hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মদীনাতুন্নবীর যিয়ারত

লেখকঃ আখতারুজ্জামান

যিয়ারতের সময় নিষিদ্ধ বিষয়াবলী ১. কবরের তওয়াফ, চুম্বন ও মাসেহ করা।
কবর যিয়ারতের সময় কবরকে তওয়াফ করা, মাসেহ করা ও চুম্বন করা যাবে না। ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন: ‘পূর্ববর্তী অনুকরণীয় ইমামগণ একথার উপর ঐকমত্য হয়েছেন যে, যে ব্যক্তি রাসূলের কবরের নিকট গিয়ে রাসূলকে (ﷺ) সালাম করবে, তার জন্য রাসূলের হুজরা চুম্বন করা ও মাসেহ করা মুস্তাহাব নয়। যাতে করে সৃষ্টির ঘর স্রষ্টার ঘরের সমতুল্য না হয়ে যায়। আর রাসূল (ﷺ) বলেছেন:

«اللهم لا تجعل قبري وثنا يعبد»

“হে আল্লাহ আমার কবরকে মূর্তিতূল্য ইবাদতগাহ বানিও না।”

অতএব সকল বনী আদমের নেতা রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) এর কবরের যখন এই নীতি। তখন অন্যের কবর মাসেহ ও চুম্বন করার কোন প্রশ্নই আসে না। [ফাতওয়া ইবনে তাইমিয়া-২৬/৯৮] তিনি আরো বলেন; একমাত্র কাবা শরীফ তাওয়াফ করা যাবে এবং দুই ডান কোনে (রুকনে ইয়ামানী) হাত বুলানো যাবে ও হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করা যাবে, এছাড়া মসজিদে নববী, মসজিদে আকসা, ও অন্যান্য সকল মসজিদের তাওয়াফ, মাসেহ ও চুম্বন করা জায়েয হবে না। অতএব কারো জন্য রাসূলের রওযা, বায়তুল মুকাদ্দাসের পাথর, আরাফা ও অন্যান্য পাহাড়ের চূড়া তাওয়াফ করা জায়েয হবে না। এক কথায়, কাবা ব্যতীত পৃথিবীর অন্য কোনো স্থানকে তাওয়াফ করা জায়েয নয়। যে অন্য স্থানের তওয়াফের বৈধতা বিশ্বাস করে সে ঐ ব্যক্তি থেকে নিকৃষ্ট যে কাবা ব্যতীত অন্য দিকে ফিরে নামায আদায় জায়েয মনে করে।’

ইবনে তাইমিয়া রহ. আরো বলেন: ‘যে হুজরায় রাসূলের কবর আছে সেই হুজরায় শরয়ী ইবাদতের কোনো বিশেষত্ব নেই। [ফতওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়া-২৭/১০] আর যে কোন কবর মাসেহ করা, চুম্বন করা, চোয়াল ঘসা সর্বসম্মতি ক্রমে নিষিদ্ধ। এমনকি সেটা নবীদের কবর হলেও, পূর্বসূরীদের থেকে তা বর্ণিত হয়েছে; যেন মানুষ সেখানে পৌছতে না পারে, দর্শনার্থীদের সরাসরি পৌছার কোনো পথ রাখা হয় নি, দর্শনার্থী সংকুলানের মত প্রশস্ত জায়গাও রাখা হয় নি, কবর দেখা যায় এমন জানালাও রাখা হয় নি, এক কথায় কবর পর্যন্ত পৌছা বা তা দেখার মত কোন ব্যবস্থাই রাখা হয় নি, যেন মানুষ তার কবরকে ঈদগাহ বা মুর্তি সাব্যস্ত করতে না পারে। [ফতওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়া-২৭/৮]

অনুরূপ কবরের প্রাচীর মাসেহ করা যাবে না, ইমাম আহমদ রহ. বলেন : আমি এ সম্পর্কে জানি না, আসলাম র. বলেন মদীনাবাসী বড় বড় আলিমগণকে রাসূলের কবর স্পর্শ করতে দেখি নি, তারা এক পার্শ্বে দাড়িয়ে তাকে সালাম করতেন। আবু আব্দুল্লাহ বলেন : ইবনে উমার (রাঃ) এমনি করতেন। আর এ আচরণ যদি আল্লাহর ইবাদত ও রাসূলের সম্মানার্থে করা হয় তাহলে তা শির্ক বলে গণ্য হবে। ইবনে আব্বাস (রাঃ) মুআবিয়া (রাঃ) এর কাবা শরীফের বাম কোণ স্পর্শ করা অপছন্দ করেছেন। অথচ এ স্পর্শ ডান কোণে করা বৈধ। আর হুজরা বা প্রাচীর স্পর্শের মধ্যেই রাসূলের ভালবাসা বা সম্মান নয়, বরং প্রকাশ্যে ও গোপনে তার অনুসরণ এবং তার শরীয়তের মধ্যে নতুন বিদআত চালু না করার মধ্যেই প্রকৃত ভালবাসা ও সম্মান নিহিত। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন :

﴿ قُلۡ إِن كُنتُمۡ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِي يُحۡبِبۡكُمُ ٱللَّهُ﴾ [ ال عمران : ٣١ ]

“আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তবে তোমরা আমার অনুসরণ কর। তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন।” [আলে-ইমরান-৩১]

আর রওযার দেয়াল যদি এমনি আন্তরিকতাবশতঃ বা খেলার ছলে স্পর্শ করা হয়, তাহলে তা ভুল হবে, যার দ্বারা কোনো ফায়দা নেই। তাছাড়া রাসূল ও সাহাবাগণের তরীকা ও সুন্নাতের বিরোধিতা করা হবে। কেননা জাহেল ও মূর্খরা দেখে এটাকে ইবাদত মনে (সুন্নত) করে তারাও তা শুরু করবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন