HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

যিকিরের তাৎপর্য ও ফযীলত

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল বাকী

পবিত্র কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ মতে যিকর কি তা তুলে ধরা হল:
১. যিকর অর্থ স্মরণ করা। অর্থাৎ মনে মনে আল্লাহকে স্মরণ করা, তাঁর সৃষ্টি ও নেয়ামত রাজীর কথা স্মরণ করা ও ফিকর করা ইত্যাদি এ সবই আল্লাহর যিকিরের মধ্যে গণ্য।

২. আল কুরআন কে যিকর বলা হয়েছে:

وَأَنزَلْنَا إِلَيْكَ الذِّكْرَ ( ا لنحل : 44)

অর্থ: আমি আপনার কাছে যিকর নাজেল করেছি। (সূরা নাহাল: ৪৪) অর্থাৎ কুরআন নাজেল করেছি। তাই কুরআন তিলাওয়াত করলেও আল্লাহর যিকর আদায় হয়।

৩. নামাযের পরে পঠিতব্য দুয়া ও তাসবীহ তাহলীলকে যিকর বলা হয়েছে।

৪. যিকর মানে বিসমিল্লাহ বলা। (সূরা মায়েদাঃ ০৪)

৫. যিকর মানে আলোচনা করা। আত্বা বলেন: যে সকল মজলিসে হালাল-হারাম নিয়ে আলোচনা হয়, অথবা কি ভাবে আপনি ক্রয়-বিক্রয় করবেন, কি ভাবে সলাত ও সিয়াম আদায় করবেন, কি ভাবে বিবাহ করবেন, কি ভাবে তালাক দেবেন, কি ভাবে হজ্জ সম্পাদন কবেন ইত্যাদি দ্বীনী আলোচনা হয় তা সবই যিকিরের মজলিস।

৬. যিকর মানে ইলম বা জ্ঞান। আল্লাহ তায়ালা বলেন:

فَاسْأَلُواْ أَهْلَ الذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ / النحل : 43

অর্থ: তোমরা না জানলে যিকর ওয়ালাদের কাছে জিজ্ঞেস করে নাও। (সূরা নাহলঃ৪৩) অর্থাৎ আলেমগণের কাছে জিজ্ঞেস করে নাও। তাই আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং তাঁর দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা মানে আল্লাহর যিকর করা।

৭. যিকর অর্থ উপদেশ। (সূরা আম্বিয়া:১০)

৮. যিকর অর্থ খুৎবা বা বক্তব্য। হাদীছে এসেছে: হযরত আবুহুরাইরা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, জুমার দিনে মসজিদের দরজায় ফেরেশতাগণ দাড়িয়ে যান; পর্যায়ক্রমে লেখতে থাকেন প্রথমে আগমন কারীদের ফজিলত। সর্বপ্রথম আগমন কারী একটি উট কুরবানী করার মত সওয়াব লাভ করেন, পরের জন গরু, তারপরের জন দুম্বা, তারপরের জন মুরগী এবং তারপরের জন ডিম কুরবানী দেওয়ার মত সওয়াব লাভ করেন। অতঃপর ইমাম যখন বের হন, তখন তারা খাতা-পত্র গুটিয়ে রেখে মনোযোগ দিয়ে যিকর শুনতে শুরু করেন। (বুখারী আধুনিক প্রকাশনী হা: নং ৮৭৬, মুসলিম, মিশকাত হা: নং ১৩৮৪) অর্থাৎ খুৎবা শুনেন।

সুতরাং খুৎবা দেওয়া, খুৎবা শুনা, ইসলামী ওয়াজ, নসীহত, আলোচনা ইত্যাদি সবই আল্লাহ যিকর।

৯. যিকর হল সলাত বা নামায। আল্লাহ বলেন:

وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي / طه 14:

অর্থ: আর আমার যিকর করার জন্য সলাত আদায় কর। (সূরা ত্বাহা:১৪) সুতরাং সলাত আমায় করলে আল্লাহর যিকর আদায় হয়।

প্রিয় পাঠক এ ছাড়াও আরও অনেক যিকর রয়েছে যা রাসূলুল্লাহ ব এবং তাঁর সাহাবায়ে কেরাম আমল করেছেন। যেমন: মসজিদে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময়, বাড়িতে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার সময়, বাথরুমে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার সময়, ওজুর শুরুতে ও শেষে, গাড়িতে আরহনের সময়, সফরে বের হওয়া এবং সফর থেকে ফেরার সময়, খানা পিনার শুরু ও শেষে, ঘুমানোর আগে ও পরে ইত্যাদি। মোট কথা সারা দিন-রাতই আল্লাহর যিকর ও দুয়া পাঠ করা উচিৎ। এবং এ ভাবে বেশি বেশি এবং সর্বক্ষণ যিকর করা উচিৎ।

তাফসীরে কাশ্‌শাফের মধ্যে বলা হয়েছে – তাসবীহ পড়া যিকর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়া যিকর, আল্লাহর প্রশংসা করা যিকর, আল্লাহর একত্ববাদ ঘোষণা করা যিকর, সলাত যিকর, তিলাওয়াত যিকর, ইলম অর্জন করা যিকর। আল্লাহ তায়ালা একথাই বলেছেন পবিত্র কুরআনের মধ্যে। তিনি বলেছেন: “তোমরা বেশি বেশি আল্লাহর যিকর কর।”

মোট কথা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)দিন-রাত যেসব আমলে ব্যস্ত থাকতেন সেগুলো পালন করা মানেই যিকরে ইলাহিতে মশগুল থাকা। এর জন্য মসজিদে সমবেত হয়ে, চিৎকার করে কিংবা নেচে-গেয়ে যিকর করার কোনই মূল্য নেই ইসলামে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন