hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তারাবীহ্‌ সালাতের রাকা‘আত একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

লেখকঃ আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

ভূমিকা
শরী‘আতের মূল হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নিকট হতে যা নিয়ে এসেছেন। আর নবীর যুগই হলো শরী‘আতের যুগ। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمَآ ءَاتَىٰكُمُ ٱلرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَىٰكُمۡ عَنۡهُ فَٱنتَهُواْۚ﴾ [ الحشر : 7]

‘‘তোমাদের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন তা আঁকড়ে ধর এবং যা হতে নিষেধ করেছেন তা হতে বিরত থাক’’। [সূরা আল-হাশর : ৭]

এছাড়াও অন্যত্র এসেছে-

﴿لَّقَدۡ كَانَ لَكُمۡ فِي رَسُولِ ٱللَّهِ أُسۡوَةٌ حَسَنَةٞ ﴾ [ الأحزاب : 21]

‘‘তোমাদের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনে রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ’’। [সূরা আল আহযার : ২১] নবীর যুগের সাথে শরী‘আতের মূল উৎস হিসেবে খুলাফায়ে রাশেদার যুগও সংশ্লিষ্ট। এ মর্মে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«عليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين من بعدي»

‘‘তোমরা রাসূলের সুন্নাত এবং আমার পরবর্তী সৎপথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে ধারণ কর’’। [ঈমাম বুখারী, জামে সহীহ্ (রিয়াদ, দারুসসালাম, ১৯৮৫ খ্রি:) হাদীস নং ৩৭; ইমাম মুসলিম, সহীহ বৈরুত: দারু এহইয়াউততুরাছিল আরাবী) তাহকীক: মুহাম্মদ ফুয়াদ আব্দুল বাকী, হাদীস নং ৭৫৯।]

তারাবীহ্‌ যদিও রমযানের সাথে সংশ্লিষ্ট, তবুও এটি সাধারণভাবে কিয়ামুল লাইল বা রাত্রি জাগরনের সাথে সংশ্লিষ্ট। সাধারণভাবে রাত্রি জাগরণ ও বিশেষ করে রমযানের তারাবীহ্‌ সম্পর্কে অনেক দলীল রয়েছে। রাত্রে তাহাজ্জুদ পড়া সম্পর্কে এসেছে—

﴿وَمِنَ ٱلَّيۡلِ فَتَهَجَّدۡ بِهِۦ نَافِلَةٗ لَّكَ﴾ [ الإسراء : 79]

‘‘আর রাত্রের কিছু অংশ অতিরিক্ত হিসেবে তাহাজ্জুদ পড়ুন’’।

আরও বলা হয়েছে,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلۡمُزَّمِّلُ ١ قُمِ ٱلَّيۡلَ إِلَّا قَلِيلٗا﴾ [ المزمل :1- 2]

‘‘হে বস্ত্রাবৃত, দাঁড়ান রাত্রের কিয়দাংশ।”

আর নির্দিষ্ট করে রমযানে রাত্রি জাগরণ মূলত যদিও সাধারণ কিয়ামুল লাইলের চেয়ে সময়ের দিক থেকে নির্দিষ্ট, তবে তা নির্দেশ প্রদানের দিক থেকে ‘আম। কেননা, এ ব্যাপারে বিশেষ উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে এবং অনেক সওয়াব রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন—

«من قام رمضان إيمانًا واحتسابًا غفر له ما تقدم من ذنبه»

‘‘যে ব্যক্তি রমযান মাসে ঈমান ও ইহতেসাবের সাথে রোজা পালন করে তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়’’ [বুখারী, জামে সহীহ (রিয়াদ দারুস সালাম,১৯৮৫ খী.) হাদীস নং(৩৭);ইমাম মুসলিম,সহীহ (বৈরুত,দারু ইহইয়াউত তুরাছিল আরাবী)তাহকীক:মুহাম্মদ ফুয়াদ আব্দুল বাকী, নং(৭৫৯)।]।

এ-কথা সুস্পষ্ট যে, শরী‘আত কর্তৃক নির্ধারিত তারাবীহ্‌ এর রাকা‘আত সংখ্যা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা, এ ক্ষেত্রে অনেক মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে; এমনকি অনেকে মতবিরোধের ক্ষেত্রে শরী‘আতের সীমালংঘন করেছে। প্রত্যেক দল তাদের মতের ব্যাপারে হয়েছে অবিচল ও অন্ধ; কেউই হক ও সঠিক বিষয় উপলব্ধি করতে চায় না। তাই বিষয়টি বিভিন্ন দলীল-প্রমানাদির সাহায্যে সুস্পষ্ট করার প্রয়োজনবোধ করছি, যেন বিষয়টির একটি সমাধান করা সম্ভব হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন