hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলাম একমাত্র পরিপূর্ণ দীন

লেখকঃ মুহাম্মাদ আল-আমীন ইবন মুহাম্মাদ আল-মুখতার আশ্‌-শানকীতী

পঞ্চম মাসআলা: সামাজিক অবস্থা প্রসঙ্গে
এ প্রসঙ্গে আল-কুরআন অন্তরের তৃষ্ণা নিবারণ করেছে এবং এর পথ-ঘাট আলোকিত করেছে।

আল্লাহ তা‘আলা প্রধান সমাজপতিকে তার সমাজ ও সম্প্রদায়ের প্রতি কেমন আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন, সেই দিকে লক্ষ্য করুন। তিনি বলেন,

﴿وَٱخۡفِضۡ جَنَاحَكَ لِمَنِ ٱتَّبَعَكَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٢١٥﴾ [ سُورَةُ الشعراء : 215]

“এবং যারা তোমার অনুসরণ করে, সেসব মুমিনদের প্রতি বিনয়ী হও।” [সূরা আশ-শু‘আরা, আয়াত: ২১৫]

তিনি আরও বলেন,

﴿فَبِمَا رَحۡمَةٖ مِّنَ ٱللَّهِ لِنتَ لَهُمۡۖ وَلَوۡ كُنتَ فَظًّا غَلِيظَ ٱلۡقَلۡبِ لَٱنفَضُّواْ مِنۡ حَوۡلِكَۖ فَٱعۡفُ عَنۡهُمۡ وَٱسۡتَغۡفِرۡ لَهُمۡ وَشَاوِرۡهُمۡ فِي ٱلۡأَمۡرِۖ ﴾ [ سُورَةُ آل عمران : 159]

“আল্লাহর দয়ায় তুমি তাদের প্রতি কোমল হৃদয় হয়েছিলে, যদি তুমি রূঢ় ও কঠোর চিত্ত হতে, তবে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে পড়ত। সুতরাং তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর ও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং কাজে-কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ কর।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৫৯]

আর তিনি সাধারণ সমাজকে তার নেতৃবৃন্দের প্রতি কেমন আচরণের নির্দেশ দিয়েছেন, সেই দিকে লক্ষ্য করুন। তিনি বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُواْ ٱلرَّسُولَ وَأُوْلِي ٱلۡأَمۡرِ مِنكُمۡۖ ﴾ [ سُورَةُ النساء : 59]

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আনুগত্য কর রাসূলের এবং তাদের, যারা তোমাদের মধ্যকার ক্ষমতাশীল।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৫৯]

আরও লক্ষ্য করুন, তিনি মানুষকে তার বিশেষ সমাজ তথা সন্তান-সন্ততি ও স্ত্রীর প্রতি যেমন আচরণের নির্দেশ দিয়েছেন সেই দিকে। তিনি বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ قُوٓاْ أَنفُسَكُمۡ وَأَهۡلِيكُمۡ نَارٗا وَقُودُهَا ٱلنَّاسُ وَٱلۡحِجَارَةُ عَلَيۡهَا مَلَٰٓئِكَةٌ غِلَاظٞ شِدَادٞ لَّا يَعۡصُونَ ٱللَّهَ مَآ أَمَرَهُمۡ وَيَفۡعَلُونَ مَا يُؤۡمَرُونَ ٦﴾ [ سُورَةُ التحريم : 6]

“হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যাতে নিয়োজিত আছে নির্মমহৃদয়, কঠোরস্বভাব ফিরিশতাগণ, যারা অমান্য করে না তা, যা আল্লাহ তাদেরকে আদেশ করেন। আর তারা যা করতে আদিষ্ট হয়, তাই করে।” [সূরা আত-তাহরীম, আয়াত: ৬]

আরও লক্ষ্য করুন, তিনি কীভাবে ব্যক্তিকে তার বিশেষ সমাজ থেকে সাবধান ও সংযমী হওয়ার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন; আর তিনি তাকে নির্দেশ দিয়েছেন, কোনো অনাকাঙ্খিত ব্যাপার তার নজরে এলে সে যেন ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে। তিনি প্রথমে তাকে সংযমী ও সজাগ হওয়ার নির্দেশ দেন, তারপর তাকে নির্দেশ দেন ক্ষমা ও মার্জনা করার। তিনি বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِنَّ مِنۡ أَزۡوَٰجِكُمۡ وَأَوۡلَٰدِكُمۡ عَدُوّٗا لَّكُمۡ فَٱحۡذَرُوهُمۡۚ وَإِن تَعۡفُواْ وَتَصۡفَحُواْ وَتَغۡفِرُواْ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٌ ١٤﴾ [ سُورَةُ التغابن : 14]

“হে মুমিনগণ! তোমাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিগণের মধ্যে কেউ কেউ তোমাদের শত্রু। অতএব, তোমরা তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাক। তোমরা যদি তাদেরকে মার্জনা কর, তাদের দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা কর এবং তাদেরকে ক্ষমা কর, তবে জেনে রাখ, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [সূরা আত-তাগাবুন, আয়াত: ১৪]

আরও লক্ষ্য করুন, তিনি সাধারণভাবে সমাজের সকল ব্যক্তিকে তাদের মধ্যকার পারস্পরিক লেনদেনের ব্যাপারে যে নির্দেশনা দিয়েছেন সেই দিকে। তিনি বলেন,

﴿إِنَّ ٱللَّهَ يَأۡمُرُ بِٱلۡعَدۡلِ وَٱلۡإِحۡسَٰنِ وَإِيتَآيِٕ ذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَيَنۡهَىٰ عَنِ ٱلۡفَحۡشَآءِ وَٱلۡمُنكَرِ وَٱلۡبَغۡيِۚ يَعِظُكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَذَكَّرُونَ ٩٠﴾ [ سُورَةُ النحل : 90]

“আল্লাহ ন্যায়পরায়নতা, সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসৎকাজ ও সীমালঙ্ঘন করার ব্যাপারে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।” [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ৯০]

তিনি আরও বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱجۡتَنِبُواْ كَثِيرٗا مِّنَ ٱلظَّنِّ إِنَّ بَعۡضَ ٱلظَّنِّ إِثۡمٞۖ وَ لَا تَجَسَّسُواْ وَلَا يَغۡتَب بَّعۡضُكُم بَعۡضًا﴾ [ سُورَةُ الحجرات : 12]

“হে মুমিনগণ! তোমরা অধিকাংশ অনুমান থেকে দূরে থাক। কারণ, অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ, আর তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করো না।” [সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১২] তিনি আরও বলেন,

﴿لَا يَسۡخَرۡ قَوۡمٞ مِّن قَوۡمٍ عَسَىٰٓ أَن يَكُونُواْ خَيۡرٗا مِّنۡهُمۡ وَلَا نِسَآءٞ مِّن نِّسَآءٍ عَسَىٰٓ أَن يَكُنَّ خَيۡرٗا مِّنۡهُنَّۖ وَلَا تَلۡمِزُوٓاْ أَنفُسَكُمۡ وَلَا تَنَابَزُواْ بِٱلۡأَلۡقَٰبِۖ بِئۡسَ ٱلِٱسۡمُ ٱلۡفُسُوقُ بَعۡدَ ٱلۡإِيمَٰنِۚ وَمَن لَّمۡ يَتُبۡ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ ١١﴾ [ سُورَةُ الحجرات : 11]

“কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে উপহাস না করে। কেননা যাকে উপহাস করা হয়, সে উপহাসকারীর চেয়ে উত্তম হতে পারে এবং কোনো নারী যেন অপর কোনো নারীকেও উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয়, সে উপহাসকারিণীর চেয়ে উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডাকডাকি করো না; ঈমানের পর মন্দ নাম অতি মন্দ। যারা তাওবা না করে, তারাই যালিম।” [সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১১]

তিনি আরও বলেন,

﴿وَتَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡبِرِّ وَٱلتَّقۡوَىٰۖ وَلَا تَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡإِثۡمِ وَٱلۡعُدۡوَٰنِ﴾ [ سُورَةُ المائدة : 2]

“আর তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে পরস্পর সাহায্য করবে এবং পাপ ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যের সাহায্য করবে না।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ২] তিনি আরও বলেন,

﴿إِنَّمَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ إِخۡوَةٞ ﴾ [ سُورَةُ الحجرات : 10]

“মুমিনগণ পরস্পর ভাই ভাই।” [সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত: ১০]

তিনি আরও বলেন,

﴿وَأَمۡرُهُمۡ شُورَىٰ بَيۡنَهُمۡ﴾ [ سُورَةُ الشورى : 38]

“আর তারা নিজেদের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে নিজেদের কর্ম সম্পাদন করে।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ৩৮]... এ বিষয়ে এগুলো ছাড়াও আরও অনেক আয়াত রয়েছে।

আর যেহেতু সমাজের কোনো সদস্যই মানব ও জিন্ন শত্রুর শত্রুতা থেকে নিরাপদ নয়; কোনো ব্যক্তিই প্রতিদ্বন্দ্বী ও বিরোধী মুক্ত নয়, যদিও সে পাহাড়ের চূড়ায় নিঃসঙ্গ থাকে; আর যেহেতু প্রত্যেক ব্যক্তিই এই ধরনের সর্বগ্রাসী ব্যাধি থেকে চিকিৎসার মুখাপেক্ষী, সেহেতু আল্লাহ তা‘আলা তাঁর কিতাবের তিন জায়গায় এই ব্যাধির চিকিৎসা বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি বর্ণনা করেছেন যে, মানুষের শত্রুতা থেকে বাঁচার চিকিৎসা হলো তার অসদাচরণকে উপেক্ষা করা এবং সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে তার মোকাবিলা করা; আর জিন্ন শয়তানের থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহ তা‘আলার নিকট তার অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা ছাড়া আর অন্য কোনো চিকিৎসা নেই।

প্রথম স্থান: আল্লাহ তা‘আলা সূরা আল-আ‘রাফের শেষে দুষ্ট মানুষের সাথে আচরণবিধি প্রসঙ্গে বলেন,

﴿خُذِ ٱلۡعَفۡوَ وَأۡمُرۡ بِٱلۡعُرۡفِ وَأَعۡرِضۡ عَنِ ٱلۡجَٰهِلِينَ ١٩٩﴾ [ سُورَةُ الأعراف : 199]

“তুমি ক্ষমাপরায়ণতা অবলম্বন কর, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং অজ্ঞদেরকে এড়িয়ে চল।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৯৯]

অনরূপভাবে জিন্ন শয়তানের সাথে আচরণবিধির দৃষ্টান্ত দিতে গিয়ে বলেন,

﴿وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ ٱلشَّيۡطَٰنِ نَزۡغٞ فَٱسۡتَعِذۡ بِٱللَّهِۚ إِنَّهُۥ سَمِيعٌ عَلِيمٌ ٢٠٠﴾ [ سُورَةُ الأعراف : 200]

“আর যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে আল্লাহর আশ্রয়প্রার্থী হবে, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ২০০]

দ্বিতীয় স্থান: সূরা মুমিনূনের এক আয়াতে এই প্রসঙ্গে বলেন,

﴿ٱدۡفَعۡ بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُ ٱلسَّيِّئَةَۚ نَحۡنُ أَعۡلَمُ بِمَا يَصِفُونَ ٩٦﴾ [ سُورَةُ المؤمنون : 96]

“যা উত্তম, তা দ্বারা মন্দের মোকাবেলা কর; তারা যা বলে, আমি সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত।” [সূরা আল-মুমিনুন, আয়াত: ৯৬]

অনুরূপভাবে জিন্ন শয়তান সম্পর্কে তিনি বলেন,

﴿وَقُل رَّبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنۡ هَمَزَٰتِ ٱلشَّيَٰطِينِ ٩٧ وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَن يَحۡضُرُونِ ٩٨ ﴾ [ سُورَةُ المؤمنون : 97-98]

“আর বল, হে আমার রব! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি। হে আমার রব! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিকট তাদের উপস্থিতি থেকে।” [সূরা আল-মুমিনুন, আয়াত: ৯৭-৯৮]

তৃতীয় স্থান: সূরা ফুসসিলাত; আর তাতে আল্লাহ তা‘আলা আরও বেশি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, এই আসমানী চিকিৎসা ঐ শয়তানী রোগকে নির্মূল করে দিবে এবং তাতে তিনি আরও একটু বেশি করে বলেছেন যে, এই আসমানী চিকিৎসা সকল মানুষকে দেওয়া হয় না, বরং এটা শুধু ঐ ব্যক্তিকেই দেওয়া হয়, যিনি সৌভাগ্যের অধিকারী। আল্লাহ তা‘আলা তাতে বলেন,

﴿ٱدۡفَعۡ بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُ فَإِذَا ٱلَّذِي بَيۡنَكَ وَبَيۡنَهُۥ عَدَٰوَةٞ كَأَنَّهُۥ وَلِيٌّ حَمِيمٞ ٣٤ وَمَا يُلَقَّىٰهَآ إِلَّا ٱلَّذِينَ صَبَرُواْ وَمَا يُلَقَّىٰهَآ إِلَّا ذُو حَظٍّ عَظِيمٖ ٣٥﴾ [ سُورَةُ فصلت : 34-35]

“মন্দ প্রতিহত কর উৎকৃষ্ট দ্বারা। ফলে তোমার সাথে যার শত্রুতা আছে, সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতো। এই গুণের অধিকারী করা হয় কেবল তাদেরকেই, যারা ধৈর্যশীল, আর এই এই গুণের অধিকারী করা হয় কেবল তাদেরকেই, যারা মহাভাগ্যবান।” [সূরা ফুসসিলাত, আয়াত: ৩৪-৩৫]

আর জিন্ন শয়তান প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

﴿وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ ٱلشَّيۡطَٰنِ نَزۡغٞ فَٱسۡتَعِذۡ بِٱللَّهِۖ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ ٣٦ ﴾ [ سُورَةُ فصلت : 36]

“যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে আল্লাহর আশ্রয়প্রার্থী হবে, তিনি তো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।” [সূরা ফুসসিলাত, আয়াত: ৩৬]

আর তিনি অন্যান্য জায়গায় বর্ণনা করেন যে, এই কোমল আচরণ ও নম্র ব্যবহার বিশেষভাবে মুসলিমদের জন্য প্রযোজ্য, কাফিরদের জন্য নয় [তবে এখানে সাধারণভাবে যুদ্ধ বা ষড়যন্ত্ররত কাফেরদের বিষয়ে তা বলা হচ্ছে। কিন্তু যে সব কাফের রাষ্ট্র কর্তৃক নিরাপত্তাপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে কিংবা কোনো দেশের নিজস্ব নাগরিক তাদের নিরাপত্তা রক্ষা করা ও তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করার জন্য আমরা সর্বদা আদিষ্ট। যেমনটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনা সমাজে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। -সম্পাদক।]। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَسَوۡفَ يَأۡتِي ٱللَّهُ بِقَوۡمٖ يُحِبُّهُمۡ وَيُحِبُّونَهُۥٓ أَذِلَّةٍ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى ٱلۡكَٰفِرِينَ﴾ [ سُورَةُ المائدة : 54]

“নিশ্চয় আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায়কে নিয়ে আসবেন, যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন এবং যারা তাঁকে ভালোবাসবে; তারা মুমিনদের প্রতি কোমল ও কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৫৪]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿مُّحَمَّدٞ رَّسُولُ ٱللَّهِۚ وَٱلَّذِينَ مَعَهُۥٓ أَشِدَّآءُ عَلَى ٱلۡكُفَّارِ رُحَمَآءُ بَيۡنَهُمۡۖ﴾ [ سُورَةُ الفتح : 29]

“মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল; তার সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল।” [সূরা আল-ফাতহ, আয়াত: ২৯]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِيُّ جَٰهِدِ ٱلۡكُفَّارَ وَٱلۡمُنَٰفِقِينَ وَٱغۡلُظۡ عَلَيۡهِمۡۚ﴾ [ سُورَةُ التوبة : 73, سورة التحريم : 9]

“হে নবী! কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর ও তাদের প্রতি কঠোর হও।” [সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ৭৩; সূরা আত-তাহরীম, আয়াত: ৯]

কোমলতার জায়গায় কঠোরতা হলো নির্বুদ্ধিতা ও বোকামী; আর কঠোরতার স্থানে কোমলতা হলো দুর্বলতার পরিচায়ক ও এক ধরনের শৈথিল্য প্রদর্শন। কবির কবিতায়:

“যখন সহিষ্ণুতার কথা বলা হবে, তখন বল, নির্ধারিত স্থান রয়েছে সহিষ্ণুতার, আর যুবকের অপাত্রে সহিষ্ণুতা প্রকাশ এক ধরনের মূর্খতা।”

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন