মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
১. বুখারী ও মুসলিম আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, ‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান ও অন্যান্য সময়ে এগার রাকা‘আতের বেশী সালাত পড়েননি’’। [. ইমাম বুখারী, সহীহ (৩/৩৩) হাদীস নং (১০৯৬), অনুরূপভাবে মুহম্মদ ইবন ইসহাক ইবন খুযাইমা, সহীহ ইবন খুযাইমা ( বৈরুত: আল-মাকতাবাতুল ইসলামী, ১৩৯০ হি.), তাহকীক: ড. মুহম্মদ মুস্তফা আল-আযামী, আল-আহাদীস মাযিলাহ বি আহকামিল আ‘যামী ওয়াল আলবানী আলাইহা (৩/৩৪১) হাদীস নং (১১৬৬)।]
২. যাবির ইবন্ আবদুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে রমযান মাসে আট রাকা‘আত তারাবীহ্র সালাত ও (বেজোড় সংখ্যায়) বিতিরের সালাত পড়তাম। অত:পর যখন আগামী দিন আমরা মসজিদে একত্রিত হলাম এবং আমরা আশা করেছিলাম তিনি (রাসূল) সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হবেন। অথচ সকাল হওয়া পর্যন্ত তিনি বের হননি। ফলে আমরা তার গৃহে প্রবেশ করলাম। তারপর আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমরা খুব সকাল সকাল মসজিদে একত্রিত হয়ে হয়েছিলাম এবং আমরা আশা করেছিলাম আপনি আমাদের সাথে সালাত আদায় করবেন। অতঃপর তিনি বললেন,
«إني خشيت أن يكتب عليكم»
‘‘নিশ্চয় আমি ভয় করেছিলাম যে, এটি তোমাদের উপর ফরয হয়ে যাবে’’। [সুলাইমান ইবন আইয়াব আবুল কাসিম আত-তিবরানী, আর-রাওযুদ-দানী, আল-মু‘জামু সাগীর, (বৈরুত: আল মাকতাবুল ইসলামী, ওমান, দারু ওমান, প্রথম সংস্করণ ১৪০৫ হি.), তাহকীক: মুহম্মদ শাকুর মাহমুদ আল-হাজ্ব আমরীর (১/১৯০), তার সনদ যেরূপ বলেছেন আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন আহমদ ইবন উসমান আয-যাহাবী, মীযানুল ‘ইতেদাল ফী নাকদির রিযাল, তাহকীক: আলী মুহাম্মদ আল-বাজাওয়ী, ( বৈরুত: দারুল মা‘রিফাহ) (৩/৩১১)।]
৩. রাতের সালাত সংক্রান্ত নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যেসব বর্ণনা পাওয়া যায় তাতে সাব্যস্ত হয়েছে যে, রাত্রে তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তের রাকা‘আত সালাত পড়তেন। এ বিষয়টি আরও শক্তিশালী হয়েছে বদরুদ্দীন ‘আইনী (রহ.) এর বর্ণনায়: আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার বক্তব্য যে, নিশ্চয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দশকে এমন প্রচেষ্টা চালাতেন যা তিনি অন্য সময় করতেন না। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সংখ্যা বাড়ানো ব্যতীত রাকা‘আত, সিজদা, কিয়াম, বৈঠক প্রভৃতির দীর্ঘতা। অত:পর ‘আইনী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাতের রাকা‘আত সংখ্যা সাব্যস্ত করতে সাহাবাদের নিকট হতে অনেক বর্ণনা উল্লেখ করেছেন। সেসব বর্ণনা হতে সুস্পষ্ট হয় যে, তিনি আট রাকা‘আতের বেশী সালাত পড়তেন না, তবে বিতিরের রাকা‘আতে ইচ্ছামাফিক কম বেশী করতেন। [. আল-‘আইনী, বদরুদ্দীন আহমাদ: উমদাতুল কারী শারহে সহীহুল বুখারী,( বৈরুত: দারুল ফিকর) (৭/২০৪)।] এজন্য ইবনুল হুমাম [মুহাম্মদ ইবন আবদুল ওয়াহেদ, আল কামাল ইবনুল হুম্মাম: শরহে ফাতহুল কাদীর ( বৈরুত: লেবানন, দারু এহইয়াউত তুরাছিল আরাবী) (১/৩৩৪)।] বলেছেন, আট রাকা‘আত সুন্নাত, আর অবশিষ্টগুলো মুস্তাহাব। [. জেনে রাখা দরকার, নিশ্চয় মুস্তাহাব শরী‘আতের হুকুম। আমাদের জানা নেই মুস্তাহাব হওয়ার বিধানটি কোত্থেকে তিনি গ্রহণ করেছেন। খুব সম্ভব তিনি পরবর্তীতে উল্লেখিত যঈফ হাদীস থেকে এ বিধান গ্রহণ করেছেন।]
৪. ইমাম মালেক (রহ:) মুহাম্মদ ইবন্ ইউসুফ হতে, তিনি সায়েব ইবন ইয়াযিদ হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন: ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) উবাই ইবন কা‘ব ও তামীম আদ- দারী কে লোকজন সাথে নিয়ে এগার রাকা’আত সালাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, এ সময় সালাতে কারী মি’ঈন সূরাসমূহ [. অর্থাৎ এক শ আয়াতবিশিষ্ট সূরাসমূহ। দেখুন: শারহুন নববী ‘আলা মুসলিম, (দারু ইহয়া’ইত তুরাছ, বৈরূত, ১৩৯২ হি.) (৬/১০৭)।] তেলাওয়াত করত, আর আমরা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকায় লাঠিতে ভর করতাম। আর আমরা বিরত হতাম না ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত।
আলোচ্য বর্ণনাটি মালেক (রহ.) স্বীয় গ্রন্থ ‘‘মুয়াত্তা’’ তে বর্ণনা করেছেন, আর তার অনুরূপ বর্ণনা করেছেন আবদুল আযীয ইবন মুহাম্মদ আদ দারাওয়ারদী সাঈদ ইবন মানছুরের নিকট এবং ইয়াহইয়া ইবন সাইদ আল কাত্তান আবু বকর ইবন আবি শাইবার নিকট। আর তাদের উভয়ে একই সূত্র তথা মুহাম্মদ ইবন ইউছুফ হতে বর্ণনা করেন। আর তিনি বলেন, এগার রাকা‘আত। [. দেখুন, নিমাওয়াই যা উল্লেখ করেছেন তাঁর আছারুস-সুনান গ্রন্থে, (মুসাওয়ারাহ, তা.বি পৃ. ২৫০)]
শায়খ মুহাম্মদ নাসিরুদ্দিন আলবানী বলেন, অনুরূপভাবে মালেক (রহ.) এর বর্ণনা মোতাবেক বর্ণনা করেছেন ইসমাইল ইবন উমাইয়্যাহ, উসামা ইবন যায়েদ, মুহাম্মদ উবন ইসহাক। যা নিশাপুরীর বর্ণনা করেছেন। অনুরূপভাবে ইসমাঈল ইবন জা‘ফর আল মাদানী ইবন খুযাইমার নিকট, সকল বর্ণনা মুহাম্মদ ইবন ইউসুফের সাথে সংশ্লিষ্ট রযেছে। [. শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী, রিসালাতু সালাতুত তারাবীহ (রিয়াদ: মাকতাবাতুল মা‘আরেফ লিন -নাশারে ওয়াত তাওযী‘, প্রথম সংস্করণ ১৪২১, পৃ. ৫৩।]
উপরোক্ত বর্ণনাগুলোর মধ্যে যা ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে এসেছে তা বিশুদ্ধতার শীর্ষে অবস্থান করছে। আর তাতেও এগার রাকা‘আতের বর্ণনা এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/214/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।