hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দানে বাড়ে সম্পদ, বৃদ্ধি পায় মর্যাদা

লেখকঃ কামাল উদ্দিন মোল্লা

১২
কৃপণতা করে যারা জাকাত ও ওশর প্রদান করে না তাদের শাস্তি
মহান আল্লাহ বলেন:

(আরবি)

আর যারা সোনা রূপা জমা করে রাখে অথচ তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না। তাদের যন্ত্রণাদায়ক আযাবের সুসংবাদ দিন। যেদিন সেগুলো জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে, অত:পর তা দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্বদেশ এবং তাদের পৃষ্ঠদেশসমূহে দাগ দেয়া হবে। ( এবং বলা হবে) এ হলো যা তোমরা তোমাদের জন্য সঞ্চয় করেছিলে, এখন তার স্বাদ গ্রহণ করো যা তোমরা সঞ্চয় করেছিলে। (সূরা তাওবা:৩৪-৩৫)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,

(আরবি)

আল্লাহ স্বীয় অনুগ্রহ থেকে যাদের দান করেছেন তাতে যারা কৃপণতা করে, তারা যেন এরূপ মনে না করে যে তারা ভালো করেছে। বরং তা তাদের জন্য অমঙ্গলজনক। কিয়ামত দিবসে যা নিয়ে তারা কৃপণতা করেছে তা দিয়ে বেড়ি পরিয়ে দেয়া হবে। (সূরা আলে ইমরান : ১৮০)

অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে,

(আরবি)

যারা কৃপণতা করে এবং মানুষকে কৃপণতার নির্দেশ দেয়, আর গোপন করে তা, যা আল্লাহ তাদেরকে স্বীয় অনুগ্রহে দান করেছেন। আর আমি প্রস্তুত করে রেখেছি কাফিরদের জন্য লাঞ্ছনাকর আজাব। ( সূরা নিসা : ৩৭)

আরো ইরশাদ হচ্ছে,

(আরবি)

অর্থ: নিশ্চয় আমি এদেরকে পরীক্ষা করেছি, যেভাবে পরীক্ষা করেছিলাম বাগানের মালিকদের। যখন তারা কসম করেছিল যে, অবশ্যই তারা সকাল বেলা বাগানের ফল আহরণ করবে। আর তারা ইনশা আল্লাহ বলেনি। অত:পর তোমার রবের পক্ষ থেকে এক প্রদক্ষিণকারী (আগুন) বাগানের ওপর দিয়ে প্রদক্ষিণ করে গেল, আর তারা ছিল ঘুমন্ত। ফলে তা (পুড়ে) কালো বর্ণের হয়ে গেল। তারপর সকাল বেলা তারা একে অপরকে ডেকে বলল, তোমরা যদি ফল আহরণ করতে চাও তাহলে বাগানে যাও। তারপর তারা চলল, নিম্নস্বরে একথা বলতে বলতে যে, আজ সেখানে তোমাদের কাছে কোনো অভাবী যেন প্রবেশ করতে না পারে। আর তারা ভোর বেলা দৃঢ় ইচ্ছা শক্তি নিয়ে সক্ষম অবস্থায় (বাগানে) গেল। তারপর তারা যখন বাগানটি দেখল, তখন তারা বলল, অবশ্যই আমরা পথভ্রষ্ট। বরং আমরা বঞ্চিত। তাদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল ব্যক্তিটি বলল, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, তোমরা কেন (আল্লাহর) তাসবীহ পাঠ করছ না ? তারা বলল, আমরা আমাদের রবের পবিত্রতা ঘোষণা করছি। অবশ্যই আমরা যালিম ছিলাম। তারপর তারা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করতে লাগল। তারা বলল, হায় আমাদের ধবংস! নিশ্চয় আমরা সীমা লঙ্ঘনকারী ছিলাম। সম্ভবত: আমাদের রব আমাদেরক এর চেয়েও উৎকৃষ্টতর বিনিময় দেবেন। অবশ্যই আমরা আমাদের রবের প্রতি আগ্রহী। এভাবেই হয় আজাব। আর পরকালের আজাব অবশ্যই আরো বড়, যদি তারা জানত। ( সূরা কলম: ১৭-৩৩)

মূলত: আয়াগুলোতে ঐতিহাসিক একটি ঘটনা আমাদেরকে অবগত করানোর জন্য অবর্তীণ হয়েছে। যা ঈসা আ: কে আসমানে উঠিয়ে নেয়ার কিছুকাল পরে সংঘটিত হয়। ইয়েমেনের রাজধানী সানআ শহর থেকে ৬ মাইল দূরে আয়াতে বর্ণিত বাগানটি অবস্থিত ছিল। বাগানের মালিক আসমানি কিতাবে বিশ্বাসী ছিল। বাগানের মালিক বাগান থেকে যে ফলমূল আহরণ করতেন তা থেকে একটি বৃহৎ অংশ গরিব মিসকিনদের মাঝে বিতরণ করতেন। এ কারণে ফল আহরণের সময় বিপুল সংখ্যক গরিব -মিসকিন সেখানে জমা হতো। এভাবে মিসকিনদের সাহায্য করা, বাগানের মালিকের চিরাচরিত অভ্যাসে পরিণত হলো। এ নেক কাজের বরকতে বাগানে আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রচুর ফলন হতো। বাগানের মালিকের ইন্তেকালের পর তার ওয়ারিসগণ পিতার দানের সিলসিলাকে তাদের সুখের অন্তরায় মনে করল। বলল: আমাদের পিতা হলো আহমক। দান খয়রাত না করলে আমাদের সম্পদ অনেক জমা হতো। দান খয়রাত আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ফসল কাটার সময় হলে তারা পরামর্শ করে অতি সঙ্গোপনে খুব ভোরে ফসল কাটার সিদ্ধান্ত পাকাপোক্ত করে নিল। যাতে ফকির মিসকিন জানতে না পারে। তারা দান না করার জন্য এতোই বেসামাল হয়ে পড়েছিল যে, ভোরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ইনশা আল্লাহ বলাও ভুলে গিয়েছিল। তাদের এই দূরভিসন্ধির কারণে সে রাতেই তারা ঘুমে থাকতেই বাগানে আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন আজাব আপতিত হলো যে, নিমিষের মধ্যেই সব পুড়ে ছারখার হয়ে গেল। পরামর্শ মত ভোরে যখন তারা সেখানে পৌছলো, বাগানের ধবংসলীলা দেখে প্রথমে তারা ভাবলো আমরা রাস্তা ভুল করে এখানে এসে পড়েছি। পরক্ষণে বাগানের পাশের অন্যান্য চিহ্ন দেখে বুঝতে পারলো যে, রাস্তা ভুল হয়নি বরং এটা গরিবের হক নষ্ট করার মত কু-চিন্তার ফল । যদিও তারা পরক্ষণে আপনাপন ভুল বুঝতে পেরে তওবা করেছিল। তাফসিরে ইবনে কাসিরসহ অনেক তাফসির গ্রন্থে এ ঘটনার বর্ণনা এসেছে।

বনী ইসরাঈলের শিক্ষণীয় একটি ঘটনা:

أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنَّ ثَلَاثَةً فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ أَبْرَصَ وَأَقْرَعَ وَأَعْمَى بَدَا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يَبْتَلِيَهُمْ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ مَلَكًا فَأَتَى الْأَبْرَصَ فَقَالَ أَيُّ شَيْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ لَوْنٌ حَسَنٌ وَجِلْدٌ حَسَنٌ قَدْ قَذِرَنِي النَّاسُ قَالَ فَمَسَحَهُ فَذَهَبَ عَنْهُ فَأُعْطِيَ لَوْنًا حَسَنًا وَجِلْدًا حَسَنًا فَقَالَ أَيُّ الْمَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ الْإِبِلُ أَوْ قَالَ الْبَقَرُ هُوَ شَكَّ فِي ذَلِكَ إِنَّ الْأَبْرَصَ وَالْأَقْرَعَ قَالَ أَحَدُهُمَا الْإِبِلُ وَقَالَ الْآخَرُ الْبَقَرُ فَأُعْطِيَ نَاقَةً عُشَرَاءَ فَقَالَ يُبَارَكُ لَكَ فِيهَا وَأَتَى الْأَقْرَعَ فَقَالَ أَيُّ شَيْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ شَعَرٌ حَسَنٌ وَيَذْهَبُ عَنِّي هَذَا قَدْ قَذِرَنِي النَّاسُ قَالَ فَمَسَحَهُ فَذَهَبَ وَأُعْطِيَ شَعَرًا حَسَنًا قَالَ فَأَيُّ الْمَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ الْبَقَرُ قَالَ فَأَعْطَاهُ بَقَرَةً حَامِلًا وَقَالَ يُبَارَكُ لَكَ فِيهَا وَأَتَى الْأَعْمَى فَقَالَ أَيُّ شَيْءٍ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ يَرُدُّ اللَّهُ إِلَيَّ بَصَرِي فَأُبْصِرُ بِهِ النَّاسَ قَالَ فَمَسَحَهُ فَرَدَّ اللَّهُ إِلَيْهِ بَصَرَهُ قَالَ فَأَيُّ الْمَالِ أَحَبُّ إِلَيْكَ قَالَ الْغَنَمُ فَأَعْطَاهُ شَاةً وَالِدًا فَأُنْتِجَ هَذَانِ وَوَلَّدَ هَذَا فَكَانَ لِهَذَا وَادٍ مِنْ إِبِلٍ وَلِهَذَا وَادٍ مِنْ بَقَرٍ وَلِهَذَا وَادٍ مِنْ غَنَمٍ ثُمَّ إِنَّهُ أَتَى الْأَبْرَصَ فِي صُورَتِهِ وَهَيْئَتِهِ فَقَالَ رَجُلٌ مِسْكِينٌ تَقَطَّعَتْ بِيَ الْحِبَالُ فِي سَفَرِي فَلَا بَلَاغَ الْيَوْمَ إِلَّا بِاللَّهِ ثُمَّ بِكَ أَسْأَلُكَ بِالَّذِي أَعْطَاكَ اللَّوْنَ الْحَسَنَ وَالْجِلْدَ الْحَسَنَ وَالْمَالَ بَعِيرًا أَتَبَلَّغُ عَلَيْهِ فِي سَفَرِي فَقَالَ لَهُ إِنَّ الْحُقُوقَ كَثِيرَةٌ فَقَالَ لَهُ كَأَنِّي أَعْرِفُكَ أَلَمْ تَكُنْ أَبْرَصَ يَقْذَرُكَ النَّاسُ فَقِيرًا فَأَعْطَاكَ اللَّهُ فَقَالَ لَقَدْ وَرِثْتُ لِكَابِرٍ عَنْ كَابِرٍ فَقَالَ إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا فَصَيَّرَكَ اللَّهُ إِلَى مَا كُنْتَ وَأَتَى الْأَقْرَعَ فِي صُورَتِهِ وَهَيْئَتِهِ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ مَا قَالَ لِهَذَا فَرَدَّ عَلَيْهِ مِثْلَ مَا رَدَّ عَلَيْهِ هَذَا فَقَالَ إِنْ كُنْتَ كَاذِبًا فَصَيَّرَكَ اللَّهُ إِلَى مَا كُنْتَ وَأَتَى الْأَعْمَى فِي صُورَتِهِ فَقَالَ رَجُلٌ مِسْكِينٌ وَابْنُ سَبِيلٍ وَتَقَطَّعَتْ بِيَ الْحِبَالُ فِي سَفَرِي فَلَا بَلَاغَ الْيَوْمَ إِلَّا بِاللَّهِ ثُمَّ بِكَ أَسْأَلُكَ بِالَّذِي رَدَّ عَلَيْكَ بَصَرَكَ شَاةً أَتَبَلَّغُ بِهَا فِي سَفَرِي فَقَالَ قَدْ كُنْتُ أَعْمَى فَرَدَّ اللَّهُ بَصَرِي وَفَقِيرًا فَقَدْ أَغْنَانِي فَخُذْ مَا شِئْتَ فَوَاللَّهِ لَا أَجْهَدُكَ الْيَوْمَ بِشَيْءٍ أَخَذْتَهُ لِلَّهِ فَقَالَ أَمْسِكْ مَالَكَ فَإِنَّمَا ابْتُلِيتُمْ فَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنْكَ وَسَخِطَ عَلَى صَاحِبَيْكَ صحيح البخاري

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন। বনী ইসরাইলের মধ্যে তিন জন রুগ্ন ব্যক্তি ছিল, একজন শ্বেতকুষ্ঠ রোগী, একজন টেকো ব্যক্তি এবং অপরজন অন্ধ । আল্লাহ তাদের পরীক্ষা করার ইচ্ছা করলেন, তাই তাদের নিকট একজন ফেরেশতা পাঠালেন। ফেরেশতা প্রথমে শ্বেতকুষ্ঠ রোগীর কাছে এসে বললেন: তোমার নিকট সর্বাধিক প্রিয় বস্তু কী ? সে বলল উত্তম রং ও উত্তম চামড়া, লোকজন আমাকে ঘৃণা করে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, অত:পর ফেরেশতা তার শরীরে হাত বুলিয়ে নিলেন। ফলে তার ঘৃণার বস্তু দূর হয়ে গেল এবং তাকে উত্তম রং ও উত্তম চামড়া দান করা হলো। তারপর ফেরেশতা তাকে বলল: কোন সম্পদ তোমার নিকট অধিক প্রিয় সে বলল: উট অথবা গরু (বর্ণনাকারীর সন্দেহ ) বর্ণনাকারী ইসহাক সন্দেহ করে বলেন যে, কুষ্ঠরোগী, অথবা মাথায় টাকপড়া ব্যক্তি এ দু’জনের একজন উট অপরজন গরু চেয়েছিলেন। অত:পর তাকে একটি দশ মাসের গর্ভবতী মাদী উট দেয়া হল এবং ফেরেশতা দুআ করে বললেন: এতে তোমার বরকত হোক।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, অত:পর ফেরেশতা টেকো ব্যক্তির নিকট এসে বললেন: তোমার নিকট প্রিয় বস্তু কী ? সে বললো, উত্তম চুল ; যার কারণে মানুষ আমাকে ঘৃণা করে, তা আমার থেকে চলে যাওয়া। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ফেরেশতা তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে তার টাক দূর হয়ে গেল, তিনি বললেন: এবং তাকে উত্তম চুল দান করা হলো। ফেরেশতা বললেন: তোমার নিকট কোন সম্পদ অধিক প্রিয় ? সে বলল: গরু। অত:পর তাকে একটি গর্ভবতী গাভী দান করা হলো। ফেরেশতা বললেন : তোমার এতে বরকত হোক।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: অত:পর ফেরেশতা অন্ধ লোকটির কাছে এসে বললেন: তোমার নিকট সর্বাধিক প্রিয় বস্তু কী? সে বললো, আল্লাহ যেন আমার চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেন, যা দ্বারা আমি লোকজন দেখতে পাই। নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ফেরেশতা তার চোখের উপর হাত ফিরালেন, ফলে আল্লাহ তাআলা তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন। ফেরেশতা জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নিকট কোন সম্পদ অধিক প্রিয়? লোকটি বলল, ছাগল। সুতরাং তাকে প্রসব সম্ভবা ছাগল প্রদান করা হল।

অত:পর প্রথমোক্ত দুজনের উট, গরু বাচ্চা জন্ম দিতে থাকলো, এবং শেষোক্ত জনের ছাগল ছানা প্রসব করতে থাকলো। এমনকি প্রত্যেকের এক উপত্যকা ভরা উট, এক উপত্যকা ভরা গরু এবং এক উপত্যকা ভরা ছাগল হয়ে গেল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: তারপর সেই ফেরেশতা (লোকদেরকে পরীক্ষা করার জন্য) পূর্ব অবয়বে প্রথমোক্ত শ্বেতকুষ্ঠ রোগীর কাছে এসে বললেন: আমি একজন মিসকিন ব্যক্তি, মুসাফির, সফরে আমার সব সামর্থ্য শেষ হয়ে গেছে। এখন আল্লাহর দয়া ছাড়া নিজ ঘরে পৌঁছার কোনো উপায় নেই, অত:পর আপনার সাহায্য। আমি ঐ আল্লাহর নামে আপনার নিকট একটি উট কামনা করছি, যিনি আপনাকে এহেন সুন্দর রং ও সুন্দর চামড়া এবং অধিক পরিমাণ উট দান করেছেন, যাতে আমি আমার বাড়ি পৌছেতে পারি। লোকটি বলল: আপনার দাবী অনেক বড়। ফেরেশতা বললেন: মনে হয় যেন আমি আপনাকে চিনি। আপনি কি দরিদ্র, কুষ্ঠ রোগী ছিলেন না ? যাতে লোকজন আপনাকে ঘৃণা করতো। এবং দরিদ্র ছিলেন অত:পর আল্লাহ আপনাকে সম্পদশালী করেছেন। তখন লোকটি বলল: এসব ধন-সম্পদ আমি বংশানুক্রমে উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করেছি। ফেরেশতা বলল: তুমি যদি মিথ্যাবাদী হও, তবে আল্লাহ তোমাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিন।

তারপর ফেরেশতা আপন ছুরতে টেকো ব্যক্তির কাছে এসে তাই বলল যা প্রথম ব্যক্তিকে বলল। উত্তরে টেকো ব্যক্তিও তাই বলল, যা প্রথম ব্যক্তি বলেছিল। অত:পর ফেরেশতা বলল: যদি তুমি মিথ্যাবাদী হও তবে আল্লাহ তোমাকে আগের মত বানিয়ে দিন।

ফেরেশতা পূর্ব অবয়বে পূর্ব বেশে অন্ধ ব্যক্তির নিকট এসে বললেন, আমি একজন দারিদ্র মুসাফির। সফরে আমার সব অর্থ শেষ হয়ে গেছে, বাড়ি পৌঁছার আল্লাহ ব্যতীত আর কোন উপায় নেই, অত:পর আপনার সাহায্য। যে আল্লাহ আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন, তার নামে আমি আপনার কাছে একটা ছাগল ভিক্ষা চাইছি, যা দ্বারা আমি আমার বাড়ি পৌছতে পারি। তখন সে বলল: আমি অন্ধ ছিলাম অত:পর আল্লাহ দয়া করে আমাকে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন। আপনি যা ইচ্ছা নিয়ে যান আল্লাহর জন্য আপনি যা নিবেন তাতে আমি কোনো বাধা দিব না। তখন ফেরেশতা বলল: আপনার সম্পদ আপনার কাছেই থাক। মূলত আল্লাহ আপনাদের পরীক্ষা নিয়েছেন। আল্লাহ আপনার উপর রাজি হয়েছেন আর আপনার দুইসাথীর উপর অসন্তষ্ট হয়েছেন। (সহিহ বোখারি)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন