HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
প্রত্যেক শীয়ার প্রতি আমার নসিহত
লেখকঃ শায়খ আবু বকর জাবের আল-জাযায়েরি
৩
ভূমিকাসকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, দরূদ ও সালাম তাঁর রাসূল ও নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর এবং তার পরিবার ও সাথী সকলের উপর, অতঃপর:
সত্য বলতেই হয়, আমি মনে করতাম আহলে বাইতের শীয়ারা মুসলিমদের একটি দল, তারা আহলে বাইতের মহব্বতে বাড়াবাড়ি করে ও তাদের পক্ষ নেয়। আরো মনে করতাম তারা শুধু ইসলামের আনুষঙ্গিক বিষয়ে আহলে সুন্নাহর সাথে দ্বিমত পোষণ করে বিভিন্ন ব্যাখ্যার আশ্রয়ে, কুরআন ও হাদিসের সাথে যার নিকটতম বা দূরতম সম্পর্ক রয়েছে। এ জন্য আমি অনেক বিরক্তি বোধ করতাম, বরং দুঃখিত হতাম সেসব ভাইদের কারণে, যারা শীয়াদের ফাসেক বলে ও তাদের সম্পর্কে এমন মন্তব্য করে যা তাদেরকে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের করে দেয়, তবে এ অবস্থা বেশী দীর্ঘ হয়নি, আমার জনৈক দীনি ভাই আমাকে শীয়াদের কিতাব দেখার পরামর্শ দিলেন, যেন আমি তাদের ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি। এ জন্য “আল-কাফি” গ্রন্থটি নির্বাচন করা হল। এ কিতাবটি শীয়া মাযহাবের শ্রেষ্ঠ দলিল। আমি তা পড়লাম এবং তা থেকে কতক বাস্তবতা নির্ণয় করলাম, যা আমাকে বাধ্য করেছে সেসব ভাইদের নিকট ওজর পেশ করার জন্য, যারা আমাকে ভুল বলতেন ও নিষেধ করতেন শীয়াদের প্রতি আমার দুর্বলতা ও তাদের প্রতি আমার ঝোঁক দেখে। আমি আশা করি এর ফলে কতক ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হবে যা নিঃসন্দেহে আহলে সুন্নাহ ও হক বা না-হক পন্থায় ইসলামের দাবিদার শীয়াদের মাঝে বিদ্যমান।
আমি শীয়াদের গুরুত্বপূর্ণ কিতাব “আল-কাফি” থেকে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা পেশ করছি, তারা এ কিতাবের ওপরই নিজেদের মাযহাব প্রমাণ করার জন্য নির্ভর করে। আমি প্রত্যেক শীয়াকে পূর্ণ ইখলাস ও ইনসাফের সাথে এসব বাস্তবতায় চিন্তা করে শীয়া মাযহাব ও শীয়াদের সাথে সম্পর্ক রাখা-না রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আহ্বান করছি। যদি তার সিদ্ধান্ত বলে যে, এ মাযহাব বিশুদ্ধ, তার সাথে সম্পর্ক রাখা নিরাপদ, তাহলে সে তার ওপর অটল ও অবিচল থাক, আর যদি তার সিদ্ধান্ত হয় এ মাযহাব বাতিল ও ভ্রান্ত এবং তার সাথে সম্পর্ক রাখার অর্থ দুনিয়া ও আখেরাতে নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করা, তাহলে প্রত্যেক শীয়ার কর্তব্য নিজের কল্যাণ কামনা ও মুক্তির আশায় তা পরিত্যাগ করা ও তওবা করে তার থেকে মুক্ত হওয়া। আবু বকর, ওমর, উসমান ও আলী রা. সহ সকল সাহাবি এবং তাদের পরবর্তী হাজারো মুসলিম যে কুরআন ও হাদিসের ওপর সন্তুষ্ট ছিলেন, তাদেরও উচিত তাতে সন্তুষ্ট থাকা।
আমিও সে মুসলিম থেকে নিরাপদ থাকতে চাই, যে সত্য জাহির হওয়ার পর অন্ধ অনুকরণ বা সাম্প্রদায়িক গোঁড়ামি বা পার্থিব কোন স্বার্থের কারণে বাতিলের ওপর অটল থাকে, সে মূলত নেফাক ও ধোঁকার আশ্রয়ে নিজের সাথে প্রতারণা করছে, সে নিজ সন্তান, জাতি ও আগত প্রজন্মের জন্য ফেতনার কারণ। নিঃসন্দেহে তার উদ্দেশ্য না-হক দ্বারা হক থেকে দূরে রাখা, বিদআত দ্বারা সুন্নত থেকে বিরত রাখা, তার ভ্রান্ত মাযহাব দ্বারা ইসলাম থেকে দূরে রাখা।
হে শীয়া, আমি তোমার সামনে (আকিদা বিষয়ে) এমন কিছু ইলমী বাস্তব অভিজ্ঞতা পেশ করছি, যা প্রকৃতপক্ষে তোমার মাযহাবের উৎস ও মূল ভিত্তি! ষড়যন্ত্রের অপরাধী হাত ও পাপিষ্ঠ অন্তর যা তোমার ও তোমার পূর্বে তোমার জাতির সামনে যা পেশ করেছে, উদ্দেশ্য তোমাকে ও তোমার জাতিকে ইসলামের নামে ইসলাম থেকে দূরে রাখা, সত্যের নামে সত্য থেকে বিচ্যুত করা।
হে শীয়া, এখানে আমি তোমাদের মৌলিক গ্রন্থ “আল-কাফি” থেকে সাতটি বাস্তব অভিজ্ঞতা পেশ করছি, মনে রেখ এ গ্রন্থটিই তোমার মাযহাবের ভিত্তি ও মৌলিক গ্রন্থ। তুমি এতে নজর দাও, অতঃপর তোমার বিচারকি বিবেক দ্বারা চিন্তা কর ও সিদ্ধান্ত নাও, আল্লাহর নিকট দোয়া করি তিনি তোমাকে সত্য দেখার তাওফিক দিন। সত্য গ্রহণ করে তার ওপর চলার ক্ষমতা দিন, নিশ্চয় তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তিনি ব্যতীত কেউ সক্ষম নয়।
সত্য বলতেই হয়, আমি মনে করতাম আহলে বাইতের শীয়ারা মুসলিমদের একটি দল, তারা আহলে বাইতের মহব্বতে বাড়াবাড়ি করে ও তাদের পক্ষ নেয়। আরো মনে করতাম তারা শুধু ইসলামের আনুষঙ্গিক বিষয়ে আহলে সুন্নাহর সাথে দ্বিমত পোষণ করে বিভিন্ন ব্যাখ্যার আশ্রয়ে, কুরআন ও হাদিসের সাথে যার নিকটতম বা দূরতম সম্পর্ক রয়েছে। এ জন্য আমি অনেক বিরক্তি বোধ করতাম, বরং দুঃখিত হতাম সেসব ভাইদের কারণে, যারা শীয়াদের ফাসেক বলে ও তাদের সম্পর্কে এমন মন্তব্য করে যা তাদেরকে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের করে দেয়, তবে এ অবস্থা বেশী দীর্ঘ হয়নি, আমার জনৈক দীনি ভাই আমাকে শীয়াদের কিতাব দেখার পরামর্শ দিলেন, যেন আমি তাদের ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি। এ জন্য “আল-কাফি” গ্রন্থটি নির্বাচন করা হল। এ কিতাবটি শীয়া মাযহাবের শ্রেষ্ঠ দলিল। আমি তা পড়লাম এবং তা থেকে কতক বাস্তবতা নির্ণয় করলাম, যা আমাকে বাধ্য করেছে সেসব ভাইদের নিকট ওজর পেশ করার জন্য, যারা আমাকে ভুল বলতেন ও নিষেধ করতেন শীয়াদের প্রতি আমার দুর্বলতা ও তাদের প্রতি আমার ঝোঁক দেখে। আমি আশা করি এর ফলে কতক ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হবে যা নিঃসন্দেহে আহলে সুন্নাহ ও হক বা না-হক পন্থায় ইসলামের দাবিদার শীয়াদের মাঝে বিদ্যমান।
আমি শীয়াদের গুরুত্বপূর্ণ কিতাব “আল-কাফি” থেকে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা পেশ করছি, তারা এ কিতাবের ওপরই নিজেদের মাযহাব প্রমাণ করার জন্য নির্ভর করে। আমি প্রত্যেক শীয়াকে পূর্ণ ইখলাস ও ইনসাফের সাথে এসব বাস্তবতায় চিন্তা করে শীয়া মাযহাব ও শীয়াদের সাথে সম্পর্ক রাখা-না রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আহ্বান করছি। যদি তার সিদ্ধান্ত বলে যে, এ মাযহাব বিশুদ্ধ, তার সাথে সম্পর্ক রাখা নিরাপদ, তাহলে সে তার ওপর অটল ও অবিচল থাক, আর যদি তার সিদ্ধান্ত হয় এ মাযহাব বাতিল ও ভ্রান্ত এবং তার সাথে সম্পর্ক রাখার অর্থ দুনিয়া ও আখেরাতে নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করা, তাহলে প্রত্যেক শীয়ার কর্তব্য নিজের কল্যাণ কামনা ও মুক্তির আশায় তা পরিত্যাগ করা ও তওবা করে তার থেকে মুক্ত হওয়া। আবু বকর, ওমর, উসমান ও আলী রা. সহ সকল সাহাবি এবং তাদের পরবর্তী হাজারো মুসলিম যে কুরআন ও হাদিসের ওপর সন্তুষ্ট ছিলেন, তাদেরও উচিত তাতে সন্তুষ্ট থাকা।
আমিও সে মুসলিম থেকে নিরাপদ থাকতে চাই, যে সত্য জাহির হওয়ার পর অন্ধ অনুকরণ বা সাম্প্রদায়িক গোঁড়ামি বা পার্থিব কোন স্বার্থের কারণে বাতিলের ওপর অটল থাকে, সে মূলত নেফাক ও ধোঁকার আশ্রয়ে নিজের সাথে প্রতারণা করছে, সে নিজ সন্তান, জাতি ও আগত প্রজন্মের জন্য ফেতনার কারণ। নিঃসন্দেহে তার উদ্দেশ্য না-হক দ্বারা হক থেকে দূরে রাখা, বিদআত দ্বারা সুন্নত থেকে বিরত রাখা, তার ভ্রান্ত মাযহাব দ্বারা ইসলাম থেকে দূরে রাখা।
হে শীয়া, আমি তোমার সামনে (আকিদা বিষয়ে) এমন কিছু ইলমী বাস্তব অভিজ্ঞতা পেশ করছি, যা প্রকৃতপক্ষে তোমার মাযহাবের উৎস ও মূল ভিত্তি! ষড়যন্ত্রের অপরাধী হাত ও পাপিষ্ঠ অন্তর যা তোমার ও তোমার পূর্বে তোমার জাতির সামনে যা পেশ করেছে, উদ্দেশ্য তোমাকে ও তোমার জাতিকে ইসলামের নামে ইসলাম থেকে দূরে রাখা, সত্যের নামে সত্য থেকে বিচ্যুত করা।
হে শীয়া, এখানে আমি তোমাদের মৌলিক গ্রন্থ “আল-কাফি” থেকে সাতটি বাস্তব অভিজ্ঞতা পেশ করছি, মনে রেখ এ গ্রন্থটিই তোমার মাযহাবের ভিত্তি ও মৌলিক গ্রন্থ। তুমি এতে নজর দাও, অতঃপর তোমার বিচারকি বিবেক দ্বারা চিন্তা কর ও সিদ্ধান্ত নাও, আল্লাহর নিকট দোয়া করি তিনি তোমাকে সত্য দেখার তাওফিক দিন। সত্য গ্রহণ করে তার ওপর চলার ক্ষমতা দিন, নিশ্চয় তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তিনি ব্যতীত কেউ সক্ষম নয়।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন