hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শিশুদের লালন-পালন [মাতা-পিতার দায়িত্ব ও সন্তানের করণীয়]

লেখকঃ শাইখ মুহাম্মাদ ইবন জামীল যাইনূ রহ.

১৯
যুব-সমাজের সমস্যার সমাধান
যুবকদের সমস্যার সর্বোত্তম সমাধান হল, যদি তারা স্ত্রীদের ভরণ পোষণ ও মোহরানা আদায়ে সক্ষম হয়, তাহলে তাদের বিবাহ দিয়ে দেয়া। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«يا معشر الشباب من استطاع منكم الباءة فليتزوج ، فإنه أغض للبصر ، وأحصن للفرج ، ومن لم يستطع فعليه بالصوم فإنه له وجاء» .

“হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্য হতে যাদের সামর্থ্য আছে, তারা যেন বিবাহ করে। কারণ, তা চক্ষুর জন্য শীতলতা ও লজ্জা স্থানের সংরক্ষণ। আর যে সামর্থ্য রাখে না, সে যেন রোজা রাখে, কারণ, রোজা রাখা তার জন্য প্রবৃত্তি-নিরোধক।” [বুখারী, মুসলিম] পড়ালেখা শেষ না করা বিবাহের জন্য কখনোই প্রতিবন্ধক নয়। বিশেষ করে, যখন সে কোন ধনী পরিবারের সন্তান হয়ে থাকে অথবা তার পিতা তার প্রয়োজনীয় খরচ বহন করার সামর্থ্য রাখে অথবা ছেলের নিকট সম্পদ থাকে বা তার চাকুরীর ব্যবস্থা থাকে, তখন বিবাহ করতে কোন বাধা নাই। বরং বিবাহ করে ঘর সংসার করাই তার জন্য মহৎ কাজ।

পিতার দায়িত্ব হল, ছেলে যখন বিবাহের বয়স হবে, তখন তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবাহ দিয়ে দেয়া। বিশেষ করে, যখন পিতা ধনী হয়, তখন সে তার ছেলেকে বিবাহ করাতে কোন প্রকার কালক্ষেপণ করবে না। আর একটি কথা অবশ্যই মনে রাখবে, যুবক ছেলে কোন প্রকার অশ্লীল কাজে জড়িত হওয়ার চেয়ে, তাকে বিবাহ দিয়ে দেয়া অধিক উত্তম। কারণ, যদি কোন অশ্লীল কাজে জড়িত হয়, তখন সমাজে সে অপমানিত হবে। আর ছেলেও যখন ধনী হয়, তখন সে নমনীয়তার সাথে তার পিতাকে বিবাহ দিয়ে দেয়ার জন্য আবেদন করতে পারে। এ ক্ষেত্রে মাতা-পিতার পছন্দ ও তাদের সন্তুষ্টিকে অধিক গুরুত্ব দেয়া উচিত।

একটি কথা প্রতিটি মানুষের মনে রাখেতে হবে, মহান আল্লাহ তা‘আলা যে কোন কিছুকে হারাম করেছে, তবে তার জায়গায় উত্তম একটি জিনিস হালাল করেছে। যেমন, মহান আল্লাহ তা‘আলা সুদকে হারাম করছে, তার বিপরীতে ব্যবসাকে হালাল করেছেন, আর জিনাকে হারাম করছেন, তার বিপরীতে তিনি বিবাহকে হালাল করছেন। মোটকথা, যুবকদের সমস্যা সমাধানের সর্বোত্তম উপায় হল, বিবাহ।

আর যখন অভাবী হয়, মোহরানা, বা খরচা বহন করতে অক্ষম হওয়ার কারণে যুবকের জন্য বিবাহ করা সম্ভব না হয়, তখন তার জন্য উত্তম চিকিৎসা নিম্নরূপ:

১.রোজা রাখা: কারণ হাদিসে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

« ومن لم يستطع فعليه بالصوم ، فإنه له وجاء» .

“যে অক্ষম হয়, সে যেন রোজা রাখে। কারণ, রোজা রাখা তার জন্য প্রবৃত্তি-নিরোধক।” আর যে ব্যক্তি বিবাহ করতে অক্ষম, তার উপর রোজা রাখা আবশ্যক। কারণ, রোজা মানুষের যৌবনকে দমিয়ে রাখে এবং তাদের জন্য সাময়িক উপশম হয়। রোজা যুবকদের প্রবৃত্তিকে দুর্বল করে দেয়। তবে রোজা শুধু খানা-পিনা থেকে বিরত থাকার নাম নয় বরং, রোজা হল, নিষিদ্ধ বস্তুর দিকে তাকানো, মেয়েদের সাথে উঠবস করা, অশ্লীল সিনেমা, নাচ-গান শোনা ও নাটক দেখা এবং অশ্লীল উপন্যাস ও গল্পের বই পড়া হতে বিরত থাকা সহ যাবতীয় অন্যায় কাজ হতে বিরত থাকা হল রোজা। আর যুবকদের উচিত হল, তারা তাদের চক্ষুর হেফাজত করবে, কানের হেফাজত করবে এবং মাথা-বনত করে রাস্তায় চলাফেরা করবে। কারণ, মহান আল্লাহ তা‘আলা সংযমের মধ্যেই সমাধান রেখেছেন। প্রবৃত্তির পূজা করার মধ্যে তিনি কোন সমাধান রাখেন নি, বরং তাতে তিনি রেখেছেন বিপদ ও সমস্যা ।

২.উন্নত হওয়া ও উত্তম আদর্শ গ্রহণ করা:

মনোবিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেন যে, মানুষের মধ্যে সুপ্ত যৌননাভূতি বা মানুষের যৌন প্রকৃতিকে উন্নীত ও নিয়ন্ত্রণ করা মানুষের ক্ষমতার ঊর্ধ্বে নয়, বরং তা মানুষের ক্ষমতার আওতাধীন ও মানুষের দ্বারা তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যদি তোমার বিয়ে করার ক্ষমতা না থাকে, তাহলে তার অর্থ এ নয় যে, তোমাকে বিপথে যেতে হবে। বরং তুমি ইচ্ছা করলে উত্তম আদর্শ আঁকড়ে ধরতে পার। তুমি কখনো অশ্লীলতার কাছেও না গিয়ে থাকতে পার, তুমি সবকিছুর ঊর্ধ্বে থেকে উন্নত চরিত্রকেই অবলম্বন করতে পার। আর তা হল, তুমি আত্মিক সাধনার প্রতি অধিক চেষ্টা কর। এ ছাড়াও সালাত, সিয়াম, কুরআন তিলাওয়াত. জিকির, হাদিস অধ্যয়ন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনী, মহা-মনীষীদের জীবনী পাঠ ইত্যাদির প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ করবে, তাতে তোমার মন আর খারাপ কাজের দিকে ধাবিত হবে না। অথবা কাজে মনোযোগ দেয়া, লেখালেখি ও গবেষণা করা, চিত্রাঙ্কন, ইত্যাদি কাজে ব্যস্ত থাকার মাধ্যমেও নিজেকে অন্যায় ও অশ্লীল কাজ হতে হেফাজত করা যায়। বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা, দৈহিক ব্যায়াম, হাস্যরস, রসিকতা ইত্যাদি মানুষকে খারাপ চিন্তা থেকে হেফাজত করে এবং অন্যায় ও অশ্লীল কাজ হতে বিরত রাখে।

৩.দৈহিক ব্যায়াম: এটি হল, মানুষের দৈহিক পরিশ্রম। মানুষ যখন দৈহিক পরিশ্রম তথা ব্যায়াম করে, বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা ও অন্যায়-অনাচার মুক্ত সংস্কৃতি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে, তখন মানুষের মধ্যে খারাপ কোন চিন্তা স্থান পায় না। তখন সে ব্যভিচার যা একজন যুবকের জন্য দৈহিক ও নৈতিক উভয়ের জন্য মারাত্মক পরিণতি ভয়ে আনে, থেকে নিজেকে হেফাজত করবে। একজন যুবক যখনই তার প্রবৃত্তির চাপ অনুভব করবে, তখন সে যখন দৈহিক পরিশ্রম করবে, তাতে তার যে অতিরিক্ত চাহিদাটি ছিল, তা নিঃশেষ হয়ে যাবে। দীর্ঘ লম্বা দৌড়, ভারি বোঝা বহন, কুস্তি, প্রতিযোগিতা, যুদ্ধের ট্রেনিং, সাতার, সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা ইত্যাদি মানুষের প্রবৃত্তির চাহিদা কমিয়ে দেয়।

৪.ইসলাম বিষয়ে বই-পুস্তক অধ্যয়ন করা: সবচেয়ে উত্তম হল, কুরআন তিলাওয়াত করা, হাদিস ও তাফসীর পড়া, কুরআনের কিছু অংশ হেফজ করা ও হাদিস মুখস্থ করা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সীরাত সম্পর্কে জানা, খুলাফায়ে রাশেদীন, চিন্তাবিদ ও বড় বড় মনীষীদের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানা। দ্বীনি মজলিশে অংশগ্রহণ করা, ইলমের আলোচনায় শরিক হওয়া, কুরআন তিলাওতের সিডি-ভিসিডি/রেডিও ইত্যাদি শোনা ।

মোট কথা, একজন যুবকের জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা হল, বিবাহ। আর তা যদি কোন কারণে সম্ভব না হয়, তাহলে উপর কর্তব্য হল, রোজা রাখা, দৈহিক পরিশ্রম করা, জ্ঞান অর্জন করা। আর জ্ঞান অর্জন হল শক্তিশালী ঠিকানা যা মানুষের উপকার করে; কষ্ট দেয় না। তারপর সর্বোত্তম চিকিৎসা হল, যে সবের প্রতি দেখতে মহান আল্লাহ তা‘আলা নিষেধ করেছেন, তা হতে চোখের হেফাজত করা। মহান আল্লাহ তা‘আলার নিকট প্রার্থনা করা যে, যাতে মহান আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য বিবাহকে সহজ করে দেয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন