hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম একমাত্র পরিপূর্ণ দীন

লেখকঃ মুহাম্মাদ আল-আমীন ইবন মুহাম্মাদ আল-মুখতার আশ্‌-শানকীতী

১২
নবম মাসআলা: মুসলিমদের দুর্বলতা এবং কাফিরদের তুলনায় তাদের সংখ্যা ও প্রস্তুতির কমতি প্রসঙ্গে
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কিতাবে এই সমস্যার প্রতিকার সুষ্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বর্ণনা করেছেন যে, তিনি যদি তাঁর বান্দাদের অন্তরের যথাযথ আন্তরিকতা ও একনিষ্ঠতার ব্যাপারে অবগত হন, তবে এ ইখলাস তথা একনিষ্ঠতার ফলে তারা তাদের চেয়ে শক্তিশালীদের ওপর কর্তৃত্ব বিস্তার ও বিজয় লাভ করতে পারবে। আর এ জন্যই যখন আল্লাহ তা‘আলা ‘বাই‘আতে রিদওয়ান’ -এর সদস্যদের যথাযথ ইখলাস তথা একনিষ্ঠতার বিষয়ে অবগত হলেন এবং তাদের আন্তরিকতা ও একনিষ্ঠতাকে তাঁর নিম্নোক্ত বাণীর মধ্যে উচ্চ মর্যাদা দান করলেন:

﴿لَّقَدۡ رَضِيَ ٱللَّهُ عَنِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ إِذۡ يُبَايِعُونَكَ تَحۡتَ ٱلشَّجَرَةِ فَعَلِمَ مَا فِي قُلُوبِهِمۡ﴾ [ سُورَةُ الفتح : 18]

“আল্লাহ তো মুমিনগনের ওপর সন্তুষ্ট হলেন যখন তারা বৃক্ষতলে তোমার নিকট বাই‘আত গ্রহণ করল, তাদের অন্তরে যা ছিল তা তিনি অবগত ছিলেন।” [সূরা আল-ফাতহ, আয়াত: ১৮], তখন তিনি পরিষ্কার করেন যে, এই ইখলাস তথা একনিষ্ঠতার ফলে তিনি তাদেরকে এমন বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান করলেন, যে ব্যাপারে তাদের শক্তি ও সামর্থ্য ছিল না। তিনি বলেন,

﴿وَأُخۡرَىٰ لَمۡ تَقۡدِرُواْ عَلَيۡهَا قَدۡ أَحَاطَ ٱللَّهُ بِهَا﴾ [ سُورَةُ الفتح : 21]

“এবং আরও রয়েছে, যা এখনও তোমাদের অধিকারে আসে নি, তা তো আল্লাহ বেষ্টন করে রেখেছেন।” [সূরা আল-ফাতহ, আয়াত: ২১] এখানে তিনি পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন যে, তা তাদের অধিকারে ছিল না; তিনিই তা বেষ্টন করে রেখেছিলেন, অতঃপর তিনি তাদের ইখলাস তথা একনিষ্ঠতার বিষয়টি জানার কারণে তিনি তাদেরকে এর ওপর ক্ষমতাবান করেছেন এবং তাদের জন্য তা গনীমত হিসেবে দান করেছেন।

আর এই জন্য যখন কাফিরগণ আহযাবের যুদ্ধ তথা বহুজাতিক বাহিনীর যুদ্ধের সময় মুসলিম সম্প্রদায়কে বড় ধরনের সামরিক অবরোধ করে, যা আল্লাহ তা‘আলার নিম্নোক্ত বাণীর মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে:

﴿إِذۡ جَآءُوكُم مِّن فَوۡقِكُمۡ وَمِنۡ أَسۡفَلَ مِنكُمۡ وَإِذۡ زَاغَتِ ٱلۡأَبۡصَٰرُ وَبَلَغَتِ ٱلۡقُلُوبُ ٱلۡحَنَاجِرَ وَتَظُنُّونَ بِٱللَّهِ ٱلظُّنُونَا۠ ١٠ هُنَالِكَ ٱبۡتُلِيَ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ وَزُلۡزِلُواْ زِلۡزَالٗا شَدِيدٗا ١١ ﴾ [ سُورَةُ الأحزاب : 10-11]

“যখন তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সমাগত হয়েছিল তোমাদের উপরের দিক ও নিচের দিক থেকে, আর যখন তোমাদের চক্ষু বিস্ফোরিত হয়েছিল, তোমাদের প্রাণ হয়ে পড়েছিল কণ্ঠাগত এবং তোমরা আল্লাহ সম্বন্ধে নানাবিধ ধারণা পোষণ করছিলে; তখন মুমিনগণ পরীক্ষিত হয়েছিল এবং তারা ভীষণভাবে প্রকম্পিত হয়েছিল।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ১০-১১], তখন এই দুর্বলতা ও সামরিক অবরোধের প্রতিষেধক ছিল আল্লাহর প্রতি ইখলাস (একনিষ্ঠতা) ও তাঁর প্রতি শক্তিশালী ঈমান। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلَمَّا رَءَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ٱلۡأَحۡزَابَ قَالُواْ هَٰذَا مَا وَعَدَنَا ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَصَدَقَ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥۚ وَمَا زَادَهُمۡ إِلَّآ إِيمَٰنٗا وَتَسۡلِيمٗا ٢٢﴾ [ سُورَةُ الأحزاب : 22]

“মুমিনগণ যখন সম্মিলিত বাহিনীকে দেখল, তখন তারা বলে উঠল, ‘এ তো দেখছি তা-ই, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যার প্রতিশ্রুতি আমাদেরকে দিয়েছিলেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সত্যই বলেছিলেন।’ আর তাতে তাদের ঈমান ও আনুগত্যই বৃদ্ধি পেল।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ২২]

এই ইখলাস তথা একনিষ্ঠতার ফলাফল আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নিম্নোক্ত বক্তব্যের মাধ্যমে উল্লেখ করেছেন:

﴿وَرَدَّ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ بِغَيۡظِهِمۡ لَمۡ يَنَالُواْ خَيۡرٗاۚ وَكَفَى ٱللَّهُ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٱلۡقِتَالَۚ وَكَانَ ٱللَّهُ قَوِيًّا عَزِيزٗا ٢٥ وَأَنزَلَ ٱلَّذِينَ ظَٰهَرُوهُم مِّنۡ أَهۡلِ ٱلۡكِتَٰبِ مِن صَيَاصِيهِمۡ وَقَذَفَ فِي قُلُوبِهِمُ ٱلرُّعۡبَ فَرِيقٗا تَقۡتُلُونَ وَتَأۡسِرُونَ فَرِيقٗا ٢٦ وَأَوۡرَثَكُمۡ أَرۡضَهُمۡ وَدِيَٰرَهُمۡ وَأَمۡوَٰلَهُمۡ وَأَرۡضٗا لَّمۡ تَطَ‍ُٔوهَاۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٗا ٢٧﴾ [ سُورَةُ الأحزاب : 25-27]

“আল্লাহ কাফিরদেরকে ক্রুদ্ধাবস্থায় ফিরিয়ে দিলেন, তারা কোনো কল্যাণ লাভ করে নি। যুদ্ধে মুমিনদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট; আল্লাহ সর্বশক্তিমান, প্রবল পরাক্রমশালী। আর কিতাবীদের মধ্যে যারা তাদেরকে সাহায্য করেছিল, তাদেরকে তিনি তাদের দুর্গ থেকে নামিয়ে দিলেন এবং তাদের অন্তরে ভীতি সঞ্চার করলেন: তোমরা তাদের কতককে হত্যা করছ এবং কতককে করছ বন্দী। আর তিনি তোমাদেরকে অধিকারী করলেন তাদের ভূমি, ঘরবাড়ি ও ধন-সম্পদের এবং এমন ভূমির যাতে তোমরা এখনও পদার্পন কর নি। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ২৫-২৭] আল্লাহ তা‘আলা এ সাহায্য এমন এক বাহিনীর মাধ্যমে করেছেন, যা তাদের ধারণায় ছিল না: তা হচ্ছে ফিরিশতা ও বিক্ষুব্ধ বাতাস। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱذۡكُرُواْ نِعۡمَةَ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ إِذۡ جَآءَتۡكُمۡ جُنُودٞ فَأَرۡسَلۡنَا عَلَيۡهِمۡ رِيحٗا وَجُنُودٗا لَّمۡ تَرَوۡهَاۚ وَكَانَ ٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ بَصِيرًا ٩﴾ [ سُورَةُ الأحزاب : 9]

“হে মুমিনগণ! তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর, যখন শত্রুবাহিনী তোমাদের বিরুদ্ধে সমাগত হয়েছিল এবং আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম বিক্ষুব্ধ বাতাস এবং এক বাহিনী যা তোমরা দেখ নি। তোমরা যা কর, আল্লাহ তার সব কিছুই দেখেন।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৯]

আর এ জন্যই দীন ইসলামের বিশুদ্ধতার প্রমাণের অন্যতম এই যে, একে আঁকড়ে-ধরা সংখ্যালঘু দুর্বল দল সংখ্যাগরিষ্ঠ শক্তিশালী কাফির দলকে পরাজিত করে। আল-কুরআনের ভাষায়:

﴿كَم مِّن فِئَةٖ قَلِيلَةٍ غَلَبَتۡ فِئَةٗ كَثِيرَةَۢ بِإِذۡنِ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ ٢٤٩﴾ [ سُورَةُ البقرة : 249]

“আল্লাহর হুকুমে কত ক্ষুদ্র দল কত বৃহৎ দলকে পরাভূত করেছে! আর আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৪৯]

আর এ জন্য আল্লাহ তা‘আলা বদরের দিনকে নিদর্শন ( آية ), দলিল-প্রমাণ ( بينة ) ও সত্য-মিথ্যার মীমাংসাকারী ( فرقان ) হিসেবে নামকরণ করেছেন। কেননা তা দীন ইসলামের বিশুদ্ধতার প্রমাণ ও নিদর্শন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قَدۡ كَانَ لَكُمۡ ءَايَةٞ فِي فِئَتَيۡنِ ٱلۡتَقَتَاۖ فِئَةٞ تُقَٰتِلُ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَأُخۡرَىٰ كَافِرَةٞ﴾ [ سُورَةُ آل عمران : 13]

“দু’টি দলের পরস্পর সম্মুখীন হওয়ার মধ্যে তোমাদের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে। একদল আল্লাহর পথে যুদ্ধ করছিল, অন্যদল কাফির ছিল।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৩] এটি ছিল বদর দিবসের ঘটনা। আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿إِن كُنتُمۡ ءَامَنتُم بِٱللَّهِ وَمَآ أَنزَلۡنَا عَلَىٰ عَبۡدِنَا يَوۡمَ ٱلۡفُرۡقَانِ يَوۡمَ ٱلۡتَقَى ٱلۡجَمۡعَانِۗ﴾ [ سُورَةُ الأنفال : 41]

“যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনো এবং ঈমান আনো তাতে, যা মীমাংসার দিন আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছিলাম, যেদিন দু’দল পরস্পরের সম্মুখীন হয়েছিল।” [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৪১] এটাও ছিল বদর দিবসের ঘটনা।

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿لِّيَهۡلِكَ مَنۡ هَلَكَ عَنۢ بَيِّنَةٖ ﴾ [ سُورَةُ الأنفال : 42]

“যাতে যে ধ্বংস হবে, সে যেন সত্যাসত্য স্পষ্ট প্রকাশের পর ধ্বংস হয়।” [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৪২] কোনো কোনো তাফসীরকারের বিশ্লেষণ অনুযায়ী এটাও ছিল বদর দিবসের ঘটনা।

আর সন্দেহ নেই যে, একটি সংখ্যালঘু দুর্বল কিন্তু ঈমানদার দল কর্তৃক একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ শক্তিশালী কাফির দলকে পরাজিত করাটা ঐ দুর্বল দলটি যে হকের (সত্যের) ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং আল্লাহ তা‘আলা যে তার সাহায্যকারী, তার স্পষ্ট প্রমাণ। যেমন, তিনি বদর যুদ্ধের ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন,

﴿وَلَقَدۡ نَصَرَكُمُ ٱللَّهُ بِبَدۡرٖ وَأَنتُمۡ أَذِلَّةٞ﴾ [ سُورَةُ آل عمران : 123]

“আর বদরের যুদ্ধে যখন তোমরা হীনবল ছিলে আল্লাহ তো তোমাদেরকে সাহায্য করেছিলেন।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১২৩]

তিনি আরও বলেন,

﴿إِذۡ يُوحِي رَبُّكَ إِلَى ٱلۡمَلَٰٓئِكَةِ أَنِّي مَعَكُمۡ فَثَبِّتُواْ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْۚ سَأُلۡقِي فِي قُلُوبِ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ ٱلرُّعۡبَ﴾ الآية [ سُورَةُ الأنفال : 12]

“স্মরণ কর, তোমার রব ফিরিশতাগণের প্রতি প্রত্যাদেশ করেন, আমি তোমাদের সাথে আছি। সুতরাং মুমিনগণকে অবিচলিত রাখ। যারা কুফুরী করে, আমি তাদের হৃদয়ে ভীতির সঞ্চার করব...।” [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ১২]

আর আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদেরকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং তাদের গুণাবলী বর্ণনা করেছেন এবং এসব গুণাবলী দ্বারা তাদেরকে অন্যদের থেকে পৃথক করেছেন। তিনি বলেন,

﴿وَلَيَنصُرَنَّ ٱللَّهُ مَن يَنصُرُهُۥٓۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَقَوِيٌّ عَزِيزٌ ٤٠﴾ [ سُورَةُ الحج : 40]

“নিশ্চয় আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন, যে তাঁকে সাহায্য করে। আল্লাহ নিশ্চয় শক্তিমান, পরাক্রমশালী।” [সূরা আল-হাজ, আয়াত: ৪০] এরপরই তিনি তাদের গুণাবলী দ্বারা তাদেরকে অন্যদের থেকে পৃথক করেছেন:

﴿ٱلَّذِينَ إِن مَّكَّنَّٰهُمۡ فِي ٱلۡأَرۡضِ أَقَامُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُاْ ٱلزَّكَوٰةَ وَأَمَرُواْ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَنَهَوۡاْ عَنِ ٱلۡمُنكَرِۗ وَلِلَّهِ عَٰقِبَةُ ٱلۡأُمُورِ ٤١﴾ [ سُورَةُ الحج : 41]

“আমরা তাদেরকে যমীনের বুকে প্রতিষ্ঠিত করলে তারা সালাত কায়েম করবে, যাকাত দিবে এবং সৎকাজের নির্দেশ দিবে ও অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে; আর সকল কর্মের পরিণাম আল্লাহর ইখতিয়ারে।” [সূরা আল-হাজ, আয়াত: ৪১]

আর আলোচ্য সামরিক অবরোধের এই প্রতিকারটিকে আল্লাহ তা‘আলা সূরা আল-মুনাফিকূনে অর্থনৈতিক অবরোধের প্রতিকার হিসেবেও ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন,

﴿هُمُ ٱلَّذِينَ يَقُولُونَ لَا تُنفِقُواْ عَلَىٰ مَنۡ عِندَ رَسُولِ ٱللَّهِ حَتَّىٰ يَنفَضُّواْۗ﴾ [ سُورَةُ المنافقون : 7]

“তারাই বলে, তোমরা আল্লাহর রাসূলের সহচরদের জন্য ব্যয় করো না, যাতে তারা সরে পড়ে।” [সূরা আল-মুনাফিকুন, আয়াত: ৭]

যে কাজটি মুনাফিকগণ মুসলিমগণের সাথে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল তা নিঃসন্দেহে ছিল অর্থনৈতিক অবরোধ। আল্লাহ তা‘আলা এই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এর প্রতিকার হলো তাঁর প্রতি মজবুত ঈমান এবং পরিপূর্ণভাবে তাঁর প্রতি মুখাপেক্ষী হওয়া। তিনি বলেন,

﴿وَلِلَّهِ خَزَآئِنُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَلَٰكِنَّ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ لَا يَفۡقَهُونَ ٧﴾ [ سُورَةُ المنافقون : 7]

“আর আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর ধন-ভাণ্ডার তো আল্লাহরই, কিন্তু মুনাফিকগণ তা বুঝে না।” [সূরা আল-মুনাফিকুন, আয়াত: ৭] কারণ, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর ধন-ভাণ্ডার যার হাতে রয়েছে, তিনি তাঁর নিকট আশ্রয়প্রার্থী, তাঁর অনুগত বান্দাকে উপেক্ষা করবেন না। তিনি বলেন,

﴿وَمَن يَتَّقِ ٱللَّهَ يَجۡعَل لَّهُۥ مَخۡرَجٗا ٢ وَيَرۡزُقۡهُ مِنۡ حَيۡثُ لَا يَحۡتَسِبُۚ وَمَن يَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱللَّهِ فَهُوَ حَسۡبُهُ﴾ [ سُورَةُ الطلاق : 2-3]

“যে কেউ আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করবে, আল্লাহ তার (উত্তরণের) পথ করে দেবেন, আর তাকে তার ধারণাতীত উৎস থেকে রিযিক দান করবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর নির্ভর করে, তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।” [সূরা আত-তালাক, আয়াত: ২-৩] আর তিনি এই ব্যাপারটি আরও স্পষ্ট করে বলেন,

﴿وَإِنۡ خِفۡتُمۡ عَيۡلَةٗ فَسَوۡفَ يُغۡنِيكُمُ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦٓ إِن شَآءَ﴾ [ التوبة : ٢٨ ]

“যদি তোমরা দারিদ্র্যের আশঙ্কা কর, তবে আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাঁর নিজ করুণায় তোমাদেরকে অভাবমুক্ত করবেন।” [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ২৮]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন