hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে মুসলিম জীবনের আদব-কায়দা

লেখকঃ ড. মো: আমিনুল ইসলাম

১৬
(ঘ) স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যকার আদব:
মুসলিম ব্যক্তি স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যকার পরস্পরের জন্য নির্ধারিত আদব তথা অধিকারসমূহকে স্বীকৃতি প্রদান করবে; কেননা, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ وَلَهُنَّ مِثۡلُ ٱلَّذِي عَلَيۡهِنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِۚ وَلِلرِّجَالِ عَلَيۡهِنَّ دَرَجَةٞۗ ﴾ [ البقرة : ٢٢٨ ]

“আর নারীদের তেমনি ন্যায়সংগত অধিকার আছে, যেমন আছে তাদের উপর পুরুষদের; আর নারীদের উপর পুরুষদের মর্যাদা আছে।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২৮] সুতরাং আল-কুরআনের এ আয়াতটি স্বামী ও স্ত্রীর প্রত্যেকের জন্য একের উপর অন্যের অধিকার নির্ধারণ করে দিয়েছে এবং বিশেষ কিছু কারণে স্বামীকে তার স্ত্রীর উপর বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হাজ্জের ভাষণে বলেন:

« أَلَا إِنَّ لَكُمْ عَلَى نِسَائِكُمْ حَقًّا , وَلِنِسَائِكُمْ عَلَيْكُمْ حَقًّا » . ( رواه أصحاب السنن ).

“জেনে রাখবে, নিশ্চয়ই তোমাদের নারীদের উপর তোমাদের অধিকার রয়েছে, আর তোমাদের উপরও তোমাদের নারীদের অধিকার রয়েছে ।” [সুনান চতুষ্টয়; ইমাম তিরমিযী রহ. হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন।] তবে এসব অধিকারের মধ্য থেকে কিছু অধিকার আছে এমন, যা স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের মাঝে যৌথভাবে প্রযোজ্য এবং কিছু অধিকার আছে এমন, যা তাদের প্রত্যেকের জন্য পৃথক পৃথকভাবে নির্দিষ্ট; সুতরাং যেসব অধিকার তাদের উভয়ের জন্য যৌথভাবে প্রযোজ্য, সেগুলো হলো:

১. আমানত তথা বিশ্বস্ততা; কেননা, স্বামী ও স্ত্রী প্রত্যেকের উপর ওয়াজিব হলো একে অপরের প্রতি বিশ্বস্ত হওয়া; সুতরাং কম হউক বেশি হউক কোনো অবস্থাতেই তারা একে অন্যের খিয়ানত করবে না; কারণ, স্বামী-স্ত্রী একে অপরের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী; অতএব কারণে তাদের বিশেষ ও সাধারণ জীবনের প্রতিটি বিষয় ও ক্ষেত্রে পরস্পরের মাঝে বিশ্বস্ততা, কল্যাণ কামনা, সততা ও নিষ্ঠার মত বিষয়গুলো যথাযথভাবে পালন করা জরুরি।

২. ভালোবাসা ও সম্প্রীতি; তারা দীর্ঘ জীবনে প্রত্যেকে প্রত্যেকের জন্য সর্বোচ্চ পরিমাণে নির্ভেজাল ভালোবাসা ও অবারিত সহমর্মিতা প্রদর্শন করবে; কেননা, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ وَمِنۡ ءَايَٰتِهِۦٓ أَنۡ خَلَقَ لَكُم مِّنۡ أَنفُسِكُمۡ أَزۡوَٰجٗا لِّتَسۡكُنُوٓاْ إِلَيۡهَا وَجَعَلَ بَيۡنَكُم مَّوَدَّةٗ وَرَحۡمَةًۚ ﴾ [ الروم : ٢١ ]

“আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জোড়া; যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং সৃজন করেছেন তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও সহমর্মিতা।” [সূরা আর-রূম, আয়াত: ২১] তাছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

« مَنْ لا يَرْحم لا يُرْحَمْ » . ( رواه الطبراني ).

“যে ব্যক্তি অনুকম্পা প্রদর্শন করবে না, তার প্রতিও অনুকম্পা প্রদর্শন করা হবে না।” [ত্ববারনী রহ. হাদিসটি সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।]

৩. পরস্পরের মাঝে আস্থা, বিশ্বাস ও নির্ভরশীলতা; অর্থাৎ তাদের প্রত্যেকে একে অপরের ব্যাপারে আস্থাশীল হবে এবং তার জন্য তার সততা, আন্তরিকতা ও একনিষ্ঠতার ব্যাপারে তার মনে ন্যূনতম সন্দেহের অনুপ্রবেশ ঘটবে না; আর এটা এ জন্য যে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ إِنَّمَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ إِخۡوَةٞ ﴾ [ الحجرات : ١٠ ]

“মুমিনগণ তো পরস্পর ভাই ভাই।” [সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১০] আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

« لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى يُحِبَّ لِأَخِيهِ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ » . ( رواه الشيخان و غيرهما ).

“তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার নিজের জন্য যা পছন্দ করবে, তার ভাইয়ের জন্য তা পছন্দ করবে।” [বুখারী ও মুসলিম রহ. প্রমুখ।] আর দাম্পত্য বন্ধন উভয়ের মাঝে ঈমানী ভ্রাতৃত্ববোধকে আরও বাড়িয়ে শক্তিশালী ও মজবুত করে দেয়। আর এ কারণে স্বামী-স্ত্রীর প্রত্যেকেই অনুভব করে একে অপরের সত্তায় মিশে গিয়ে যেন এক দেহ এক মন; সুতরাং একজন মানুষ কিভাবে তার নিজ সত্তাকে অবিশ্বাস করবে এবং কিভাবে তার নিজের কল্যাণ কামনা করবে না? অথবা কিভাবে সে নিজেকে ধোঁকা দিবে ও প্রতারিত করবে?

৪. সার্বজনীন আদব হলো আচার ব্যাহারে কোমল হওয়া, আনন্দময় অবস্থান, সম্মানজনক কথা বলা এবং শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করা; আর এটাই হলো সৎভাবে জীবনযাপন করা, যে ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বাণীর মধ্যে নির্দেশ প্রদান করেছেন, তিনি বলেন:

﴿ وَعَاشِرُوهُنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِۚ ﴾ [ النساء : ١٩ ]

“আর তোমরা তাদের সাথে সৎভাবে জীবন যাপন কর।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৯] আর এটাই হলো কল্যাণ কামনা করা, যার নির্দেশ প্রদান করেছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বাণীর মাধ্যমে, তিনি বলেন:

« اسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا » . ( رواه مسلم ).

“তোমরা নারীদের কল্যাণ কামনা কর।” [মুসলিম, হাদিস নং- ৩৭২০] আর এসব হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার যৌথ আদব-কায়দা, যেগুলো তারা পরস্পর মেনে চলবে তাদের মধ্যকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন স্বরূপ, যে দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে আল্লাহ তা‘আলার বাণীর মধ্যে, তিনি বলেন:

﴿ وَكَيۡفَ تَأۡخُذُونَهُۥ وَقَدۡ أَفۡضَىٰ بَعۡضُكُمۡ إِلَىٰ بَعۡضٖ وَأَخَذۡنَ مِنكُم مِّيثَٰقًا غَلِيظٗا ٢١ ﴾ [ النساء : ٢١ ]

“আর কিভাবে তোমরা তা গ্রহণ করবে, যখন তোমরা একে অপরের সাথে সংগত হয়েছ এবং তারা তোমাদের কাছ থেকে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি নিয়েছে?।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ২১] তাছাড়া তারা এগুলো মেনে চলবে আল্লাহর আনুগত্য করার নিমিত্তে; আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ وَلَا تَنسَوُاْ ٱلۡفَضۡلَ بَيۡنَكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ بِمَا تَعۡمَلُونَ بَصِيرٌ ٢٣٧ ﴾ [ البقرة : ٢٣٧ ]

“আর তোমরা নিজেদের মধ্যে অনুগ্রহের কথা ভুলে যেও না। তোমরা যা কর নিশ্চয় আল্লাহ তা সবিশেষ প্রত্যক্ষকারী।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৩৭]

তাছাড়া আরও কিছু বিশেষ অধিকার ও আদব রয়েছে, যেগুলো স্বামী-স্ত্রীর প্রত্যেকেই এককভাবে একে অপরের সাথে রক্ষা করে চলবে; সে বিশেষ আদাব ও অধিকারসমূহ নিম্নরূপ:

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন