HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
প্রত্যেক শীয়ার প্রতি আমার নসিহত
লেখকঃ শায়খ আবু বকর জাবের আল-জাযায়েরি
৯
ষষ্ঠ বাস্তবতাশীয়াদের বিশ্বাস: “শীয়াদের ইমামগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মর্যাদায়: শুধু নারী ব্যতীত নিষ্পাপ, ওহী লাভ ও আনুগত্যের হকদার ইত্যাদি বিষয়ে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য নারীদের যে সংখ্যা হালাল ছিল তাদের জন্য তা নয়”।
এ আকিদা “আল-কাফি” গ্রন্থের প্রণেতা কুলাইনি দু’টি বর্ণনা দ্বারা প্রমাণ করেছেন:
এক. কুলাইনি “আল-কাফি” (খ.১), কিতাবুল হুজ্জাহ, (পৃ.২২৯)-তে তিনি বলেন:
كان المفضل عند أبي عبد الله فقال له : جعلت فداك، أيفرض الله طاعة عبد على العباد ويحجب عنه خبر السماء ؟ فقال له أبو عبد الله -الإمام- لا، الله أكرم وأرحم وأرأف بعباده، من أن يفرض طاعة عبد على العباد ثــم يحجب عنه خبر السماء صباحا ومساء .
“মুফাদ্দাল আবু আব্দুল্লাহর নিকট উপস্থিত ছিল, তিনি তাকে বলেন: আমি আপনার ওপর উৎসর্গ, আল্লাহ কি বান্দাদের ওপর নির্দিষ্ট বান্দার আনুগত্য ফরয করে তার থেকে আসমানের সংবাদ আদান-প্রদান বন্ধ করে দেন? ইমাম আবু আব্দুল্লাহ তাকে বলেন: না, বান্দার ওপর মেহেরবান, দয়াশীল ও করুণাময় আল্লাহ এর থেকে ঊর্ধ্বে যে, তিনি বান্দাদের ওপর নির্দিষ্ট বান্দার আনুগত্য ফরয করে তার থেকে সকাল-সন্ধ্যা আসমানের সংবাদ আদান-প্রদান বন্ধ করে দিবেন”।
এসব বর্ণনা থেকে প্রমাণ হয় যে, (শীয়াদের) ইমামদের আনুগত্য আল্লাহ মানুষের ওপর ফরয করে দিয়েছেন, যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্য ফরয করে দিয়েছেন। তাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করা হয়, সকাল-সন্ধ্যা তারা আসমানের সংবাদ গ্রহণ করেন, অতএব এ বিবেচনায় তারা নবী ও রাসূলদের বরাবর।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরবর্তী ওহীর দাবিদার কোন নবীর আকিদা পোষণ করা ইসলাম ত্যাগ করার শামিল, সকল মুসলিমের নিকট কুফরি। সুবহানাল্লাহ একজন শীয়া কিভাবে এমন আকিদা পোষণ করতে পারে যার কারণে মানুষ ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়, অথচ সে ইমান ও ইসলামের নামেই এসব ভ্রান্ত আকিদা গ্রহণ করেছে!
হে আল্লাহ তুমি এ বাতিল ফেরকার প্রথম অপরাধী হাতকে বিচ্ছিন্ন কর, যেরূপ সে মানুষকে তোমার থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে।
দ্বিতীয় বর্ণনা: “আল-কাফি” (খ.১), কিতাবুল হুজ্জাহ, (পৃ.২২৯)-তে কুলাইনি বলেন:
عن محمد بن سالم قال سمعت أبا عبد الله عليه السلام يقول : الأئمة بمنزلة رسول الله صلى الله عليه وسلم، إلا أنهم ليسوا بأنبياء، ولا يحل لهم من النساء ما يحل للنبي، فأما ما خلا ذلك فهم بمنزلة رسول الله صلى الله عليه وسلم .
মুহাম্মদ ইব্ন সালেম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি আবু আব্দুল্লাহকে বলতে শুনেছি: ইমামগণ রাসূলের মর্তবায়, তবে তারা নবী নয়, অনুরূপ নবীর জন্য যত নারী হালাল তাদের জন্য তা হালাল নয়। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমান।
এসব বর্ণনায় যদিও কিছু বৈপরীত্য রয়েছে, তবে পূর্বের ন্যায় এ বর্ণনাতেও ইমামগণ নিষ্পাপ, তাদের আনুগত্য করা ফরয এবং তাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করা হয় ইত্যাদি বিষয় প্রমাণিত হয়। নারী ব্যতীত অন্যসব বিষয়ে ইমামগণ রাসূলের মর্তবায় এ কথায় প্রমাণ করে যে, তারা নিষ্পাপ, তাদের আনুগত্য করা ওয়াজিব, তারা সেসব গুণাগুণ ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী যা নবীদের রয়েছে। এ আকিদা ও মিথ্যা রচনার মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে শীয়া সম্প্রদায়কে ইসলাম ও মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং ইসলাম ও মুসলিম ধ্বংস করা। কারণ শীয়া সম্প্রদায়ের নিকট যেহেতু মাসহাফে ফাতেমা রয়েছে যা কুরআনের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, আরো রয়েছে জাফর, আল-জামেয়াহ ও পূর্ববর্তী নবীদের ইলম, নিষ্পাপ ইমামদের ওহী যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাতের সমান, শুধু নারীর বিষয় ব্যতীত! উল্লেখ্য শীয়ারা অন্যান্য ধর্ম থেকে যে পরিমাণ আকিদা ও আদর্শ গ্রহণ করেছে তার তুলনায় ইসলাম থেকে গ্রহণ করা আকিদা ও আদর্শের পরিমাণ খুব সামান্য, যেরূপ এখানে কতগুলো কুফরি আকিদার পাশে ইসলাম থেকে মাত্র একটি বিষয় তথা নারী বিয়ে করার বিধান গ্রহণ করেছে! আঁটার খামির থেকে চুল বের করার ন্যায় তারা ইসলাম থেকে খুব সামান্যই গ্রহণ করে!!!
আল্লাহ ধ্বংস করুন ষড়যন্ত্রকারীদের, যারা মুসলিম উম্মাহ থেকে একটি অংশকে বিচ্ছিন্ন করেছে ইসলামের নামে, নবী পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে আহলে বায়েতের অনুসারী বলে।
এ আকিদা “আল-কাফি” গ্রন্থের প্রণেতা কুলাইনি দু’টি বর্ণনা দ্বারা প্রমাণ করেছেন:
এক. কুলাইনি “আল-কাফি” (খ.১), কিতাবুল হুজ্জাহ, (পৃ.২২৯)-তে তিনি বলেন:
كان المفضل عند أبي عبد الله فقال له : جعلت فداك، أيفرض الله طاعة عبد على العباد ويحجب عنه خبر السماء ؟ فقال له أبو عبد الله -الإمام- لا، الله أكرم وأرحم وأرأف بعباده، من أن يفرض طاعة عبد على العباد ثــم يحجب عنه خبر السماء صباحا ومساء .
“মুফাদ্দাল আবু আব্দুল্লাহর নিকট উপস্থিত ছিল, তিনি তাকে বলেন: আমি আপনার ওপর উৎসর্গ, আল্লাহ কি বান্দাদের ওপর নির্দিষ্ট বান্দার আনুগত্য ফরয করে তার থেকে আসমানের সংবাদ আদান-প্রদান বন্ধ করে দেন? ইমাম আবু আব্দুল্লাহ তাকে বলেন: না, বান্দার ওপর মেহেরবান, দয়াশীল ও করুণাময় আল্লাহ এর থেকে ঊর্ধ্বে যে, তিনি বান্দাদের ওপর নির্দিষ্ট বান্দার আনুগত্য ফরয করে তার থেকে সকাল-সন্ধ্যা আসমানের সংবাদ আদান-প্রদান বন্ধ করে দিবেন”।
এসব বর্ণনা থেকে প্রমাণ হয় যে, (শীয়াদের) ইমামদের আনুগত্য আল্লাহ মানুষের ওপর ফরয করে দিয়েছেন, যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্য ফরয করে দিয়েছেন। তাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করা হয়, সকাল-সন্ধ্যা তারা আসমানের সংবাদ গ্রহণ করেন, অতএব এ বিবেচনায় তারা নবী ও রাসূলদের বরাবর।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরবর্তী ওহীর দাবিদার কোন নবীর আকিদা পোষণ করা ইসলাম ত্যাগ করার শামিল, সকল মুসলিমের নিকট কুফরি। সুবহানাল্লাহ একজন শীয়া কিভাবে এমন আকিদা পোষণ করতে পারে যার কারণে মানুষ ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়, অথচ সে ইমান ও ইসলামের নামেই এসব ভ্রান্ত আকিদা গ্রহণ করেছে!
হে আল্লাহ তুমি এ বাতিল ফেরকার প্রথম অপরাধী হাতকে বিচ্ছিন্ন কর, যেরূপ সে মানুষকে তোমার থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে।
দ্বিতীয় বর্ণনা: “আল-কাফি” (খ.১), কিতাবুল হুজ্জাহ, (পৃ.২২৯)-তে কুলাইনি বলেন:
عن محمد بن سالم قال سمعت أبا عبد الله عليه السلام يقول : الأئمة بمنزلة رسول الله صلى الله عليه وسلم، إلا أنهم ليسوا بأنبياء، ولا يحل لهم من النساء ما يحل للنبي، فأما ما خلا ذلك فهم بمنزلة رسول الله صلى الله عليه وسلم .
মুহাম্মদ ইব্ন সালেম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি আবু আব্দুল্লাহকে বলতে শুনেছি: ইমামগণ রাসূলের মর্তবায়, তবে তারা নবী নয়, অনুরূপ নবীর জন্য যত নারী হালাল তাদের জন্য তা হালাল নয়। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমান।
এসব বর্ণনায় যদিও কিছু বৈপরীত্য রয়েছে, তবে পূর্বের ন্যায় এ বর্ণনাতেও ইমামগণ নিষ্পাপ, তাদের আনুগত্য করা ফরয এবং তাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করা হয় ইত্যাদি বিষয় প্রমাণিত হয়। নারী ব্যতীত অন্যসব বিষয়ে ইমামগণ রাসূলের মর্তবায় এ কথায় প্রমাণ করে যে, তারা নিষ্পাপ, তাদের আনুগত্য করা ওয়াজিব, তারা সেসব গুণাগুণ ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী যা নবীদের রয়েছে। এ আকিদা ও মিথ্যা রচনার মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে শীয়া সম্প্রদায়কে ইসলাম ও মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং ইসলাম ও মুসলিম ধ্বংস করা। কারণ শীয়া সম্প্রদায়ের নিকট যেহেতু মাসহাফে ফাতেমা রয়েছে যা কুরআনের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, আরো রয়েছে জাফর, আল-জামেয়াহ ও পূর্ববর্তী নবীদের ইলম, নিষ্পাপ ইমামদের ওহী যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রিসালাতের সমান, শুধু নারীর বিষয় ব্যতীত! উল্লেখ্য শীয়ারা অন্যান্য ধর্ম থেকে যে পরিমাণ আকিদা ও আদর্শ গ্রহণ করেছে তার তুলনায় ইসলাম থেকে গ্রহণ করা আকিদা ও আদর্শের পরিমাণ খুব সামান্য, যেরূপ এখানে কতগুলো কুফরি আকিদার পাশে ইসলাম থেকে মাত্র একটি বিষয় তথা নারী বিয়ে করার বিধান গ্রহণ করেছে! আঁটার খামির থেকে চুল বের করার ন্যায় তারা ইসলাম থেকে খুব সামান্যই গ্রহণ করে!!!
আল্লাহ ধ্বংস করুন ষড়যন্ত্রকারীদের, যারা মুসলিম উম্মাহ থেকে একটি অংশকে বিচ্ছিন্ন করেছে ইসলামের নামে, নবী পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে আহলে বায়েতের অনুসারী বলে।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন