মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“আল্লাহর দয়ায় তুমি তাদের প্রতি কোমল হৃদয় হয়েছিলে, যদি তুমি রূঢ় ও কঠোর চিত্ত হতে, তবে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে পড়ত। সুতরাং তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর ও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং কাজে-কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ কর।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৫৯]
আর তিনি সাধারণ সমাজকে তার নেতৃবৃন্দের প্রতি কেমন আচরণের নির্দেশ দিয়েছেন, সেই দিকে লক্ষ্য করুন। তিনি বলেন,
“হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যাতে নিয়োজিত আছে নির্মমহৃদয়, কঠোরস্বভাব ফিরিশতাগণ, যারা অমান্য করে না তা, যা আল্লাহ তাদেরকে আদেশ করেন। আর তারা যা করতে আদিষ্ট হয়, তাই করে।” [সূরা আত-তাহরীম, আয়াত: ৬]
আরও লক্ষ্য করুন, তিনি কীভাবে ব্যক্তিকে তার বিশেষ সমাজ থেকে সাবধান ও সংযমী হওয়ার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন; আর তিনি তাকে নির্দেশ দিয়েছেন, কোনো অনাকাঙ্খিত ব্যাপার তার নজরে এলে সে যেন ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে। তিনি প্রথমে তাকে সংযমী ও সজাগ হওয়ার নির্দেশ দেন, তারপর তাকে নির্দেশ দেন ক্ষমা ও মার্জনা করার। তিনি বলেন,
“হে মুমিনগণ! তোমাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিগণের মধ্যে কেউ কেউ তোমাদের শত্রু। অতএব, তোমরা তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাক। তোমরা যদি তাদেরকে মার্জনা কর, তাদের দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা কর এবং তাদেরকে ক্ষমা কর, তবে জেনে রাখ, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [সূরা আত-তাগাবুন, আয়াত: ১৪]
আরও লক্ষ্য করুন, তিনি সাধারণভাবে সমাজের সকল ব্যক্তিকে তাদের মধ্যকার পারস্পরিক লেনদেনের ব্যাপারে যে নির্দেশনা দিয়েছেন সেই দিকে। তিনি বলেন,
“আল্লাহ ন্যায়পরায়নতা, সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসৎকাজ ও সীমালঙ্ঘন করার ব্যাপারে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।” [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ৯০]
“হে মুমিনগণ! তোমরা অধিকাংশ অনুমান থেকে দূরে থাক। কারণ, অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ, আর তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করো না।” [সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১২] তিনি আরও বলেন,
“কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে উপহাস না করে। কেননা যাকে উপহাস করা হয়, সে উপহাসকারীর চেয়ে উত্তম হতে পারে এবং কোনো নারী যেন অপর কোনো নারীকেও উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয়, সে উপহাসকারিণীর চেয়ে উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডাকডাকি করো না; ঈমানের পর মন্দ নাম অতি মন্দ। যারা তাওবা না করে, তারাই যালিম।” [সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১১]
“আর তারা নিজেদের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে নিজেদের কর্ম সম্পাদন করে।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ৩৮]... এ বিষয়ে এগুলো ছাড়াও আরও অনেক আয়াত রয়েছে।
আর যেহেতু সমাজের কোনো সদস্যই মানব ও জিন্ন শত্রুর শত্রুতা থেকে নিরাপদ নয়; কোনো ব্যক্তিই প্রতিদ্বন্দ্বী ও বিরোধী মুক্ত নয়, যদিও সে পাহাড়ের চূড়ায় নিঃসঙ্গ থাকে; আর যেহেতু প্রত্যেক ব্যক্তিই এই ধরনের সর্বগ্রাসী ব্যাধি থেকে চিকিৎসার মুখাপেক্ষী, সেহেতু আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কিতাবের তিন জায়গায় এই ব্যাধির চিকিৎসা বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি বর্ণনা করেছেন যে, মানুষের শত্রুতা থেকে বাঁচার চিকিৎসা হলো তার অসদাচরণকে উপেক্ষা করা এবং সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে তার মোকাবিলা করা; আর জিন্ন শয়তানের থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহ তা‘আলার নিকট তার অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা ছাড়া আর অন্য কোনো চিকিৎসা নেই।
প্রথম স্থান: আল্লাহ তা‘আলা সূরা আল-আ‘রাফের শেষে দুষ্ট মানুষের সাথে আচরণবিধি প্রসঙ্গে বলেন,
“আর বল, হে আমার রব! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি। হে আমার রব! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিকট তাদের উপস্থিতি থেকে।” [সূরা আল-মুমিনুন, আয়াত: ৯৭-৯৮]
তৃতীয় স্থান: সূরা ফুসসিলাত; আর তাতে আল্লাহ তা‘আলা আরও বেশি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, এই আসমানী চিকিৎসা ঐ শয়তানী রোগকে নির্মূল করে দিবে এবং তাতে তিনি আরও একটু বেশি করে বলেছেন যে, এই আসমানী চিকিৎসা সকল মানুষকে দেওয়া হয় না, বরং এটা শুধু ঐ ব্যক্তিকেই দেওয়া হয়, যিনি সৌভাগ্যের অধিকারী। আল্লাহ তা‘আলা তাতে বলেন,
“মন্দ প্রতিহত কর উৎকৃষ্ট দ্বারা। ফলে তোমার সাথে যার শত্রুতা আছে, সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতো। এই গুণের অধিকারী করা হয় কেবল তাদেরকেই, যারা ধৈর্যশীল, আর এই এই গুণের অধিকারী করা হয় কেবল তাদেরকেই, যারা মহাভাগ্যবান।” [সূরা ফুসসিলাত, আয়াত: ৩৪-৩৫]
“যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে আল্লাহর আশ্রয়প্রার্থী হবে, তিনি তো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।” [সূরা ফুসসিলাত, আয়াত: ৩৬]
আর তিনি অন্যান্য জায়গায় বর্ণনা করেন যে, এই কোমল আচরণ ও নম্র ব্যবহার বিশেষভাবে মুসলিমদের জন্য প্রযোজ্য, কাফিরদের জন্য নয় [তবে এখানে সাধারণভাবে যুদ্ধ বা ষড়যন্ত্ররত কাফেরদের বিষয়ে তা বলা হচ্ছে। কিন্তু যে সব কাফের রাষ্ট্র কর্তৃক নিরাপত্তাপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে কিংবা কোনো দেশের নিজস্ব নাগরিক তাদের নিরাপত্তা রক্ষা করা ও তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করার জন্য আমরা সর্বদা আদিষ্ট। যেমনটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনা সমাজে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। -সম্পাদক।]। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“নিশ্চয় আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায়কে নিয়ে আসবেন, যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন এবং যারা তাঁকে ভালোবাসবে; তারা মুমিনদের প্রতি কোমল ও কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৫৪]
“হে নবী! কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর ও তাদের প্রতি কঠোর হও।” [সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ৭৩; সূরা আত-তাহরীম, আয়াত: ৯]
কোমলতার জায়গায় কঠোরতা হলো নির্বুদ্ধিতা ও বোকামী; আর কঠোরতার স্থানে কোমলতা হলো দুর্বলতার পরিচায়ক ও এক ধরনের শৈথিল্য প্রদর্শন। কবির কবিতায়:
“যখন সহিষ্ণুতার কথা বলা হবে, তখন বল, নির্ধারিত স্থান রয়েছে সহিষ্ণুতার, আর যুবকের অপাত্রে সহিষ্ণুতা প্রকাশ এক ধরনের মূর্খতা।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/732/8
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।