মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আবদুর রাযযাক তাঁর মুসান্নাফে [. আবদুর রাযযাক, আবু বকর আবদুর রাজ্জাক ইবন হুমাম আস-সানআনী (বৈরুত: আল-মাকতাবাতুল ইসলামী, দ্বিতীয় সংস্করণ ১৪০৩ হি.) তাহকীক: হাবীবুর রহমান আল-আজাদী (৪/২৬০)।] দাউদ ইবন কায়স ও অন্যান্যরা মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ হতে তিনি সায়েব ইবন ইয়াযিদ হতে বর্ণনা করেছেন যে, উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু রমযান মাসে মানুষকে উবাই ইবন কা‘ব ও তামীম আদ-দারীর নিকট একত্রিত করতেন। তারা একুশ রাকা‘আত সালাত পড়ত যাতে মি’ঈন (এক শ আয়াতবিশিষ্ট) সূরাগুলো তেলাওয়াত করত এবং ফজর উদিত হলে সবাইকে ছেড়ে দিত।
এই বর্ণনাটি আবদুর রাযযাকের একক বর্ণনা। তিনি দাউদ ইবন কায়স্ হতে, তিনি মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ হতে বর্ণনা করেছেন। আর আব্দুর রাযযাক এ বর্ণনায় মুখতালেত। মুখতালাত বর্ণনাকারীর হুকুম হলো, ইখতেলাতের পূর্বে যাদের থেকে হাদীস গ্রহণ করা হয়েছে তা গ্রহণ করা। ইখতেলাতের পরে যাদের থেকে বর্ণিত হয়েছে তাদের বর্ণনা নেয়া যাবে না। অথবা বিষয়টি জটিল, ফলে ইখতেলাতের আগে বা পরে তা জানা যায় না। এখানে আব্দুর রাযযাকের মাস‘আলাটি তৃতীয় পর্যায়ের। বিশেষ করে নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীগণের যখন বিপরীত বর্ণনা করছে। কেননা আব্দুর রাযযাক এ বর্ণনাটি ইখতেলাতের পূর্বে না পরে বর্ণনা করেছেন সেটা জানা যায় না। অত:পর এ বর্ণনাটি মালেক (রহ:) মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ হতে বর্ণনা করেছেন। যেমনটি পূর্বে অতিবাহিত হয়েছে। আর সেখানেও এগার রাকা‘আতের বিষয়টি সুস্পষ্ট এবং তার থেকে আব্দুর রাযযাকের বর্ণনা দাউদ ইবন কায়স হতে, আর তিনি মুহাম্মদ ইবন্ ইউসুফ হতে’’ এগার রাকা‘আতের বর্ণনা সুস্পষ্ট হয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই যে, এখানে প্রথমোক্ত বর্ণনাটি সহীহ। কেননা আব্দুর রাযযাক মুখতালেত, আর তিনি বর্ণনা করেছেন দাউদ ইবন্ কায়স থেকে সেটি গ্রহণযোগ্য। (যখন ধারাবাহিক বর্ণনা পাওয়া যায়) তিনি বর্ণনা করেছেন মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ থেকে। অথচ দাউদ ইবন কায়সের কোন ধারাবাহিকতা নেই। এ হিসেবে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে আবদুর রাযযাকের বর্ণিত ‘আছার’ কে মুনকার বলা সহীহ। যেহেতু আবদুর রাযযাক ও দাউদ ইবন কায়সের মধ্যে কে অধিক নির্ভরযোগ্য তা নিয়ে মালেক (রহঃ) মতবিরোধ করেছেন।
২. মুহাম্মদ ইবন নসর আল মারওয়াযী রাত্রি জাগরণ বা কিয়ামুল লাইল সম্পর্কে বর্ণনা করেন [. প্রাগুক্ত, পৃ. ১৫৭।], ইমাম বায়হাকী সুনানুল কুবরা গ্রন্থে ইয়াযিদ ইবন খাসীফাহ হতে এবং তিনি সায়েব ইবন্ ইয়াযিদ হতে এবং তিনি ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন যে, রাত্রের সালাত বিশ রাকা‘আত। [. প্রাগুক্ত, (২/৪৯৬)।]
এ বর্ণনায় ইয়াযিদ ইবন খাসীফাহ একক বর্ণনাকারী তিনি সায়েব ইবন ইয়াযিদ হতে এবং তিনি ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে। আর এটি তারা যা বর্ণনা করেছেন সেটি নির্ভরযোগ্যতার দিক থেকে বিপরীতমুখী বর্ণনা রয়েছে। অত:এব বিরোধিতার কারণে বর্ণনায় দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। ইমাম আহমদ (রহঃ) ইয়াযিদ ইবন খাসীফাহ সম্পর্কে বলেছেন যে, তিনি মুনকারুল হাদীস। [. মীযানুল ই‘তিদাল, (৪/৪৩০)।] হাফেয ইবন হাজর আসকালানী ফতহুল বারী গ্রন্থের ভূমিকায় বলেন: ‘মুনকারুল হাদীস’ এ শব্দটি ইমাম আহমদ ঐ ব্যক্তির জন্য ব্যবহার করেছেন, যিনি হাদীসের সাথে খুব সীমিতভাবে সম্পৃক্ত বা অপরিচিত। তার অবস্থার সার্বিক বিশ্লেষণ মাধ্যমে এটি বুঝা যায়। আর ইমাম মালেক ও অন্যান্য আইম্মায়ে কিরামগণ ইবন খাসীফাহকে হুজ্জত মনে করেন। [মুকাদ্দামাতুল ফাতহুল বারী, পৃ. ৪৫৩।]
যেহেতু ইয়াযীদ ইবন খাসীফাহ এর বর্ণনা সহীহ হওয়ার দিক থেকে দুর্ভোদ্য ও অপ্রতুল। [. ইমাম নববী শরহে মুহাযযাব গ্রন্থে বিষয়টি আরো দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেছেন। আল-মাকতাবাতুল ‘আলামিয়্যা, তাহকীক: মুহাম্মদ নাজীব আল- মুতি‘ঈ (৩/৫২৭)।] কেননা এটি নির্ভরযোগ্য বর্ণনার বিপরীত। কেননা ইবন খাসীফাহ ও মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ উভয়ে নির্ভরযোগ্য এবং তারা সায়েব ইবন ইয়াযিদ হতে বর্ণনা করেছেন। প্রথমে তিনি বলেছেন একুশ রাকা‘আত, আর দ্বিতীয়বার এগার রাকা‘আত। ফলে দ্বিতীয় মতটি অগ্রাধিকার পাবে। এখানে দুটি দিক রয়েছে। যেমন:
প্রথম: কেননা তিনি তার সাথীর চেয়ে বেশী নির্ভরযোগ্য। এজন্য হাফেয ইবন হাজর ইয়াযিদ ইবন খাসীফাহ এর গুণ বর্ণনায় বলেছেন সিকাহ বা নির্ভরযোগ্য। আর মুহাম্মদ ইবন ইউসুফের শানে বলেছেন: নির্ভরযোগ্য প্রমাণিত বা সাব্যস্ত হয়েছে।
দ্বিতীয়: অনুরূপভাবে মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ সায়েব এর বোনের ছেলে। আর তিনি তার মামার হাদীস সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত।
মোটকথা: উপরের বর্ণনাটি ইয়যিদ ইবন খাসীফাহ ও মুহাম্মদ ইবন ইউসুফের মতবিরোধের মূল বর্ণনা। আর আলিমগণ ইয়াযিদ ইবন খাসীফাহকে যঈফ বলেননি। বরং তারা মুহাম্মদ ইবন ইউসুফের বর্ণনাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
৩- ইমাম মালেক (রহ) তাঁর মুয়াত্তা গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন; [. মালেক, মুয়াত্তা, (১/১১৫)।] ইয়াযিদ ইবন রুমান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ওমর ইবনুল খাত্তাবের যুগে মানুষ তেইশ রাকা‘আত সালাত আদায় করত। আলোচ্য বর্ণনাটি মুনকাতি‘ বা বিচ্ছিন্ন সনদে; কেননা ইয়াযিদ ইবন রুমান ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু কে পাননি। [. দেখুন,ইমাম যাইলীঈ , নাসবুর রায়িয়াহ, (২/১৫৪); উমদাতুল কারী, আঈনী (১১/১২৬)।]
৪- ইবন আবু শাইবাহ ওকী‘ হতে, তিনি মালেক হতে তিনি ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ হতে বর্ণনা করেছেন যে, ‘ওমর ইবনুল খাত্তাব এক ব্যক্তিকে বিশ রাকা‘আত সালাত পড়তে নির্দেশ দিয়েছেন। [. মুসান্নাফে ইবন আবি শাইবা, (২/৩৯৩)। (বৈরুত: দারুল ফিকর, প্রথম সংস্করণ ১৪০৪-১৯৮৪ খী.) (১১/২২৩)।] এ বর্ণনাটিও বিচ্ছিন্ন বর্ণনা, কেননা ইয়াহইয়া ইবন সাইদ ওমর ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু কে পাননি। ইবন মাদিনী বলেন: আমার জানা নেই তিনি আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু ব্যতীত অন্য কোন সাহাবী থেকে শুনেছেন কি না। [. আহমদ ইবন আলী ইবন হাজার আল-‘আসকালানী, তাহযীবুত তাহযীব, ( বৈরুত: দারুল ফিকর, প্রথম সংস্করণ ১৪০৪-১৯৮৪ খী.) (১১/২২৩)।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/214/10
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।