HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বিশ্বমানবতার প্রতি বিশ্বনবীর শাশ্বত অবদান

লেখকঃ সিরাজুল ইসলাম আলী আকবর

৩। মানুষের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব:
বিশ্বমানবতার প্রতি বিশ্বনবীর তৃতীয় অবদান হচ্ছে, সৃষ্টিলোকে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব ও উচ্চতর মর্যাদার ঘোষণা। বিশ্বনবীর আগমনের পূর্বে মানুষ ছিল লাঞ্চিত, অপমানিত। প্রকৃতপক্ষে মানুষের কোনো মর্যাদাই স্বীকৃত ছিল না। ভূ-পৃষ্ঠে মানুষের চেয়ে হীন ও নীচ জিনিস আর কিছু ছিল না। মানুষের তুলনায় কোনো কোনো বিশেষ জন্তু বা বিশেষ বৃক্ষের মর্যাদা ছিল অনেক বেশি। সে বিশেষ জন্তু বা বৃক্ষের মর্যাদা ও সন্তুষ্টি বিধানের জন্য মানুষকে অকাতরে বলিদান করা হত। বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই দুনিয়ার সামনে সর্বপ্রথম ঘোষণা করলেন,

মানুষই এ সমগ্র সৃষ্টিলোকে একমাত্র সেরা সৃষ্টি- আশরাফুল মাখলুকাত। সৃষ্টিলোকের কোনো কিছুর তুলনায়ই মানুষ হীন নয়; বরং সকলের ঊর্ধ্বে আর তার উর্ধ্বে শুধুমাত্র আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন। তিনি ছাড়া মানুষের তুলনায় অধিক মর্যাদার অধিকারী আর কিছু নেই, আর কেউ নেই। এ পৃথিবীতে মানুষ একমাত্র আল্লাহর বান্দা এবং সেই সাথে সে আল্লাহর খলিফা। আল্লাহর বান্দা হয়ে তাঁর খিলাফতের দায়িত্ব পালন করাই এখানে মানুষের কর্তৃব্য। আর তাতেই নিহিত মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অবস্থান। বিশ্বলোকের সবকিছুই মানুষের খেদমতে, তাদের কল্যাণে নিয়োজিত। মানুষের এই তুলনাহীন মর্যাদার ঘোষণা কেবলমাত্র বিশ্বনবীর কন্ঠেই ধ্বনিত হয়েছে। তার পূর্বে যেমন এরূপ ঘোষণা কেউ দেয় নি, বর্তমান সময় পর্যন্তও কেউ দেয় নি আর কেয়ামত পর্যন্ত কেউ দিতে পারবে না।

বিশ্বনবীর আগমনের পূর্বে এক ব্যক্তির কামনা বাসনার পদমূলে শত সহস্র মানুষের জীবনকে উৎসর্গ করাও কিছুমাত্র অন্যায় বা নিন্দনীয় ছিল না। ফলে এক এক ব্যক্তি শক্তি বলে এক একটি দেশ দখল করে নিত আর দাসানুদাস বানিয়ে নিত লক্ষ কোটি মানুষকে। তাদের জিঘাংসা চরিতার্থ করার জন্য ধ্বংস করা হত শহর-নগর-জনপদকে, নষ্ট করে দেওয়া হত শস্য শ্যামল ক্ষেত-খামার। হিংস্র ক্ষুধার্থ সিংহ যেমন সহসা জংগল থেকে বেরিয়ে এসে অসহায় মানুষের উপর ঝাপিয়ে পড়ে ছিন্ন ভিন্ন করে তাদের রক্ত পান করে নিজের জিঘাংসা চরিতার্থ করে। মানব সমাজের সাধারণ অবস্থা এ থেকে ভিন্ন কিছু ছিল না। দূর অতীতে যেমন তার নিদর্শন মিলে, আজকের দুনিয়ায়ও তার দৃষ্টান্ত খুব বিরল নয়। এই সব কিছুর মূলেই রয়েছে ব্যক্তির লোভ-লালসা, সার্বভৌমত্বের খায়েশ এবং মানব সন্তানকে নিজের দাসানুদাস বানাবার প্রচণ্ড উন্মাদনা। কিন্তু বিশ্বনবী দরাজ কন্ঠে ঘোষণা করলেন,

“মানুষ মানুষের দাস হতে পারে না। মানুষের প্রভু হতে পারে না তার মতই আরেক মানুষ; বরং মানুষ হিসেবে সকলেই সমান, সর্বতোভাবেই অভিন্ন। মানুষ অন্যান্য সৃষ্টির ন্যায় লক্ষ্যহীন হতে পারে না। আর কোনো বৈষয়িক স্বার্থ বা সুযোগ-সুবিদা লাভ কিংবা জৈবিক কামনা-বাসনা চরিতার্থ করাই মানুষের জীবন লক্ষ্য হতে পারে না।”

বিশ্বনবীর আগমনের পূর্বে দুনিয়ার মানুষের কোনো জীবন লক্ষ্য নির্দিষ্ট কিংবা সুস্পষ্ট ছিল না। ছিল না উচ্চতর কোনো লক্ষ্যে কাজ করার ন্যূনতম প্রেরণা। তাই বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা করলেন, “মানুষ এই দুনিয়ার কেবলমাত্র বিশ্বস্রষ্টা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যেই কাজ করবে। অন্য কারো অভিপ্রায় পুরণের জন্য মানুষ কিছু করতে বাধ্য নয়।”

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন