মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
সকল বিজ্ঞজন একমত পোষণ করেছেন যে, আল্লাহ তা‘আলা আকাশ থেকে পৃথিবীতে ‘পর্যবেক্ষণ ও জ্ঞান’ এ দু’টি উপদেশের চেয়ে বড় কোনো উপদেষ্টা ও ধমকদাতা প্রেরণ করেন নি। আর তা হচ্ছে এই যে, মানুষ এ-কথা খেয়াল রাখবে যে তাঁর সম্মানিত ও মহান প্রতিপালক তাকে পর্যবেক্ষণ করেন এবং সে যা কিছু গোপন করে ও প্রকাশ করে, তিনি সে সম্পর্কে জানেন।
আলিমগণ এই বড় উপদেষ্টা ও মহা ধমকদাতার জন্য এমন দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন, যার দ্বারা বোধগম্য জিনিস অনুভবযোগ্য জিনিসের মতো হয়ে যায়। তারা বলেন, যদি আমরা একজন বাদশাহকে ধরে নিই, যে বাদশাহ অত্যধিক রক্তপাতকারী, মানুষ হত্যাকারী এবং প্রচণ্ড আক্রমণকারী ও শাস্তিদাতা, আর তার জল্লাদ তার মাথার উপরে দাঁড়ানো এবং চামড়ার বিছানা [ النطع শব্দের অর্থ- চামড়ার বিছানা, যা অপরাধীদেরকে হত্যা করার জন্য বিছানো হয়। - অনুবাদক।] বিছানো, তরবারিটি থেকে রক্ত ঝরছে এবং ঐ বাদশার চারপাশে তার কন্যা ও স্ত্রীগণ; এমন ভয়ঙ্কর অবস্থায়, বাদশাহের চোখের সামনে ও তার উপস্থিতিতে উপস্থিত কোনো দর্শক কি ঐ বাদশার কন্যা ও স্ত্রীগণের নিকট থেকে অবৈধ কিছু অর্জনের চিন্তা করবে?! না, কখনও না! (আর আল্লাহর জন্য রয়েছে যাবতীয় মহত্তম দৃষ্টান্তসমূহ।) বরং তখন প্রত্যেক উপস্থিত ব্যক্তি হবে ভীত-সন্ত্রস্ত, তাদের হৃদয়সমূহ হবে অবনত, তাদের চক্ষুসমূহ হবে আতঙ্কগ্রস্ত, তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো হবে হিম শীতল, তাদের চূড়ান্ত আশা হবে নিরাপদে প্রত্যাবর্তন। আর এতেও কোনো সন্দেহ নেই যে, (আর আল্লাহর জন্য রয়েছে মহত্তম দৃষ্টান্ত) আল্লাহ তা‘আলা হলেন মহাজ্ঞানী, ঐ বাদশার চেয়ে অধিক ও বিস্তৃত জ্ঞানের অধিকারী; সন্দেহ নেই যে, তিনি মহান শাস্তিদাতা, প্রচণ্ড শক্তিশালী ও কঠিন শাস্তিদাতা। তাঁর জমিনে তাঁর সংরক্ষিত এলাকা হচ্ছে তাঁর নিষেধসমূহ।
এমনিভাবে যদি কোনো শহরবাসী জানে যে, শহরের আমীর বা শাসক তারা রাতের বেলায় যেসব কাজ করে তার সব কিছুই জানতে পারেন, তবে তারা আতঙ্কিত অবস্থায় রাত্রিযাপন করবে এবং তার ভয়ে তারা সকল প্রকার অন্যায় ও অপকর্ম পরিত্যাগ করবে।
আর আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টিকুলকে যে হেকমত বা রহস্যের কারণে সৃষ্টি করেছেন, তা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন; তা হলো তাদেরকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাছাই-বাছাই করা। যেমন, তিনি বলেছেন:
“পৃথিবীর উপর যা কিছু আছে আমরা সেগুলোকে তার শোভা করেছি মানুষকে এই পরীক্ষা করার জন্য যে, তাদের মধ্যে কর্মে কে শ্রেষ্ঠ।” [সূরা আল-কাহাফ, আয়াত: ৭] তিনি সূরা হুদের প্রথম দিকে বলেন,
“আর তিনিই আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেন, তখন তাঁর আরশ ছিল পানির উপর, তোমাদের মধ্যে কাজে-কর্মে কে শ্রেষ্ঠ তা পরীক্ষা করার জন্য।” [সূরা হুদ, আয়াত: ৭] তিনি বলেন নি: তোমাদের মধ্যে কে সবচেয়ে বেশি আমলকারী!
“আমি সৃষ্টি করেছি জিন্ন এবং মানুষকে এজন্য যে, তারা আমারই ইবাদত করবে।” [সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত: ৫৬]
যেহেতু সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টি করার হেকমত তথা রহস্য হলো উল্লেখিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাছাই-বাছাই করা, সেহেতু জিবরীল আলাইহিস সালাম মানুষের জন্য এই পরীক্ষায় সফলকাম হওয়ার পদ্ধতি বর্ণনা করে দিতে চাইলেন, তাই তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন: আপনি আমাকে ইহসান সম্পর্কে বলে দিন? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুস্পষ্ট করেন যে, এখানে আলোচিত এই শ্রেষ্ঠ ধমকদাতা ও মহা উপদেষ্টাই হচ্ছে ইহসানের পথ। তিনি বলেন,
“ইহসান হচ্ছে, তুমি আল্লাহর ইবাদত এমনভাবে করবে যেন তুমি তাঁকে দেখছ; আর যদি তুমি তাঁকে দেখতে না পাও, তাহলে মনে করবে, তিনি তোমাকে দেখতে পাচ্ছেন।” [ইমাম বুখারী ও মুসলিম আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে হাদীসখানা বর্ণনা করেছেন: সহীহ বুখারী, ঈমান অধ্যায় ( كتاب الإيمان ), পরিচ্ছেদ: জিবরীল আলাইহিস সালাম কর্তৃক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা ( باب سؤال جبريل النبي صلى الله عليه عن الإيمان ) (১/১৮); সহীহ মুসলিম, ঈমান অধ্যায় ( كتاب الإيمان ), (১/৩৯), হাদীস নং ৯; আর ইমাম মুসলিম এই হাদীসখানা উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকেও বর্ণনা করেছেন, ঈমান অধ্যায় ( كتاب الإيمان ), (১/৩৬), হাদীস নং ৮।] এ জন্যই আপনি পবিত্র কুরআনুল কারীমের প্রতি পৃষ্ঠায় এই মহান উপদেষ্টাকে দেখতে পাবেন। যেমন,
“আমরাই মানুষকে সৃষ্টি করেছি এবং তার প্রবৃত্তি তাকে যে কুমন্ত্রণা দেয় তা আমরা জানি। আর আমরা তার গ্রীবাস্থিত ধমনী অপেক্ষাও নিকটতর।...মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে, তার জন্য তৎপর প্রহরী তার নিকটেই রয়েছে।” [সূরা ক্বাফ, আয়াত: ১৬-১৮]
“তুমি যে কোনো অবস্থায় থাক এবং তুমি তৎসম্পর্কে কুরআন থেকে যা তিলাওয়াত কর এবং তোমরা যে কোনো কাজ কর, আমি তার পরিদর্শক- যখন তোমরা তাতে প্রবৃত্ত হও। আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর অণু পরিমাণও তোমার রবের অগোচর নয় এবং তা অপেক্ষা ক্ষুদ্রতর অথবা বৃহত্তর কিছুই নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে নেই।” [সূরা ইউনুস, আয়াত: ৬১]
“সাবধান! নিশ্চয় তারা তাঁর নিকট গোপন রাখার জন্য তাদের বক্ষ দ্বিভাঁজ করে। সাবধান! তারা যখন নিজেদেরকে বস্ত্রে আচ্ছদিত করে, তখন তারা যা গোপন করে ও প্রকাশ করে, তিনি তা জানেন। অন্তরে যা আছে, নিশ্চয় তিনি তা সবিশেষ অবহিত।” [সূরা হুদ, আয়াত: ৫] আর অনুরূপভাবে আল-কুরআনের প্রায় প্রত্যেক স্থানে এই প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/732/5
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।