hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

স্বনির্ভরতা অর্জনে ইসলাম একটি পর্যালোচনা

লেখকঃ ড. হুসাইন আহমাদ

১৮
যাকাত ভিক্তিক অর্থ ব্যবস্থার প্রবর্তন
যাকাতের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উদ্দেশ্য হচ্ছে দারিদ্র দূর করা। এতে শুধু ব্যক্তি বা সমাজই নয় রাষ্ট্রও সমানভাবে উপকৃত হয়। দারিদ্র মানবতার এক নম্বর শত্রু। যে কোন দেশের ও সমাজের জন্য এটা একটি জটিল সমস্যা। দারিদ্রের ফলে সমাজে হতাশা ও বঞ্চনার অনুভূতি সৃষ্টি হয়। পরিণামে দেখা দেয় মারাত্মক সামাজিক সংঘাত। অধিকাংশ সামাজিক অপরাধ ঘটে দারিদ্রের জন্য। এ সকল সমস্যার সমাধানকল্পে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে যাকাতের বিধান প্রাপ্ত হন।

যাকাত আল্লাহ তা‘আলার হুকুম এবং অন্যতম মৌলিক ফরয। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম। যাকাত ইসলামী অর্থনীতির মুল স্তম্ভ [. Zohurul Islam. Islamic Economics. IFB. 1997. 1st ED. Page-183] ও ইসলামী রাষ্ট্রের রাজস্বের অন্যতম উৎস। এটি একটি সমাজকল্যাণ মূলক বিধান [. Salem Azzam. Islam and Contemporary Socicty. Islamic Council of Europe. ১৯৮২. Page-102]। আল্লাহর সন্তোষ লাভের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি কর্তৃক কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে তার কোন নির্দিষ্ট মালের নির্ধারিত অংশের স্বত্ব অর্পন করাকে যাকাত বলা হয়। পবিত্র কুরআনে বিরাশি স্থানে যাকাতের কথা বলা হয়েছে [.মুহাম্মদ মুসা, যাকাতের তাৎপর্য ও বিধান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন পত্রিকা, জুলাই সেপ্টেম্বর, খৃ. ১৯৯৬, পৃ. ৫০।]। সাধারণত মানুষের ধারণা যাকাত প্রদান করলে সম্পদ কমে যায় অথচ আল্লাহ তাওয়ালা এরশাদ করেন;

﴿وَمَآ ءَاتَيۡتُم مِّن رِّبٗا لِّيَرۡبُوَاْ فِيٓ أَمۡوَٰلِ ٱلنَّاسِ فَلَا يَرۡبُواْ عِندَ ٱللَّهِۖ وَمَآ ءَاتَيۡتُم مِّن زَكَوٰةٖ تُرِيدُونَ وَجۡهَ ٱللَّهِ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُضۡعِفُونَ﴾ [ الروم :39]

মানুষের ধনে বৃদ্ধি পাবে বলে তোমরা সুদে যা দিয়ে থাক, আল্লাহর দৃষ্টিতে তাহা ধন সম্পদ বৃদ্ধি করে না, কিন্তু আল্লাহর সমত্তষ্টি লাভের জন্য যে যাকাত তোমরা দিয়ে থাক তা বৃদ্ধি পায়, উহারাই (যাকাত সাদকা প্রদানকারী) সমৃদ্ধিশালী [. আল-কুরআন ৩০: ৩৯।]।

যাকাত ব্যবস্থাকে আল্লাহ তাওয়ালা সম্পদাধিকারীর সম্পদের পবিত্রতা এবং তাদের জন্য আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহের এক মহামাধ্যম হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। যাকাত দানের ফলে যাকাত দাতার অবশিষ্ট ধন ও সেই সঙ্গে তার আত্মার ও পরিশুদ্ধি ঘটে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন

﴿خُذۡ مِنۡ أَمۡوَٰلِهِمۡ صَدَقَةٗ تُطَهِّرُهُمۡ وَتُزَكِّيهِم بِهَا وَصَلِّ عَلَيۡهِمۡۖ إِنَّ صَلَوٰتَكَ سَكَنٞ لَّهُمۡۗ﴾ [ التوبة :103]

তাদের মালামাল থেকে যাকাত গ্রহণ কর যাতে তুমি সেগুলোকে পবিত্র করতে এবং বরকতময় করতে পার এর মাধ্যমে। আর তুমি তাদের জন্য দোয়া কর, নিঃসন্দেহে তোমার দোয়া তাদের জন্য সান্তনা স্বরপ [. আল-কুরআন ৯: ১০৩।]। যাকাত আদায় ও তার যথাযথ ব্যবহার সমাজে আয় ও সম্পদের সুবিচারপূর্ণ বন্টনের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম বলিষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। যাকাতের মাধ্যমে সম্পদের একটি সুনিদিষ্ট অংশ এমন কয়েকটি নির্দিষ্ট খাতে বন্টিত ও ব্যবহৃত হয় যাদের প্রকৃতই বিত্তহীন শ্রেণীভূক্ত। এদের মধ্য রয়েছে গরীব, মিসকীন, ঋণগ্রস্থ, মুসাফির এবং ক্ষেত্র বিশেষে নও মুসলিম। কিন্তু বাংলাদেশে এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে বাধ্যতামূলক ভাবে যাকাত আদায় করা হয়না এবং তা বিলি বন্টেনেরও ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি।

যাকাত আদায় এখন ব্যক্তিগত ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। অথচ যাকাতের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পূর্ণবাসন সম্ভব। কেননা যাকাত স্থায়ীভাবে দারিদ্র বিমোচনের একটি স্থায়ী পদ্ধতি। যাকাতের মাধ্যমে সমাজ থেকে দারিদ্র দূরিকরণের ব্যাপারে ফিকহবিদগণ দ্ব্যর্থহীন মত প্রকাশ করেছেন। দরিদ্র ব্যক্তি যাতে দ্বিতীয়বার যাকাতের অর্থের মুখাপেক্ষী না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় বিধান প্রয়োগের জন্য ফকীহগণ তাকিদ প্রদান করছেন। ইমাম নববী (রঃ) বলেছেন, ফকীর, মিসকীনকে এতটুকু পরিমাণ সম্পদ দিতে হবে যাতে তারা তাদের অভাবের গ্লানি থেকে মুক্তি পায় এবং ধনী ব্যক্তিতে উপনীত হয়। ‘‘ইমাম শাফেয়ী (রঃ) এ মত সমর্থন করেন। [. ড. মাহমুদ আহমাদ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, পূ-৩] তার সমর্থক, ফকীহগণ শিল্প ব্যবসায়ে নিয়োজিত প্রার্থীগণকে তাদের স্ব-স্ব কাজে (কুটির শিল্প, কৃষিকাজ, দোকান, দরজীরকাজ, কাঠের কাজ প্রভৃতি) স্বনির্ভর হওয়ার উপযুক্ত পরিমাণ যাকাতের অর্থ প্রদানের কথা বলেছেন। ইমাম মালিক (রঃ) ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল (রঃ) এবং অন্যান্য ফকীহর মত হলো যে, প্রার্থী ফকির মিসকীনকে নিজসহ পরিবার পরিজনের এক বছরের ভরণ পোষণের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ যাকাত দিতে হবে।

হযরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন যখন তোমরা ফকির মিসকীনকে কিছু দেবে, তখন তাকে ধনী বানিয়ে দেবে। [. প্রাগুক্ত, পৃ.- ৪।] মূলত যাকাত অভাবী মানুষকে স্বনির্ভর এবং দ্বিতীয়বার যাকাত প্রার্থী না হবার অবস্থায় আনয়ন করতে চায়। একটি বছর স্বচ্ছলভাবে চলার অবলম্বন পাবার পর স্বাবলম্বী হতে আগ্রহী প্রতিটি ব্যক্তিই স্বনির্ভরতা অর্জনে সক্ষম হওয়াটাই স্বাভাবিক।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন