HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
যিকিরের তাৎপর্য ও ফযীলত
লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল বাকী
একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে অসংখ্য শারীরিক তথা বাহ্যিক ইবাদত রয়েছে যে গুলো দ্বারা কেবল আল্লাহর যিকর করাই উদ্দেশ্য। বরং সকল মুমিনের জেনে রাখা উচিৎ যে আল্লাহর যিকর প্রতিষ্ঠা করার নিমিত্ত ঐ সব ইবাদতের প্রবর্তন ঘটেছে। তাহলে যিকরই কি সবচেয়ে বড় ইবাদত? পবিত্র কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ কি বলে? চার তরীকার বাইরেও কি আরও কোন যিকর আছে? কোথায়, কখন এবং কোন তরীকায় যিকর করতে হবে? বিশ্বময় মুসলিম সমাজে ইসলামের যত গুলো ইবাদত আজ অবহেলার শিকার হয়েছে, তারমধ্যে শীর্ষে রয়েছে যিকর। কিন্তু কেন?…..এসব প্রশ্নের তাত্ত্বিক সমাধান নিয়ে বক্ষ্যমাণ পুস্তিকা। আল্লাহ তায়ালা আমার আপনার সকলের পরকালিন নাজাতের সহায়ক করুন এই লিখনি!
বিনীত লেখক।
বিনীত লেখক।
ঈদের অপর নাম আনন্দ। এমন কোন জাতী নেই যাদের আনন্দের বিশেষ দিন নেই। মুসলিম জাতীর নির্মল আনন্দের উপলক্ষ হল দুই ঈদ। ধনী-গরীব, ছোট-বড় সকলেই ঈদে যেন আনন্দে অবগাহন করে। কিন্তু রকমারি খাবার আর রকমারি পোশাকের সাথে ইদানীং বাজারী নারীদের সুরেলা কণ্ঠ আর বাদ্য যন্ত্র, কুরুচিপূর্ণ সিডি ইত্যাদি ছাড়া যেন ঈদের আনন্দই জমে না। এই আনন্দময় দিবস গুলোতে তরুণ-তরুণীরা যেভাবে একাকার হয়ে যায় তা দেখে মনে হয় লজ্জায় শয়তান দূরে বসে কাঁদে আর আফসোস করে বলে: এতো জঘন্য শয়তানী মানুষ করুক তা আমিও চাইনি। এ ভাবে ঈদের আনন্দ ক্রমেই দুষিত হয়ে চলেছে।
অথচ অনাবিল আনন্দের এই দিন গুলোতে পবিত্র বিনোদনের পাশাপাশি প্রিয়তম মাবুদকে নিবিড় ভাবে স্মরণ করার কথা ছিল। কিন্তু তা জাতী আজ বেমালুম ভুলে গেছে। ঐ শুনুন আইয়ামে তাশরীক বা ঈদ এবং বড় ঈদের পর তিন দিন সম্পর্কে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কি বলেছেন! তিনি বলেছেন: “তোমরা জেনে রাখ এই দিন গুলো (মজার মজার) খানা খাওয়া, (মজার মজার) পান করা আর মহান আল্লাহকে স্মরণ করার বিশেষ দিন।” (মুসলিম, মিশকাত হা: নং ২০৫০)
অন্য এক স্থানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন যে, যেই ত্বাওয়াফ কি না হজ্জের একটি অন্যতম রোকন- সেই ত্বাওয়াফ দ্বারাও কেবল আল্লাহর যিকর ছাড়া অন্য কিছু উদ্দেশ্য নয়। সফা ও মারওয়ার মাঝে সাঈ করা এমন কি জামারায় পাথর মারার দ্বারাও আল্লাহর যিকর করাই উদ্দেশ্য। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ভাষায়: “বাইতুল্লায় ত্বাওয়াফ, সাফা-মারওয়ায় সাঈ এবং জামরায় পাথর নিক্ষেপের বিধান কেবল মাত্র আল্লাহর যিকর বাস্তবায়ন করার জন্য প্রবর্তন করা হয়েছে।”
সুতরাং দেখা যায় ঈদে এবং হজ্জের শুরুতে, মাঝে, এবং শেষে সর্বদাই আল্লাহর যিকর রয়েছে। যেমন-ইহরাম বাঁধার পর তালবিয়া পাঠ, ত্বাওয়াফের মধ্যে বিভিন্ন দোয়া, হাজারে আসওয়াদ এবং রুকনে ইয়ামানীর কাছে যিকরে ইলাহী, সাফা-মারওয়াতে উঠে আল্লাহর যিকর, সেখানে দাঁড়িয়ে কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহর যিকর, আরাফায় অবস্থান কালে আল্লাহর যিকর, আরাফা হতে ফেরার পথে, মুযদালাফায় রাত্রি যাপন, মুযদালিফা হতে ফেরার সময় ফজরের পর, মিনায় এবং সর্বত্রই মহান আল্লাহর যিকর বিদ্যমান।
হাদীস শাস্ত্রের বিদগ্ধ পণ্ডিত ইমাম বুখারী (র:) বলেন, মুমিন সম্প্রদায়ের অবিসংবাদিত ও ক্ষণ জন্মা নেতা হযরত ওমর ফারুক (রা:) মিনায় অবস্থান কালে তাঁর নিজের তাঁবুতে বসে উচ্চ আওয়াজে তাকবীর পাঠ করতেন। তা শুনে মসজিদের লোকেরা এবং পর্যায়ক্রমে বাজারের লোকেরা তাকবীর পাঠ করত। এমনকি তাকবীর ধনীতে সমগ্র মিনায় স্পন্দন শুরু হত। উক্ত দিন গুলোতে হযরত ইবনে ওমর (রা:) মিনায় অবস্থান কালে, সলাত শেষে, শয্যা গ্রহণ কালে, তাঁবুর মধ্যে, মজলিসে এবং পথ চলার সময় তাকবীর বলতেন। আবান বিন উসমান এবং ওমর বিন আব্দুল আজীজ (রহঃ) এর পেছনে নামায পড়ে মসজিদে পুরুষদের সাথে মহিলারাও নীরবে ঈদের তাকবীরের দ্বারা আল্লাহর যিকর করতেন।
-হযরত হাজেরা এবং হযরত ইসমাঈল (আঃ)এর ইতিহাস স্মরণ করার জন্য সফা-মারওয়া সাঈ নয়,
-পাপ কমাবে এজন্য হাজারে আসওয়াদে চুম্বন নয়,
-শয়তানকে মারার উদ্দেশ্যে জামারায় পাথর মারা নয়,
-গোস্ত খাওয়ার জন্য কুরবানী নয়,
-ব্যায়াম করার জন্য নামায নয়,-যেমনটা অনেকে মনে করে থাকে। বরং এসবই মহান আল্লাহকে স্মরণ কারার জন্য পালন করতে হয়।
অথচ অনাবিল আনন্দের এই দিন গুলোতে পবিত্র বিনোদনের পাশাপাশি প্রিয়তম মাবুদকে নিবিড় ভাবে স্মরণ করার কথা ছিল। কিন্তু তা জাতী আজ বেমালুম ভুলে গেছে। ঐ শুনুন আইয়ামে তাশরীক বা ঈদ এবং বড় ঈদের পর তিন দিন সম্পর্কে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কি বলেছেন! তিনি বলেছেন: “তোমরা জেনে রাখ এই দিন গুলো (মজার মজার) খানা খাওয়া, (মজার মজার) পান করা আর মহান আল্লাহকে স্মরণ করার বিশেষ দিন।” (মুসলিম, মিশকাত হা: নং ২০৫০)
অন্য এক স্থানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন যে, যেই ত্বাওয়াফ কি না হজ্জের একটি অন্যতম রোকন- সেই ত্বাওয়াফ দ্বারাও কেবল আল্লাহর যিকর ছাড়া অন্য কিছু উদ্দেশ্য নয়। সফা ও মারওয়ার মাঝে সাঈ করা এমন কি জামারায় পাথর মারার দ্বারাও আল্লাহর যিকর করাই উদ্দেশ্য। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ভাষায়: “বাইতুল্লায় ত্বাওয়াফ, সাফা-মারওয়ায় সাঈ এবং জামরায় পাথর নিক্ষেপের বিধান কেবল মাত্র আল্লাহর যিকর বাস্তবায়ন করার জন্য প্রবর্তন করা হয়েছে।”
সুতরাং দেখা যায় ঈদে এবং হজ্জের শুরুতে, মাঝে, এবং শেষে সর্বদাই আল্লাহর যিকর রয়েছে। যেমন-ইহরাম বাঁধার পর তালবিয়া পাঠ, ত্বাওয়াফের মধ্যে বিভিন্ন দোয়া, হাজারে আসওয়াদ এবং রুকনে ইয়ামানীর কাছে যিকরে ইলাহী, সাফা-মারওয়াতে উঠে আল্লাহর যিকর, সেখানে দাঁড়িয়ে কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহর যিকর, আরাফায় অবস্থান কালে আল্লাহর যিকর, আরাফা হতে ফেরার পথে, মুযদালাফায় রাত্রি যাপন, মুযদালিফা হতে ফেরার সময় ফজরের পর, মিনায় এবং সর্বত্রই মহান আল্লাহর যিকর বিদ্যমান।
হাদীস শাস্ত্রের বিদগ্ধ পণ্ডিত ইমাম বুখারী (র:) বলেন, মুমিন সম্প্রদায়ের অবিসংবাদিত ও ক্ষণ জন্মা নেতা হযরত ওমর ফারুক (রা:) মিনায় অবস্থান কালে তাঁর নিজের তাঁবুতে বসে উচ্চ আওয়াজে তাকবীর পাঠ করতেন। তা শুনে মসজিদের লোকেরা এবং পর্যায়ক্রমে বাজারের লোকেরা তাকবীর পাঠ করত। এমনকি তাকবীর ধনীতে সমগ্র মিনায় স্পন্দন শুরু হত। উক্ত দিন গুলোতে হযরত ইবনে ওমর (রা:) মিনায় অবস্থান কালে, সলাত শেষে, শয্যা গ্রহণ কালে, তাঁবুর মধ্যে, মজলিসে এবং পথ চলার সময় তাকবীর বলতেন। আবান বিন উসমান এবং ওমর বিন আব্দুল আজীজ (রহঃ) এর পেছনে নামায পড়ে মসজিদে পুরুষদের সাথে মহিলারাও নীরবে ঈদের তাকবীরের দ্বারা আল্লাহর যিকর করতেন।
-হযরত হাজেরা এবং হযরত ইসমাঈল (আঃ)এর ইতিহাস স্মরণ করার জন্য সফা-মারওয়া সাঈ নয়,
-পাপ কমাবে এজন্য হাজারে আসওয়াদে চুম্বন নয়,
-শয়তানকে মারার উদ্দেশ্যে জামারায় পাথর মারা নয়,
-গোস্ত খাওয়ার জন্য কুরবানী নয়,
-ব্যায়াম করার জন্য নামায নয়,-যেমনটা অনেকে মনে করে থাকে। বরং এসবই মহান আল্লাহকে স্মরণ কারার জন্য পালন করতে হয়।
এক- মনে মনে যিকর: অর্থাৎ মনে মনে বা কলবের মধ্যে আল্লাহকে সর্বদায় স্মরণ করা। তিনি কি করতে আদেশ করেছেন, কি করতে নিষেধ করেছন তা সারাক্ষণ খেয়াল করা। তার কোন বিধান থেকে উদাসীন বা গাফেল না থাকা। কোন্ কাজ করলে তিনি খুশি হবেন আর কোন্ কাজ করলে তিনি অসন্তুষ্ট হবেন সদা সোচ্চার থাকা। যে কাজই করিনা কেন তিনি সবই দেখছেন। একদিন তার সামনে দাড়িয়ে সারা জীবনের হিসেব পেশ করতে হবে। তিনি সন্তুষ্ট হলে জান্নাত দান করবেন আর অসন্তষ্ট হলে জাহান্নামের লেলিহান শিখায় জলতে হবে অনন্তকাল ধরে। এই অনুভূতি সমগ্র হৃদয় জুড়ে হামেশাই সজাগ রাখতে হবে। প্রতি নিয়ত তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে হবে। ভুলা যাবেনা ক্ষণিকের জন্যও । এটিই হল কলবের যিকর। এই যিকর হতে মুহূর্তের জন্য গাফেল হলেই যে কোন মুহূর্তে পদস্খলন অনিবার্য।
বিষয়টি বুঝার জন্য একটি উদাহরণ দেয়া যায়। ধরুন আপনি একলক্ষ টাকা সাথে নিয়ে বাজারে গিয়েছেন। সে টাকার কথা আপনি কেমন খেয়াল রাখবেন? মুহূর্তের জন্যও কি তা ভুলবেন? অবশ্যই নয়। কারণ আপনি ভাল করেই ঈমান রাখেন বা বিশ্বাস করেন যে, বে-খেয়াল হলেই যেকোনো মুহূর্তে সর্বনাস হয়ে যেতে পারে। এজন্য আপনি সাপ খেলা, বানর খেলা, ক্রিকেট খেলা কিংবা রাস্তায় দাড়িয়ে টেলিভিশনে কোন অনুষ্ঠান অবশ্যই দেখবেন না। এটা হল টাকার যিকর। এর চাইতে অধিক গুরুত্ব দিয়ে আল্লাহর যিকর করতে হবে। অর্থাৎ আল্লাহকে স্মরণ রাখতে হবে এবং খুব চৌকান্না থাকতে হবে। কারণ আপনাকে আল্লাহ থেকে উদাসীন করার জন্য ইবলিস আপনার ডানে বামে, সামনে পেছনে, হাটে বাজারে, মাঠে ঘাটে, বাড়িতে গাড়িতে, বন্ধুর নিকটে এমনকি আপনার রক্ত কণিকার মধ্যেও ভয়ংকর ফাঁদ পেতে রেখেছে। শয়তান বলেছে:
لَأَقْعُدَنَّ لَهُمْ صِرَاطَكَ الْمُسْتَقِيمَ
ثُمَّ لَآَتِيَنَّهُمْ مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ وَمِنْ خَلْفِهِمْ وَعَنْ أَيْمَانِهِمْ وَعَنْ شَمَائِلِهِمْ وَلَا تَجِدُ أَكْثَرَهُمْ شَاكِرِينَ
অর্থ: (হে আল্লাহ) তাদেরকে পথভ্রষ্ট করার জন্য আমি অবশ্যই অবশ্যই তোমার সরল পথে ও(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পেতে বসে থাকব; তারপর তাদের সামনে থেকে, পেছন থেকে, ডান দিক থেকে,বাম দিক থেকে (চতুর্দিক থেকে)তাদের নিকট আসব (এবং তাদেরকে বিভ্রান্ত করব) আর তুমি তাদের অধিকাংশকেই কৃতজ্ঞ পাবেনা। (সূরা আরাফ/১৬,১৭)
সমগ্র হৃদয় জুড়ে আল্লাহর স্মরণ ও যিকরকে উত্তম রূপে আবাদ রাখতে পারলে আল্লাহই আপনাকে হেফাজত করবেন শয়তানের সমস্ত ষড়যন্ত্র ও অনিষ্ট থেকে।
দুই-আমল বা কাজের মাধ্যমে যিকর: যেমন, তার প্রশংসা করা, গোপনে বা প্রকাশ্যে তার কাছে কিছু আবেদন-নিবেদন করা। তিনি আপনার কাছে যা-যা চান তা যত্ন সহকারে আদায় করে দেয়া। তিনি যেগুলো পছন্দ করেন সে গুলো আপনারও পছন্দের বিষয়ের তালিকায় স্থান পাওয়া। তিনি যা অপছন্দ করেন তা থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি। অন্য ভাবে বলা যায়:আল্লাহ প্রদত্ত বিধান অনুসরণের মাধ্যমে প্রমাণ রাখা যে প্রভু ! তোমাকে ভুলিনি, কখনই ভুলব না।
বিষয়টি বুঝার জন্য একটি উদাহরণ দেয়া যায়। ধরুন আপনি একলক্ষ টাকা সাথে নিয়ে বাজারে গিয়েছেন। সে টাকার কথা আপনি কেমন খেয়াল রাখবেন? মুহূর্তের জন্যও কি তা ভুলবেন? অবশ্যই নয়। কারণ আপনি ভাল করেই ঈমান রাখেন বা বিশ্বাস করেন যে, বে-খেয়াল হলেই যেকোনো মুহূর্তে সর্বনাস হয়ে যেতে পারে। এজন্য আপনি সাপ খেলা, বানর খেলা, ক্রিকেট খেলা কিংবা রাস্তায় দাড়িয়ে টেলিভিশনে কোন অনুষ্ঠান অবশ্যই দেখবেন না। এটা হল টাকার যিকর। এর চাইতে অধিক গুরুত্ব দিয়ে আল্লাহর যিকর করতে হবে। অর্থাৎ আল্লাহকে স্মরণ রাখতে হবে এবং খুব চৌকান্না থাকতে হবে। কারণ আপনাকে আল্লাহ থেকে উদাসীন করার জন্য ইবলিস আপনার ডানে বামে, সামনে পেছনে, হাটে বাজারে, মাঠে ঘাটে, বাড়িতে গাড়িতে, বন্ধুর নিকটে এমনকি আপনার রক্ত কণিকার মধ্যেও ভয়ংকর ফাঁদ পেতে রেখেছে। শয়তান বলেছে:
لَأَقْعُدَنَّ لَهُمْ صِرَاطَكَ الْمُسْتَقِيمَ
ثُمَّ لَآَتِيَنَّهُمْ مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ وَمِنْ خَلْفِهِمْ وَعَنْ أَيْمَانِهِمْ وَعَنْ شَمَائِلِهِمْ وَلَا تَجِدُ أَكْثَرَهُمْ شَاكِرِينَ
অর্থ: (হে আল্লাহ) তাদেরকে পথভ্রষ্ট করার জন্য আমি অবশ্যই অবশ্যই তোমার সরল পথে ও(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পেতে বসে থাকব; তারপর তাদের সামনে থেকে, পেছন থেকে, ডান দিক থেকে,বাম দিক থেকে (চতুর্দিক থেকে)তাদের নিকট আসব (এবং তাদেরকে বিভ্রান্ত করব) আর তুমি তাদের অধিকাংশকেই কৃতজ্ঞ পাবেনা। (সূরা আরাফ/১৬,১৭)
সমগ্র হৃদয় জুড়ে আল্লাহর স্মরণ ও যিকরকে উত্তম রূপে আবাদ রাখতে পারলে আল্লাহই আপনাকে হেফাজত করবেন শয়তানের সমস্ত ষড়যন্ত্র ও অনিষ্ট থেকে।
দুই-আমল বা কাজের মাধ্যমে যিকর: যেমন, তার প্রশংসা করা, গোপনে বা প্রকাশ্যে তার কাছে কিছু আবেদন-নিবেদন করা। তিনি আপনার কাছে যা-যা চান তা যত্ন সহকারে আদায় করে দেয়া। তিনি যেগুলো পছন্দ করেন সে গুলো আপনারও পছন্দের বিষয়ের তালিকায় স্থান পাওয়া। তিনি যা অপছন্দ করেন তা থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি। অন্য ভাবে বলা যায়:আল্লাহ প্রদত্ত বিধান অনুসরণের মাধ্যমে প্রমাণ রাখা যে প্রভু ! তোমাকে ভুলিনি, কখনই ভুলব না।
বাংলাদেশী মুসলমানদেরকে যিকর করতে বললে তারা সাধারণত: বুঝে ‘দল বদ্ধ হয়ে, আসে- বা জোরে, বিশেষ ভঙ্গিমায় এবং বিশেষ পদ্ধতিতে কোন একটা শব্দ বহুবার বলতে হবে। এবং তা কোন মাযার বা খানকা কেন্দ্রিক হবে, আর কোন পীরের তরীকায় হবে ইত্যাদি। এরা আসলে যিকরের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তির বেড়া জালে আটকা পড়েছে।
১. যিকর অর্থ স্মরণ করা। অর্থাৎ মনে মনে আল্লাহকে স্মরণ করা, তাঁর সৃষ্টি ও নেয়ামত রাজীর কথা স্মরণ করা ও ফিকর করা ইত্যাদি এ সবই আল্লাহর যিকিরের মধ্যে গণ্য।
২. আল কুরআন কে যিকর বলা হয়েছে:
وَأَنزَلْنَا إِلَيْكَ الذِّكْرَ ( ا لنحل : 44)
অর্থ: আমি আপনার কাছে যিকর নাজেল করেছি। (সূরা নাহাল: ৪৪) অর্থাৎ কুরআন নাজেল করেছি। তাই কুরআন তিলাওয়াত করলেও আল্লাহর যিকর আদায় হয়।
৩. নামাযের পরে পঠিতব্য দুয়া ও তাসবীহ তাহলীলকে যিকর বলা হয়েছে।
৪. যিকর মানে বিসমিল্লাহ বলা। (সূরা মায়েদাঃ ০৪)
৫. যিকর মানে আলোচনা করা। আত্বা বলেন: যে সকল মজলিসে হালাল-হারাম নিয়ে আলোচনা হয়, অথবা কি ভাবে আপনি ক্রয়-বিক্রয় করবেন, কি ভাবে সলাত ও সিয়াম আদায় করবেন, কি ভাবে বিবাহ করবেন, কি ভাবে তালাক দেবেন, কি ভাবে হজ্জ সম্পাদন কবেন ইত্যাদি দ্বীনী আলোচনা হয় তা সবই যিকিরের মজলিস।
৬. যিকর মানে ইলম বা জ্ঞান। আল্লাহ তায়ালা বলেন:
فَاسْأَلُواْ أَهْلَ الذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ / النحل : 43
অর্থ: তোমরা না জানলে যিকর ওয়ালাদের কাছে জিজ্ঞেস করে নাও। (সূরা নাহলঃ৪৩) অর্থাৎ আলেমগণের কাছে জিজ্ঞেস করে নাও। তাই আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং তাঁর দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা মানে আল্লাহর যিকর করা।
৭. যিকর অর্থ উপদেশ। (সূরা আম্বিয়া:১০)
৮. যিকর অর্থ খুৎবা বা বক্তব্য। হাদীছে এসেছে: হযরত আবুহুরাইরা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, জুমার দিনে মসজিদের দরজায় ফেরেশতাগণ দাড়িয়ে যান; পর্যায়ক্রমে লেখতে থাকেন প্রথমে আগমন কারীদের ফজিলত। সর্বপ্রথম আগমন কারী একটি উট কুরবানী করার মত সওয়াব লাভ করেন, পরের জন গরু, তারপরের জন দুম্বা, তারপরের জন মুরগী এবং তারপরের জন ডিম কুরবানী দেওয়ার মত সওয়াব লাভ করেন। অতঃপর ইমাম যখন বের হন, তখন তারা খাতা-পত্র গুটিয়ে রেখে মনোযোগ দিয়ে যিকর শুনতে শুরু করেন। (বুখারী আধুনিক প্রকাশনী হা: নং ৮৭৬, মুসলিম, মিশকাত হা: নং ১৩৮৪) অর্থাৎ খুৎবা শুনেন।
সুতরাং খুৎবা দেওয়া, খুৎবা শুনা, ইসলামী ওয়াজ, নসীহত, আলোচনা ইত্যাদি সবই আল্লাহ যিকর।
৯. যিকর হল সলাত বা নামায। আল্লাহ বলেন:
وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي / طه 14:
অর্থ: আর আমার যিকর করার জন্য সলাত আদায় কর। (সূরা ত্বাহা:১৪) সুতরাং সলাত আমায় করলে আল্লাহর যিকর আদায় হয়।
প্রিয় পাঠক এ ছাড়াও আরও অনেক যিকর রয়েছে যা রাসূলুল্লাহ ব এবং তাঁর সাহাবায়ে কেরাম আমল করেছেন। যেমন: মসজিদে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময়, বাড়িতে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার সময়, বাথরুমে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার সময়, ওজুর শুরুতে ও শেষে, গাড়িতে আরহনের সময়, সফরে বের হওয়া এবং সফর থেকে ফেরার সময়, খানা পিনার শুরু ও শেষে, ঘুমানোর আগে ও পরে ইত্যাদি। মোট কথা সারা দিন-রাতই আল্লাহর যিকর ও দুয়া পাঠ করা উচিৎ। এবং এ ভাবে বেশি বেশি এবং সর্বক্ষণ যিকর করা উচিৎ।
তাফসীরে কাশ্শাফের মধ্যে বলা হয়েছে – তাসবীহ পড়া যিকর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়া যিকর, আল্লাহর প্রশংসা করা যিকর, আল্লাহর একত্ববাদ ঘোষণা করা যিকর, সলাত যিকর, তিলাওয়াত যিকর, ইলম অর্জন করা যিকর। আল্লাহ তায়ালা একথাই বলেছেন পবিত্র কুরআনের মধ্যে। তিনি বলেছেন: “তোমরা বেশি বেশি আল্লাহর যিকর কর।”
মোট কথা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)দিন-রাত যেসব আমলে ব্যস্ত থাকতেন সেগুলো পালন করা মানেই যিকরে ইলাহিতে মশগুল থাকা। এর জন্য মসজিদে সমবেত হয়ে, চিৎকার করে কিংবা নেচে-গেয়ে যিকর করার কোনই মূল্য নেই ইসলামে।
২. আল কুরআন কে যিকর বলা হয়েছে:
وَأَنزَلْنَا إِلَيْكَ الذِّكْرَ ( ا لنحل : 44)
অর্থ: আমি আপনার কাছে যিকর নাজেল করেছি। (সূরা নাহাল: ৪৪) অর্থাৎ কুরআন নাজেল করেছি। তাই কুরআন তিলাওয়াত করলেও আল্লাহর যিকর আদায় হয়।
৩. নামাযের পরে পঠিতব্য দুয়া ও তাসবীহ তাহলীলকে যিকর বলা হয়েছে।
৪. যিকর মানে বিসমিল্লাহ বলা। (সূরা মায়েদাঃ ০৪)
৫. যিকর মানে আলোচনা করা। আত্বা বলেন: যে সকল মজলিসে হালাল-হারাম নিয়ে আলোচনা হয়, অথবা কি ভাবে আপনি ক্রয়-বিক্রয় করবেন, কি ভাবে সলাত ও সিয়াম আদায় করবেন, কি ভাবে বিবাহ করবেন, কি ভাবে তালাক দেবেন, কি ভাবে হজ্জ সম্পাদন কবেন ইত্যাদি দ্বীনী আলোচনা হয় তা সবই যিকিরের মজলিস।
৬. যিকর মানে ইলম বা জ্ঞান। আল্লাহ তায়ালা বলেন:
فَاسْأَلُواْ أَهْلَ الذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ / النحل : 43
অর্থ: তোমরা না জানলে যিকর ওয়ালাদের কাছে জিজ্ঞেস করে নাও। (সূরা নাহলঃ৪৩) অর্থাৎ আলেমগণের কাছে জিজ্ঞেস করে নাও। তাই আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং তাঁর দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা মানে আল্লাহর যিকর করা।
৭. যিকর অর্থ উপদেশ। (সূরা আম্বিয়া:১০)
৮. যিকর অর্থ খুৎবা বা বক্তব্য। হাদীছে এসেছে: হযরত আবুহুরাইরা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, জুমার দিনে মসজিদের দরজায় ফেরেশতাগণ দাড়িয়ে যান; পর্যায়ক্রমে লেখতে থাকেন প্রথমে আগমন কারীদের ফজিলত। সর্বপ্রথম আগমন কারী একটি উট কুরবানী করার মত সওয়াব লাভ করেন, পরের জন গরু, তারপরের জন দুম্বা, তারপরের জন মুরগী এবং তারপরের জন ডিম কুরবানী দেওয়ার মত সওয়াব লাভ করেন। অতঃপর ইমাম যখন বের হন, তখন তারা খাতা-পত্র গুটিয়ে রেখে মনোযোগ দিয়ে যিকর শুনতে শুরু করেন। (বুখারী আধুনিক প্রকাশনী হা: নং ৮৭৬, মুসলিম, মিশকাত হা: নং ১৩৮৪) অর্থাৎ খুৎবা শুনেন।
সুতরাং খুৎবা দেওয়া, খুৎবা শুনা, ইসলামী ওয়াজ, নসীহত, আলোচনা ইত্যাদি সবই আল্লাহ যিকর।
৯. যিকর হল সলাত বা নামায। আল্লাহ বলেন:
وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي / طه 14:
অর্থ: আর আমার যিকর করার জন্য সলাত আদায় কর। (সূরা ত্বাহা:১৪) সুতরাং সলাত আমায় করলে আল্লাহর যিকর আদায় হয়।
প্রিয় পাঠক এ ছাড়াও আরও অনেক যিকর রয়েছে যা রাসূলুল্লাহ ব এবং তাঁর সাহাবায়ে কেরাম আমল করেছেন। যেমন: মসজিদে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময়, বাড়িতে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার সময়, বাথরুমে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার সময়, ওজুর শুরুতে ও শেষে, গাড়িতে আরহনের সময়, সফরে বের হওয়া এবং সফর থেকে ফেরার সময়, খানা পিনার শুরু ও শেষে, ঘুমানোর আগে ও পরে ইত্যাদি। মোট কথা সারা দিন-রাতই আল্লাহর যিকর ও দুয়া পাঠ করা উচিৎ। এবং এ ভাবে বেশি বেশি এবং সর্বক্ষণ যিকর করা উচিৎ।
তাফসীরে কাশ্শাফের মধ্যে বলা হয়েছে – তাসবীহ পড়া যিকর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়া যিকর, আল্লাহর প্রশংসা করা যিকর, আল্লাহর একত্ববাদ ঘোষণা করা যিকর, সলাত যিকর, তিলাওয়াত যিকর, ইলম অর্জন করা যিকর। আল্লাহ তায়ালা একথাই বলেছেন পবিত্র কুরআনের মধ্যে। তিনি বলেছেন: “তোমরা বেশি বেশি আল্লাহর যিকর কর।”
মোট কথা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)দিন-রাত যেসব আমলে ব্যস্ত থাকতেন সেগুলো পালন করা মানেই যিকরে ইলাহিতে মশগুল থাকা। এর জন্য মসজিদে সমবেত হয়ে, চিৎকার করে কিংবা নেচে-গেয়ে যিকর করার কোনই মূল্য নেই ইসলামে।
সকল ইবাদতের উপলক্ষ হল আল্লাহর যিকর বা স্মরণ। অর্থাৎ আল্লাহ ইবাদত করতে বলেছেন, ইবাদত করলে তিনি সন’ষ্ট হবেন, জান্নাত দেবেন। ইবাদত না করলে তিনি অসন’ষ্ট হবেন, আমাকে ধরবেন এবং শাসি- দেবেন – এ জন্যই ইবাদত বন্দেগী করা উচিৎ। কিন্তু বহু মানুষ ইবাদতের আনুষ্ঠানিকতা পালন করলেও উহার দ্বারা আল্লাহর যিকর বা আল্লাহকে স্মরণ করার কাজটি বাস্তবায়িতই হয়না। আপনি খেয়াল করবেন, এমন লোকের সংখ্যা কম নয়, যারা ইবাদত করেন ঠিকই। কিন্তু বিভিন্ন স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ইবাদত করে থাকেন। সুনাম-সুখ্যাতি অর্জন, নেতৃত্ব লাভ, অর্থনৈতিক কিংবা বৈবাহিক সুবিধা অর্জন, অথবা সামাজিকতা রক্ষার্থেও অনেকে ইবাদত করেন। যেমন ওস্তাদকে বা শশুরকে খুশি করার জন্য নামায পড়া, ভোট নেয়ার জন্য যাকাত প্রদান, সমাজের লোকেরা হাজী সাহেব বলে ইজ্জত ও সম্মান করবে এ জন্য হজ্জ করা ইত্যাদি। এসব ইবাদতের সাথে আল্লাহর যিকরের দূরতমও সম্পর্ক থাকেনা।
অথচ ইবাদতের সাথে আল্লাহর যিকরের সম্পর্ক- ঠিক যেমন শরীরের সাথে রুহের সম্পর্ক। রুহ ছাড়া শরীর যেমন মৃত, তদ্রূপ আল্লাহর স্মরণ বা যিকর ছাড়া ইবাদতও মৃত। মহান আল্লাহর বাণী -وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ অর্থাৎ-“তুমি সলাত আদায় কর, নিশ্চয় সলাত অশ্লীল ও গর্হিত কাজ হতে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণই সবচেয়ে বড়।” (সূরা আনকাবুত/৪৫)
উক্ত আয়াতের তাফসীরে বহু উক্তি বিবৃত হয়েছে-তন্মধ্যে প্রসিদ্ধতম মত তিনটি। যথা:
১ম তাফসীর: এখানে আল্লাহ তায়ালা যিকরের পুরষ্কার সম্পর্কে বলেছেন ‘অবশ্যই আল্লাহর স্মরণই সবচেয়ে বড়। অর্থাৎ হে যিকর কারী! তুমি যে আল্লাহর যিকর কর, তার চেয়ে বড় কথা হল, আল্লাহ তোমার যিকর করেন। কারণ, তুমি যিকর করলে আল্লাহর রাজত্বে কিছুই বাড়েনা এবং তুমি আল্লাহর যিকর না করলে আল্লাহর রাজত্বে কিছুই ক্ষতি হয়না। অর্থাৎ আল্লাহর কিছুই যায় আসেনা।
কিন্তু আল্লাহ তোমার যিকর করলে তোমার জীবন ধন্য হয়ে যাবে। তোমার মর্যাদা বহু গুণে বেড়ে যাবে। একজন যিকর কারীর জন্য এ এক বিরাট পুরষ্কার এবং বিরল প্রাপ্তি যে, গ্রহ, নক্ষত্র, ভূমণ্ডল, নভোমণ্ডল এবং সমগ্র নিচয়ের স্রষ্টা এবং মালিক মহান আল্লাহ তাকে স্মরণ করবেন। ঠিক যেন এ কথাটিই আল্লাহ তায়ালা বুঝিয়েছেন ছোট্ট একটি আয়াতাংশে فَاذْكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ অর্থ: তোমরা আমার যিকর কর আমি তোমাদের যিকর করব। অর্থাৎ তোমরা আমাকে স্মরণ কর আমি তোমাদেরকে স্মরণ করব। তোমরা আমার প্রশংসা কর আমি তোমাদের প্রশংসা করব। তোমরা দুনিয়ায় আমাকে ভুলনা; তাহলে সেইদিন আমিও তোমাদেরকে ভুলব না। সুবহানাল্লাহ!
একটি হাদীসে কুদসীতে বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন - أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي وَأَنَا مَعَهُ إِذَا ذَكَرَنِي فَإِنْ ذَكَرَنِي فِي نَفْسِهِ ذَكَرْتُهُ فِي نَفْسِي وَإِنْ ذَكَرَنِي فِي مَلَإٍ ذَكَرْتُهُ فِي مَلَإٍ خَيْرٍ مِنْهُمْ অর্থ: আমার বান্দা আমার সম্পর্কে যে যেমন ধারনা পোষণ করে তার সাথে আমি সেই আচরণই করি। আর সে যখন আমাকে স্মরণ করে তখন আমি তার পাশেই থাকি। সে যদি আমাকে মনে মনে স্মরণ করে আমিও তাকে মনে মনে স্মরণ করি। সে যখন কোন সমাবেশে আমার আলোচনা করে তখন তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ সমাবেশে আমি তার আলোচনা করি। (বুখারী/৬৮৫৬,মুসলিম/৪৮৩২,মিশকাত/২২৬৪)
দ্বিতীয় তাফসীর: অবশ্যই আল্লাহর স্মরণই সবচেয়ে বড় এই বানীর ভাবার্থ হল, যাবতীয় আমল ও ইবাদতের মধ্যে আল্লাহর যিকরের চাইতে বড় আর কিছু নেই। বিখ্যাত তাবেঈ হযরত কাতাদাহ (র:) এই তাফসীর করেছেন।
তৃতীয় তাফসীর: সলাত তোমাকে গর্হিত এবং অশ্লীল কাজ হতে ফেরানোর চাইতে আল্লাহর স্মরণ তোমাকে সকল আল্লাহ বিরোধী, রুচি বিরোধী, সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী বক্রতা ও বিকৃতি থেকে ফেরাবে এটাই সব থেকে বড় কথা। এ প্রসঙ্গে হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) এর একটি তাফসীর মনে রাখা যেতে পারে। তিনি বলেন - وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ এখানে দুটি দিক রয়েছে। একটি হল, আল্লাহর যিকর অন্য সব কিছুর চাইতে বড়। অপরটি হল, তোমরা আল্লাহকে স্মরণ করার চাইতে আল্লাহ তোমাদেরকে স্মরণ করবেন এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।
হযরত আবুদ্দারদা (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক দিন এ সম্পর্কে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন:
وعن أبي الدرداء رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ” ألا أنبئكم بخير أعمالكم وأزكاها عند مليككم ؟
وأرفعها في درجاتكم ؟ وخير لكم من إنفاق الذهب والورق ؟ وخير لكم من أن تلقوا عدوكم فتضربوا أعناقهم ويضربوا أعناقكم ؟ ” قالوا : بلى قال : ” ذكر الله ” . رواه مالك وأحمد والترمذي وابن ماجه وصححه الألباني
অর্থাৎ: আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি আমল সম্পর্কে খবর দিব না –
-যেটি তোমাদের সবচেয়ে সেরা আমল।
-সেটি তোমাদের মালিকের নিকট সর্বাধিক প্রিয় আমল।
-সেই আমলটি দ্বারা তোমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়।
-সেই আমলটি তোমাদের মালিকের নিকট জিহাদের ময়দানে শত্রুর সাথে মুখোমুখি লড়াই এবং শত্রু নিধন করা অপেক্ষা অধিক উত্তম। এমনকি,
-সেই আমলটি আল্লাহর রাস্তায় নগদ দিনার, দিরহাম দান করার চাইতে মূল্যবান! সমবেত শ্রোতা বললেন জি হাঁ অবশ্যই! উত্তরে তিনি বললেন: সেই আমলটি হল আল্লাহকে স্মরণ করা। (মিশকাত/২২৬৯, হা: সহীহ)
অথচ ইবাদতের সাথে আল্লাহর যিকরের সম্পর্ক- ঠিক যেমন শরীরের সাথে রুহের সম্পর্ক। রুহ ছাড়া শরীর যেমন মৃত, তদ্রূপ আল্লাহর স্মরণ বা যিকর ছাড়া ইবাদতও মৃত। মহান আল্লাহর বাণী -وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ অর্থাৎ-“তুমি সলাত আদায় কর, নিশ্চয় সলাত অশ্লীল ও গর্হিত কাজ হতে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণই সবচেয়ে বড়।” (সূরা আনকাবুত/৪৫)
উক্ত আয়াতের তাফসীরে বহু উক্তি বিবৃত হয়েছে-তন্মধ্যে প্রসিদ্ধতম মত তিনটি। যথা:
১ম তাফসীর: এখানে আল্লাহ তায়ালা যিকরের পুরষ্কার সম্পর্কে বলেছেন ‘অবশ্যই আল্লাহর স্মরণই সবচেয়ে বড়। অর্থাৎ হে যিকর কারী! তুমি যে আল্লাহর যিকর কর, তার চেয়ে বড় কথা হল, আল্লাহ তোমার যিকর করেন। কারণ, তুমি যিকর করলে আল্লাহর রাজত্বে কিছুই বাড়েনা এবং তুমি আল্লাহর যিকর না করলে আল্লাহর রাজত্বে কিছুই ক্ষতি হয়না। অর্থাৎ আল্লাহর কিছুই যায় আসেনা।
কিন্তু আল্লাহ তোমার যিকর করলে তোমার জীবন ধন্য হয়ে যাবে। তোমার মর্যাদা বহু গুণে বেড়ে যাবে। একজন যিকর কারীর জন্য এ এক বিরাট পুরষ্কার এবং বিরল প্রাপ্তি যে, গ্রহ, নক্ষত্র, ভূমণ্ডল, নভোমণ্ডল এবং সমগ্র নিচয়ের স্রষ্টা এবং মালিক মহান আল্লাহ তাকে স্মরণ করবেন। ঠিক যেন এ কথাটিই আল্লাহ তায়ালা বুঝিয়েছেন ছোট্ট একটি আয়াতাংশে فَاذْكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ অর্থ: তোমরা আমার যিকর কর আমি তোমাদের যিকর করব। অর্থাৎ তোমরা আমাকে স্মরণ কর আমি তোমাদেরকে স্মরণ করব। তোমরা আমার প্রশংসা কর আমি তোমাদের প্রশংসা করব। তোমরা দুনিয়ায় আমাকে ভুলনা; তাহলে সেইদিন আমিও তোমাদেরকে ভুলব না। সুবহানাল্লাহ!
একটি হাদীসে কুদসীতে বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন - أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي وَأَنَا مَعَهُ إِذَا ذَكَرَنِي فَإِنْ ذَكَرَنِي فِي نَفْسِهِ ذَكَرْتُهُ فِي نَفْسِي وَإِنْ ذَكَرَنِي فِي مَلَإٍ ذَكَرْتُهُ فِي مَلَإٍ خَيْرٍ مِنْهُمْ অর্থ: আমার বান্দা আমার সম্পর্কে যে যেমন ধারনা পোষণ করে তার সাথে আমি সেই আচরণই করি। আর সে যখন আমাকে স্মরণ করে তখন আমি তার পাশেই থাকি। সে যদি আমাকে মনে মনে স্মরণ করে আমিও তাকে মনে মনে স্মরণ করি। সে যখন কোন সমাবেশে আমার আলোচনা করে তখন তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ সমাবেশে আমি তার আলোচনা করি। (বুখারী/৬৮৫৬,মুসলিম/৪৮৩২,মিশকাত/২২৬৪)
দ্বিতীয় তাফসীর: অবশ্যই আল্লাহর স্মরণই সবচেয়ে বড় এই বানীর ভাবার্থ হল, যাবতীয় আমল ও ইবাদতের মধ্যে আল্লাহর যিকরের চাইতে বড় আর কিছু নেই। বিখ্যাত তাবেঈ হযরত কাতাদাহ (র:) এই তাফসীর করেছেন।
তৃতীয় তাফসীর: সলাত তোমাকে গর্হিত এবং অশ্লীল কাজ হতে ফেরানোর চাইতে আল্লাহর স্মরণ তোমাকে সকল আল্লাহ বিরোধী, রুচি বিরোধী, সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী বক্রতা ও বিকৃতি থেকে ফেরাবে এটাই সব থেকে বড় কথা। এ প্রসঙ্গে হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) এর একটি তাফসীর মনে রাখা যেতে পারে। তিনি বলেন - وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ এখানে দুটি দিক রয়েছে। একটি হল, আল্লাহর যিকর অন্য সব কিছুর চাইতে বড়। অপরটি হল, তোমরা আল্লাহকে স্মরণ করার চাইতে আল্লাহ তোমাদেরকে স্মরণ করবেন এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।
হযরত আবুদ্দারদা (রা:) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক দিন এ সম্পর্কে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন:
وعن أبي الدرداء رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ” ألا أنبئكم بخير أعمالكم وأزكاها عند مليككم ؟
وأرفعها في درجاتكم ؟ وخير لكم من إنفاق الذهب والورق ؟ وخير لكم من أن تلقوا عدوكم فتضربوا أعناقهم ويضربوا أعناقكم ؟ ” قالوا : بلى قال : ” ذكر الله ” . رواه مالك وأحمد والترمذي وابن ماجه وصححه الألباني
অর্থাৎ: আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি আমল সম্পর্কে খবর দিব না –
-যেটি তোমাদের সবচেয়ে সেরা আমল।
-সেটি তোমাদের মালিকের নিকট সর্বাধিক প্রিয় আমল।
-সেই আমলটি দ্বারা তোমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়।
-সেই আমলটি তোমাদের মালিকের নিকট জিহাদের ময়দানে শত্রুর সাথে মুখোমুখি লড়াই এবং শত্রু নিধন করা অপেক্ষা অধিক উত্তম। এমনকি,
-সেই আমলটি আল্লাহর রাস্তায় নগদ দিনার, দিরহাম দান করার চাইতে মূল্যবান! সমবেত শ্রোতা বললেন জি হাঁ অবশ্যই! উত্তরে তিনি বললেন: সেই আমলটি হল আল্লাহকে স্মরণ করা। (মিশকাত/২২৬৯, হা: সহীহ)
চির কাঙ্ক্ষিত এবং চির প্রতীক্ষিত, প্রিয়তম প্রতিপালকের স্মরণেই অধীনের আত্মা শান্ত, পরিতৃপ্ত এবং নিশ্চিন্ত থাকে। আর এই পরিতৃপ্ত আত্মা নিয়ে বান্দা যে দিকেই এগুবে, অভাবনীয় কুদরতী সাফল্য তাকে ধরা দেবে। সম্ভবত এজন্যই মহান আল্লাহ বলেছেন – হে মুমিনগণ! কোন শত্রুদলের সাথে লড়াই কালে তোমরা অবিচল থেক আর খুব বেশি বেশি আল্লাহর যিকর কর, তাহলেই তোমাদের সাফল্য নিশ্চিত।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا إِذَا لَقِيتُمْ فِئَةً فَاثْبُتُوا وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ( سورة الأنفال /৪৫
(সূরা আনাল:৪৫)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا إِذَا لَقِيتُمْ فِئَةً فَاثْبُتُوا وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ( سورة الأنفال /৪৫
(সূরা আনাল:৪৫)
ঐ শুনুন আল্লাহ তায়ালা অন্য এক স্থানে কি বলছেন: যখন সলাত সমাপ্ত হয়ে যায়, তখন তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়, জীবিকা তালাশ কর আর বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ কর তাহলে তোমরা অবশ্যই সফল হবে।
فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانْتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِنْ فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ (সূরা জুমুয়াহঃ ১০)
প্রিয় পাঠক ! বেশি-বেশি আল্লাহর যিকর করলে শত্রুরা পরাজিত হবে এবং খাদ্য বাসস্থান বস্ত্র শিক্ষা ও চিকিৎসা সহ সব সমস্যার সমাধান সহজ হয়ে যাবে। আল্লাহু আকবার! তবুও কি আল্লাহর যিকর থেকে আমরা গাফেল থাকব?
সুধী! সমগ্র কুরআনই যিকরের তাৎপর্য ও বিশেষত্বের স্বাক্ষ্য বহন করছে। গোলাম যখনই তার মনিবকে স্মরণ করবে, তখনই তার কলব তাজা হবে, ঈমান সতেজ হবে, সাথে সাথেই সে চৌকান্না হবে। তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গের যার যা ডিউটি তা ঠিক ভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না খেয়াল করবে। কারণ, আল্লাহকে স্মরণ করার অর্থই হল সে বিশ্বাস করবে যে, মহান আল্লাহর জ্ঞান, দৃষ্টি ও ক্ষমতা সীমানার মধ্যে সে আবদ্ধ। তিনি তার চুপ কথা, কান কথা, মন কথা, এমনকি হৃদপিণ্ডে যে সব কথামালা কিংবা জল্পনা বা আলপনা আনা গুণা করে তা-ও আল্লাহ তায়ালা জানেন। তাই সে আল্লাহকে মনের আড়াল হতে দেবে না। তার জিহ্বাও চুপকরে বসে থাকবে না বরং সুযোগ পেলেই তার রবের খানিকটা প্রশংসা করে নেবে। কিংবা অন্যের সামনে তার প্রভুর দয়ার কথা কথা তুলে ধরবে। তার আঁখি যুগল কেবলই মহান স্রষ্টার অনুপম সৃষ্টি বৈচিত্র্যের দিকে অপলক চেয়ে থাকবে; খুঁজে ফিরবে শুধু প্রিয়তমের শৈল্পিক নৈপুণ্যটার প্রিয় নিদর্শন। কান থাকবে তার চরম ও পরম আরাধ্য এবং লা-শরীক উপাস্য আল্লাহর প্রশংসা, গুণগান, সুনাম আর মিষ্টি আলোচনা শ্রবণের জন্য সদা উৎকর্ণ ও উৎসুক। আর তার এই অবস্থাই তাকে তার স্রষ্টা ও মনিবের পূর্ণ ফরমাবর্দারী এবং হালাল-হারামের সকল সীমা-রেখা শ্রদ্ধা ও ভক্তির সাথে মেনে চলতে অনুপ্রাণিত করবে। মনিবের কাছে পাবে তার পদন্নোতি। এমন কি কখনো তার নিজের প্রবৃত্তি যদি তাকে পরাজিত করে, শয়তানী শক্তি যদি তাকে এক পলকের জন্যও করে দেয় উদাসীন, তাহলে সে সঙ্গে সঙ্গেই তার সমগ্র কুও(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাটিয়ে ছুটে আসবে তার প্রিয় মালিকের সান্নিধ্যে এবং আনত-অবনত মস্তকে বারবার ক্ষমা চেয়ে নিতে সে মোটেও কাল ক্ষেপণ করবে না। (তাড়া তাড়ি তওবা ও ইাস্তগফার করে নিবে।)
فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانْتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِنْ فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ (সূরা জুমুয়াহঃ ১০)
প্রিয় পাঠক ! বেশি-বেশি আল্লাহর যিকর করলে শত্রুরা পরাজিত হবে এবং খাদ্য বাসস্থান বস্ত্র শিক্ষা ও চিকিৎসা সহ সব সমস্যার সমাধান সহজ হয়ে যাবে। আল্লাহু আকবার! তবুও কি আল্লাহর যিকর থেকে আমরা গাফেল থাকব?
সুধী! সমগ্র কুরআনই যিকরের তাৎপর্য ও বিশেষত্বের স্বাক্ষ্য বহন করছে। গোলাম যখনই তার মনিবকে স্মরণ করবে, তখনই তার কলব তাজা হবে, ঈমান সতেজ হবে, সাথে সাথেই সে চৌকান্না হবে। তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গের যার যা ডিউটি তা ঠিক ভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না খেয়াল করবে। কারণ, আল্লাহকে স্মরণ করার অর্থই হল সে বিশ্বাস করবে যে, মহান আল্লাহর জ্ঞান, দৃষ্টি ও ক্ষমতা সীমানার মধ্যে সে আবদ্ধ। তিনি তার চুপ কথা, কান কথা, মন কথা, এমনকি হৃদপিণ্ডে যে সব কথামালা কিংবা জল্পনা বা আলপনা আনা গুণা করে তা-ও আল্লাহ তায়ালা জানেন। তাই সে আল্লাহকে মনের আড়াল হতে দেবে না। তার জিহ্বাও চুপকরে বসে থাকবে না বরং সুযোগ পেলেই তার রবের খানিকটা প্রশংসা করে নেবে। কিংবা অন্যের সামনে তার প্রভুর দয়ার কথা কথা তুলে ধরবে। তার আঁখি যুগল কেবলই মহান স্রষ্টার অনুপম সৃষ্টি বৈচিত্র্যের দিকে অপলক চেয়ে থাকবে; খুঁজে ফিরবে শুধু প্রিয়তমের শৈল্পিক নৈপুণ্যটার প্রিয় নিদর্শন। কান থাকবে তার চরম ও পরম আরাধ্য এবং লা-শরীক উপাস্য আল্লাহর প্রশংসা, গুণগান, সুনাম আর মিষ্টি আলোচনা শ্রবণের জন্য সদা উৎকর্ণ ও উৎসুক। আর তার এই অবস্থাই তাকে তার স্রষ্টা ও মনিবের পূর্ণ ফরমাবর্দারী এবং হালাল-হারামের সকল সীমা-রেখা শ্রদ্ধা ও ভক্তির সাথে মেনে চলতে অনুপ্রাণিত করবে। মনিবের কাছে পাবে তার পদন্নোতি। এমন কি কখনো তার নিজের প্রবৃত্তি যদি তাকে পরাজিত করে, শয়তানী শক্তি যদি তাকে এক পলকের জন্যও করে দেয় উদাসীন, তাহলে সে সঙ্গে সঙ্গেই তার সমগ্র কুও(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খাটিয়ে ছুটে আসবে তার প্রিয় মালিকের সান্নিধ্যে এবং আনত-অবনত মস্তকে বারবার ক্ষমা চেয়ে নিতে সে মোটেও কাল ক্ষেপণ করবে না। (তাড়া তাড়ি তওবা ও ইাস্তগফার করে নিবে।)
কিতাবুল্লাহর একটি ফরমান হল, যারা বেশি বেশি তাদের রবকে স্মরণ করতে চায় বা আল্লাহর যিকর করতে চায় তারা যেন এর তরীকাটা প্রিয় রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট হতে গ্রহণ করে। ঐ শুনুন আল্লাহর বাণী لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآَخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا অর্থাৎ ; যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালিন সাফল্য কামনা করে এবং বেশী বেশি আল্লাহকে স্মরণ করতে চায় তাদের জন্য অবশ্যই উত্তম আদর্শ রয়েছে আল্লাহর রাসূলের মধ্যে। (সূরা আহযাব/২১)
এখানে একথাও অস্পষ্ট রইল না যে, কাদেরিয়া, চিশতিয়া, নকশবন্দিয়া, মুজাদ্দেদিয়া, সারসিনা, চরমোনাই, আটরোশি, মাইজভাণ্ডারী ইত্যাদি-এ সব মানব রচিত তরীকায় যিকর করা মোটেও দলীল সিদ্ধ নয়; যিকর করতে হবে কেবলমাত্র মুহাম্মাদী তরীকায়।
মহান আল্লাহ বলেন:
{ وَاذْكُر رَّبَّكَ فِي نَفْسِكَ تَضَرُّعاً وَخِيفَةً وَدُونَ الْجَهْرِ مِنَ الْقَوْلِ بِالْغُدُوِّ وَالآصَالِ وَلاَ تَكُن مِّنَ الْغَافِلِينَ } الأعراف ২০৫
অর্থ: তোমার রবকে মনে মনে বিনয় নম্র ও ভয়-ভীতি সহকারে এবং অনুচ্চস্বরে সকাল-সন্ধ্যা স্মরণ করবে, আর গাফেল বা উদাসীন থাকবে না। (সূরা আরাফঃ২০৫)
অত্র আয়াতে কারীমার মধ্যে যিকরের পদ্ধতি পরিষ্কার ভাবে বর্ণিত হয়েছে। বলা বাহুল্য, অতি ইচ্চ আওয়াজে, দলবদ্ধ হয়ে এবং বিভিন্ন পীরের পদ্ধতিতে যিকর নামে অনেক ভায়েরা যা করেন তাতে কোন বিনয় বা নম্রতা থাকে না। যার যিকর কলা হচ্ছে তাঁর প্রতি কোন ভয়-ভীতি এবং শ্রদ্ধাবোধের কোন বালাই থাকে না। আর উচ্চ আওয়াজে বা চিৎকার করে যিকর করার কারণে আল্লাহর নাফরমানী করা হয়। এতে দলীয় উদ্দেশ্য পূরণ হলেও যিকরের মূল লক্ষ হাসিল হয়না।
মহান আল্লাহ আরও বলেন:
ادْعُواْ رَبَّكُمْ تَضَرُّعاً وَخُفْيَةً إِنَّهُ لاَ يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ
অর্থ: তোমরা বিনয়ের সাথে এবং গোপনে তোমাদের প্রতিপালককে ডাক, যারা বাড়াবাড়ি করে তাদেরকে তিনি ভাল বাসেন না। (সূরা আরাফঃ৫৫)
সুধী পাঠক! যিনি বা যারা আল্লাহর দেয়া স্পষ্ট পদ্ধতি পরিহার করে মানুষের তৈরীকার পদ্ধতিতে চিৎকার করে যিকর করেন তারা কি বাড়াবাড়ি করছেন না?
আল্লাহর প্রিয় বান্দা হযরত জাকারিয়া (আঃ) এর যিকরের পদ্ধতি আল্লাহ তায়ালা তুলে ধরেছেন এ ভাবে: إِذْ نَادَى رَبَّهُ نِدَاء خَفِيّاً অর্থ: “যখন তিনি (জাকারিয়া (আঃ)) তাঁর প্রতিপালককে গোপনে ডাকলেন।” (সূরা মারইয়ামঃ০৩)
অনুচ্চ আওয়াজে যিকর করা যে আল্লাহর পছন্দ তা পরিষ্কার বুঝা গেল। আর এজন্যই রাসূলুল্লাহ ব এবং তাঁর কোন সাহাবী কখন চিৎকার করে আল্লাহকে ডাকতেন না। একদা কতিপয় সাহাবী জোরে জোরে দুয়া করতে শুরু করলে রাসূলুল্লাহ ব তাদেরকে নিবৃত করলেন এবং বললেন যাকে তোমরা ডাকছ তিনি অতি নিকটবর্তী এবং সর্ব শ্রোতা! এরূপ বহু প্রমাণ সুন্নতে মুত্বাহ্হারতে বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু শুধু অন্ধরাই তা দেখেনা, বধিরেরা তা শুনে না এবং বেইকূফেরাই তা উপলব্ধি করে না।
এখানে একথাও অস্পষ্ট রইল না যে, কাদেরিয়া, চিশতিয়া, নকশবন্দিয়া, মুজাদ্দেদিয়া, সারসিনা, চরমোনাই, আটরোশি, মাইজভাণ্ডারী ইত্যাদি-এ সব মানব রচিত তরীকায় যিকর করা মোটেও দলীল সিদ্ধ নয়; যিকর করতে হবে কেবলমাত্র মুহাম্মাদী তরীকায়।
মহান আল্লাহ বলেন:
{ وَاذْكُر رَّبَّكَ فِي نَفْسِكَ تَضَرُّعاً وَخِيفَةً وَدُونَ الْجَهْرِ مِنَ الْقَوْلِ بِالْغُدُوِّ وَالآصَالِ وَلاَ تَكُن مِّنَ الْغَافِلِينَ } الأعراف ২০৫
অর্থ: তোমার রবকে মনে মনে বিনয় নম্র ও ভয়-ভীতি সহকারে এবং অনুচ্চস্বরে সকাল-সন্ধ্যা স্মরণ করবে, আর গাফেল বা উদাসীন থাকবে না। (সূরা আরাফঃ২০৫)
অত্র আয়াতে কারীমার মধ্যে যিকরের পদ্ধতি পরিষ্কার ভাবে বর্ণিত হয়েছে। বলা বাহুল্য, অতি ইচ্চ আওয়াজে, দলবদ্ধ হয়ে এবং বিভিন্ন পীরের পদ্ধতিতে যিকর নামে অনেক ভায়েরা যা করেন তাতে কোন বিনয় বা নম্রতা থাকে না। যার যিকর কলা হচ্ছে তাঁর প্রতি কোন ভয়-ভীতি এবং শ্রদ্ধাবোধের কোন বালাই থাকে না। আর উচ্চ আওয়াজে বা চিৎকার করে যিকর করার কারণে আল্লাহর নাফরমানী করা হয়। এতে দলীয় উদ্দেশ্য পূরণ হলেও যিকরের মূল লক্ষ হাসিল হয়না।
মহান আল্লাহ আরও বলেন:
ادْعُواْ رَبَّكُمْ تَضَرُّعاً وَخُفْيَةً إِنَّهُ لاَ يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ
অর্থ: তোমরা বিনয়ের সাথে এবং গোপনে তোমাদের প্রতিপালককে ডাক, যারা বাড়াবাড়ি করে তাদেরকে তিনি ভাল বাসেন না। (সূরা আরাফঃ৫৫)
সুধী পাঠক! যিনি বা যারা আল্লাহর দেয়া স্পষ্ট পদ্ধতি পরিহার করে মানুষের তৈরীকার পদ্ধতিতে চিৎকার করে যিকর করেন তারা কি বাড়াবাড়ি করছেন না?
আল্লাহর প্রিয় বান্দা হযরত জাকারিয়া (আঃ) এর যিকরের পদ্ধতি আল্লাহ তায়ালা তুলে ধরেছেন এ ভাবে: إِذْ نَادَى رَبَّهُ نِدَاء خَفِيّاً অর্থ: “যখন তিনি (জাকারিয়া (আঃ)) তাঁর প্রতিপালককে গোপনে ডাকলেন।” (সূরা মারইয়ামঃ০৩)
অনুচ্চ আওয়াজে যিকর করা যে আল্লাহর পছন্দ তা পরিষ্কার বুঝা গেল। আর এজন্যই রাসূলুল্লাহ ব এবং তাঁর কোন সাহাবী কখন চিৎকার করে আল্লাহকে ডাকতেন না। একদা কতিপয় সাহাবী জোরে জোরে দুয়া করতে শুরু করলে রাসূলুল্লাহ ব তাদেরকে নিবৃত করলেন এবং বললেন যাকে তোমরা ডাকছ তিনি অতি নিকটবর্তী এবং সর্ব শ্রোতা! এরূপ বহু প্রমাণ সুন্নতে মুত্বাহ্হারতে বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু শুধু অন্ধরাই তা দেখেনা, বধিরেরা তা শুনে না এবং বেইকূফেরাই তা উপলব্ধি করে না।
মনে মনে যিকরের জন্য কোন সময় বা শর্ত নির্ধারিত নেই। তাই প্রতিনিয়ত কলবের মধ্যে আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে। আর মৌখিক তথা আমলের মাধ্যমে শুধু পেশাব পায়খানার সময় ব্যতীত দিন রাত ২৪ ঘন্টাই আল্লাহর যিকর করা যায়। এমনকি শরীর নাপাক থাকলে কুরআন শরীফ স্পর্শ না করে মুখে মুখে তিলাওয়াত সহ যেকোনো যিকর করা যায়। তবে বিশেষ বিশেষ সময়ে আল্লাহ তাআলা এবং তার রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যিকর করতে উৎসাহিত করেছেন। যেমন-
*সলাতের পর,
*জিহাদের ময়দানে কাফেরদের সাথে লড়াই চলাকালে,
*রাতের শেষ প্রহরে সাহরীর ওয়াক্তে,
*সকাল এবং সন্ধ্যায়,
*নির্জনে,
*ঈদের দিন গুলোতে,
*ত্বাওয়াফ করার সময়,
*আরাফাতে অবস্থান কালে,
*আরাফাত হতে মুযদালিফায় গমণ কালে,
*মুযদালিফায় রাত্রি যাপন কালে,
*মুযদালিফা হতে প্রত্যাবর্তনের সময় (ফজরের পর),
*মিনায় অবস্থান কালে,
*আযান, অজু, ইস্তিঞ্জা, পানাহার, পোশাক পরিধান, স্ত্রী মিলন, ঘুম ইত্যাদির আগে ও পরে,
*সফরে, বাজারে, মসজিদে প্রবেশ এবং প্রস্থান, গাড়িতে আরহণ, বাড়িতে প্রত্যাগমন কিংবা প্রস্থানের সময়,
*ঝড়-বৃষ্টির সময়, আনন্দ, বিষাদ এবং বিপদের সময় যিকর করার জন্য ইসলাম বিশেষ ভাবে উৎসাহিত করেছে।
*সলাতের পর,
*জিহাদের ময়দানে কাফেরদের সাথে লড়াই চলাকালে,
*রাতের শেষ প্রহরে সাহরীর ওয়াক্তে,
*সকাল এবং সন্ধ্যায়,
*নির্জনে,
*ঈদের দিন গুলোতে,
*ত্বাওয়াফ করার সময়,
*আরাফাতে অবস্থান কালে,
*আরাফাত হতে মুযদালিফায় গমণ কালে,
*মুযদালিফায় রাত্রি যাপন কালে,
*মুযদালিফা হতে প্রত্যাবর্তনের সময় (ফজরের পর),
*মিনায় অবস্থান কালে,
*আযান, অজু, ইস্তিঞ্জা, পানাহার, পোশাক পরিধান, স্ত্রী মিলন, ঘুম ইত্যাদির আগে ও পরে,
*সফরে, বাজারে, মসজিদে প্রবেশ এবং প্রস্থান, গাড়িতে আরহণ, বাড়িতে প্রত্যাগমন কিংবা প্রস্থানের সময়,
*ঝড়-বৃষ্টির সময়, আনন্দ, বিষাদ এবং বিপদের সময় যিকর করার জন্য ইসলাম বিশেষ ভাবে উৎসাহিত করেছে।
এছাড়া-যে কোন ছোট্ট অবসরেও যিকর করে নেয়া যায়। যেমন গাড়ির অপেক্ষায় স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছেন। কারো আগমনের অপেক্ষায় বসে আছেন। গাড়ি চালাচ্ছেন। কম্পিউটারে প্রিন্ট কমান্ড দিয়ে বসে আছেন। পায়ে হেটে কোথাও যাচ্ছেন। অফিস, কারখানা, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, কিংবা ক্ষেত-খামারে হাতের কাজ চলাকালে নি:রবে যিকর করে অফুরান্ত ছওয়াব সঞ্চয় করে নেয়া সম্ভব। এসব ক্ষেত্র হল যিকরের জন্য বোনাস টাইম বা স্বর্ণ মুহূর্ত।
এ সকল মুহূর্তে যারা মহান আল্লাহকে দোয়া ও যিকরের মাধ্যমে স্মরণ করেন, মহান আল্লাহ তাদেরকে বিবেকবান তথা বুদ্ধিমান বলে আখ্যায়িত করেছেন। কারণ, এরা নদীর কলতান, পাখির কলকাকলি, সাগরের উর্মিমালা, সুরভিত পুষ্প আর প্রেমাবেশ মাখা জ্যোৎস্না ৱাত শুক্লাদাদশী চাঁদের দিকে উদাস নয়নে চেয়ে চেয়ে শুধু কবিতাই রচনা করেনা, বরং এগুলো যার সৃষ্টি এবং যার অবারিত অনুগ্রহ, তাঁর জন্য প্রশংসা করে বলে উঠে সুবহানাল্লাহ…..,প্রতিপালক! তুমি এগুলো অযথা সৃষ্টি করনি! মোট কথা এরা বৃহৎ কিংবা অতি ক্ষুদ্র উৎস হতে সহজেই হেদায়েতের তালীম হাসিল করতে পারে। তাই বুদ্ধি জীবী না হলেও এরা বুদ্ধিমান অবশ্যই। মহান আল্লাহ কি বলেছেন দেখুন
إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لَآَيَاتٍ لِأُولِي الْأَلْبَابِ الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَى جُنُوبِهِم
অর্থ: নিশ্চয় ভূ-মণ্ডল ও নভোমণ্ডলের সৃষ্টি বৈচিত্র এবং রজনী ও দিবসের বিবর্তনের মধ্যে অনেক নিদর্শন লুকিয়ে আছে ঐসব বিবেকবানদের জন্য যারা দাঁড়ানো, উপবেশন এবং শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে তথা আল্লাহর যিকর করে………।(সূরা আালু ইমরান/১৯০,১৯১)
চূড়ান্ত সাফল্য লাভের জীবন যুদ্ধে এমন সুযোগ যারা অবলীলায় অবহেলায় হাত ছাড়া করে তারা সত্যিই নির্বোধ। এদের কপালে রয়েছে অনেক দুর্ভোগ। যিকিরের জন্য কোন ধরণ নেই, পদ্ধতি নেই, শর্ত নেই, অন্য কাজের ক্ষতি হয়না, এমনকি মসজিদে যাবার প্রয়োজন পড়ে না। তবু কেন পাগল মানুষ যিকর হতে এতো উদাসীন? এর দুটি কারণ হতে পারে। যথা:
এক – দুনিয়া উপার্জনের ব্যস্ততা এদের কে এতোটাই তাড়া করে যে, আল্লাহর যিকরের কথা এদের মনেই আসে না। কারণ দুনিয়ার সম্পদ এমন আকর্ষণীয় ও লোভনীয় বস’, দুনিয়ার ভোগ বিলাস ও চাক-চিক্ক এতো আরাম দায়ক এবং মজাদার যে, এসবের মধ্যে যে ব্যক্তি একবার মগ্ন হবে তার আল্লাহর স্মরণ শিথিল হয়ে যাবে। আল্লাহর স্মরণ তার কাছে নিরর্থক ও নি:ষ্প্রয়োজন মনে হবে। আল্লাহকে স্মরণ করার প্রয়োজনই সে অনুভব করবেনা। কখনো বা স্মরণ করলেও তার স্বাদ পাবেনা এবং মজা ও আকর্ষণ থাকবেনা। এভাবেই মানুষ ধীরে ধীরে আল্লাহর যিকর থেকে দূরে সরে যায়। মহান প্রভু এরশাদ করেন -يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا لَا تُلْهِكُمْ أَمْوَالُكُمْ وَلَا أَوْلَادُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ فَأُولَئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ অর্থ: ওহে মুমিনগণ! তোমাদের সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর যিকর তথা আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন করে দিতে না পারে। এমনটা যাদের ঘটবে তারাই তো ধ্বংস। (সূরা জুমুয়াহ/৯)
তাহলে কি আমরা দুনিয়া উপার্জন এবং আনন্দ-বিনোদন করবোনা ? এর উত্তর হল,আমরা এগুলো করবো অবশ্যই তবে আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নয়; তাকে স্মরণে রেখে।
তাই, যারা সফল ও সচেতন মুমিন তাদের একটা বড় বৈশিষ্ট্য হল, ব্যবসা, সফর, দোকান, চাকরী, সন্তান, পরিবার, বন্ধু, আনন্দ-বেদনা, বিরহ-যাতনা কোন কিছুই তাদেরকে আল্লাহর যিকর থেকে গাফেল রাখতে পারেনা। পবিত্র কুরআনে এদের প্রশংসা করে আল্লাহ তায়ালা বলেন, رِجَالٌ لَا تُلْهِيهِمْ تِجَارَةٌ وَلَا بَيْعٌ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ وَ إِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ يَخَافُونَ يَوْمًا تَتَقَلَّبُ فِيهِ الْقُلُوبُ وَالْأَبْصَارُ অর্থ: তারা এমন লোক, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্রয়-বিক্রয় (কোন কছুই) আল্লাহর যিকর, সলাত কায়েম এবং যাকাত আদায় করা হতে বিরত রাখতে পারেনা; তারা ভয় করে সেদিনকে, যেদিন তাদের অন্তর ও দৃষ্টি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। (সূরা নূর/৩৭)
অনুরূপ, যারা কুরুচিপূর্ণ ফিল্ম, নাটক, সিরিয়াল, টিভি, সিডি, ইত্যাদিতে মত্ত হবে তার কাছেও কুরআন-হাদীসের কোন কথাই ভাল লাগবেনা বা স্বাদ লাগবে না। বরং তার কাছে এসব খুবই বিরক্তিকর মনে হবে। কারণ, ঐ সব অপবিত্র বিনোদনগুলোই হল আল্লাহর স্মরণ থেকে মানুষকে দূরে সরাবার জন্য পাতানো শয়তানী চক্রের বিপদজনক ফাঁদ। এ ফাঁদে যারা আটকা পড়েছে, তারা সারাদিন এসব তুচ্ছ ও অপবিত্র বিনোদনে সময় কাটালেও ক্ষণিকের জন্য তাদেরকে কুরআন শিখতে বসাতে কষ্ট হয়।
২য় -আর একটি কারণে বহু মানুষ আল্লাহকে ভুলে যাচ্ছে। আর তা হল, তথাকথিত তরীকত পন্থীদের বিভিন্ন ভঙ্গিমার আজব যিকর আবিষ্কার । যেমন ছয় লতিফার যিকর, তবলার তলেতলে যিকর, নারী-পুরুষের সম্মিলিত যিকর, ইল্লাল্লাহ ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আল্লাহু, হু হু ইত্যাদি। এ সকল যিকরের বিক্রিত বাজারে আসল যিকর তার পরিচয় হারিয়ে ফেলেছে। আর পরিতাপের বিষয় হল, পীর সাহেবদের আবিষ্কৃত বিদআতী যিকরকে মানুষ আজ প্রকৃত যিকর বলে মনে করে। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কর্তৃক প্রবর্তিত যিকরকে যিকরই মনে করেনা। মূলত: এরা সপ্তাহের এক কিংবা দুই সন্ধ্যায় তথাকথিত যিকর করার দ্বারা প্রতিমুহূর্তের আসল যিকর থেকে উদাসীন থাকছে। আলেমগণ সঙ্গতই বলেছেন, যেখানে একটি বিদআত বা মানব রচিত প্রথা চালু হয় সেখান থকে একটি সুন্নত বা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর রেখে যাওয়া তরীকা হারিয়ে যায় বা উঠে যায়। সত্যিই কত মানুষ আজ বরকতময় সুন্নতকে কবর দিয়ে মানুষের মস্তিস্ক প্রসূত পদ্ধতি ও প্রথার পেছনে ছুটতে গিয়ে নিজেদের অজান্তে আল্লাহর যিকরকে হারিয়ে ফেলেছে। এদের জান্নাত যাওয়ার পথ যে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে তা ভাবতেও গা শিউরে উঠে।
মানুষের তৈরি করা এই যিকরে শরীর গরম হলেও ঈমান ঠাণ্ডা হয়ে যায়। তারা এই যিকর করে বে-হুশ হয়ে পড়ে থাকে। পরে হুশ ফিরে পেলেও ঈমান আর ফিরে পায়না। এরা বাদ্য ও নারীর উষ্ণ আমেজে যিকর করলেও হাউজে কাউসারের পানি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এদেরকে কখনোই পান করেতে দিবেন না।
একথা যেমন স্বতঃসিদ্ধ যে, ওজু, গোসল, জুব্বা, দাড়ি, টুপি, আতর, খোশবু, লম্বা পাগড়ি, ইত্যাদি সবই আচ্ছা মত লাগিয়ে আউযু বিল্লাহ… বিসমিল্লাহ… দরুদ শরীফ, কোরআন শরীফ ইত্যাদি খতম দিয়ে, মসজিদের মেহরাবের মধ্যে বসে যদি কেউ এক চুমুক বিষ পান করে তাহলে নিশ্চিত তাকে কবরে যেতে হবে। একে এক হাজার বার মধু ভেবে পান করলেও কোন লাভ হবেনা। কারণ, সব ঠিক আছে; শুধু যেটা পান করছে সেটা ঠিক নয়। অনুরূপই, কেউ খালেস নিয়ত, পূর্ণ একাগ্রতা, জান্নাত লাভের উদগ্র বাসনা ও ঐকানি-ক প্রত্যয় বুকে নিয়ে, টুপি-দাড়ি ইত্যাদি লাগিয়ে যদি তরীকতের যিকর করে, সেও কখনোই আল্লাহর অসন’ষ্টি থেকে বাঁচতে পারবেনা। কারণ এদেরও সবকিছু ঠিক আছে; শুধু যে আমলটা করছে সেটা ইবাদত নয়, ওটা বিদআত নামক বিষ!
إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لَآَيَاتٍ لِأُولِي الْأَلْبَابِ الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَى جُنُوبِهِم
অর্থ: নিশ্চয় ভূ-মণ্ডল ও নভোমণ্ডলের সৃষ্টি বৈচিত্র এবং রজনী ও দিবসের বিবর্তনের মধ্যে অনেক নিদর্শন লুকিয়ে আছে ঐসব বিবেকবানদের জন্য যারা দাঁড়ানো, উপবেশন এবং শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে তথা আল্লাহর যিকর করে………।(সূরা আালু ইমরান/১৯০,১৯১)
চূড়ান্ত সাফল্য লাভের জীবন যুদ্ধে এমন সুযোগ যারা অবলীলায় অবহেলায় হাত ছাড়া করে তারা সত্যিই নির্বোধ। এদের কপালে রয়েছে অনেক দুর্ভোগ। যিকিরের জন্য কোন ধরণ নেই, পদ্ধতি নেই, শর্ত নেই, অন্য কাজের ক্ষতি হয়না, এমনকি মসজিদে যাবার প্রয়োজন পড়ে না। তবু কেন পাগল মানুষ যিকর হতে এতো উদাসীন? এর দুটি কারণ হতে পারে। যথা:
এক – দুনিয়া উপার্জনের ব্যস্ততা এদের কে এতোটাই তাড়া করে যে, আল্লাহর যিকরের কথা এদের মনেই আসে না। কারণ দুনিয়ার সম্পদ এমন আকর্ষণীয় ও লোভনীয় বস’, দুনিয়ার ভোগ বিলাস ও চাক-চিক্ক এতো আরাম দায়ক এবং মজাদার যে, এসবের মধ্যে যে ব্যক্তি একবার মগ্ন হবে তার আল্লাহর স্মরণ শিথিল হয়ে যাবে। আল্লাহর স্মরণ তার কাছে নিরর্থক ও নি:ষ্প্রয়োজন মনে হবে। আল্লাহকে স্মরণ করার প্রয়োজনই সে অনুভব করবেনা। কখনো বা স্মরণ করলেও তার স্বাদ পাবেনা এবং মজা ও আকর্ষণ থাকবেনা। এভাবেই মানুষ ধীরে ধীরে আল্লাহর যিকর থেকে দূরে সরে যায়। মহান প্রভু এরশাদ করেন -يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا لَا تُلْهِكُمْ أَمْوَالُكُمْ وَلَا أَوْلَادُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ فَأُولَئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ অর্থ: ওহে মুমিনগণ! তোমাদের সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর যিকর তথা আল্লাহর স্মরণ থেকে উদাসীন করে দিতে না পারে। এমনটা যাদের ঘটবে তারাই তো ধ্বংস। (সূরা জুমুয়াহ/৯)
তাহলে কি আমরা দুনিয়া উপার্জন এবং আনন্দ-বিনোদন করবোনা ? এর উত্তর হল,আমরা এগুলো করবো অবশ্যই তবে আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নয়; তাকে স্মরণে রেখে।
তাই, যারা সফল ও সচেতন মুমিন তাদের একটা বড় বৈশিষ্ট্য হল, ব্যবসা, সফর, দোকান, চাকরী, সন্তান, পরিবার, বন্ধু, আনন্দ-বেদনা, বিরহ-যাতনা কোন কিছুই তাদেরকে আল্লাহর যিকর থেকে গাফেল রাখতে পারেনা। পবিত্র কুরআনে এদের প্রশংসা করে আল্লাহ তায়ালা বলেন, رِجَالٌ لَا تُلْهِيهِمْ تِجَارَةٌ وَلَا بَيْعٌ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ وَ إِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ يَخَافُونَ يَوْمًا تَتَقَلَّبُ فِيهِ الْقُلُوبُ وَالْأَبْصَارُ অর্থ: তারা এমন লোক, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্রয়-বিক্রয় (কোন কছুই) আল্লাহর যিকর, সলাত কায়েম এবং যাকাত আদায় করা হতে বিরত রাখতে পারেনা; তারা ভয় করে সেদিনকে, যেদিন তাদের অন্তর ও দৃষ্টি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। (সূরা নূর/৩৭)
অনুরূপ, যারা কুরুচিপূর্ণ ফিল্ম, নাটক, সিরিয়াল, টিভি, সিডি, ইত্যাদিতে মত্ত হবে তার কাছেও কুরআন-হাদীসের কোন কথাই ভাল লাগবেনা বা স্বাদ লাগবে না। বরং তার কাছে এসব খুবই বিরক্তিকর মনে হবে। কারণ, ঐ সব অপবিত্র বিনোদনগুলোই হল আল্লাহর স্মরণ থেকে মানুষকে দূরে সরাবার জন্য পাতানো শয়তানী চক্রের বিপদজনক ফাঁদ। এ ফাঁদে যারা আটকা পড়েছে, তারা সারাদিন এসব তুচ্ছ ও অপবিত্র বিনোদনে সময় কাটালেও ক্ষণিকের জন্য তাদেরকে কুরআন শিখতে বসাতে কষ্ট হয়।
২য় -আর একটি কারণে বহু মানুষ আল্লাহকে ভুলে যাচ্ছে। আর তা হল, তথাকথিত তরীকত পন্থীদের বিভিন্ন ভঙ্গিমার আজব যিকর আবিষ্কার । যেমন ছয় লতিফার যিকর, তবলার তলেতলে যিকর, নারী-পুরুষের সম্মিলিত যিকর, ইল্লাল্লাহ ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আল্লাহু, হু হু ইত্যাদি। এ সকল যিকরের বিক্রিত বাজারে আসল যিকর তার পরিচয় হারিয়ে ফেলেছে। আর পরিতাপের বিষয় হল, পীর সাহেবদের আবিষ্কৃত বিদআতী যিকরকে মানুষ আজ প্রকৃত যিকর বলে মনে করে। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কর্তৃক প্রবর্তিত যিকরকে যিকরই মনে করেনা। মূলত: এরা সপ্তাহের এক কিংবা দুই সন্ধ্যায় তথাকথিত যিকর করার দ্বারা প্রতিমুহূর্তের আসল যিকর থেকে উদাসীন থাকছে। আলেমগণ সঙ্গতই বলেছেন, যেখানে একটি বিদআত বা মানব রচিত প্রথা চালু হয় সেখান থকে একটি সুন্নত বা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর রেখে যাওয়া তরীকা হারিয়ে যায় বা উঠে যায়। সত্যিই কত মানুষ আজ বরকতময় সুন্নতকে কবর দিয়ে মানুষের মস্তিস্ক প্রসূত পদ্ধতি ও প্রথার পেছনে ছুটতে গিয়ে নিজেদের অজান্তে আল্লাহর যিকরকে হারিয়ে ফেলেছে। এদের জান্নাত যাওয়ার পথ যে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে তা ভাবতেও গা শিউরে উঠে।
মানুষের তৈরি করা এই যিকরে শরীর গরম হলেও ঈমান ঠাণ্ডা হয়ে যায়। তারা এই যিকর করে বে-হুশ হয়ে পড়ে থাকে। পরে হুশ ফিরে পেলেও ঈমান আর ফিরে পায়না। এরা বাদ্য ও নারীর উষ্ণ আমেজে যিকর করলেও হাউজে কাউসারের পানি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এদেরকে কখনোই পান করেতে দিবেন না।
একথা যেমন স্বতঃসিদ্ধ যে, ওজু, গোসল, জুব্বা, দাড়ি, টুপি, আতর, খোশবু, লম্বা পাগড়ি, ইত্যাদি সবই আচ্ছা মত লাগিয়ে আউযু বিল্লাহ… বিসমিল্লাহ… দরুদ শরীফ, কোরআন শরীফ ইত্যাদি খতম দিয়ে, মসজিদের মেহরাবের মধ্যে বসে যদি কেউ এক চুমুক বিষ পান করে তাহলে নিশ্চিত তাকে কবরে যেতে হবে। একে এক হাজার বার মধু ভেবে পান করলেও কোন লাভ হবেনা। কারণ, সব ঠিক আছে; শুধু যেটা পান করছে সেটা ঠিক নয়। অনুরূপই, কেউ খালেস নিয়ত, পূর্ণ একাগ্রতা, জান্নাত লাভের উদগ্র বাসনা ও ঐকানি-ক প্রত্যয় বুকে নিয়ে, টুপি-দাড়ি ইত্যাদি লাগিয়ে যদি তরীকতের যিকর করে, সেও কখনোই আল্লাহর অসন’ষ্টি থেকে বাঁচতে পারবেনা। কারণ এদেরও সবকিছু ঠিক আছে; শুধু যে আমলটা করছে সেটা ইবাদত নয়, ওটা বিদআত নামক বিষ!
আসুন, আমরা গতানুগতিক, মরচে পড়া ও সমাজের তৈরি করা ধ্যান-ধারণা, মন-মানসিকতা এবং ঝোঁক-প্রবণতার ঊর্ধ্বে উঠে উদার চিত্তে ভেবে দেখি-আল্লাহকে স্মরণ করার জন্য আল্লাহ তায়ালা কি পদ্ধতি দিয়েছেন! আল্লাহর যিকর করার জন্য আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কি তরীকা দিয়েছেন!
আসুন আমরা আল্লাহর দেয়া পদ্ধতিতে আল্লাহর যিকর করি! সব চেয়ে বড় ইবাদতটি সবচেয়ে সুন্দর পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করি! এবং সবকিছুর স্রষ্টাকে সবসময় স্মরণ করি।
আল্লাহ আমাদের সকলকে তাওফিক দান করুন!
আসুন আমরা আল্লাহর দেয়া পদ্ধতিতে আল্লাহর যিকর করি! সব চেয়ে বড় ইবাদতটি সবচেয়ে সুন্দর পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করি! এবং সবকিছুর স্রষ্টাকে সবসময় স্মরণ করি।
আল্লাহ আমাদের সকলকে তাওফিক দান করুন!
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন