hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামে জিযয়াহ্‌র বিধান

লেখকঃ ড. মুনকিয বিন মাহমুদ আস-সাক্কার

তিন. যিম্মি চুক্তি বাস্তবায়নে মুসলিমদের যত্ন ও গভীর মনোযোগ।
যেন কোন মুসলিম যিম্মিদের অধিকার বিনষ্ট না করে এ ব্যাপারে খলিফাগণ সতর্ক থাকতেন এবং বরাবর খোঁজখবর নিতেন। তাবারি তার তারিখে উল্লেখ করেন, যিম্মিদের একটি দল ওমর রা.-এর নিকট আগমন করলে, তিনি তাদেরকে বলেন : ‘হয়তো মুসলিমরা তোমাদের কষ্ট দেয় এবং তাদের কিছু আচরণের কারণে তোমাদের অধিকার খর্ব হয় ? তারা বলল : না, আমরা ওয়াদার বাস্তবায়ন ও সুন্দর আচরণই ভোগ করছি। [তারিখে তাবারি : (২/৫০৩)]’

ওমর রা.-এর নিকট যখন ট্যাক্সের সম্পদ পেশ করা হয়, তিনি তার উসুল প্রক্রিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, যেন কেউ এর জন্য যুলম ও অবিচার না করে। যেমন তার একটি ঘটনা : ‘একবার তার কাছে অনেক সম্পদ আসলো, মনে হচ্ছে ... জিযয়াহ্‌ থেকে, তখন তিনি বললেন : আমার ধারণা তোমরা মানুষদের ধ্বংস করেছ ? তারা বলল : না, আল্লাহর শপথ আমরা সন্তুষ্টি চিত্ত্বে ও অধিরিক্ত সম্পদ থেকেই গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন : শাস্তি ও হুমকি ব্যতীত ? তারা বলল : হ্যাঁ। তিনি বললেন : আল্লাহর প্রশংসা, তিনি আমার হাতে, আমার রাজত্বে যুলম ও অন্যায়ের সম্পদ জমা করেন নি। [আল-মুগনি : (৯/২০৯), আহকামু আহলিয যিম্মাহ : (১/১৩৯)]’

ওমর রা. যিম্মিদের অধিকারের বিষয়টি শুধু নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি, বরং পরবর্তী খলিফাদের পর্যন্ত তিনি এ বিষয়ে অসিয়ত করে গেছেন। তিনি বলেন : ‘আমার পরবর্তী খলিফাদের অসিয়ত করছি, তারা যেন যিম্মিদের কল্যাণ কামনা করে, তাদের সাথে কৃত অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করে, তাদের সুরক্ষার জন্য জিহাদ করে এবং তাদের উপর সামর্থের অধিক বোঝা না চাপায়। [বুখারি : হাদিস নং : (১৩৯২) ও (৩/১৩৫৬)]’

আলী রা. তার প্রত্যেক গভর্নরকে খাজনার বিষয়ে লিখেন : ‘তাদের নিকট তুমি যখন যাবে, (খাজনা আদায়ের জন্য) তাদের শীত বা গ্রীষ্মকালীন কোন পোশাক বিক্রি করবে না, তাদের খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করবে না, তাদের পশু বিক্রি করবে না, যা দিয়ে তারা জীবিকা নির্বাহ করে এবং এক দিরহামের জন্য কাউকে শাস্তি দেবে না, এক দিরহামের জন্য কাউকে পায়ের উপর দাঁড় করে রাখবে না, খাজনার জন্য তাদের কোন জিনিস বিক্রি করবে না, কারণ আল্লাহ আমাদেরকে তাদের অতিরিক্ত সম্পদ থেকে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, তুমি যদি আমার এ নির্দেশ অমান্য কর, তাহলে আমার অবর্তমানে আল্লাহ তোমাকে পাকড়াও করবেন, আর যদি আমি জানতে পারি, তাহলে আমি তোমাকে বরখাস্ত করব। [আল-খারাজ : (৯)]’

ওয়ালিদ ইবন ইয়াজিদ সাইপ্রাস থেকে নাসারাদের তাড়িয়ে দিয়েছিল, এ আশঙ্কায় যে তারা রোমকদের সাহায্য করতে পারে, পরবর্তীতে তার ছেলে ইয়াজিদ ইবন ওয়ালিদ খলিফা হয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে আনেন। ইসমাইল ইবন আইয়াশ ওয়ালিদের কর্ম সম্পর্কে বলেন : ‘মুসলিমরা ওয়ালিদের তাড়িয়ে দেয়াকে ভাল চোখে দেখেনি, আলেমগণও এটাকে বড় অন্যায় হিসেবে দেখেছেন। পরবর্তীতে ইয়াজিদ ইবন ওয়ালিদ খলিফা হয়ে তাদেরকে যখন ফিরিয়ে আনেন, মুসলিমরা তার কর্মকে সুনজরে দেখেন এবং এটাকে ইনসাফ বলেন। [ফুতুহুল বুলদান : (১৫৬)]’

খলিফা আব্দুল মালিক নাসারাদের থেকে ইউহোন্না গীর্জা জোরপূর্বক গ্রহণ করে মসজিদে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, মুসলিমরা এটা আত্মসাৎ হিসেবেই গণ্য করেছে, পরবর্তীতে যখন ওমর ইবন আব্দুল আজিজ খলিফা হন, তার নিকট নাসারাগণ অভিযোগ করেন, ফলে তিনি গভর্নরকে নির্দেশ দেন, গীর্জার যে অংশ মসজিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, তা ফেরৎ দেয়ার জন্য। [ফতুহুল বুলদান : (১৩২)]’

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন