মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ফরয বা তাহিয়্যাতুল মসজিদ সালাত আদায়ের পর নিম্নের নিয়ম অনুযায়ী রাসূল (ﷺ) এবং তার দুই সাথী আবু বকর রা. ও উমার রা. কে সালাম দিতে যাবে।
১। কিবলা পিঠ করে কবরমুখী হয়ে রাসূল (ﷺ) এর কবরের সামনে দাড়িয়ে বলবে :
السلام عليك أيها النبي ورحمة الله وبركاته .
উপযুক্ত কোনো শব্দ বৃদ্ধিতে অসুবিধা নেই, যেমন :
السلام عليك يا خليل الله، وأمينه على وحيه، وخيرته من خلقه، أشهد أنك قد بلغت الرسالة، وأدية الأمانة، ونصحة الأمة، وجاهدت في الله حق جهاده .
শুধু প্রথমটা বললেও অসুবিধা নেই।
ইবনে উমার (রাঃ) সালাম দেওয়ার সময় বলতেন :
السلام عليك يا رسول الله، السلام عليك يا أبا بكر، السلام عليك يا أبت .
অতঃপর চলে যেতেন।
২। অতঃপর এক হাত পরিমান ডান দিকে এগিয়ে আবুবকর (রাঃ) এর কবরের সামনে এসে সালাম দিবে। বলবে :
السلام عليك يا أبا بكر، السلام عليك يا أمير المؤمنين، رضي الله عنك وجزاك عن أمة محمد خيرا .
অতঃপর চলে যাবে। কিবলামূখী বা কবরমুখী হয়ে দো‘আর জন্য অবস্থান করবে না। ইমাম মালিক (র.) বলেন : রাসূলের কবরের নিকট দো‘আ করা সম্পর্কে কোনো প্রমাণাদি পাওয়া যায় না, তবে সালাম করবে। যেমন ইবনে উমার (রাঃ) করতেন। ইবনুল জাওযী (র.) বলেন : দো‘আর জন্য কবরে যাওয়া মাকরূহ। ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন, দো‘আর জন্য কবরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়া, দো‘আর জন্য সেখানে অবস্থান করা মাকরূহ। [ফাতওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়্যাহ : ২৪ /৩৫৮]
রাসূল (ﷺ) ও তার সাথীদ্বয়কে আদবের সাথে নিচু স্বরে সালাম দিবে। উচুস্বর মসজিদে সর্বাবস্থায় নিষিদ্ধ। বিশেষত রাসূলের (ﷺ) মসজিদে ও তার কবরের নিকট, সহী বুখারীতে বর্ণিত আছে, সায়িব বিন ইয়াযীদ (রাঃ) বলেন : আমি মসজিদে ঘুমিয়ে কি দাড়িয়ে ছিলাম হঠাৎ কে যেন খোচা দিলেন, দেখি উমার বিন খাত্তাব (রাঃ), তিনি বললেন, যাও এই দুই জনকে নিয়ে এস! আমি তাদের দুজনকে নিয়ে এলাম, তিনি তাদেরকে প্রশ্ন করলেন তোমরা কারা? তারা বললো আমরা তায়েফের বাসিন্দা। বললেন তোমরা যদি এই শহরবাসী হতে তাহলে তোমাদেরকে এমন প্রহার করতাম যে ব্যাথা অনুভব করতে। তোমরা আল্লাহর রাসূলের মসজিদে উচু আওয়াজ করছো। [বুখারী : ৪৭০]
রাসূল ও তার দুই সাথীর কবরে দীর্ঘক্ষণ দো‘আ বা অবস্থান না করা। কোন একজন সাহাবীও নিজের জন্য কবরের পাশে দাড়িয়ে দো‘আ করেন নি। কারণ এটা বিদআত এবং কোনো একজন আলিমও কবরমুখি হয়ে দো‘আ করতে বলেন নি। বরং সাহাবায়ে কেরাম মসজিদে দো‘আ করতেন, রওযা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না, না কবর পিঠ করে, না কবরমুখী হয়ে।
ইমাম মালেক র. হতে যে ঘটনা বর্ণনা করা হয় যে, ‘তিনি আব্বাসী খলীফা মনসূরকে কবরমুখী হয়ে দো‘আ করতে বলেছেন’ এটা তার উপর অপবাদ আরোপ। ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন: ছাহাবায়ে কেরাম, তাবে‘ঈন, ইমামগণ ও পূর্ববর্তী মাশায়েখগণের কেউ নবী বা ওলীগণের কবরের নিকট দো‘আ করলে তা কবুল হওয়ার কথা বলেন নি এবং তাদের মধ্যে কেউ বলেন নি যে নবী বা সালেহীনদের কবরে দো‘আ করা অন্যস্থানে দো‘আ করা হতে উত্তম, এবং সেখানে সালাত পড়া অন্যস্থানে নামায হতে উত্তম, এবং তাদের মধ্যে কেউ এসব কবরের নিকট সালাত ও দো‘আর জন্য চেষ্টাও করেন নি। তারা শুধু কবরবাসীর জন্য দো‘আ ও তাদের সালাম প্রদানের অবকাশ টুকু দিতেন [ফতোয়ায়ে ইবনে তাইমিয়া: ২৭/৯১৬] এবং উদ্দেশ্য তো শুধু নবী (ﷺ) কে সালাম দেওয়া ও তার প্রতি দরুদ পাঠ করা। এর অতিরিক্ত কিছু করলে যেমন সেখানে অবস্থান বেশি বেশি সালাম ও দুরুদ পাঠ, এগুলি ইমাম মালেক র. অপছন্দ করেছেন এবং তিনি বলেছেন এটা বিদআত যা পূর্ববর্তীদের থেকে প্রমাণিত নয়। আর উম্মতের পরবর্তী অংশ পূর্ববর্তীদের অনুসরণ ব্যতীত সংশোধিত হতে পারে না। [ফতওয়ায়ে তাইমিয়া-২৭/৩৮৪]
কিছু সংখ্যক সুফীবাদী ধারণা রাখে যে, রাসূলের রওজায় সালাম প্রদানের সময় অন্তরের উপস্থিতি চোখ অবনত রাখা, ডানে বামে না তাকানো, স্থিরতা, বিনয় অবলম্বন জরুরী। এ ধরণের কোন প্রমাণ নেই, কথা হলো আদব বজায় রেখে ছালাম দেওয়া, যাতে স্বর উচু না হয়, কবর ও মৃত্যুর স্মরণ পরিপন্থী কোন আচরণ প্রকাশ না পায়।
যেমন ইমাম মালেক র. যে কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে রাসূলের কবরের নিকট আসতে হবে, মদীনাবাসীদের এই রকম করা তিনি অপছন্দ করেছেন। পূর্বসূরীগণ তো এমন করেননি, বরং তারা মসজিদে এসে আবু বকর, উমার উসমান ও আলী রা. এর পিছনে নামায পড়তেন, তারা সালাতে বলতেন: ‘আচ্ছালামু আলাইকা আইউহান্নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ’ অতঃপর তারা নামায শেষ করে বসতেন বা বের হয়ে যেতেন। কিন্তু সালাম দেয়ার জন্য কবরের কাছে আসতেন না। তারা জানতেন সালাতের মধ্যে দরুদ ও সালাম পরিপূর্ণ ও উত্তম। [আল ফতওয়া: ২৬/৩৮৬]
সাহাবায়ে কিরাম ছিলেন স্বর্ণ যুগের স্বর্ণ মানব, তারা ছিলেন উম্মতের মধ্যে সুন্নাত সম্বন্ধে সর্বাধিক জ্ঞানী ও আনুগত্যকারী, তাদের মধ্যে হতে কেউ তাঁর নিকট এসে পরীক্ষাস্বরূপ প্রশ্ন করত না যে, তারা কি বিষয়ে ঝগড়া করেছে? এমনকি শয়তানও তাদের এই প্ররোচনা দিতে পারত না যে তোমরা তাঁর নিকট গিয়ে বৃষ্টি দাবী কর, তার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট সাহায্য চাও, বা ক্ষমা প্রার্থনা করাও। বরং সাহাবায়ে কেরামের অভ্যাস ছিল; তাদের কারো নিজের জন্য দো‘আর প্রয়োজন হলে মসজিদে গিয়ে কিবলামূখী হয়ে দো‘আ করতেন, যেমন তারা রাসূলের জীবদ্দশায় করতেন, অতএব তারা রাসূলের কবর বা হুজরার নিকট গিয়ে দো‘আ করতেন না।
অনুরূপ যখন ছাহাবায়ে কেরাম খুলাফায়ে রাশেদীন বা অন্য কারো সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে সফর থেকে আসতেন, তখন তারা মসজিদে গিয়ে নামায আদায় করতেন ও সালাতের মধ্যেই রাসূলের প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করতেন এবং মসজিদে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় দো‘আ পাঠের মাধ্যমে দুরুদ ও সালাম প্রেরণ করতেন, স্বতন্ত্রভাবে কবরের নিকট গিয়ে সালাম দিতেন না দুরুদও পড়তেন না, কারণ তারা জানতেন রাসূল (ﷺ) তাদেরকে এ বিষয়ে আদেশ করেন নি। তবে ইবনে উমার (রাঃ) সফর থেকে ফিরলে রাসূলের কবরের নিকট গিয়ে তাকে ও তার সাথীদ্বয়কে সালাম করতেন। ইবনে উমার (রাঃ) ব্যতীত অন্য কোন ছাহাবী এমন করেন নি। এমনকি খুলাফায়ে রাশেদীন তো হজের সফর যাওয়া বা ফিরার সময় এমন করেন নি, তাদের কারণ তাদের নিকট এটা কোনো সুন্নতই নয়। [আল-ফাতাওয়া : ২৭/৩৮৬]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/785/5
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।