hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে মুসলিম জীবনের আদব-কায়দা

লেখকঃ ড. মো: আমিনুল ইসলাম

২২
(জ) কাফিরের সাথে আচরণ:
মুসলিম ব্যক্তি বিশ্বাস করে যে, ইসলাম ছাড়া সকল জাতি, দীন ও ধর্ম বাতিল এবং তার অনুসারীগণ কাফির। আর দীন ইসলাম হলো একমাত্র সত্য দীন এবং তার অনুসারীগণ হলেন মুমিন মুসলিম। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ إِنَّ ٱلدِّينَ عِندَ ٱللَّهِ ٱلۡإِسۡلَٰمُۗ ﴾ [ ال عمران : ١٩ ]

“নিশ্চয় ইসলামই আল্লাহর নিকট একমাত্র দীন।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯] আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿ وَمَن يَبۡتَغِ غَيۡرَ ٱلۡإِسۡلَٰمِ دِينٗا فَلَن يُقۡبَلَ مِنۡهُ وَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٨٥ ﴾ [ ال عمران : ٨٥ ]

“আর কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো তার পক্ষ থেকে কবুল করা হবে না এবং সে হবে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫] আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿ ٱلۡيَوۡمَ أَكۡمَلۡتُ لَكُمۡ دِينَكُمۡ وَأَتۡمَمۡتُ عَلَيۡكُمۡ نِعۡمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلۡإِسۡلَٰمَ دِينٗاۚ ﴾ [ المائ‍دة : ٣ ]

“আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নি‘য়ামত সম্পূর্ণ করলাম, আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।” [সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ৩]

সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক নাযিলকৃত এসব চিরন্তন সত্যবাণীর মাধ্যমে মুসলিম ব্যক্তি জানে যে, ইসলামপূর্ব সকল ধর্ম ইসলামের আগমনে ‘মানসুখ’ বা রহিত হয়ে গেছে; আর ইসলাম হয়ে গেল গোটা মানবজাতির একমাত্র দীন বা জীবনবিধান; সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা কারও পক্ষ থেকে ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো দীনকে গ্রহণ করবেন না এবং ইসলাম ছাড়া আর অন্য কোনো শরী‘য়তকে শরী‘য়ত হিসেবে পছন্দ করবেন না; আর সেখান থেকেই মুসলিম ব্যক্তি মনে প্রাণে বিশ্বাস করে যে, এমন প্রত্যেক ব্যক্তিই কাফির, যে ব্যক্তি ইসলামকে আল্লাহ তা‘আলার জন্য দীন হিসেবে গ্রহণ করতে পারেনি। আর সে ‘কুফর’ বা কাফিরের সাথে নিম্নোক্ত আদবসমূহ রক্ষা করে চলবে:

১. কুফরীকে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং তাকে পছন্দ না করা; কারণ, ‘কুফর’কে পছন্দ করা কুফরী।

২. আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক তাকে ঘৃণা করার কারণে তাকে ঘৃণা করা; কেননা, ভালোবাসা হবে আল্লাহর জন্য এবং ঘৃণা করাটাও হবে আল্লাহর উদ্দেশ্যে; আর আল্লাহ তা‘আলাকে অস্বীকার করার কারণেই তিনি তাকে ঘৃণা করেন; সুতরাং মুসলিম ব্যক্তি কাফিরকে ঘৃণা করবে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক তাকে ঘৃণা করার কারণেই।

৩. তার সাথে বন্ধত্ব ও ভালোবাসা স্থাপন না করা; কেননা, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ لَّا يَتَّخِذِ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ٱلۡكَٰفِرِينَ أَوۡلِيَآءَ مِن دُونِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَۖ ﴾ [ ال عمران : ٢٨ ]

“মুমিনগণ যেন মুমিনগণ ছাড়া কাফেরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ২৮] আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿ لَّا تَجِدُ قَوۡمٗا يُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ يُوَآدُّونَ مَنۡ حَآدَّ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَلَوۡ كَانُوٓاْ ءَابَآءَهُمۡ أَوۡ أَبۡنَآءَهُمۡ أَوۡ إِخۡوَٰنَهُمۡ أَوۡ عَشِيرَتَهُمۡۚ ﴾ [ المجادلة : ٢٢ ]

“আপনি পাবেন না আল্লাহ ও আখিরাতের উপর ঈমানদার এমন কোন সম্প্রদায়, যারা ভালবাসে তাদেরকে, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে- হোক না এ বিরুদ্ধাচারীরা তাদের পিতা, পুত্র, ভাই অথবা এদের জ্ঞাতি-গোত্র।” [সূরা আল-মুজাদালা, আয়াত: ২২]

৪. তার সাথে ইনসাফপূর্ণ ব্যবহার ও ন্যায় আচরণ করা এবং সে যদি বিদ্রোহী না হয়, তাহলে তাকে কল্যাণকর সুযোগ সুবিধা প্রদান করা; কেননা, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ لَّا يَنۡهَىٰكُمُ ٱللَّهُ عَنِ ٱلَّذِينَ لَمۡ يُقَٰتِلُوكُمۡ فِي ٱلدِّينِ وَلَمۡ يُخۡرِجُوكُم مِّن دِيَٰرِكُمۡ أَن تَبَرُّوهُمۡ وَتُقۡسِطُوٓاْ إِلَيۡهِمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلۡمُقۡسِطِينَ ٨ ﴾ [ الممتحنة : ٨ ]

“দীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে স্বদেশ থেকে বহিস্কার করেনি, তাদের প্রতি মহানুভবতা দেখাতে ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদেরকে ভালবাসেন।” [সূরা আল-মুমতাহিনা, আয়াত: ৮] সুতরাং এ সুস্পষ্ট আয়াতটি কাফিরদের সাথে ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ আচার-ব্যবাহারকে এবং তাদের উপকার করার বিষয়টিকে বৈধতা দিয়েছে; আর শুধু বিদ্রোহী কাফিরগণ ব্যতীত বাকি সকল কাফিরই এ সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবে; আর যেসব কাফিরের জন্য বিশেষ রাজনৈতিক দর্শন ও নিয়মনীতির ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে বিদ্রোহী বলে গণ্য করা হবে এবং তাদের ক্ষেত্রে বিদ্রোহীদের বিধান প্রযোজ্য হবে।

৫. তার প্রতি সাধারণ সহানুভূতির সাথে করুণা করা, যেমন— সে ক্ষুধার্ত হলে তাকে খাবার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা, তৃষ্ণার্ত হলে তাকে পানি পান করানো, অসুস্থ হলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, বিপদ-মুসিবত ও দুর্যোগ থেকে রক্ষা করা এবং কষ্টকর বিষয় থেকে তাকে দূরে সরিয়ে রাখা; কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

« ارْحَمْ مَنْ فِي الأَرْضِ يَرْحَمْكَ مَنْ فِي السَّمَاءِ » . ( رواه الطبراني والحاكم ).

“তুমি পৃথিবীতে যারা আছে, তাদের প্রতি দয়া কর, তাহলে আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমার প্রতি দয়া করবেন।” [ত্ববারানী ও হাকেম এবং হাদিসটি সহীহ।] তিনি আরও বলেন:

« فِي كُلِّ ذِي كَبِدٍ رَطْبَةٍ أَجْرٌ » . ( رواه أحمد و ابن ماجه ).

“প্রাণী মাত্রকেই পানি পান করানোর মধ্যে সাওয়াব রয়েছে।” [আহমাদ ও ইবনু মাজাহ এবং হাদিসটি সহীহ।]

৬. যদি সে বিদ্রোহী না হয়ে থাকে, তাহলে তার সম্পদ, জীবন বা সম্মানের ব্যাপারে তাকে কষ্ট না দেওয়া; কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

« يَقُولُ اللهُ تَبَاركَ وتعالى : يَا عِبَادي ! إنِّي حَرَّمْتُ الظُلْمَ عَلَى نَفْسي وَجَعَلْتُهُ بيْنَكم مُحَرَّماً فَلا تَظَالَمُوا » . ( رواه مسلم ).

“আল্লাহ তা‘আলা বলেন: হে আমার বান্দারা! আমি নিজের উপর যুলুমকে হারাম করে রেখেছি এবং তোমাদের মধ্যেও তা হারাম করেছি; সুতরাং তোমরা পরস্পর যুলুম করো না।” [মুসলিম, হাদিস নং- ৬৭৩৭] তিনি আরও বলেন:

« مَنْ آذَى ذِمِّياً , فأنَا خَصْمُهُ يومَ القِيَامَةِ» . ( رواه الخطيب ).

“যে ব্যক্তি কোনো যিম্মীকে (অমুসলিম নাগরিককে) কষ্ট দিবে, কিয়ামতের দিন আমি তার বিপক্ষে দাঁড়াবো।” [খতিব এবং হাদিসটি দুর্বল।]

৭. তাকে হাদিয়া বা উপহার সামগ্রী প্রদান করা, তার দেয়া উপহার গ্রহণ করা এবং সে যদি কিতাবী তথা ইহুদী বা খ্রিষ্টান হয়, তাহলে তার তৈরি করা খাবার খাওয়া বৈধ; কেননা, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ وَطَعَامُ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ حِلّٞ لَّكُمۡ ﴾ [ المائ‍دة : ٥ ]

“আর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তাদের খাদ্যদ্রব্য তোমাদের জন্য হালাল।” [সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ৫] তাছাড়া সহীহভাবে বর্ণিত আছে যে, মদীনাতে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইহুদীর খাবার গ্রহণের জন্য দাওয়াত করা হয়, তারপর তিনি সে দাওয়াত গ্রহণ করেন এবং তাঁর উদ্দেশ্যে পরিবেশিত তাদের খাবার থেকে তিনি খাবার গ্রহণ করেন। [উদ্ধৃত, আবূ বকর আল-জাযায়েরী, মিনহাজুল মুসলিম, পৃ. ১৫০]

৮. মুমিন রমনীকে তার নিকট বিয়ে না দেওয়া, যদিও কিতাবী (ইহুদী বা খ্রিষ্টান) রমনীদেরকে বিয়ে করা বৈধ; কেননা, আল্লাহ তা‘আলা মুমিন রমনীকে কাফিরের সাথে বিয়ে দেয়ার ব্যাপারে সাধারণভাবে নিষেধ করে বলেন:

﴿ لَا هُنَّ حِلّٞ لَّهُمۡ وَلَا هُمۡ يَحِلُّونَ لَهُنَّۖ ﴾ [ الممتحنة : ١٠ ]

“মুমিন নারীগণ কাফিরদের জন্য বৈধ নয় এবং কাফিরগণ মুমিন নারীদের জন্য বৈধ নয়।” [সূরা আল-মুমতাহিনা, আয়াত: ১০] আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:

﴿ وَلَا تُنكِحُواْ ٱلۡمُشۡرِكِينَ حَتَّىٰ يُؤۡمِنُواْۚ ﴾ [ البقرة : ٢٢١ ]

“আর ঈমান না আনা পর্যন্ত মুশরিক পুরুষদের সাথে তোমরা বিয়ে দিও না।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২২১] তাছাড়া মুসলিম পুরুষ কর্তৃক কিতাবী নারীকে বিয়ে করার বৈধতার ব্যপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ وَٱلۡمُحۡصَنَٰتُ مِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ مِن قَبۡلِكُمۡ إِذَآ ءَاتَيۡتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ مُحۡصِنِينَ غَيۡرَ مُسَٰفِحِينَ وَلَا مُتَّخِذِيٓ أَخۡدَانٖۗ ﴾ [ المائ‍دة : ٥ ]

“আর তোমাদের আগে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের সচ্চরিত্রা নারীদেরকে তোমাদের জন্য বৈধ করা হল যদি তোমরা তাদের মোহর প্রদান কর বিয়ের জন্য, প্রকাশ্য ব্যভিচার বা গোপন প্রণয়িনী গ্রহণকারী হিসেবে নয়।” [সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ৫]

৯. যখন সে হাঁচি দিবে এবং ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ( الحَمْدُ للهِ ) বলে আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করবে, তখন তার হাঁচির জবাব দেবে এই বলে: " يَهْدِيكُمُ اللهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ " (আল্লাহ তোমাদেরকে হিদায়েত করুন এবং তোমাদের অবস্থাকে ভালো করে দিন); কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ইহুদীর নিকট হাঁচি দিয়েছিলেন এ প্রত্যাশায় যে, সে তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলবে: ‘ইয়ারহামুকুমুল্লাহ’ ( يَرْحَمُكُمُ اللهُ ) [অর্থাৎ আল্লাহ তোমার প্রতি রহম করুন]; তারপর তিনি তাকে উদ্দেশ্য করে বলবেন: " يَهْدِيكُمُ اللهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ " (আল্লাহ তোমাদেরকে হিদায়েত করুন এবং তোমাদের অবস্থাকে ভালো করে দিন)। [উদ্ধৃত, আবূ বকর আল-জাযায়েরী, মিনহাজুল মুসলিম, পৃ. ১৫১]

১০. তাকে আগে সালাম না দেওয়া এবং সে যদি সালাম দেয়, তাহলে « وَعَلَيْكُمْ » (তোমাদের উপরও) বলে তার জবাব দেওয়া; কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

« إِذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أهْلُ الكِتَابِ فَقُولُوا : وَعَلَيْكُمْ » . ( مُتَّفَقٌ عَلَيهِ ) .

“যখন ইহুদী ও খ্রিষ্টানরা তোমাদেরকে সালাম প্রদান করে, তখন তোমরা বল: « وَعَلَيْكُمْ » (তোমাদের উপরও)।” [বুখারী, হাদিস নং- ৬৫২৭; মুসলিম, হাদিস নং- ৫৭৮০]

১১. তার সাথে রাস্তায় চলার সময় তাকে সবচেয়ে সংকীর্ণ রাস্তায় চলতে বাধ্য করা; কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

« لاَ تَبْدَأُوا اليَهُودَ وَلاَ النَّصَارَى بالسَّلامِ ، فَإِذَا لَقِيتُمْ أَحَدَهُمْ في طَرِيق فَاضطَرُّوهُ إِلَى أَضْيَقِه » . ( رواه مسلم و أبو داود و الطبراني ) .

“তোমরা ইহুদী ও খ্রিষ্টানদেরকে আগে আগে সালাম দিয়ো না; আর যখন পথে তাদের কারোর সাথে তোমাদের দেখা হবে, তখন তাকে সংকীর্ণ পথের দিকে যেতে বাধ্য করো।” [মুসলিম (হাদিস নং- ৫৭৮০), আবূ দাউদ (হাদিস নং- ৫২০৫) ও ত্ববারানী।]

১২. তার বিপরীত কাজ করা এবং তাকে অনুকরণ ও অনুসরণ না করা, যেমন— দাড়ি লম্বা করা, যখন সে তা মুণ্ডন করে ফেলে; দাড়িতে রঙ করা, যখন সে তা রঙ করে না; অনুরূপভাবে পোশাক পরিধানের ব্যাপারেও তার বিপরীত করা; কেননা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

« مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ » . ( أخرجه أحمد و أبو داود ).

“যে ব্যক্তি কোনো জাতির অনুসরণ করে, তবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।” [আহমাদ, আল-মুসনাদ: ২ / ৫০; আবূ দাউদ, হাদিস নং- ৪০৩৩] তিনি আরও বলেন:

« خَالِفُوا الْمُشْرِكِينَ ، أَحْفُوا الشَّوَارِبَ ، وَأَوْفُوا اللِّحَى » . ( مُتَّفَقٌ عَلَيهِ ).

“তোমরা মুশরিকদের বিপরীত করবে, তোমরা গোঁফ ছোট করবে এবং দাড়ি লম্বা রাখবে।” [বুখারী, হাদিস নং- ৫৫৫৩; মুসলিম, হাদিস নং- ৬২৫] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন:

« إِنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى لاَ يَصْبُغُونَ فَخَالِفُوهُمْ » . ( أخرجه البخاري و مسلم ).

“নিশ্চয়ই ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানগণ (দাড়ি ও চুলে) রঙ বা খেযাব লাগায় না; অতএব, তোমরা (রঙ বা খেযাব লাগিয়ে) তাদের বিপরীত কাজ কর।” [বুখারী, হাদিস নং- ৩২৭৫; মুসলিম, হাদিস নং- ৫৬৩২] অর্থাৎ দাড়ি অথবা মাথার চুলকে হলুদ অথবা লাল রঙ দ্বারা খেযাব করা; কেননা, কালো রঙ দ্বারা খেযাব করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন; ইমাম মুসলিম রহ. কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

« غَيِّرُوا هَذَا ( الِشَّعرَ الأبْيَضَ ) بِشَىْءٍ ، وَاجْتَنِبُوا السَّوَادَ » .

“তোমরা এই সাদা চুলকে কোনো কিছু দ্বারা পরিবর্তন কর এবং কালো রঙ ব্যবহার করা থেকে দূরে থাক।” [মুসলিম, হাদিস নং- ৫৬৩১]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন