HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

যিকিরের তাৎপর্য ও ফযীলত

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল বাকী

১০
কোন তরীকায় যিকর করবেন?
কিতাবুল্লাহর একটি ফরমান হল, যারা বেশি বেশি তাদের রবকে স্মরণ করতে চায় বা আল্লাহর যিকর করতে চায় তারা যেন এর তরীকাটা প্রিয় রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট হতে গ্রহণ করে। ঐ শুনুন আল্লাহর বাণী لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِمَنْ كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآَخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا অর্থাৎ ; যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালিন সাফল্য কামনা করে এবং বেশী বেশি আল্লাহকে স্মরণ করতে চায় তাদের জন্য অবশ্যই উত্তম আদর্শ রয়েছে আল্লাহর রাসূলের মধ্যে। (সূরা আহযাব/২১)

এখানে একথাও অস্পষ্ট রইল না যে, কাদেরিয়া, চিশতিয়া, নকশবন্দিয়া, মুজাদ্দেদিয়া, সারসিনা, চরমোনাই, আটরোশি, মাইজভাণ্ডারী ইত্যাদি-এ সব মানব রচিত তরীকায় যিকর করা মোটেও দলীল সিদ্ধ নয়; যিকর করতে হবে কেবলমাত্র মুহাম্মাদী তরীকায়।

মহান আল্লাহ বলেন:

{ وَاذْكُر رَّبَّكَ فِي نَفْسِكَ تَضَرُّعاً وَخِيفَةً وَدُونَ الْجَهْرِ مِنَ الْقَوْلِ بِالْغُدُوِّ وَالآصَالِ وَلاَ تَكُن مِّنَ الْغَافِلِينَ } الأعراف ২০৫

অর্থ: তোমার রবকে মনে মনে বিনয় নম্র ও ভয়-ভীতি সহকারে এবং অনুচ্চস্বরে সকাল-সন্ধ্যা স্মরণ করবে, আর গাফেল বা উদাসীন থাকবে না। (সূরা আরাফঃ২০৫)

অত্র আয়াতে কারীমার মধ্যে যিকরের পদ্ধতি পরিষ্কার ভাবে বর্ণিত হয়েছে। বলা বাহুল্য, অতি ইচ্চ আওয়াজে, দলবদ্ধ হয়ে এবং বিভিন্ন পীরের পদ্ধতিতে যিকর নামে অনেক ভায়েরা যা করেন তাতে কোন বিনয় বা নম্রতা থাকে না। যার যিকর কলা হচ্ছে তাঁর প্রতি কোন ভয়-ভীতি এবং শ্রদ্ধাবোধের কোন বালাই থাকে না। আর উচ্চ আওয়াজে বা চিৎকার করে যিকর করার কারণে আল্লাহর নাফরমানী করা হয়। এতে দলীয় উদ্দেশ্য পূরণ হলেও যিকরের মূল লক্ষ হাসিল হয়না।

মহান আল্লাহ আরও বলেন:

ادْعُواْ رَبَّكُمْ تَضَرُّعاً وَخُفْيَةً إِنَّهُ لاَ يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ

অর্থ: তোমরা বিনয়ের সাথে এবং গোপনে তোমাদের প্রতিপালককে ডাক, যারা বাড়াবাড়ি করে তাদেরকে তিনি ভাল বাসেন না। (সূরা আরাফঃ৫৫)

সুধী পাঠক! যিনি বা যারা আল্লাহর দেয়া স্পষ্ট পদ্ধতি পরিহার করে মানুষের তৈরীকার পদ্ধতিতে চিৎকার করে যিকর করেন তারা কি বাড়াবাড়ি করছেন না?

আল্লাহর প্রিয় বান্দা হযরত জাকারিয়া (আঃ) এর যিকরের পদ্ধতি আল্লাহ তায়ালা তুলে ধরেছেন এ ভাবে: إِذْ نَادَى رَبَّهُ نِدَاء خَفِيّاً অর্থ: “যখন তিনি (জাকারিয়া (আঃ)) তাঁর প্রতিপালককে গোপনে ডাকলেন।” (সূরা মারইয়ামঃ০৩)

অনুচ্চ আওয়াজে যিকর করা যে আল্লাহর পছন্দ তা পরিষ্কার বুঝা গেল। আর এজন্যই রাসূলুল্লাহ ব এবং তাঁর কোন সাহাবী কখন চিৎকার করে আল্লাহকে ডাকতেন না। একদা কতিপয় সাহাবী জোরে জোরে দুয়া করতে শুরু করলে রাসূলুল্লাহ ব তাদেরকে নিবৃত করলেন এবং বললেন যাকে তোমরা ডাকছ তিনি অতি নিকটবর্তী এবং সর্ব শ্রোতা! এরূপ বহু প্রমাণ সুন্নতে মুত্বাহ্‌হারতে বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু শুধু অন্ধরাই তা দেখেনা, বধিরেরা তা শুনে না এবং বেইকূফেরাই তা উপলব্ধি করে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন