তের ওপর আমলও তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, আর যে কুরআনের কতক অংশের ওপর আমল করে ও কতক অংশের ওপর আমল করে না তার কুফরি ও পথভ্রষ্টতা সম্পর্কে কারো দ্বিমত নেই। কারণ তারা কুরআনের যে অংশের ওপর আমল করেনি তা হয়তো আকিদা, ইবাদত ও আহকাম সম্পর্কিত ছিল, অতএব তারা গোমরাহ!
জেনে রেখ তোমাদের এ বিশ্বাস মূলত আল্লাহকে মিথ্যা প্রমাণ করে, কারণ আল্লাহ তা'আলা বলেছেন:
﴿ إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ ٩ ﴾ [ الحجر : ٩ ]
“নিশ্চয় আমি কুরআন নাযিল করেছি, আর আমিই তার হিফাযতকারী”। সূরা হিজর: (৯) আল্লাহকে মিথ্যা বলা কুফরি, কোন জাতীয় কুফরি?! আল্লাহকে মিথ্যারোপকারী মুসলিম দল থেকে খারিজ, ইসলামে তার কোন অংশ নেই।
দ্বিতীয়ত আহলে বাইত ব্যতীত অন্যান্য সাধারণ মুসলিম থেকে কুরআন গোপন করা কিভাবে তাদের জন্য বৈধ হল?! এ কি আল্লাহর রহমত সংকীর্ণ করা ও কুরআন আত্মসাতের শামিল নয়?! নিঃসন্দেহে আহলে বাইত এ নাপাক আকিদা থেকে মুক্ত। হে আল্লাহ, আমরা অবশ্যই জানি তোমার রাসূলের পরিবার/আহলে বাইত এসব মিথ্যা অপবাদ থেকে পবিত্র। হে আল্লাহ, যারা তাদের ওপর মিথ্যা রচনা করে, তাদের সম্পর্কে বানোয়াট কাহিনী তৈরি করে তাদের ওপর লানত কর।
৩. তোমাদের এ দাবি প্রমাণ করে যে, শীয়ারা একমাত্র আহলে হক ও হকের ওপর প্রতিষ্ঠিত, কারণ তাদের হাতে রয়েছে সম্পূর্ণ কিতাব, তারা আল্লাহর পূর্ণ শরীয়ত মোতাবেক আমল করে, তারা ব্যতীত সাধারণ মুসলিমগণ গোমরাহ, তারা কুরআনের অধিকাংশ অংশের ওপর ইমান ও তার হিদায়েত থেকে বঞ্চিত!!
হে শীয়া, এ ধরনের অসার কথা কোন বিবেকবান ব্যক্তির মুখ থেকে বের হতে পারে না, ইসলাম ও মুসলিমের সাথে সম্পৃক্ত কোন ব্যক্তি থেকে তো দূরে থাক। জেনে রেখ, যতক্ষণ কুরআন পরিপূর্ণ নাযিল ও তার ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ হয়নি, যতক্ষণ মুসলিমদের অন্তর ও লিখনি তা সংরক্ষণ করিনি, যতক্ষণ কুরআনের সর্বব্যাপী প্রসার ঘটেনি, যতক্ষণ সাধারণ ও বিশেষ ব্যক্তিগণ সমানভাবে তা হিফাজত করেনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যু হয়নি। কুরআন একত্রকরণ ও হিফাযত করার ক্ষেত্রে আহলে বাইত সাধারণ মুসলিমদের মত, এতে তাদের কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্য নেই। অতএব কিভাবে বলা হয়: আহলে বাইত ব্যতীত কেউ কুরআন জমা ও হিফাজত করেনি, যে তার দাবি করবে সে মিথ্যাবাদী!!
তোমার কি ধারণা, যদি এ ব্যক্তিকে বলা হয়: আমাদেরকে সে কুরআন দেখাও, যা আহলে বাইতের অনুসারীগণ সংরক্ষণ করেছে, তার কয়েক কপি বা একটি কপি আমাদের সামনে পেশ কর, তখন তার অবস্থা কি হবে? সুবহাল্লাহ এ তো মারাত্মক অপবাদ ব্যতীত কিছু নয়!
এ আকিদা কুলাইনি তার “আল-কাফি” গ্রন্থে (খ.১), (পৃ.২৬)-তে উল্লেখ করেছেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন: জাবের থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: আমি আবু জাফর আলাইহিস সালামকে বলতে শুনেছি:
ما ادعى أحد من الناس أنه جمع القرآن كله إلا كذاب وما جمعه وحفظه كما نزل إلا علي بن أبي طالب والأئمة من بعده .
“মিথ্যুক ব্যতীত কেউ দাবি করেনি যে, সে পূর্ণ কুরআন জমা করেছে, কুরআন যেভাবে নাযিল হয়েছে সেভাবে কেউ জমা করেনি, সংরক্ষণও করেনি একমাত্র আলি ইব্ন আবি তালেব ও তার পরবর্তী ইমামগণ ব্যতীত”।
হে শীয়া, আল্লাহ তোমাকে ও আমাকে হিদায়েত দান করুন, এরূপ বিশ্বাস অর্থাৎ আহলে বায়েত ও তার অনুসারী শীয়া ব্যতীত কেউ কুরআন জমা ও সংরক্ষণ করেনি মিথ্যাচার, বাতিল ও ভ্রষ্টতা নয় কি! আল্লাহর নিকট পানাহ চাই, তোমাদের এ দাবির পরিণতি শোন।
১. তোমাদের এ দাবি প্রমাণ করে যে, যারা কুরআন হিফয ও সংরক্ষণ করার দাবি করে তারা মিথ্যাবাদী, যেমন উসমান, উবাই ইব্ন কাব, জায়েদ ইব্ন সাবেত ও আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ প্রমুখসহ হাজারো সাহাবি। তোমাদের এ দাবি আরো প্রমাণ করে যে, তারা ছিল অসৎ ও পাপাচারী, অথচ আহলে বায়েতের কেউ তা বলেনি। এ তো ইসলামের দুশমন ও প্রতিপক্ষের মুসলিমের মাঝে ফিতনার জন্ম দেয়া ও তাদের পরস্পরে বিভেদ সৃষ্টি করা বৈ কিছু নয়।
২. তোমাদের এ দাবি প্রমাণ করে যে, আহলে বাইতের অনুসারী ব্যতীত সাধারণ মুসলিমগণ গোমরাহ ও পথভ্রষ্ট। তারা কুরআনের কতক অংশের ওপর আমল করে ও কতক অংশের ওপর আমল করে না, কারণ উল্লেখিত দাবি মোতাবেক তারা সম্পূর্ণ কুরআন সংরক্ষণ করেনি, তাই পূর্ণ শরীয়তের ওপর আমলও তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, আর যে কুরআনের কতক অংশের ওপর আমল করে ও কতক অংশের ওপর আমল করে না তার কুফরি ও পথভ্রষ্টতা সম্পর্কে কারো দ্বিমত নেই। কারণ তারা কুরআনের যে অংশের ওপর আমল করেনি তা হয়তো আকিদা, ইবাদত ও আহকাম সম্পর্কিত ছিল, অতএব তারা গোমরাহ!
জেনে রেখ তোমাদের এ বিশ্বাস মূলত আল্লাহকে মিথ্যা প্রমাণ করে, কারণ আল্লাহ তা'আলা বলেছেন:
﴿ إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ ٩ ﴾ [ الحجر : ٩ ]
“নিশ্চয় আমি কুরআন নাযিল করেছি, আর আমিই তার হিফাযতকারী”। সূরা হিজর: (৯) আল্লাহকে মিথ্যা বলা কুফরি, কোন জাতীয় কুফরি?! আল্লাহকে মিথ্যারোপকারী মুসলিম দল থেকে খারিজ, ইসলামে তার কোন অংশ নেই।
দ্বিতীয়ত আহলে বাইত ব্যতীত অন্যান্য সাধারণ মুসলিম থেকে কুরআন গোপন করা কিভাবে তাদের জন্য বৈধ হল?! এ কি আল্লাহর রহমত সংকীর্ণ করা ও কুরআন আত্মসাতের শামিল নয়?! নিঃসন্দেহে আহলে বাইত এ নাপাক আকিদা থেকে মুক্ত। হে আল্লাহ, আমরা অবশ্যই জানি তোমার রাসূলের পরিবার/আহলে বাইত এসব মিথ্যা অপবাদ থেকে পবিত্র। হে আল্লাহ, যারা তাদের ওপর মিথ্যা রচনা করে, তাদের সম্পর্কে বানোয়াট কাহিনী তৈরি করে তাদের ওপর লানত কর।
৩. তোমাদের এ দাবি প্রমাণ করে যে, শীয়ারা একমাত্র আহলে হক ও হকের ওপর প্রতিষ্ঠিত, কারণ তাদের হাতে রয়েছে সম্পূর্ণ কিতাব, তারা আল্লাহর পূর্ণ শরীয়ত মোতাবেক আমল করে, তারা ব্যতীত সাধারণ মুসলিমগণ গোমরাহ, তারা কুরআনের অধিকাংশ অংশের ওপর ইমান ও তার হিদায়েত থেকে বঞ্চিত!!
হে শীয়া, এ ধরনের অসার কথা কোন বিবেকবান ব্যক্তির মুখ থেকে বের হতে পারে না, ইসলাম ও মুসলিমের সাথে সম্পৃক্ত কোন ব্যক্তি থেকে তো দূরে থাক। জেনে রেখ, যতক্ষণ কুরআন পরিপূর্ণ নাযিল ও তার ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ হয়নি, যতক্ষণ মুসলিমদের অন্তর ও লিখনি তা সংরক্ষণ করিনি, যতক্ষণ কুরআনের সর্বব্যাপী প্রসার ঘটেনি, যতক্ষণ সাধারণ ও বিশেষ ব্যক্তিগণ সমানভাবে তা হিফাজত করেনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যু হয়নি। কুরআন একত্রকরণ ও হিফাযত করার ক্ষেত্রে আহলে বাইত সাধারণ মুসলিমদের মত, এতে তাদের কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্য নেই। অতএব কিভাবে বলা হয়: আহলে বাইত ব্যতীত কেউ কুরআন জমা ও হিফাজত করেনি, যে তার দাবি করবে সে মিথ্যাবাদী!!
তোমার কি ধারণা, যদি এ ব্যক্তিকে বলা হয়: আমাদেরকে সে কুরআন দেখাও, যা আহলে বাইতের অনুসারীগণ সংরক্ষণ করেছে, তার কয়েক কপি বা একটি কপি আমাদের সামনে পেশ কর, তখন তার অবস্থা কি হবে? সুবহাল্লাহ এ তো মারাত্মক অপবাদ ব্যতীত কিছু নয়!
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন