মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“নিশ্চয় আমরা একে লাইলাতুল কদরে নাযিল করেছি এবং আপনি কি জানেন লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা অধিক উত্তম। এতে ফিরিশতাগণ এবং রূহ (জিবরীল ‘আলাইহিস সালাম) তাদের রবের অনুমতিক্রমে অবতরণ করেন সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে। শান্তিময় (বা নিরাপত্তাপূর্ণ) সেই রাত, ফজরের সূচনা পর্যন্ত।” [সূরা আল-কদর, আয়াত: ১-৫]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন,
“যে ঈমান সহকারে ও প্রতিদানের আশায় লাইলাতুল কদরের রাত্রিতে কিয়াম করবে তার অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯০১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৬০।]
এখানে “ঈমান সহকারে” এর অর্থ: এই রাতের মর্যাদা ও তাতে আমল করা, শরী‘আতসম্মত হওয়ার ব্যাপারে বিশ্বাস স্থাপন করা।
আর “প্রতিদানের আশায়” এর অর্থ: আল্লাহ তা‘আলার জন্য নিয়্যাতের ব্যাপারে ইখলাস (একনিষ্ঠতা) পোষণ করা।
দ্বিতীয়ত: লাইলাতুল কদর নির্দিষ্ট কোন্ রাত তা নিয়ে আলেমদের মাঝে এত ভিন্নমত রয়েছে যে তা ৪০-এরও বেশি মতামত পর্যন্ত পৌঁছেছে যেমনটি ‘ফাতহ আল-বারী’-তে উল্লেখ হয়েছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সঠিক মতটি হলো তা রমযানের শেষ দশকের বিজোড় রাতের কোনো একটি।
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“লাইলাতুল কদর রমযানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে অনুসন্ধান কর।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০১৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৬৯।]
ইমাম বুখারী এই হাদীসটিকে (রমযানের) ‘শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান’ নামক অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
এই রাতটি নির্দিষ্ট কোনো দিনে তা অপ্রকাশিত রাখার পেছনে হিকমাহ (রহস্য) হলো মুসলিমদেরকে রমযানের শেষ দশকের সবগুলো রাতেই ইবাদাত, দো‘আ ও যিকির করার ব্যাপারে তৎপর হতে সক্রিয় করানো। একই হিকমাহ-এর কারণে জুমু‘আর দিনে ঠিক কোনো সময়টিতে দো‘আ কবুল করা হয় তাও নির্দিষ্ট করে বলা হয় নি এবং আল্লাহ তা‘আলার সেই ৯৯ টি নামও নির্দিষ্ট করে বলা হয় নি, যে সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ»
“যে তা (৯৯ টি নাম) গণনা করবে, [অর্থাৎ (১) মুখস্ত করবে, (২) এর অর্থ বুঝবে, (৩) সে অনুযায়ী আমল করবে] সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৭৩৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৬৭৭।]
হাফিয ইবন হাজার রহ. বলেছেন, “তার (ইমাম বুখারীর) বক্তব্য ‘অধ্যায়: রমযানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান’ এই পাঠ থেকে রমযান মাসেই যে লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল এই ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এরপর এর (রমযানের) শেষ দশকে এবং এরপর এর (শেষ দশকের) বিজোড় রাতগুলোর যে কোনো একটিতে। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো রাতে নয়। এই সংক্রান্ত একাধিক বর্ণনা থেকে আমরা অনুরূপ ইঙ্গিত পাই।” [ফাতহুল বারী (৪/২৬০)।]
তিনি আরও বলেছেন, “আলেমগণ বলেন, এই রাতটির নির্দিষ্ট তারিখ গোপন রাখার পেছনে হিকমাহ হলো মানুষ এটি পাওয়ার জন্য চেষ্টা সাধনা করবে। তবে নির্দিষ্ট তারিখ জানা থাকলে মানুষ শুধু সেই রাতেই ইবাদাত সীমাবদ্ধ রাখত যেমনটি এর আগে ব্যাখ্যা করা হয়েছে জুমু‘আর দিনের (দো‘আ কবুলের) সুনির্দিষ্ট সময়ের (অজানা থাকার) ব্যাপারে।”
তৃতীয়ত: এই মতের ভিত্তিতে কারো পক্ষে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয় কোনো নির্দিষ্ট রাতটি ‘লাইলাতুল কদর’। বিশেষ করে যখন আমরা জানি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটি কোনো রাত তা সুনির্দিষ্টভাবে উম্মাতকে জানাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পরে তিনি জানিয়েছেন যে, আল্লাহ তা‘আলা এই জ্ঞান উঠিয়ে নিয়েছেন।
উবাদাহ ইবন সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘লাইলাতুল কদর’-এর ব্যাপারে খবর দিতে বের হলেন, (এ সময়) মুসলিমদের মধ্যে দু ব্যক্তি বিবাদে লিপ্ত হলো। তিনি বললেন:
“আমি আপনাদেরকে ‘লাইলাতুল কদর’-এর ব্যাপারে খবর দিতে বের হয়েছিলাম, কিন্তু অমুক এবং অমুক ব্যক্তি বিবাদে লিপ্ত হলো, এরপর তা (সেই জ্ঞান) উঠিয়ে নেওয়া হলো, আশা করি তা আপনাদের জন্য বেশি ভালো হয়েছে, আপনারা তা সপ্তম (২৭ তম), নবম (২৯ম) এবং পঞ্চমে (২৫ম তারিখে) অনুসন্ধান করুন।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৯]
ফাতওয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির আলেমগণ বলেন, “রমযান মাসে নির্দিষ্ট কোনো রাতকে লাইলাতুল কদর হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য সুস্পষ্ট দালীলের প্রয়োজন। তবে অন্যান্য রাতের চেয়ে শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোর কোনো একটিতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি আর (এর মধ্যে) সাতাশ তম রাতে হওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি, যার ইঙ্গিত পাওয়া যায় বিভিন্ন হাদীসসমূহে যা আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি।” [ফাতাওয়া আল-লাজনাহ আদ-দায়েমাহ লিল বুহূস আল-ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা (১০/৪১৩)]
তাই নির্দিষ্ট কোনো রাতকে লাইলাতুল কদর হিসেবে চিহ্নিত করা একজন মুসলিমের জন্য উচিৎ নয়। কারণ, এতে এমন ব্যাপারে দৃঢ় নিশ্চয়তা পোষণ করা হয়, যে ব্যাপারে দৃঢ় নিশ্চয়তা পোষণ করা সম্ভব নয়। আর এতে অনেক কল্যাণ ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। হতে পারে এটি ২১তম রাতে অথবা ২৩তম রাতে অথবা ২৯তম রাতে। তাই সে যদি শুধু ২৭তম রাতে কিয়াম করে তবে তার থেকে অফুরন্ত কল্যাণ ছুটে যেতে পারে, আবার হতে পারে সে এই মুবারাক রাত হারিয়ে ফেলতে পারে।
সুতরাং একজন মুসলিমের উচিৎ গোটা রমযান জুড়েই আনুগত্য ও ইবাদাতের কাজে সর্বোচ্চ সাধনা চালানো, আর শেষ দশকে সে ব্যাপারে বেশি তৎপর হওয়া। এটিই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন,
“(রমযানের শেষ) দশ রাত্রি শুরু হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোমর বেঁধে নামতেন, তিনি নিজে তাঁর রাত জাগতেন (ইবাদতের মাধ্যমে) এবং তাঁর পরিবারবর্গকে জাগাতেন (ইবাদতের জন্য)।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০২৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৭৪।]
এবং আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন।
ইসলাম কিউ.এ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/137/19
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।