HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

যিকিরের তাৎপর্য ও ফযীলত

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল বাকী

আনন্দঘন মুহূর্তে প্রিয়তমের স্মরণ:
ঈদের অপর নাম আনন্দ। এমন কোন জাতী নেই যাদের আনন্দের বিশেষ দিন নেই। মুসলিম জাতীর নির্মল আনন্দের উপলক্ষ হল দুই ঈদ। ধনী-গরীব, ছোট-বড় সকলেই ঈদে যেন আনন্দে অবগাহন করে। কিন্তু রকমারি খাবার আর রকমারি পোশাকের সাথে ইদানীং বাজারী নারীদের সুরেলা কণ্ঠ আর বাদ্য যন্ত্র, কুরুচিপূর্ণ সিডি ইত্যাদি ছাড়া যেন ঈদের আনন্দই জমে না। এই আনন্দময় দিবস গুলোতে তরুণ-তরুণীরা যেভাবে একাকার হয়ে যায় তা দেখে মনে হয় লজ্জায় শয়তান দূরে বসে কাঁদে আর আফসোস করে বলে: এতো জঘন্য শয়তানী মানুষ করুক তা আমিও চাইনি। এ ভাবে ঈদের আনন্দ ক্রমেই দুষিত হয়ে চলেছে।

অথচ অনাবিল আনন্দের এই দিন গুলোতে পবিত্র বিনোদনের পাশাপাশি প্রিয়তম মাবুদকে নিবিড় ভাবে স্মরণ করার কথা ছিল। কিন্তু তা জাতী আজ বেমালুম ভুলে গেছে। ঐ শুনুন আইয়ামে তাশরীক বা ঈদ এবং বড় ঈদের পর তিন দিন সম্পর্কে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কি বলেছেন! তিনি বলেছেন: “তোমরা জেনে রাখ এই দিন গুলো (মজার মজার) খানা খাওয়া, (মজার মজার) পান করা আর মহান আল্লাহকে স্মরণ করার বিশেষ দিন।” (মুসলিম, মিশকাত হা: নং ২০৫০)

অন্য এক স্থানে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন যে, যেই ত্বাওয়াফ কি না হজ্জের একটি অন্যতম রোকন- সেই ত্বাওয়াফ দ্বারাও কেবল আল্লাহর যিকর ছাড়া অন্য কিছু উদ্দেশ্য নয়। সফা ও মারওয়ার মাঝে সাঈ করা এমন কি জামারায় পাথর মারার দ্বারাও আল্লাহর যিকর করাই উদ্দেশ্য। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ভাষায়: “বাইতুল্লায় ত্বাওয়াফ, সাফা-মারওয়ায় সাঈ এবং জামরায় পাথর নিক্ষেপের বিধান কেবল মাত্র আল্লাহর যিকর বাস্তবায়ন করার জন্য প্রবর্তন করা হয়েছে।”

সুতরাং দেখা যায় ঈদে এবং হজ্জের শুরুতে, মাঝে, এবং শেষে সর্বদাই আল্লাহর যিকর রয়েছে। যেমন-ইহরাম বাঁধার পর তালবিয়া পাঠ, ত্বাওয়াফের মধ্যে বিভিন্ন দোয়া, হাজারে আসওয়াদ এবং রুকনে ইয়ামানীর কাছে যিকরে ইলাহী, সাফা-মারওয়াতে উঠে আল্লাহর যিকর, সেখানে দাঁড়িয়ে কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহর যিকর, আরাফায় অবস্থান কালে আল্লাহর যিকর, আরাফা হতে ফেরার পথে, মুযদালাফায় রাত্রি যাপন, মুযদালিফা হতে ফেরার সময় ফজরের পর, মিনায় এবং সর্বত্রই মহান আল্লাহর যিকর বিদ্যমান।

হাদীস শাস্ত্রের বিদগ্ধ পণ্ডিত ইমাম বুখারী (র:) বলেন, মুমিন সম্প্রদায়ের অবিসংবাদিত ও ক্ষণ জন্মা নেতা হযরত ওমর ফারুক (রা:) মিনায় অবস্থান কালে তাঁর নিজের তাঁবুতে বসে উচ্চ আওয়াজে তাকবীর পাঠ করতেন। তা শুনে মসজিদের লোকেরা এবং পর্যায়ক্রমে বাজারের লোকেরা তাকবীর পাঠ করত। এমনকি তাকবীর ধনীতে সমগ্র মিনায় স্পন্দন শুরু হত। উক্ত দিন গুলোতে হযরত ইবনে ওমর (রা:) মিনায় অবস্থান কালে, সলাত শেষে, শয্যা গ্রহণ কালে, তাঁবুর মধ্যে, মজলিসে এবং পথ চলার সময় তাকবীর বলতেন। আবান বিন উসমান এবং ওমর বিন আব্দুল আজীজ (রহঃ) এর পেছনে নামায পড়ে মসজিদে পুরুষদের সাথে মহিলারাও নীরবে ঈদের তাকবীরের দ্বারা আল্লাহর যিকর করতেন।

-হযরত হাজেরা এবং হযরত ইসমাঈল (আঃ)এর ইতিহাস স্মরণ করার জন্য সফা-মারওয়া সাঈ নয়,

-পাপ কমাবে এজন্য হাজারে আসওয়াদে চুম্বন নয়,

-শয়তানকে মারার উদ্দেশ্যে জামারায় পাথর মারা নয়,

-গোস্ত খাওয়ার জন্য কুরবানী নয়,

-ব্যায়াম করার জন্য নামায নয়,-যেমনটা অনেকে মনে করে থাকে। বরং এসবই মহান আল্লাহকে স্মরণ কারার জন্য পালন করতে হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন