মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আল-কুরআন রাজনীতির মূলনীতি ও নিদর্শনসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করে দিয়েছে এবং পদ্ধতিসমূহ সুস্পষ্ট করেছে। এর ব্যাখ্যা হলো যে, রাজনীতি দুই ভাগে বিভিক্ত: বৈদেশিক রাজনীতি ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতি।
বৈদেশিক রাজনীতি:
তার পরিধি দু’টি মূলনীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত:
এক: শত্রু দমন ও তার ধ্বংসসাধনে পরিপূর্ণ শক্তি সঞ্চয় করা। আর এই মূলনীতির ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তুত করে রাখবে, যাতে এর দ্বারা তোমরা আল্লাহর শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে সন্ত্রস্ত করতে পার।” [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৬০]
দুই: এই শক্তিকে কেন্দ্র করে পরিপূর্ণ ও নির্ভেজাল ঐক্য গড়ে তোলা। আর এই ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে এবং নিজেদের মধ্যে বিবাদ করবে না, করলে তোমরা সাহস হারাবে এবং তোমাদের শক্তি বিলুপ্ত হবে।” [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৪৬]
আর এই রাজনৈতিক প্রয়োজনে সন্ধি ও চুক্তি করা এবং প্রয়োজনে সেসব সন্ধি-চুক্তি বাতিল করে দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে আল-কুরআন স্পষ্ট ব্যাখ্যাসহ বক্তব্য পেশ করেছে; আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“মহান হজের দিনে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে মানুষের প্রতি ঘোষণা হলো এই যে, নিশ্চয় মুশরিকদের সম্পর্কে আল্লাহ দায়মুক্ত এবং তাঁর রাসূলও।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৩]
এছাড়াও তিনি তাদের (শত্রুদের) ষড়যন্ত্র ও সুযোগ-গ্রহণ থেকে সতর্কতা অবলম্বন ও মুক্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“এবং তারা যেন সতর্ক ও সশস্ত্র থাকে। কাফিরগণ কামনা করে যে, তোমরা যেন তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র সম্বন্ধে অসতর্ক হও।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১০২] অনুরূপ আরও অনেক আয়াত রয়েছে।
অভ্যন্তরীণ রাজনীতি:
এই রাজনীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো সমাজের অভ্যন্তরে শান্তি ও নিরাপত্তা সম্প্রসারণ করা, যুলুম-নির্যাতন প্রতিরোধ করা এবং প্রত্যেকের কাছে তাদের অধিকার পৌঁছিয়ে দেওয়া।
ছয়টি মহারন ও প্রধান উপাদানের ওপর ভিত্তি করে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি পরিচালিত হয়:
প্রথমত: দীন: দীনকে রক্ষার্থে শরী‘আত অনেক বিধিবিধান নিয়ে এসেছে; এ জন্যই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«من بدّل دينه فاقتلوه » .
“যে ব্যক্তি তার দীন পরিবর্তন করবে, তোমরা তাকে হত্যা কর”। [ইমাম বুখারী আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে হাদীসখানা বর্ণনা করেন, জিহাদ অধ্যায় ( كتاب الجهاد ), পরিচ্ছেদ: আল্লাহর শাস্তির দ্বারা শাস্তি না দেওয়া ( باب لا يعذب بعذاب الله ), ৪/২১।] এর মাধ্যমে দীন পরিবর্তন ও বিনষ্ট করার হাত থেকে রক্ষার জন্য পরিপূর্ণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা রয়েছে।
দ্বিতীয়ত: জীবন: জীবন রক্ষা ও তার নিরাপত্তা বিধানে আল্লাহ তা‘আলা আল-কুরআনুল কারীমে কিসাসের [কিসাস ( القصاص ) মানে- হত্যার পরিবর্তে হত্যা, যা প্রশাসনের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। -অনুবাদক।] বিধান প্রবর্তন করেছেন। তিনি বলেন,
“হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ণায়ক তীর ঘৃণ্য বস্তু, শয়তানের কাজ। সুতরাং তেমারা তা বর্জন কর- যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৯০]
আর হাদীসে এসেছে:
«كل مسكر حرام وما أسكر كثيره فقليله حرام» .
“প্রত্যেক নেশাগ্রস্তকারী বস্তুই হারাম; আর যে বস্তু মাতাল করে তোলে, বেশি হোক বা কম হোক তা হারাম তথা নিষিদ্ধ বলে গণ্য হবে।” [এই শব্দেই হাদীসখানা বর্ণনা করেন ইমাম ইবনু মাজাহ, পানীয় অধ্যায় ( كتاب الأشربة ), পরিচ্ছেদ: যে বস্তু মাতাল করে তোলে, তা বেশি হউক বা কম হউক হারাম( باب ما أسكر كثيره فقليله حرام ), (২/১১২৪), হাদীস নং ৩৩৯২; আর হাদিসের প্রথম অংশ: «كل مسكر حرام» সম্মিলিতভাবে ইমাম বুখারী ও মুসলিম রহ. আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন; বুখারী, কিতাবুল মাগাযী ( كتاب المغازي ), পরিচ্ছেদ: বিদায় হজের পূর্বে আবূ মূসা ও মু‘আয রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে ইয়ামনে প্রেরণ ( باب بعث أبي موسى و معاذ إلى اليمن قبل حجة الوداع ), ৫/ ১০৮; মুসলিম, পানীয় অধ্যায় ( كتاب الأشربة ), পরিচ্ছেদ: ‘প্রত্যেক নেশাগ্রস্তকারী বস্তুই মদ, আর প্রত্যেক মদই হারাম’ এর বিবরণ ( باب بيان أن كل مسكر خمر و أن كل خمر حرام ), ৩/ ১৫৮৫, হাদীস নং ২০০১।] বিবেক-বুদ্ধিকে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের জন্যই শরী‘আত মদ পানকারীর জন্য ‘হদ’ তথা নির্দিষ্ট শাস্তির আবশ্যকীয় ব্যবস্থা করেছে।
চতুর্থত: বংশ: বংশকে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আল্লাহ তা‘আলা যিনা-ব্যভিচারের মত অপরাধের নির্ধারিত শাস্তি ‘হদের’ বিধান করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আর যারা সচ্চরিত্রা নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারপর চারজন সাক্ষী উপস্থিত না করে, তাদেরকে আশিটি কশাঘাত করবে এবং কখনও তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করবে না, এরাই তো ফাসেক।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৪]
ষষ্ঠত: ধন-সম্পদ: ধন-সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য আল্লাহ তা‘আলা চোরের হাত কাটার শাস্তির বিধান করেছেন। তিনি বলেন,
“পুরুষ চোর ও নারী চোর, তাদের হাত কেটে দাও। এটা তাদের কৃতকর্মের ফল এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক দণ্ড; আর আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৩৮]
সুতরাং এই কথা সুস্পষ্ট হয়ে গেল যে, সমাজের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সকল স্বার্থ রক্ষার জন্য আল-কুরআনের অনুসরণ করাই যথেষ্ট।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/732/10
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।