hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সিয়াম বিষয়ক নির্বাচিত ফাতাওয়া

লেখকঃ ইসলাম কিউ. এ

১৩
জনৈক লোক রমযানে দিনের বেলায় বীর্য নির্গত না করে স্ত্রীর সাথে যৌন মিলন করল
ফাতওয়া নং ২২৯৩৮

প্রশ্ন: একজন লোক রমযানে দিনের বেলায় বীর্যপাত ছাড়া স্ত্রীর সাথে যৌন মিলন করল। এর হুকুম কী? আর সে স্ত্রীর কী করণীয় যদি সে এ ব্যাপারে না জেনে থাকে?

উত্তর: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

রমযান মাসে দিনের বেলায় যে যৌন মিলন করে সে মুকিম তথা অবস্থানকারী সাওম পালনকারী হলে তার ওপর বড় কাফফারা (আল কাফফারাতুল মুগাল্লাযাহ) ওয়াজিব হয়, আর তা হলো একজন দাস মুক্ত করা, যদি তা না পায় তাহলে দুই মাস পরপর একাধারে সিয়াম পালন করা, আর যদি তাও না পারে তবে ৬০ জন মিসকীনকে খাওয়ানো।

একজন নারীর ব্যাপারেও তা ওয়াজিব হয় যদি সে রাজী থাকে। আর যদি সে এ ব্যাপারে অনিচ্ছাকৃতভাবে বাধ্য হয়, তাহলে তার ওপর কিছু ওয়াজিব হয় না।

আর তারা যদি উভয়েই মুসাফির হয়, তবে তাদের কোনো গুনাহ হয় না, তাদের ওপর কোনো কাফফারাও ওয়াজিব হয় না এবং দিনের বাকি অংশ তাদের পানাহার এবং যৌন মিলন থেকে বিরত থাকতে হবে না; বরং তাদের উভয়কেই ঐদিনের সাওম কাযা করতে হবে। তাদের উভয়ের জন্য এক্ষেত্রে (মুসাফির অবস্থায়) সাওম পালন করা বাধ্যতামূলক নয়।

একইভাবে যে ব্যক্তি কোনো প্রয়োজনে সাওম ভঙ্গ করেছে যেমন, শরী‘আত সম্মতভাবে যার জানমাল নিরাপদ এমন কাউকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য, এমন ব্যক্তি যদি সেই দিন যৌন মিলন করে, যেই দিনে প্রয়োজন বশতঃ সাওম ভঙ্গ করেছিল, তবে তার ওপর কিছু ওয়াজিব হয় না। কারণ, এক্ষেত্রে সে কোনো ওয়াজিব সাওম ভঙ্গ করে নি।

মুকিম তথা অবস্থানকারী সাওম পালনকারী যদি যৌন মিলন করে, যার ওপর সাওম বাধ্যতামূলক, তার ওপর পাঁচটি জিনিস বর্তায়:

১। পাপ

২। সেই দিনের সাওম ফাসিদ (বিনষ্ট) হওয়া

৩। সেই দিনের বাকি অংশ পানাহার ও যৌন মিলন থেকে বিরত থাকা।

৪। সেই দিনের কাযা ওয়াজিব হওয়া।

৫। (বড়) কাফফারা আদায় ওয়াজিব হওয়া।

আর কাফফারা আদায় করার দলীল হলো সেই হাদীসটি যা আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, এক ব্যক্তি রমযানের দিনের বেলায় তাঁর স্ত্রীর সাথে যৌন মিলন করেছিলেন। আর এই ব্যক্তি একাধারে দুই মাস সাওম পালন করতে বা ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াতে অক্ষম ছিলেন, এক্ষেত্রে তার কাফফারা ওয়াজিব হয় নি। কারণ, আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা দেন না [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৬] আর অপারগতার ক্ষেত্রে কোনো ওয়াজিব নেই।

আর মুকিম (অবস্থানকারী) কোনো সাওম পালনকারী যদি রমযান মাসের দিনের বেলায় স্ত্রীর সাথে যৌন মিলন করে (বীর্য নির্গত করুক বা নাই করুক) তার ওপর বড় কাফফারা ওয়াজিব হয়।

তবে যৌন মিলন ছাড়া বীর্য নির্গত করার ব্যাপারে মতভেদ আছে। এক্ষেত্রে তাকে কাফফারা আদায় করতে হবে না, বরং তার গুনাহ হবে, তাকে (দিনের বাকি অংশ) যৌনমিলন ও পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং কাযা করতে হবে। [আল-ফাতাওয়া আল-জামি‘আ লিল-মারআহ আল-মুসলিমাহ (খণ্ড-১, পৃ. ৩৪৮)।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন