hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তারাবীহ্‌ সালাতের রাকা‘আত একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

লেখকঃ আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

তারাবীহ্‌র সালাত, রমযানের কিয়াম ও তাহাজ্জুদের সালাতের পার্থক্য
‘তারাবীহ্ এর সালাত’, ‘রমযানের কিয়াম’, ‘রাত্রের সালাত’, ‘রমযানে তাহাজ্জুদের সালাত’ সবই এক, যদিও প্রত্যেকটি স্বতন্ত্র নামে পরিচিত। রমযানে তারাবীহ্‌ ব্যতীত কোনো তাহাজ্জুদ নেই। কেননা, কোনো সহীহ বা দুর্বল বর্ণনা দ্বারা এটি সাব্যস্ত হয় নি যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসে রাত্রে দু’ধরনের সালাত আদায় করেছেন, একটি তারাবীহ্‌ এবং অপরটি তাহাজ্জুদ। অতএব, রমযান মাস ব্যতীত অন্যান্য মাসে যেটি তাহাজ্জুদ সেটিই রমযানে তারাবীহ্‌। এ মর্মে আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীসটি দলীল হিসেবে পেশ করা যায়। তিনি বলেন,

আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসহ রমযান মাসে সাওম পালন করেছিলাম, তখন তিনি এ মাসের সাতটি রাত অবশিষ্ট থাকা পর্যন্ত কোন অংশ সালাতে দাঁড়ান নি। সে সময় (২৩ তারিখের রাত) তিনি আমাদের সাথে নিয়ে রাতের এক-তৃতীয়াংশ জাগ্রত ছিলেন। তারপর অবশিষ্ট ষষ্ঠ (২৪ তারিখের রাত) জাগ্রত ছিলেন না। অত:পর যখন অবশিষ্ট পঞ্চম রাত্রি (২৫ তারিখের রাত) এলো, তখন তিনি আমাদের নিয়ে রাত্রের অর্ধেক সময় পর্যন্ত জাগ্রত ছিলেন। তখন আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমরা কি এটাকে আরও বর্ধিত করতে পারি? [অর্থাৎ যদি রাত্রের অর্ধেকের চেয়ে অবশিষ্ট অংশও জাগ্রত থাকার জন্য অতিরিক্ত নির্ধারণ করা হতো তবে তা ভালো হতো। অথবা অর্থ হলো যদি আপনি আমাদের সাথে রাত্রের দীর্ঘ সময় জাগ্রত থাকতেন এবং আমাদের জন্য প্রতিদান বর্ধিত করে দেয়া হতো যা সালাত আদায়ের মাধ্যমে অর্জিত হতো।] তখন তিনি বললেন,

«إن الرجل إذا قام مع الإمام حتى ينصرف كتب له قيام ليلة»

‘‘কোন ব্যক্তি যখন ঈমামের সাথে সালাত আদায়ে শেষ পর্যন্ত দন্ডায়মান থাকে, তখন তার কিয়ামুল লাইল বা রাত্রি জাগরণ হয়ে যায়’’। [ইমাম আহমদ, মুসনাদ, (বৈরুত: মুয়াসসাসাতুর রিসালাহ, লেবানন, প্রথম সংস্করণ ১৯৯৪ খ্রীঃ) তাহকীক; শুয়াইব আল আরনাউত ও অন্যান্যরা, (৫/১৬৩) শায়খ শুয়াইব আল আরনাউত বলেন হাদীসটির সনদ মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।] তারপর অবশিষ্ট চতুর্থ রাত্রিতেও (২৬ তারিখের রাত) তিনি জাগ্রত ছিলেন না। তারপর যখন অবশিষ্ট তৃতীয় রাত (২৭ তারিখের রাত) এলো, তখন তিনি আমাদের সাথে নিয়ে জাগ্রত রইলেন। এমনকি আমরা فلاح ‘ফালাহ’ শেষ হয়ে যওয়ার আশংকা করলাম। আমি জিজ্ঞাস করলাম, ফালাহ কি? জবাবে তিনি বললেন, সাহরী। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি এ রাত্রিতে তাঁর পরিবার পরিজন, কন্যাগণ ও স্ত্রীগণকেও জাগিয়ে দিতেন।

উপরোক্ত হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উল্লেখিত রাত্রিগুলোতে এ সালাত ব্যতীত অন্য কোন সালাত পড়েন নি। অথচ তাহাজ্জুদের সালাত তাঁর জন্য ওয়াজিব ছিল। যদি তারাবীহ্‌ এর সালাত তাহাজ্জুদের সালাতের ভিন্ন কোন সালাত হতো তবে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে সালাত আদায় করতেন।

আনওয়ার শাহ্ কাশ্মিরী রাহেমাহুল্লাহ্ বলেন [শায়খ আনওয়ার শাহ কাশ্মিরী, ফয়জুল বারী শরহে সহীহ বুখারী ( বৈরুত: দারুল মারিফাহ্: লেবানন) (২/৪২০)।], “আমার নিকট গ্রহণযোগ্য হলো তারাবীহ্‌ ও রাত্রের সালাত এক সালাত। যদিও উভয়ের বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা রয়েছে যে, তারাবীহ্ এ নিরবিচ্ছিন্নতা থাকে না আবার জামা‘আতে আদায় করা হয়। কখনও রাত্রের প্রথমাংশে আদায় করা এবং অন্যভাবে সেহরী পর্যন্ত পৌছার ব্যাপারে তাহাজ্জুদ ব্যতিক্রম। কেননা তাহাজ্জুদ হলো শেষ রাত্রের সালাত।

আর বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতার ফলে ভিন্ন প্রকার মনে করা আমার নিকট ভালো মনে হয় না। বরং এগুলো একই সালাত। যদি রাত্রের প্রথমাংশে পড়া হয় তবে তাকে তারাবীহ্‌ বলে, আর শেষে পড়লে তাহাজ্জুদ বলা হয়। বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন থাকা সত্বেও উভয় সালাতকে এক নামে নামকরণ করাটা বিদ‘আত হবে না। কেননা নামের পরিবর্তনে কোন সমস্যা নেই, কারণ উম্মত এতে ঐক্যমত পোষণ করেছে। আর দুই প্রকারের ব্যাখ্যা সাব্যস্ত হয়েছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বর্ণনা থেকে যে, তিনি তারাবীহ্‌র সালাত আদায়ের মাধ্যমে তাহাজ্জুদ আদায় করেছেন।”

এ বিষয়ে ওমর (রাঃ) এর একটি হাদীস প্রণিধানযোগ্য, তিনি বলেন,

«والتي ينامون عنها أفضل من التي يقومون»

‘‘আর যা থেকে তারা ঘুমিয়ে আছে (অর্থাৎ তাহাজ্জুদ) তা তার চেয়ে উত্তম যা তারা জাগ্রত থেকে আদায় করছে’’। [ইমাম বুখারী, জামে সহীহ, আল মতবু‘ মায়া‘ ফাতহিল বারি, ( কায়রো: দারু রাইয়্যান লিত্তুরাছ, তাহকীক; মুহিবুদ্দিন আল খতীব, নম্বর মুহাম্মদ ফুয়াদ আব্দুল বাকী, প্রথম সংস্করণ, ১৪০৭ হি. হাদীস নং ২০১০।] এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো রাতের শেষ অংশ। আর মানুষ জাগ্রত থাকত রাতের প্রথমাংশে। এ হিসেবে এসব সালাত সব এক। এখানে শুধুমাত্র শেষ রাত্রে জাগ্রত থাকাকে প্রথম রাতের চেয়ে অধিক মর্যাদা দেয়া হয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন