hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম একমাত্র পরিপূর্ণ দীন

লেখকঃ মুহাম্মাদ আল-আমীন ইবন মুহাম্মাদ আল-মুখতার আশ্‌-শানকীতী

চতুর্থ মাসআলা: শরী‘আতের বিধান ব্যতীত অন্য বিধান দ্বারা বিচার-ফয়সালা করা প্রসঙ্গে
আল-কুরআন সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছে যে, শরী‘আতের বিধান ব্যতীত অন্যকে বিচারক মানা সুস্পষ্ট কুফুরী ও আল্লাহ তা‘আলার সাথে শির্ক। আর শয়তান যখন মক্কার কাফিরদেরকে প্রত্যাদেশ করল তারা যাতে আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মৃত ছাগল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে যে, কে তাকে হত্যা করেছে। জবাবে তিনি বললেন: “তাকে আল্লাহ হত্যা করেছেন”। অতঃপর শয়তান তাদেরকে আবার প্রত্যাদেশ করল যে তারা যেন তাকে বলে: তোমরা নিজেদের হাতে যা জবাই কর, তা হালাল এবং আল্লাহ তাঁর পবিত্র হাতে যা জবাই করেন, তা হারাম? তাহলে তোমরা তো দেখছি আল্লাহর চেয়ে উত্তম [হাদীসখানা আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে সনদসহ বর্ণনা করেন ইমাম আবূ দাউদ, কুরাবানীর অধ্যায় ( كتاب الأضاحي ), পরিচ্ছেদ: আহলে কিতাবের জবাই প্রসঙ্গে ( باب في ذبائح أهل الكتاب ), (৩/২৪৫), হাদীস নং ২৮১৮; তিরমিযী, আল-কুরআনের তাফসীর অধ্যায় ( كتاب تفسير القرآن ), পরিচ্ছেদ: সূরা আল-আন‘আম থেকে ( باب و من سورة الأنعام ), (৫/২৪৬), হাদীস নং ৩০৬৯; নাসাঈ, কুরাবানীর অধ্যায় ( كتاب الضحايا ), পরিচ্ছেদ: আল্লাহ তা‘আলার বাণী: ﴿ وَلَا تَأۡكُلُواْ مِمَّا لَمۡ يُذۡكَرِ ٱسۡمُ ٱللَّهِ عَلَيۡهِ ﴾ -এর ব্যাখ্যা ( باب تأويل قول الله عزو جل : ﴿ وَلَا تَأۡكُلُواْ مِمَّا لَمۡ يُذۡكَرِ ٱسۡمُ ٱللَّهِ عَلَيۡهِ ﴾ ), (৭/২৩৭), আবদুল ফাত্তাহ আবূ গুদ্দাহ এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী হাদীস নং ৪৪৩৭; অপর এক অর্থে হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন ইবনু মাজাহ, জবাই অধ্যায় ( كتاب الذبائح ), পরিচ্ছেদ: জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ বলা ( باب تسمية عند الذبح ), (২/১০৫৯), হাদীস নং ৩১৭৩।]! এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তা‘আলা নাযিল করেন:

﴿وَإِنَّ ٱلشَّيَٰطِينَ لَيُوحُونَ إِلَىٰٓ أَوۡلِيَآئِهِمۡ لِيُجَٰدِلُوكُمۡۖ وَإِنۡ أَطَعۡتُمُوهُمۡ إِنَّكُمۡ لَمُشۡرِكُونَ ١٢١﴾ [ سُورَةُ الأنعام : 121]

“নিশ্চয় শয়তানেরা তাদের বন্ধুদেরকে তোমাদের সাথে বিবাদ করতে প্ররোচনা দেয়, যদি তোমরা তাদের কথামত চল, তবে তোমরা অবশ্যই মুশরিক হয়ে যাবে।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১২১] আর ﴿إِنَّكُمۡ لَمُشۡرِكُونَ ١٢١﴾ বাক্যের শুরুতে ফা ( الفاء ) সংযুক্ত না হওয়াটা কসম তথা শপথের ভূমিকাস্বরূপ লাম ( لام ) উহ্য থাকার ওপর প্রকাশ্য ইঙ্গিত। সুতরাং তা আল্লাহর পক্ষ থেকে শপথ, তিনি এর দ্বারা এই আয়াতে কারীমার মধ্যে এ ব্যাপারে শপথ করেছেন যে, যে ব্যক্তি শয়তানের শরী‘আত ও বিধানের অনুসরণ করে মৃতকে হালাল মনে করবে, সে মুশরিক বলে গণ্য হবে, আর তা হলো বড় শির্ক ( شرك أكبر ), যা মুসলিম সম্প্রদায়ের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মুসলিম মিল্লাত থেকে খারিজ করে দেবে। এই অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অচিরেই আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন তাঁর এ কথার মাধ্যমে তিরস্কার করবেন:

﴿أَلَمۡ أَعۡهَدۡ إِلَيۡكُمۡ يَٰبَنِيٓ ءَادَمَ أَن لَّا تَعۡبُدُواْ ٱلشَّيۡطَٰنَۖ إِنَّهُۥ لَكُمۡ عَدُوّٞ مُّبِينٞ ٦٠ وَأَنِ ٱعۡبُدُونِيۚ هَٰذَا صِرَٰطٞ مُّسۡتَقِيمٞ ٦١﴾ [ سُورَةُ يس : 60-61]

“হে বনী আদম! আমি কি তোমাদেরকে নির্দেশ দিই নি যে, তোমরা শয়তানের দাসত্ব করো না। কারণ সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু? আর আমারই ইবাদত কর, এটাই সরল পথ?” [সূরা ইয়সীন, আয়াত: ৬০-৬১]

আর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রিয় বন্ধু ইবরাহীম আলাইহিস সালামের কথা উদ্ধৃত করে বলেন,

﴿يَٰٓأَبَتِ لَا تَعۡبُدِ ٱلشَّيۡطَٰنَ﴾ [ سُورَةُ مريم : 44]

“হে আমার পিতা! শয়তানের ইবাদত করো না”। [সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৪৪] অর্থাৎ কুফুরী ও অবাধ্যতার বিধানে শয়তানের অনুসরণ করার মাধ্যমে তার ইবাদত করো না।

তিনি আরও বলেন,

﴿إِن يَدۡعُونَ مِن دُونِهِۦٓ إِلَّآ إِنَٰثٗا وَإِن يَدۡعُونَ إِلَّا شَيۡطَٰنٗا مَّرِيدٗا ١١٧ ﴾ [ سُورَةُ النساء : 117]

“তাঁর পরিবর্তে তারা তো দেবীরই পূজা করে থাকে এবং বিদ্রোহী শয়তানেরই পূজা করে।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১১৭] অর্থাৎ তারা শুধু শয়তানেরই দাসত্ব করে, তার (শয়তানের) শরী‘আত তথা বিধিবিধানের অনুসরণ করার মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন,

﴿وَكَذَٰلِكَ زَيَّنَ لِكَثِيرٖ مِّنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ قَتۡلَ أَوۡلَٰدِهِمۡ شُرَكَآؤُهُمۡ﴾ [ سُورَةُ الأنعام : 137]

“এরূপে তাদের শরীকরা বহু মুশরিকের দৃষ্টিতে তাদের সন্তানদের হত্যাকে শোভন করেছে।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১৩৭] তিনি তাদেরকে তাদের ‘শরীক’ বলে নামকরণ করেছেন। কেননা, সন্তানদেরকে হত্যা করার দ্বারা আল্লাহর অবাধ্যতার ক্ষেত্রে তারা তাদেরকে অনুসরণ করেছে।

আর যখন ‘আদী ইবন হাতেম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন:

﴿ٱتَّخَذُوٓاْ أَحۡبَارَهُمۡ وَرُهۡبَٰنَهُمۡ أَرۡبَابٗا مِّن دُونِ ٱللَّهِ ﴾ [ سُورَةُ التوبة : 31]

“তারা আল্লাহ ব্যতীত তাদের পণ্ডিতগণকে ও সংসার-বিরাগীগণকে তাদের প্রভুরূপে গ্রহণ করেছে।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৩১] তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জবাবস্বরূপ বললেন যে, তাদেরকে প্রভু হিসেবে গ্রহণ করার মানে হলো: আল্লাহ যা হালাল করেছেন, তা হারাম করার এবং তিনি যা হারাম করেছেন, তা হালাল করার ব্যাপারে তারা তাদেরকে অনুসরণ করত [তিরমিযী, আল-কুরআনের তাফসীর অধ্যায় ( كتاب تفسير القرآن ), পরিচ্ছেদ: সূরা আত-তাওবা থেকে ( باب و من سورة التوبة ), (৫/২৫৯), হাদীস নং ৩০৯৫, তিনি বলেন: এই হাদীসটি গরীব।]। আর এটা এমন একটি বিষয়, যে ব্যাপারে কোনো বিতর্ক নেই। আল-কুরআনের ভাষায়:

﴿أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ يَزۡعُمُونَ أَنَّهُمۡ ءَامَنُواْ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبۡلِكَ يُرِيدُونَ أَن يَتَحَاكَمُوٓاْ إِلَى ٱلطَّٰغُوتِ وَقَدۡ أُمِرُوٓاْ أَن يَكۡفُرُواْ بِهِۦۖ وَيُرِيدُ ٱلشَّيۡطَٰنُ أَن يُضِلَّهُمۡ ضَلَٰلَۢا بَعِيدٗا ٦٠﴾ [ سُورَةُ النساء : 60]

“তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা দাবি করে যে, তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে এবং তোমার পূর্বে যা অবতীর্ণ হয়েছে, তাতে তারা বিশ্বাস করে; অথচ তারা তাগুতের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে চায়, যদিও তা প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? আর শয়তান তাদেরকে ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট করতে চায়।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৬০]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿وَمَن لَّمۡ يَحۡكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡكَٰفِرُونَ ٤٤﴾ [ سُورَةُ المائدة : 44]

“আর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুসারে যারা বিধান দেয় না, তারাই কাফির।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৪৪] তিনি আরও বলেন,

﴿أَفَغَيۡرَ ٱللَّهِ أَبۡتَغِي حَكَمٗا وَهُوَ ٱلَّذِيٓ أَنزَلَ إِلَيۡكُمُ ٱلۡكِتَٰبَ مُفَصَّلٗاۚ وَٱلَّذِينَ ءَاتَيۡنَٰهُمُ ٱلۡكِتَٰبَ يَعۡلَمُونَ أَنَّهُۥ مُنَزَّلٞ مِّن رَّبِّكَ بِٱلۡحَقِّۖ فَلَا تَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡمُمۡتَرِينَ ١١٤﴾ [ سُورَةُ الأنعام : 114]

“বল, তবে কি আমি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ফয়সালাকারী হিসেবে তালাশ করব- অথচ তিনিই তোমাদের প্রতি বিস্তারিত কিতাব নাযিল করেছেন! আর আমরা যাদেরকে কিতাব দিয়েছি, তারা জানে যে, এটা তোমার রব-এর নিকট থেকে সত্যসহ নাযিল হয়েছে। সুতরাং তুমি সন্দিহানদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।” [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১১৪]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿وَتَمَّتۡ كَلِمَتُ رَبِّكَ صِدۡقٗا وَعَدۡلٗاۚ لَّا مُبَدِّلَ لِكَلِمَٰتِهِۦۚ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ ١١٥﴾ [ سُورَةُ الأنعام : 115]

“আর সত্য ও ন্যায়ের দিক দিয়ে তোমার রব-এর বাণী পরিপূর্ণ। তাঁর বাণী পরিবর্তন করার মত কেউ নেই। আর তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।” [সূরা আল-আন‘আম: ১১৫] এখানে তাঁর বাণী: صِدۡقٗا অর্থ: সংবাদ দানের ক্ষেত্রে সত্য এবং وَعَدۡلٗاۚ অর্থ: বিধিবিধানের ক্ষেত্রে ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ। তিনি আরও বলেন,

﴿أَفَحُكۡمَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ يَبۡغُونَۚ وَمَنۡ أَحۡسَنُ مِنَ ٱللَّهِ حُكۡمٗا لِّقَوۡمٖ يُوقِنُونَ ٥٠﴾ [ سُورَةُ المائدة : 50]

“তবে কি তারা জাহেলী যুগের বিধিবিধান কামনা করে? নিশ্চিত বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য বিধান প্রদানে আল্লাহর চেয়ে কে শ্রেষ্ঠতর?” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৫০]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন