HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নবী ﷺ এর সালাত আদায়ের পদ্ধতি

লেখকঃ আব্দুল আযীয ইবন ‌আব্দুল্লাহ ইবন বায

১১
দুই রাকাত বিশিষ্ট সালাতের তাশাহহুদের জন্য বসা ও তার পদ্ধতি
১৩. সালাত যদি দু’রাকাত বিশিষ্ট হয় যেমন, ফজর, জুমু‘আ ও ঈদের সালাত, তাহলে দ্বিতীয় সাজদাহ থেকে মাথা উঠিয়ে ডান পা খাড়া করে বাম পায়ের উপর বসবে। ডান হাত ডান উরুর উপর রেখে শাহাদাত বা তর্জনী আঙ্গুলি ছাড়া সমস্ত আঙ্গুল মুষ্টিবদ্ধ করে দো‘আ ও আল্লাহর নাম উল্লেখ করার সময় শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা নাড়িয়ে তাওহীদের ইশারা করবে। যদি ডান হাতের কনিষ্ঠা ও অনামিকা বন্ধ রেখে এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি মধ্যমাঙ্গুলির সাথে মিলিয়ে গোলাকার করে শাহাদাত বা তর্জনী দ্বারা ইশারা করে তবে তাও ভালো। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দু’ধরনের বর্ণনাই প্রমাণিত। উত্তম হলো যে, কখনও এভাবে এবং কখনও ওভাবে করা।

আর বাম হাত বাম উরু ও হাঁটুর উপর রাখবে। অতঃপর এই বৈঠকে তাশাহহুদ (আত্তাহিয়্যতু..) পড়বে।

তাশাহহুদ বা আত্তাহিয়্যতু:

» اَلتَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِيْنَ، أَشْهَدُ أَن لَّاإِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ»

উচ্চারণ: “আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস্‌সালাওয়াতু ওয়াত্ তাইয়্যিবাতু আস্‌সালামু আলাইকা আইয়্যুহান্নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু, আস্‌সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিছ ছালিহীন। আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান্ আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।

“যাবতীয় সম্মানের সম্ভাষণ, যাবতীয় সালাত ও পবিত্রতা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার ওপর আল্লাহর শান্তি, রহমত ও বরকত অবতীর্ণ হোক। আমাদের ওপর এবং আল্লাহর সৎ বান্দাগণের ওপর সালাম। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোনো মা‘বূদ নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল।”

অতঃপর বলবে:

» اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ , وبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِْيدٌ مَجِيْدٌ «

উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রা-হীমা ওয়া আলা আ-লি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। ওয়া বা-রিক আলা মুহাম্মাদিউঁ ওয়া আলা আ-লি মুহাম্মাদিন কামা বা-রাকতা আলা ইবরা-হীমা ওয়া আলা আলি-ইব্রা-হীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।”

“হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম ও তাঁর পরিবারবর্গের ওপর সালাত পেশ করুন। যেমন, আপনি ইবরাহীম ও তার পরিবারবর্গের ওপর সালাত পেশ করেছেন। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত ও গৌরবান্বিত। আর আপনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গের ওপর বরকত নাযিল করুন, যেমন আপনি ইবরাহীম ও তার পরিবারবর্গের ওপর নাযিল করেছেন। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত ও গৌরাবান্বিত।”

এরপর আল্লাহর কাছে চারটি বস্তু থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে।

» اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ ومِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ ومِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ «

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন ‘আযাবি জাহান্নাম, ওয়া মিন ‘আযাবিল ক্বাবরি, ওয়া মিন ফিতনাতিল্ মাহইয়া ওয়ালমামাতি ওয়া মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জাল।

“আমি আল্লাহর আশ্রয় কামনা করি জাহান্নামের আযাব থেকে, কবরের শাস্তি থেকে, জীবন ও মৃত্যুর যন্ত্রণা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে।”

এরপর দুনিয়া ও আখেরাতের মঙ্গল কামনা করে নিজের পছন্দমত যে কোনো দো‘আ করবে। যদি তার পিতা-মাতা ও অন্যান্য মুসলিমদের জন্য দো‘আ করে তাতে কোনো দোষ নেই। দো‘আ করার বিষয়ে ফরয অথবা নফল সালাতে কোনোই পার্থক্য নেই। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথায় ব্যাপকতা রয়েছে। ইবন মাসউদের হাদীসে যখন তিনি তাশাহহুদ শিক্ষা দিচ্ছিলেন তখন বলেছিলেন:

» ثُمَّ لِيَتَخَيَّرْ مِنَ الدُّعاَءِ أَعْجَبَهُ إِلَيْهِ فَيَدْعُوْا «

“অতঃপর তার কাছে যে দো‘আ পছন্দনীয়, তা নির্বাচন করে দো‘আ করবে।” অন্য এক বর্ণনায় আছে,

» ثُمَّ يَتَخَيَّرْ مِنَ الْمَسْأَلَةِ مَا شَاءَ «

“অতঃপর যা ইচ্ছা চেয়ে দো‘আ করতে পারে।”

রাসূলের এ বাণী বান্দার দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্ত উপকারী বিষয়ের দো‘আকে শামিল করে।

অতঃপর (সালাত আদায়কারী) তার ডান দিকে (তাকিয়ে) “আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” “তোমাদের ওপর শান্তি ও আল্লাহর রহমত নাযিল হউক এবং বাম দিকে (তাকিয়ে) “আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে সালাম ফিরাবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন