hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দানে বাড়ে সম্পদ, বৃদ্ধি পায় মর্যাদা

লেখকঃ কামাল উদ্দিন মোল্লা

জাকাত অস্বীকারীর পরিণতি
জাকাত না দেয়ার পরিণতি সম্পর্কে সহিহ মুসলিমে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে,

عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ أَبَا صَالِحٍ ذَكْوَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مِنْ صَاحِبِ ذَهَبٍ وَلَا فِضَّةٍ لَا يُؤَدِّي مِنْهَا حَقَّهَا إِلَّا إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ صُفِّحَتْ لَهُ صَفَائِحُ مِنْ نَارٍ فَأُحْمِيَ عَلَيْهَا فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَيُكْوَى بِهَا جَنْبُهُ وَجَبِينُهُ وَظَهْرُهُ كُلَّمَا بَرَدَتْ أُعِيدَتْ لَهُ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ الْعِبَادِ فَيَرَى سَبِيلَهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ



‘যায়েদ বিন আসলাম হতে বর্ণিত, আবু সালেহ যাকওয়ান তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক সোনা রুপার মালিক যে এর হক আদায় করে না, কিয়ামতের দিন তার জন্য আগুনের বহু পাত বানানো হবে, অত:পর সেগুলোকে জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে এবং তার পাঁজর, কপাল ও পিঠে ছেকা দেয়া হবে। যখনই তা ঠাণ্ডা হয়ে আসবে, পুনরায় গরম করা হবে অর্থাৎ এভাবে তার শাস্তি হতে থাকবে। সেই দিনে, যার পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছেরর সমান। চলতে থাকবে এ আজাব যতক্ষণ না বান্দাদের বিচার শেষ হবে। অত:পর সে তার পথ দেখতে পাবে জান্নাতের দিকে, না হয় জাহান্নামের দিকে।

قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَالْإِبِلُ قَالَ وَلَا صَاحِبُ إِبِلٍ لَا يُؤَدِّي مِنْهَا حَقَّهَا وَمِنْ حَقِّهَا حَلَبُهَا يَوْمَ وِرْدِهَا إِلَّا إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ بُطِحَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ أَوْفَرَ مَا كَانَتْ لَا يَفْقِدُ مِنْهَا فَصِيلًا وَاحِدًا تَطَؤُهُ بِأَخْفَافِهَا وَتَعَضُّهُ بِأَفْوَاهِهَا كُلَّمَا مَرَّ عَلَيْهِ أُولَاهَا رُدَّ عَلَيْهِ أُخْرَاهَا فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ الْعِبَادِ فَيَرَى سَبِيلَهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّار

‘জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূর ! উট সম্পর্কে কী হুকম ? অর্থাৎ কেউ যদি উটের জাকাত না দেয়, তার কী হবে? তিনি বললেন: উটের মালিক, যে তার জাকাত না দিবে, আর তার হকসমূহ থেকে পানি পানের তারিখে তার দুধ দোহন করাও একটি হক। যখন কিয়ামতের দিন আসবে, নিশ্চয় সেদিন তাকে এক সমতল ধু ধু ময়দানে উপুড় করে ফেলা হবে, আর তার উটের একটি বাচ্চাও সেদিন হারাবে না, আর তাকে তাদের ক্ষুর দ্বারা মাড়াতে থাকবে, এবং মুখ দ্বারা কামড়াতে থাকবে। এভাবে যখন শেষদল অতিক্রম করবে পুন:রায় প্রথমদল এসে পৌছবে। এরূপ করা হবে সেই দিনে যার পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা চূড়ান্ত না হবে। অত:পর সে তার পথ দেখতে পাবে জান্নাতের দিকে, না হয় জাহান্নামের দিকে।

ِ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَالْبَقَرُ وَالْغَنَمُ قَالَ وَلَا صَاحِبُ بَقَرٍ وَلَا غَنَمٍ لَا يُؤَدِّي مِنْهَا حَقَّهَا إِلَّا إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ بُطِحَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ لَا يَفْقِدُ مِنْهَا شَيْئًا لَيْسَ فِيهَا عَقْصَاءُ وَلَا جَلْحَاءُ وَلَا عَضْبَاءُ تَنْطَحُهُ بِقُرُونِهَا وَتَطَؤُهُ بِأَظْلَافِهَا كُلَّمَا مَرَّ عَلَيْهِ أُولَاهَا رُدَّ عَلَيْهِ أُخْرَاهَا فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ الْعِبَادِ فَيَرَى سَبِيلَهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ

‘জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল ! গরু এবং ছাগলের ক্ষেত্রে কী হবে ? তিনি বললেন; গরু ছাগলের মালিক যে তার হক আদায় করবে না অর্থাৎ জাকাত দিবে না, কিয়ামত দিবসে অবশ্যই তাকে এক ধু-ধু মাঠে উপুড় করে ফেলা হবে আর তার গরু ছাগলগুলির একটিও অনুপস্থিত থাকবে না, এবং তাতে একটিও ল্যাংড়া, শিং বিহীন ও কান কাটা হবে না। সেগুলো তাকে শিং দিয়ে মারতে থাকবে, ও ক্ষুর দ্বারা মাড়াতে থাকবে। যখন তাদের প্রথমদল অতিক্রম করবে, শেষদল এসে পৌছবে। এরূপ করা হবে সেদিন যেদিনের পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর বান্দাদের বিচারকার্য শেষ না হবে। অত:পর সে তার পথ দেখতে পাবে জান্নাতের দিকে, না হয় জাহান্নামের দিকে।

قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَالْخَيْلُ قَالَ الْخَيْلُ ثَلَاثَةٌ هِيَ لِرَجُلٍ وِزْرٌ وَهِيَ لِرَجُلٍ سِتْرٌ وَهِيَ لِرَجُلٍ أَجْرٌ فَأَمَّا الَّتِي هِيَ لَهُ وِزْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا رِيَاءً وَفَخْرًا وَنِوَاءً عَلَى أَهْلِ الْإِسْلَامِ فَهِيَ لَهُ وِزْرٌ وَأَمَّا الَّتِي هِيَ لَهُ سِتْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ لَمْ يَنْسَ حَقَّ اللَّهِ فِي ظُهُورِهَا وَلَا رِقَابِهَا فَهِيَ لَهُ سِتْرٌ وَأَمَّا الَّتِي هِيَ لَهُ أَجْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ لِأَهْلِ الْإِسْلَامِ فِي مَرْجٍ وَرَوْضَةٍ فَمَا أَكَلَتْ مِنْ ذَلِكَ الْمَرْجِ أَوْ الرَّوْضَةِ مِنْ شَيْءٍ إِلَّا كُتِبَ لَهُ عَدَدَ مَا أَكَلَتْ حَسَنَاتٌ وَكُتِبَ لَهُ عَدَدَ أَرْوَاثِهَا وَأَبْوَالِهَا حَسَنَاتٌ وَلَا تَقْطَعُ طِوَلَهَا فَاسْتَنَّتْ شَرَفًا أَوْ شَرَفَيْنِ إِلَّا كَتَبَ اللَّهُ لَهُ عَدَدَ آثَارِهَا وَأَرْوَاثِهَا حَسَنَاتٍ وَلَا مَرَّ بِهَا صَاحِبُهَا عَلَى نَهْرٍ فَشَرِبَتْ مِنْهُ وَلَا يُرِيدُ أَنْ يَسْقِيَهَا إِلَّا كَتَبَ اللَّهُ لَهُ عَدَدَ مَا شَرِبَتْ حَسَنَاتٍ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَالْحُمُرُ قَالَ مَا أُنْزِلَ عَلَيَّ فِي الْحُمُرِ شَيْءٌ إِلَّا هَذِهِ الْآيَةَ الْفَاذَّةُ الْجَامِعَةُ { فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ } . صحيح مسلم

‘তারপর বলা হলো, হে আল্লাহর রসূল ! ঘোড়ার হুকুম কী? তিনি বললেন: ঘোড়া তিন প্রকারের (ক) কারো জন্য গুনাহর কারণ (খ) কারো জন্য ঢাল স্বরূপ (গ) কারো জন্য সাওয়াবের উপকরণ স্বরূপ । যে ঘোড়া তার মালিকের জন্য গোনাহের কারণ, তা হলো সে ব্যক্তির ঘোড়া, যে তাকে বেধে রেখেছে লোক দেখানো, গর্ববোধ এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে শত্রুতার উদ্দেশ্যে, এ ঘোড়া হলো মালিকের জন্য গুনাহের কারণ। আর যে ঘোড়া তার মালিকের পক্ষে ঢাল স্বরূপ, তা হলো সে ব্যক্তির ঘোড়া যে তাকে আল্লাহর রাস্তায় বেধেছে অপ:পর তার ও তার পিঠ সম্পর্কে আল্লাহর হক বি:স্মৃত হয়নি । এ ঘোড়া হলো তার ঢাল স্বরূপ। আর যে ঘোড়া মালিকের পক্ষে সাওয়াবের কারণ, তা হলো সে ব্যক্তির ঘোড়া যে তাকে বেধেছে কোনো চারণ ভূমিতে বা ঘাসের বাগানে শুধু আল্লাহর রাস্তায় মুসলমানের জন্য। তখন তার ঘোড়া চারণভূমি অথবা বাগানের যা কিছু খাবে, সে পরিমাণে তার মালিকের জন্য নেকি লেখা হবে। আরো লেখা হবে তার গোবর ও প্রস্রাব সমপরিমাণ নেকি। আর যদি ঘোড়া তার রশি ছিড়ে একটি কিংবা দুটি মাঠও বিচরণ করে তবে নিশ্চয় তার পদচিহ্ন ও গোবরসমূহ পরিমাণ নেকী মালিকের জন্য লেখা হবে। আর যদি ঘোড়ার মালিক কোন নদীর পাশ দিয়ে অতিক্রম কালে ঘোড়া ঐ নদী থেকে পানি পান করে অথচ মালিকের পান করানো ইচ্ছা ছিল না। তার পরও আল্লাহ তাআলা পানি পানের পরিমাণ তাকে সাওয়াব দান করবেন।

‘অত:পর তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! গাধার ক্ষেত্রে হুকুম কী? তিনি বললেন: গাধার ব্যাপারে আমার প্রতি কিছু অবর্তীণ হয়নি, ব্যাপক অর্থবোধক এই আয়াতটি ব্যতীত যার অর্থ-যে ব্যক্তি অণু পরিমাণ ভাল কাজ করবে, সে তা প্রত্যক্ষ করবে আর যে এক অণু পরিমাণ মন্দকাজ করবে, সে তা প্রত্যক্ষ করবে। (অর্থাৎ গাধার জাকাত দিলে তারও সাওয়াব পাওয়া যাবে) [সহিহ মুসলিম]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন