hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলিম উম্মাহর মানসিক বিপর্যয়ঃ কারণ ও প্রতিকার

লেখকঃ ড. আব্দুল্লাহ আল-খাতির

৩৩
ছয়. হতাশা ও হতাশাবদীদের থেকে দূরে থাকা
আমাদেরকে অবশ্যই হতাশা ও হতাশাবাদীদের থেকে দূরে থাকতে হবে। আমাদেরকে দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে যে, ভবিষ্যত একমাত্র ইসলামেরই। এটাই আল্লাহর অঙ্গীকার। পবিত্র কুরআনের বহু আয়াত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অসংখ্যা হাদীসে আল্লাহর এ অঙ্গীকার তথা ইসলামের বিজয়ের সু-সংবাদ সুস্পষ্টভাবে বিবৃত হয়েছে। মুসলিমদের বর্তমান অবস্থাও প্রমাণ করছে যে, সেই শুভক্ষণ সন্নিকটে। তারা অতি দ্রুত সেই সোনালী যুগের দিকে প্রত্যাবর্তন করছে। কুরআন মাজীদে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ

وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آَمَنُوا مِنْكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الْأَرْضِ كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ وَلَيُمَكِّنَنَّ لَهُمْ دِينَهُمُ الَّذِي ارْتَضَى لَهُمْ وَلَيُبَدِّلَنَّهُمْ مِنْ بَعْدِ خَوْفِهِمْ أَمْنًا يَعْبُدُونَنِي لَا يُشْرِكُونَ بِي شَيْئًاوَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آَمَنُوا مِنْكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الْأَرْضِ كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ وَلَيُمَكِّنَنَّ لَهُمْ دِينَهُمُ الَّذِي ارْتَضَى لَهُمْ وَلَيُبَدِّلَنَّهُمْ مِنْ بَعْدِ خَوْفِهِمْ أَمْنًا يَعْبُدُونَنِي لَا يُشْرِكُونَ بِي شَيْئًا

‘‘তোমাদের মধ্যে যারা আমার উপর ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসন কর্তৃত্ব প্রদান করবেন, যেমন তিনি শাসন কর্তৃত্ব প্রদান করেছেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের দ্বীনকে- যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন। ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ইবাদত করবে এবং আমার সাথে কাউকেও শরীক করবে না। (সূরা নূরঃ ৫৫)

উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুসলিমদের হাতে পৃথিবীর শাসনভার অর্পণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তবে শর্তারোপ করেছেন ঈমান ও সৎ-কর্মপরায়নতার। কাজেই এ শর্ত দু’টি পূরণ না করলে উক্ত শুভ সংবাদের অধিকারী হওয়া যাবে না। অনুরূপভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ বিষয়ে ভবিষ্যদ্বানী করেছেনঃ

لا تقوم الساعة حتى يقاتل المسلمون اليهود فيقاتلهم المسلمون حتى يختبئ اليهودي من وراء الحجر، فيقول الحجر أو الشجر يا مسلم، يا عبد الله، هذا يهودي خلفى فتعال فاقتله إلا الغرقد فإنه من شجر اليهود .

‘‘কেয়ামত ততক্ষণ পর্যন্ত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত মুসিলমরা ইয়াহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করবে। মুসলিমরা এত বীর-বিক্রমে লড়াই করবে যে, ইয়াহুদীরা পালিয়ে পাথর ও বৃক্ষের আড়ালে আশ্রয় নিবে। আর তখন পাথর ও বৃক্ষ চিৎকার করে বলবেঃ হে মুসলিম, হে আল্লাহর বান্দা! এই দেখ, আমার পিছনে ইয়াহুদী! এসো, এদের হত্যা কর! কিন্তু ‘গারক্বাদ’ غرقد বৃক্ষ এমন আহবান জানাবে না। কারণ এটি ইয়াহুদীরেদ গাছ। (মুসলিমঃ ২/৩৯৬)

এটা সুস্পষ্ট যে, এ হাদীসে বর্ণিত সময়কাল এখনও অতিবাহিত হয়নি। তাই বলছি, ভবিষ্যত একমাত্র আমাদের। সাওবান (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ

إن الله زوى لى الأرض فرأيت مشارقها ومغاربها وإن أمتى سيبلغ ملكها ما زوى لى منها .. الحديث .

‘‘আল্লাহ কিছুক্ষণের জন্য আমার সম্মুখে গোটা পৃথিবীকে সংকুচিত করে উপস্থিত করে, তখন আমি পৃথিবীর প্রাচ্য-পাশ্চাত্য অবলোকন করি। আমার দৃষ্টি যতদূর পর্যন্ত পৌঁছেছে ততদূর পর্যন্ত অবশ্যই আমার উম্মতের শাসন কর্তৃত্ব বিস্তৃতি লাভ করবে... (মুসলিম : ২/৩৯০)

এ হাদীসের আলোকে প্রতীয়মান হয় যে, অচিরেই মুসলিম উম্মাহর কর্তৃত্ব সমগ্র পৃথিবীতে বিস্তৃতি লাভ করবে। কেননা বর্ণিত হাদীসে ‘‘যতদূর’’ বলতে সমগ্র পৃথিবীকে বুঝানো হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত সমগ্র পৃথিবী মুসলিমদের করতলে আসেনি। সুতরাং আমরা দৃঢ় চিত্তে বলতে পারি যে, নিশ্চয়ই অদূর ভবিষ্যতে সারা বিশ্বে মুসলিমদের শাসন কর্তৃত্ব লাভ করবে, ইনশাআল্লাহ। অন্যত্র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ

ليبلغن هذا الأمر ما بلغ الليل والنهار ولا يترك الله بيت مدر ولا وبر إلا أدخله الله هذا الدين بعز عزيز أن بذل ذليل عزا يعزالله به الإسلام زذلا يذل به الكفر .

‘‘দিন রাতের আবর্তন যে পর্যন্ত রয়েছে, ইসলাম ধর্ম সে পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করবে। কাঁচা-পাকা কোন ঘরই অবশিষ্ট থাকবে না। সম্মানিতকে সম্মান দিয়ে আর অপদস্তকে অপমানিত করে এ দ্বীনকে আল্লাহ তাআলা সর্বত্রই প্রতিষ্ঠা করবেন। ইসলামকে করবেন সম্মানিত, আর কুফরকে করবেন লাঞ্ছিত। (মুসনাদে আহমদঃ ৪/১০৩) হাদিসটি মুহাদ্দিস ইবনে হাববান বর্ণনা করেন এবং শায়খ নাছেরুদ্দীন আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।

অন্যত্র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ

تكون النبوة فيكم ما شاء الله ان تكون ثم يرفعها الله إذا شاء أن يرفعها، ثم تكون خلافة على منهاج النبوة، فتكون ما شاء الله أن تكون، ثم يرفعها إذا شاء أن يرفعها، ثم تكون ملكا عاضا فتكون ما شاء الله أن تكون، ثم يرفعها إذا شاء أن يرفعها، ثم تكون ملكا جبريا فتكون ما شاء الله أن تكون، ثم يرفعها إذا شاء أن يرفعها ثم تكون خلافة على منهاج النبوة، ثم سكت .

‘‘নবুওয়াত ব্যবস্থা তোমাদের মাঝে ততদিন থাকবে, যতদিন আল্লাহ তাআলা মঞ্জুর করেন। অতঃপর যখন ইচ্ছা, তখন তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর তোমাদের মাঝে নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত ব্যবস্থা কায়েম হবে এবং তা আল্লাহ তাআলা যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে। অতঃপর তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর হানাহানির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তা আল্লাহ তাআলার যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় তার বিলুপ্তি ঘটবে। তারপর জবর দখল তথা আধিপত্য বিস্তারের রাজত্ব কায়েম হবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় দুনিয়াতে কিছুকাল বিরাজমান থাকবে। তারপর যখন আল্লাহ ইচ্ছা করবেন, তখন এরও অবসান ঘটবে। অতঃপর নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত রাষ্ট্র-ব্যবস্থা কায়েম হবে। এ বলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চুপ রইলেন। (মুসনাদে আহমদঃ ৪/২৭৩)

ثم تكون الخلافة على منهاج النبوة অতঃপর নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত ব্যবস্থা কায়েম হবে- মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ উক্তিই প্রমাণ করে সারা বিশ্বে ইসলামী শাসন পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হবে। রাজত্বের লাগাম মুসলিমদের হস্তগত হবে। কখনো এর ব্যতিক্রম হবে না। কারণ, বিভিন্ন বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তা যথা সময়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। ইতিহাসে তার বহু প্রমাণ রয়েছে। যেমন এক হাদীসে আবি কাবিল (রহ.) বলেনঃ

كنا عند عبد الله بن عمر وبن العاص وسئل أي المدينتين تفتح أولا الفسطنطينية ام رومية، فدعى عبد الله بينما نحن حول رسول الله صلى الله عليه وسلم نكتب إذ سئل رسو الله صلى الله عليه وسلم أي المدينتين تفتح أولا القسطنطينية أم رومية، فقال الرسول صلى الله عليه وسلم مدينة هرقل أولا ـ يعنى الفسطنطينية .

‘‘একদা আমরা আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস রা. এর সাথে উপবিষ্ট ছিলাম। জনৈক ব্যক্তি পশ্ন করল, কোন শহর সর্বপ্রথম বিজিত হবে, কন্সটান্টিনোপল না রোম? আব্দুল্লাহ রা. একটি কড়া বিশিষ্ট বাক্স উপস্থিত করলেন এবং তা থেকে একখানা লিখিত পত্র বের করে বললেন, একদা আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দরবারে লিখছিলাম। ইতিমধ্যে প্রশ্ন করা হল, সর্ব প্রথম কোন শহর বিজয় হবে, কন্সটান্টিনোপল না রোম? জবাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেব, সর্ব প্রথম হিরাক্লিয়াসের রাজ্য (কন্সটান্টিনোপল) বিজিত হবে। (মুসনাদে আহমাদ, ২/১৭৬)

এ হাদীস ইমাম আহমদ বিন হাম্বল র. রেওয়াতে করেন এবং শায়খ আলবানী রহ. বিশুদ্ধ বলে মত ব্যক্ত করেন। এই হাদীসে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভবিষ্যদ্বাণী পরিবর্তিতে হুবহু বাস্তবায়িত হয়েছে। সুতরাং অন্যান্য বিষয়ে তাঁর প্রদত্ত সকল ভবিষ্যদ্বাণী চিরসত্য হিসাবে প্রমাণিত হবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। এটাই আমাদের ঈমান ও একীন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন