hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সিয়াম বিষয়ক নির্বাচিত ফাতাওয়া

লেখকঃ ইসলাম কিউ. এ

২৫
দুই ঈদের সালাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো আদর্শ
ফাতওয়া নং ৪৯০২০

প্রশ্ন: আমি দুই ঈদের সালাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেখানো আদর্শ সম্পর্কে জানতে চাই।

উত্তর: সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের সালাত ঈদগাহে আদায় করতেন। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের সালাত মসজিদে আদায় করেছেন এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না।

ইমাম শাফে‘ঈ ‘আল-উম্ম’ এ বলেছেন, “আমাদের কাছে এই বর্ণনা পৌঁছেছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ঈদের দিন মাদীনার ঈদগাহে যেতেন, তাঁর পরেও সবাই তাই করতেন যদি না তা না করার পেছনে কোনো উযর (অজুহাত) থাকত, যেমন বৃষ্টি ইত্যাদি। অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসীরাও তাই করতেন মক্কাবাসীরা ব্যতীত।”

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সবচেয়ে সুন্দর পোশাক পরে দুই ঈদের সালাত আদায় করতে বের হতেন। তাঁর একটি হুল্লাহ (এক বিশেষ পোশাক) ছিল, সেটি পরে তিনি দুই ঈদ এবং জুমু‘আর সালাত আদায় করতে যেতেন।

হুল্লাহ দুই খণ্ড কাপড় যা একই (জাতীয়) উপকরণে তৈরি।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ঈদুল ফিতর-এর সালাত আদায় করতে যাওয়ার আগে খেজুর খেতেন এবং তা বিজোড় সংখ্যায় খেতেন।

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন,

«كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لا يَغْدُو يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَأْكُلَ تَمَرَاتٍ، وَيَأْكُلُهُنَّ وِتْرًا» .

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ঈদুল ফিতর এর দিন সকালবেলা খেজুর না খেয়ে বের হতেন না, আর তিনি তা বিজোড় সংখ্যায় খেতেন।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৯৫৩।]

ইবন কুদামাহ বলেছেন,

لا نَعْلَمُ فِي اِسْتِحْبَابِ تَعْجِيلِ الأَكْلِ يَوْمَ الْفِطْرِ اِخْتِلافًا . اِنْتَهَى

“ঈদুল ফিতর -এর দিন তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে ফেলা যে মুস্তাহাব, এ ব্যাপারে কোনো ভিন্ন মত আমাদের জানা নেই।”

‘ঈদুল ফিতরের দিনে সালাত আদায়ের আগেই খেয়ে ফেলার পেছনে হিকমাহ হলো কেউ যেন এটি না ভাবে যে সালাত আদায় করা পর্যন্ত না খেয়ে থাকা অপরিহার্য। 

এটিও বলা হয়ে থাকে যে, (তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলার পেছনে হিকমাহ হলো) সাওম ওয়াজিব হওয়ার পর সাওম ভঙ্গ করা ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা এর আদেশ পূর্ণাঙ্গভাবে অনুসরণের জন্য তৎপর হওয়া।

যদি একজন মুসলিম খেজুর না পায়, তাহলে সে অন্য কোনো কিছু, এমনকি পানি দিয়ে হলেও ইফতার করবে যাতে নীতিগতভাবে সুন্নাহ অনুসরণ করতে পারে; আর তা হলো, ঈদুল ফিতর-এর সালাতের আগে ইফতার করা (কিছু খাওয়া বা পান করা)।

আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল আযহার দিন ঈদগাহ থেকে ফেরার আগ পর্যন্ত কিছু খেতেন না, এরপর তিনি তাঁর জবেহ করা পশুর গোশত থেকে খেতেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি দুই ঈদের দিনই গোসল করতেন।

ইবনুল কাইয়্যেম বলেছেন, “এ সম্পর্কে দুইটি দুর্বল হাদীস রয়েছে......তবে ইবন উমার-রাদিয়াল্লাহু আনহুমা যিনি সুন্নাহ অনুসরণের ব্যাপারে অত্যন্ত তৎপর ছিলেন, তাঁর থেকে প্রমাণিত যে, তিনি ঈদের দিন বের হওয়ার আগে গোসল করতেন।”

আর রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের সালাত আদায় করতে হেঁটে যেতেন এবং হেঁটেই ফিরে আসতেন।

ইবন উমার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন,

«كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْرُجُ إِلَى الْعِيدِ، مَاشِيًا وَيَرْجِعُ مَاشِيًا» .

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের সালাত আদায় করতে হেঁটে যেতেন এবং হেঁটেই ফিরে আসতেন।” [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১২৯৫। আল-আলবানী সহীহ ইবন মাজাহ’তে একে হাসান বলে আখ্যায়িত করেছেন।]

আর আলী ইবন আবী তালিব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন,

«مِنْ السُّنَّةِ أَنْ تَخْرُجَ إِلَى الْعِيدِ مَاشِيًا» .

“‘ঈদের সালাত হেঁটে আদায় করতে যাওয়া সুন্নাহ।” [তিরমিযী, হাদীস নং ৫৩০। আলবানী ‘সহীহ আত-তিরমিযী’-তে একে হাসান বলে আখ্যায়িত করেছেন।]

ইমাম তিরমিযী বলেছেন,

وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ يَسْتَحِبُّونَ أَنْ يَخْرُجَ الرَّجُلُ إِلَى الْعِيدِ مَاشِيًا . . . وَيُسْتَحَبُّ أَنْ لا يَرْكَبَ إِلا مِنْ عُذْرٍ

“অধিকাংশ আলেমগণ এই হাদীস অনুসরণ করেছেন এবং ঈদের দিনে হেঁটে (সালাত আদায়ের জন্য) বের হওয়াকে মুস্তাহাব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ... কোনো গ্রহণযোগ্য ওযর (অজুহাত) ছাড়া যানবাহন ব্যবহার না করা মুস্তাহাব।”

তাছাড়া রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঈদগাহে পৌঁছতেন, তখন কোনো আযান বা ইক্বামাত বা ‘আস-সালাতু জামি‘আহ’ (সালাত শুরু হতে যাচ্ছে) এরূপ না বলেই সালাত শুরু করতেন, এগুলোর কোনোটি না করাই সুন্নাহ।

অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহে ঈদের আগে বা পরে আর কোনো সালাত আদায় করতেন না।

রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুৎবা-এর আগে সালাত দিয়ে শুরু করতেন অর্থাৎ খুৎবা পরে দিতেন।

তদ্রূপ রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই রাকাত সালাতের প্রথম রাকাতে তাকবীরে তাহরীমাসহ পরপর সাতটি তাকবীর দিতেন। প্রতি দুই তাকবীরের মাঝে কিছু সময় বিরতি নিতেন। দুই তাকবীরের মাঝখানে বিশেষ কোনো দো‘আ পড়েছেন বলে বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে এটি ইবন মাস‘ঊদ থেকে বর্ণিত, “তিনি আল্লাহর প্রশংসা করতেন, তাঁর সানা’ (প্রশংসার পুনরাবৃত্তি) পাঠ করতেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর সালাত (দো‘আ) পাঠ করতেন।”

ইবন উমার যিনি সুন্নাহ অনুসরণের ব্যাপারে অত্যন্ত তৎপর ছিলেন, তিনি প্রতি তাকবীরের সাথে সাথে হাত উঠাতেন।

তাকবীর শেষ করার পর তিনি কিরাত আরম্ভ করতেন। তিনি সূরা আল-ফাতিহা পাঠ করার পর দুই রাকাতের যে কোনো এক রাকাতে “ক্বাফ ওয়াল কুরআনিল মাজীদ” (৫০ নং সূরা ক্বাফ) এবং অপর রাকাতে “ইক্বতারাবাতিস সা‘আতু ওয়ান শাক্কাল ক্বামার” (৬৪ নং সূরা আল-ক্বামার) পড়তেন। আবার কখনো “সাব্বিহিস্‌মা রাব্বিকাল আ‘লা” (৮৭ নং সূরা আল- আ‘লা) ও “হাল আতাকা হাদীসুল গাশিয়াহ” (৮৮নং সূরা আল-গাশিয়াহ) পড়তেন। এই দু’টিই সহীহ বর্ণনাতে পাওয়া যায়। এছাড়া আর কোনো সূরার কথা সহীহ বর্ণনায় পাওয়া যায় না।

কিরাত শেষ করার পর তিনি তাকবীর বলে রুকু করতেন। এরপর সেই রাকাত শেষ করে সাজদাহ থেকে উঠে দাঁড়ানোর পর পরপর পাঁচটি তাকবীর দিতেন। পাঁচবার তাকবীর দেওয়া শেষ করার পর আবার কিরাত আরম্ভ করতেন। সুতরাং তাকবীরই প্রথম জিনিস যা দ্বারা তিনি প্রত্যেক রাকাত শুরু করতেন। কিরাত শেষ করার পর তিনি রুকু করতেন।

কাসীর ইবন ‘আব্দিল্লাহ ইবন ‘আমর ইবন ‘আওফ থেকে ইমাম তিরমিযী বর্ণনা করেছেন, তিনি তাঁর বাবা থেকে, তিনি তাঁর দাদা থেকে যে, “রাসূলুল্লাহ দুই ঈদের সালাতে প্রথম রাকাতে কিরাতের পূর্বে সাতবার তাকবীর দিতেন এবং অপর রাকাতে কিরাতের পূর্বে পাঁচবার তাকবীর দিতেন [তিরমিযী, হাদীস নং ৫৩৬। [সম্পাদক]]।”

ইমাম তিরমিযী বলেছেন: “আমি মুহাম্মাদকে (ইমাম বুখারীকে) এই হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে এর চেয়ে সহীহ আর কোনো বর্ণনা নেই।’ আর আমিও এই মত পোষণ করি [তিরমিযী, আল-‘ইলালুল কাবীর, ১/২৮৮। [সম্পাদক]]।”

আর তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শেষ করতেন, তখন তিনি ঘুরে সবার দিকে মুখ করে দাঁড়াতেন । সবাই তখন কাতারে বসে থাকত। তিনি তাদেরকে উপদেশ দিতেন, অসিয়ত করতেন, আদেশ করতেন ও নিষেধ করতেন, কোনো মিশন পাঠাতে চাইলে তা পাঠাতেন অথবা কাউকে কোনো আদেশ করতে হলে সে ব্যাপারে আদেশ করতেন।

আর সেখানে কোনো মিম্বার থাকত না যার ওপর তিনি দাঁড়াতেন এবং মাদীনার মিম্বারও আনা হত না; বরং তিনি তাদেরকে মাটির উপর দাঁড়িয়েই খুৎবা দিতেন। জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, “আমি রাসূলুল্লাহর সাথে ঈদের সালাতে উপস্থিত ছিলাম। তিনি খুৎবার আগে কোনো আযান এবং ইকামাত ছাড়াই সালাত শুরু করলেন। তারপর তিনি বিলালের কাঁধে হেলান দিয়ে দাঁড়ালেন। এরপর তিনি আল্লাহকে ভয় করার আদেশ দিলেন, আনুগত্য করার ব্যাপারে উৎসাহিত করলেন, মানুষদের উপদেশ দিলেন এবং তাদের স্মরণ করিয়ে দিলেন। এরপর তিনি মহিলাদের কাছে গেলেন, তাদেরকে আদেশ দিলেন ও তাদেরকে (আল্লাহর) বিষয়ে স্মরণ করিয়ে দিলেন।” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম) 

আবু সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা-এর দিন ঈদগাহে যেতেন, এরপর প্রথমেই সালাত দিয়ে শুরু করতেন, তারপর তিনি উঠে গিয়ে লোকদের দিকে মুখ করে দাঁড়াতেন, সবাই তখন কাতারে বসে থাকত।” [সহীহ মুসলিম।]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সকল খুৎবা আল্লাহর প্রশংসা দ্বারা শুরু করতেন। এমন একটি হাদীসও পাওয়া যায় না যেখানে বলা হয়েছে তিনি দুই ঈদের দুই খুৎবা তাকবীর দিয়ে শুরু করতেন। বরং সা‘দ আল-ক্বুরায থেকে বর্ণিত, যিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুআযযিন ছিলেন, তিনি বলেন, “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই খুৎবার মাঝখানে তাকবীর পাঠ করতেন আর দুই ঈদের খুৎবাতে বেশি বেশি করে তাকবীর পাঠ করতেন।” [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১২৮৭।]

আলবানী ‘দ‘ঈফ (দুর্বল) ইবন মাজাহ’-তে একে দ‘ঈফ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই হাদীসটি দ‘ঈফ হলেও এতে এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায় না যে, তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের খুৎবা তাকবীর দিয়ে শুরু করতেন।

এবং তিনি (আলবানী) ‘তামাম আল-মিন্নাহ’তে বলেছেন, “যদিও এই হাদীস ইঙ্গিত করে না যে খুৎবা তাকবীর দিয়ে শুরু করা শরী‘আতসম্মত, তারপরও এটির ইসনাদ দুর্বল এবং এতে এমন একজন ব্যক্তি বর্ণনাকারী আছেন যিনি দুর্বল এবং অপরজন যিনি অচেনা। তাই একে খুৎবা চলাকালীন সময়ে তাকবীর বলা সুন্নাহ হওয়ার ব্যাপারে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা জায়েয নয়।”

ইবনুল কাইয়্যেম বলেছেন, “দুই ঈদ ও ইস্তিস্কা’ (বৃষ্টি চাওয়ার সালাত)-এর খুৎবা কি দিয়ে শুরু হবে তা নিয়ে আলেমগণ বিভিন্ন মত পোষণ করেছেন। কেউ বলেছেন, উভয় (দুই ঈদ ও ইস্তিস্কা’) খুৎবাই তাকবীর দিয়ে শুরু হবে এবং কেউ বলেছেন, ইস্তিস্কা-এর খুৎবা ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) দিয়ে শুরু হবে। আবার কেউ বলেছেন, উভয় খুৎবাই (আল্লাহর) প্রশংসা দিয়ে শুরু হবে।

শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ বলেছেন: “এটিই সঠিক মত... আর তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সব খুৎবাই আল্লাহর প্রশংসা দ্বারা শুরু করতেন।”

আর যারা ঈদের সালাতে উপস্থিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বসে খুৎবা শোনা বা চলে যাওয়া উভয়েরই অনুমতি দিয়েছেন।

আবদুল্লাহ ইবন আস-সা‘ইব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন,

شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعِيدَ، فَلَمَّا قَضَى الصَّلاةَ قَالَ : «إِنَّا نَخْطُبُ، فَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَجْلِسَ لِلْخُطْبَةِ فَلْيَجْلِسْ، وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَذْهَبَ فَلْيَذْهَبْ» .

“আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ঈদের সালাতে উপস্থিত ছিলাম। তিনি সালাত আদায় শেষ করে বললেন, “আমরা এখন খুৎবা প্রদান করছি, তাই যে চায় বসে খুৎবা শুনতে পারে, আর যে চায় সে চলে যেতে পারে।” [আবু দাঊদ, হাদীস নং ১১৫৫। আলবানী একে ‘সহীহ আবি দাঊদে’ সহীহ বলেছেন।]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন পথ পরিবর্তন করতেন। তিনি এক রাস্তা দিয়ে যেতেন, আরেক রাস্তা দিয়ে ফিরে আসতেন।

জাবির ইবন ‘আবদিল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন,

«كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ يَوْمُ عِيدٍ خَالَفَ الطَّرِيقَ» .

“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন রাস্তা পরিবর্তন করতেন।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৯৮৬।]

ইসলাম কিউ.এ

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন