মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
যেমন তা দু’রাকাত ওয়ালা সালাতে উল্লেখ হয়েছে। (অতঃপর শেষ বৈঠকের জন্য বসবে) তবে এ বৈঠকে তাওয়াররুক করে বসবে অর্থাৎ ডান পা খাড়া করে এবং বাম পা ডান পায়ের নিম্ন দিয়ে বের করে রাখবে। পাছা যমীনের উপর স্থির রাখবে। এ বিষয়ে আবু হুমাইদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এরপর সবশেষে “আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে প্রথমে ডান দিকে এবং পরে বাম দিকে সালাম ফিরাবে।
(সালামের পর) ৩ বার “আসতাগফিরুল্লাহ” পড়বে (আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি) নিম্নের দো‘আগুলো (১ বার) পড়বে:
“হে আল্লাহ! তুমি শান্তি দাতা, আর তোমার কাছেই শান্তি, তুমি বরকতময়, হে মর্যাদাবান এবং কল্যাণময়।”আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোনো মা‘বূদ নেই , তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই, সকল বাদশাহী ও সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সব কিছুর উপরেই ক্ষমতাশালী। একমাত্র অল্লাহ ছাড়া দুঃখ কষ্ট দূরিকরণ এবং সম্পদ প্রদানের ক্ষমতা আর কারো নেই।
হে আল্লাহ! তুমি যা দান করেছো, তার প্রতিরোধকারী কেউ নেই। আর তুমি যা নিষিদ্ধ করেছো তা প্রদানকারীও কেউ নেই এবং কোনো সম্মানী ব্যক্তি তার উচ্চ মর্যাদা দ্বারা তোমার দরবারে উপকৃত হতে পারবে না।”
আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোনো মা‘বূদ নেই। আমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করি, নি‘আমতসমূহ তাঁরই, অনুগ্রহও তাঁর এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) মা‘বূদ নেই । আমরা তাঁর দেওয়া জীবন বিধান একমাত্র তাঁর জন্য একনিষ্ঠভাবে পালন করি। যদিও কাফিরদের নিকট তা অপছন্দনীয়।
“সুবহানাল্লাহ” ৩৩ বার (আল্লাহ পাক-পবিত্র) “আলহামদুলিল্লাহ” ৩৩ বার (সকল প্রশংসা আল্লাহর) আল্লাহু আকবার” ৩৩ বার পড়বে (আল্লাহ সবচেয়ে বড়) আর একশত পূর্ণ করতে নিম্নের দো‘আটি পড়বে।
“আল্লাহ তিনি ছাড়া অন্য কোনো (সত্য) মাবূদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক, তাঁকে তন্দ্রা এবং নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তাঁর। কে আছে এমন
যে, তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা কিছু আছে তা তিনি অবগত আছেন। যতটুকু তিনি ইচ্ছে করেন, ততটুকু ছাড়া তারা তাঁর জ্ঞানের কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর কুরসী সমস্ত আকাশ ও পৃথিবী পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে রক্ষণা-বেক্ষণ করা তাঁকে ক্লান্ত করে না। তিনি মহান শ্রেষ্ঠ।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৫৫]
প্রত্যেক সালাতের পর আয়াতুল কুরসী, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক এবং সূরা নাস পড়বে। মাগরিব ও ফজর সালাতের পরে এই সূরা তিনটি (ইখলাস, ফালাক এবং নাস) তিনবার করে পুনরাবৃত্তি করা মুস্তাহাব। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ সম্পর্কে সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
একইভাবে পূর্ববর্তী দো‘আগুলোর সাথে ফজর ও মাগরিবের সালাতের পর নিম্নের দো‘আটি বৃদ্ধি করে দশবার করে পাঠ করা মুস্তাহাব। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ সম্পর্কে (হাদীসে) প্রমাণিত আছে।
“আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোনো মা‘বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। সকল বাদশাহী ও সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য। তিনিই জীবিত করেন ও মৃত্যু দান করেন। তিনিই সব কিছুর ওপর ক্ষমতাশালী।”
অতঃপর ইমাম হলে তিনবার “আসতাগফিরুল্লাহ”এবং “আল্লাহুম্মা আন্তাস সালামু, ওয়ামিনকাস সালামু, তাবারাকতা ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম।” বলে মুকতাদীদের দিকে ফিরিয়ে মুখামুখী হয়ে বসবে। অতঃপর পূর্বোল্লিখিত দো‘আগুলো পড়বে। এ বিষয়ে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে, এর মধ্যে সহীহ মুসলিমে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা কতৃক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে। এই সমস্ত আযকার বা দো‘আ পাঠ করা সুন্নাত, ফরয নয়।
প্রত্যেক মুসলিম নারী এবং পুরুষের জন্যে জোহর সালাতের পূর্বে ৪ রাকাত এবং পরে ২ রাকাত, মাগরিবের সালাতের পর ২ রাকাত, এশার সালাতের পর ২ রাকাত এবং ফজরের সালাতের পূর্বে ২ রাকাত- মোট ১২ রাকাত সালাত পড়া মুস্তাহাব। এই ১২ (বার) রাকাত সালাতকে সুনান রাওয়াতিব বলা হয়। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত রাকাতগুলো মুকীম অবস্থায় নিয়মিত যত্ন সহকারে আদায় করতেন। আর সফরের অবস্থায় ফজরের সুন্নাত ও (এশার) বিত্র ব্যতীত অন্যান্য রাকাতগুলো ছেড়ে দিতেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর এবং মুকীম অবস্থায় উক্ত ফজরের সুন্নাত ও বিতর নিয়মিত আদায় করতেন। তাই আমাদের জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমলই হলো উত্তম আদর্শ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
এই সমস্ত সুনান রাওয়াতিব এবং বিতরের সালাত নিজ ঘরেই পড়া উত্তম। যদি কেউ তা মসজিদে পড়ে তাতে কোনো দোষ নেই। এ সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“যে কোনো মুসলিম ব্যক্তিই আল্লাহর জন্য (খালেস নিয়্যতে) দিবা-রাত্রে ১২ (বার) রাকাত নফল সালাত পড়বে, আল্লাহ অবশ্যই তার জন্য একটি জান্নাতে ঘর বানাবেন।” আমরা যা পূর্বে উল্লেখ করেছি ইমাম তিরমিযী তার বর্ণনায় অনুরূপ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
যদি কেউ আসরের সালাতের পূর্বে ৪ (চার) রাকাত এবং মাগরিবের সালাতের পূর্বে ২ (দুই) রাকাত এবং এশার সালাতের পূর্বে ২ (দুই) রাকাত পড়ে, তাহলে তা উত্তম হবে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“আল্লাহ ঐ ব্যক্তির ওপর রহম করুন,যে আসরের (ফরয) সালাতের পূর্বে চার রাকাত (নফল) সালাত পড়ে থাকে।” [হাদীসটি ইমাম আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন ও ইবন খুযায়মা সহীহ বলেছেন।] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“প্রত্যেক আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে (নফল) সালাত, প্রত্যেক আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে (নফল) সালাত।” তৃতীয় বার বলেন “যে ব্যক্তি পড়ার ইচ্ছে করে।” [সহীহ বুখারী।]
যদি কেউ জোহরের পূর্বে ৪ (চার) রাকাত এবং পরে ৪ (চার) রাকাত পড়ে তবে তা ভালো। এর প্রমাণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“যে ব্যক্তি জোহরের পূর্বে ৪ (চার) রাকাত ও পরে ৪ (চার) রাকাত (সুন্নাত সালাত) এর প্রতি যত্নবান থাকে, আল্লাহ পাক তার ওপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন।” ইমাম আহমাদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং আহলে সুনান সহীহ সূত্রে উম্মে হাবীবাহ থেকে উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ সুনানে রাতেবার সালাতে জোহরের পরে ২ রাকাত বৃদ্ধি করে পড়বে। কারণ, জোহরের পূর্বে ৪ রাকাত এবং পরে ২ রাকাত পড়া সুনান রাতেবাহ। অতএব, জোহরের পরে ২ রাকাত বৃদ্ধি করলে উম্মে হাবীবাহর হাদীসের প্রতি আমল হবে। আল্লাহই তাওফীকদাতা। দুরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক, আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর পরিবার-পরিজন এবং সাহাবীগণের প্রতি এবং কিয়ামত পর্যন্ত যারা তাঁর ইত্তেবা‘ করবেন তাদের প্রতিও।
সমাপ্ত
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/78/13
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।