মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ এর সাক্ষ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রাসঙ্গিক শর্তসমুহ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/26/19
যে কোনো বান্দা কর্তৃক ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ এ সাক্ষ্য প্রদান করার ফলে কয়েকটি জিনিস অত্যাবশ্যকীয় হয়ে যায়। তন্মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো:
১. ইহকাল ও পরকালের ব্যাপারে অতীত ও ভবিষ্যত সংক্রান্ত যে সব সংবাদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিয়েছেন সেগুলোর যথাযথ সত্যায়ণ করা, সত্য বলে মেনে নেওয়া। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করল সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমূখতা অবলম্বন করল, আমরা তো আপনাকে (হে মুহাম্মাদ) তাদের জন্য রক্ষক নিযুক্ত করে পাঠাই নি।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৮০] অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দীন অন্বেষণ করে, কস্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখিরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫] অনুরূপভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“যে এমন আমল করল যার প্রতি আমাদের নির্দেশ নেই, তা পরিত্যক্ত, পরিত্যাজ্য ও প্রত্যাখ্যাত।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১০৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৪৩।] অন্যত্র বলেন,
“আমার উম্মতের প্রত্যেকেই জান্নাতে প্রবেশ করবে, তবে প্রত্যাখ্যানকারী ব্যতীত। তারা জিজ্ঞেস করল: হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রত্যাখ্যানকারী কে? তিনি বললেন, যে আমার আনুগত্য করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে আমার অবাধ্য হবে সেই তো প্রত্যাখ্যানকারী।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭২৮০।]
“যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রাসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ২১]
এতে সন্দেহ নেই যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হচ্ছেন ইসলামের চির জীবন্ত আদর্শ। প্রতিটি কাজে ও কর্মে তিনিই উত্তম পথিকৃত। যে তার আনুগত্য করবে সৌভাগ্যশীল হবে। যে তার আদর্শ ও নীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে সে পথভ্রষ্ট ও দিকভ্রান্ত হবে।
৫. সমস্ত বিরোধপূর্ণ বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মীমাংসার শরণাপন্ন হওয়া, সে মীমাংসাতে সন্তুষ্ট থাকার সাথে সাথে ন্যায় ও ইনসাফের বিশ্বাস রাখা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“অতএব, আপনার রবের শপথ! তারা কখনো ঈমানদার হতে পারবে না, যে পর্যন্ত তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে আপনাকে বিচারক বলে মেনে না নেয়। অতঃপর আপনি যে বিচার করবেন তা দ্বিধাহীন অন্তরে গ্রহণ না করে এবং এটি সন্তুষ্টচিত্তে কবুল করে।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৬৫]
৬. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যাপারে বাড়াবাড়িতে লিপ্ত না হওয়া এবং অবজ্ঞা ও অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকা: আল্লাহ যতটুকু সম্মান দান করেছেন, ততটুকু সম্মান তাকে প্রদান করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
‘মুহাম্মাদ তোমাদের মধ্যকার কোনো পুরুষের পিতা নন, বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৪০]
সুতরাং রাসূলের ব্যাপারে এমন কোনো বিশ্বাস পোষণ করবে না যা আল্লাহর রুবুবিয়্যাতের সাথে শির্কের শামিল। যেমন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য আল্লাহর ন্যায় কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে বিশ্বাস পোষণ করা। যেমন, তিনি গায়েব জানেন, দুনিয়ার আবর্তন ও বিবর্তনের অধিকার রাখেন, উপকার ও ক্ষতি করার সামর্থ্য রাখেন, কিছু দিতে পারেন, বঞ্চিত করতে পারেন ইত্যাদি বিশ্বাস করা।
অনুরূপভাবে রাসূলের জন্য এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যা আল্লাহর উলুহিয়্যাতের সাথে শির্কের শামিল, যেমন কুরবানী, মানত, সাহায্যের আবেদন, সুপারিশ প্রার্থনা, ভরসা, ভয় ও আশা ইত্যাদির ব্যাপারে তার শরণাপন্ন হওয়া। উল্লিখিত যাবতীয় ইবাদত একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্যই নির্দিষ্ট। যে কেউ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করবে সে প্রকারান্তরে তার বিরোধিতায় ও অবাধ্যতায় লিপ্ত হলো। যেমন, তিনি বলেছেন:
“তোমরা আমার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না, যেমন নাসারারা মারইয়াম তনয় ঈসার ব্যাপারে করেছে। নিঃসন্দেহে আমি আল্লাহর বান্দা। সুতরাং তোমরা আমাকে তাঁর বান্দা এবং রাসূল বলো।” [মুসনাদে আবি দাঊদ ত্বায়ালিসী, হাদীস নং ২৪।] যেহেতু আল্লাহ তা‘আলা জানতেন যে, কতিপয় লোক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে। তাই তিনি উম্মতকে স্বীয় সাধ্য ও সামর্থ্যের কথা জানিয়ে দেওয়ার জন্য রাসূলকে নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আপনি বলুন, আমি তোমাদেরকে বলি না যে আমার কাছে আল্লাহর ভাণ্ডার রয়েছে। তা ছাড়া আমি গায়েবী বিষয়ও অবগত নই। আমি এমনও বলি না যে, আমি ফিরিশতা। আমি তো শুধু ঐ অহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৫০]
“আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ বা অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান, আর আমি যদি গায়েবের কথা জানতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতাম এবং কোনো অমঙ্গল আমাকে কখনও স্পর্শ করতে পারতো না। আমি তো শুধু মাত্র ঈমানদারদের জন্য একজন ভীতিপ্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৮৮] অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“বলুন, আমি তোমাদের ক্ষতি কিংবা কল্যাণ করার ক্ষমতা রাখি না। বলুন, আল্লাহর কবল থেকে কেউ আমাকে রক্ষা করতে পারবে না এবং তিনি ব্যতীত আমি কোনো আশ্রয়স্থল পাব না। কিন্তু আল্লাহর বাণী পৌঁছানো ও তার পয়গাম প্রচার করাই আমার কাজ। যে আল্লাহ ও তার রাসূলের অবাধ্য হবে, তার জন্যে রয়েছে জাহান্নামের অগ্নি। তথায় তারা চিরকাল থাকবে।” [সূরা আল-জিন্ন, আয়াত: ২১-২৩]
তদ্রুপ রাসূলকে ঐ সমস্ত বৈশিষ্ট্য থেকে মুক্ত মনে করা যাবে না, যার দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা তাকে ভূষিত করেছেন, এটাও এক ধরনের বাড়াবাড়ি। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা তাকে সমস্ত সৃষ্টি জীবের ওপর শ্রেষ্টত্ব দান করেছেন, রিসালাতের দায়িত্ব, সুসংবাদদান ও সতর্ককরণের দায়িত্ব প্রদান করেছেন, অলৌকিক ঘটনাবলীর দ্বারা স্বীয় নবুওয়াতের সত্যতা প্রমাণ করার ক্ষমতা প্রদান করেছেন। কতিপয় গায়েবী জ্ঞানের ইলম এবং হাওযে কাউসার প্রভৃতি দান করেছেন। সুতরাং ঈমানদারের উচিৎ এ সকল নি‘আমত ও পুরস্কারের প্রতি ঈমান রাখা, অতিরঞ্জন ও সীমালঙ্ঘন থেকে বিরত থাকা (যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দুনিয়া-আখিরাতে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে)।
এখানে আমরা আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রদত্ত কতিপয় স্বাতন্ত্র ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করছি, যা পূর্বের কোনো নবীকে দেওয়া হয় নি। যার ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং বলেছেন, তিনি বলেন,
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।