মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
১- ডান পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করুন এবং নির্ধারিত দোয়া পাঠ করুন, বলুন:
«اللهم صل على محمد اللهم أفتح لي أبواب رحمتك»
“হে আল্লাহ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, আমার জন্য আপনার রহমতের দরজা খুলে দিন”। [হাদিসের দ্বিতীয় অংশ মুসলিমে রয়েছে, হাদীস নং ৭১৩। আবূ দাউদ, হাদীস নং ৪৬৫, আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]
২- মসজিদে প্রবেশ করে তাহিয়্যাতুল মসজিদের দু’রাকাত সালাত আদায় করুন। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাথীদ্বয়কে সালাম দিন। ভক্তি ও আদবের সাথে সম্মুখপানে অগ্রসর হোন। কবরকে সম্মুখে রেখে দাঁড়েয়ে অনুচ্চ আওয়াজে বলুন,
«السلام عليكم يا رسول الله، السلام عليكم يا أبا بكر، السلام عليكم يا عمر»
৩- কবরমুখী হয়ে দো‘আ করবেন না। দো‘আ কিবলামুখী হয়ে করবেন এবং কেবলমাত্র এক আল্লাহর নিকটই প্রার্থনা করবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“আর নিশ্চয় মসজিদগুলো আল্লাহরই জন্য। কাজেই তোমরা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে ডেকো না”। [সূরা আল-জিন্ন, আয়াত: ১৮]
৪- প্রয়োজন পূর্ণ করা, পেরেশানী দূর করা কিংবা রোগ থেকে মুক্তি লাভের জন্য রাসূলুল্লাহর নিকট প্রার্থনা করবেন না, বরং এ জাতীয় বিষয় সম্পূর্ণ আল্লাহর ক্ষমতাভুক্ত। অন্য কেউ এসব বিষয়ে ক্ষমতা রাখে না। ফলে এগুলো তাঁর নিকটই প্রার্থনা করুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“যখন প্রার্থনা করবে কেবল আল্লাহর নিকটই করবে আর যখন সাহায্য চাইবে কেবল আল্লাহর নিকটই চাইবে”। [তিরমিযী, হাদীস নং ২৫১৬, তিনি হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন।]
নবীর নাম যুক্ত করে বলতে চাইলে এভাবে বলতে পারেন,
«اللهم بإيماني بكل وبحبي لنبيك محمد صلى الله عليه وسلم أقض حاجتي وفرج كربتي»
“হে আল্লাহ, তোমার প্রতি আমার ঈমান ও তোমার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি আমার মুহব্বতের দাবি নিয়ে বলছি, তুমি আমার প্রয়োজন মিটিয়ে দাও, আমার পেরেশানি দূর করে দাও”।
কারণ ঈমান ও নবীর মুহব্বত আমলে সালেহের অন্তর্ভূক্ত, যাকে অসিলা হিসাবে উল্লেখ করে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করাতে কোনো দোষ নেই।
৫- রাসূলুল্লাহর কবরের সম্মুখে ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে সালাতে দাঁড়ানোর মতো করে দাঁড়াবেন না। কারণ এই অবস্থাটি বিনয়, নম্রতা ও আনুগত্য প্রকাশক অবস্থা, যা কেবল আল্লাহর জন্যই প্রযোজ্য।
৬- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট শাফায়াত প্রার্থনা করবেন না। কারণ, শাফা‘আত একমাত্র আল্লাহর মালিকানাভূক্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿قُل لِّلَّهِ ٱلشَّفَٰعَةُ ٤٤﴾ [ الزمر : ٤٣ ]
আপনি এভাবে বলতে পারেন,
«اللهم أرزقنا حبه واتباعه وشفاعته يوم القيامة»
“হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে তাঁকে ভালোবাসা ও তাঁর অনুসরণ করার তাওফীক দাও এবং কিয়ামতের দিন তাঁর শাফা‘আত আমাদের নসীব কর”।
৭- কবরের কাছে অবস্থানকে দীর্ঘ করবেন না। বরং অপরকে সুযোগ দিন। কবরের সামনে ভীড় সৃষ্টি করে অপরের কষ্টের কারণ বনবেন না।
৮- কবরের সম্মুখে আওয়াজ উঁচু করে হৈ চৈ- এর সৃষ্টি করবেন না। বরং শরয়ি আদবের প্রতি যত্নবান থাকবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“নিশ্চয় যারা আল্লাহর রাসূলের নিকট নিজদের আওয়াজ অবনমিত করে, আল্লাহ তাদেরই অন্তরগুলোকে তাকওয়ার জন্য বাছাই করেছেন, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা প্রতিদান”। [সূরা আল-হুজরাত, আয়াত: ৩]
৯- বরকত লাভের আশায় কবরের জানালা, দেওয়াল ইত্যাদি স্পর্শ, চুম্বন ও এ জাতীয় যাবতীয় কাজ হতে কঠিন ভাবে বিরত থাকুন। কারণ, বরকতের উৎস কেবল মহান আল্লাহ। যাবতীয় বরকত তিনি হতেই।
১০- কবর তাওয়াফ করা হতে বিরত থাকুন। কারণ তাওয়াফ একটি নির্দিষ্ট ইবাদত যা কেবল বাইতুল্লাহকে ঘিরেই সম্পাদিত হয়ে থাকে। অন্য কথাও এই ইবাদত সম্পাদনের সুযোগ নেই। মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
১২- মসজিদ থেকে বিদায় নেবার সময় পিঠের পেছনে হেটে বের হবার কোনো বিধান নেই, বরং এটি বিদ‘আতের অন্তর্ভুক্ত।
১৩- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মসজিদের যিয়ারত মুস্তাহাব। হজ সহীহ হওয়া এর ওপর ভিত্তিশীল নয়। তার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই এবং নির্ধারিত কোনো মুদ্দতও নেই।
১৪- যিয়ারত প্রসঙ্গে প্রচলিত জাল হাদীস দ্বারা প্রতারিত হবেন না। এগুলো রাসূলুল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপের শামিল। যেমন,
«من حج ولم يزرني فقد جفاني»
“যে ব্যক্তি হজ করল আর আমার যিয়ারত করল না সে আমার প্রতি অবিচার করল”।
এটি একটি মওদু‘ অর্থাৎ জাল হাদীস।
«من زارني بعد مماتي فكأنما زراني في حياتي ) " موضوع» .
“যে ব্যক্তি আমার মৃত্যুর পর আমার যিয়ারত করল, সে যেন আমার জীবিতাবস্থায় আমার যিয়ারত করল। এটিও মওদু‘”।
১৭- মদিনায় অবস্থান কালে শুহাদায়ে উহুদ ও বাকী কবরস্থান যিয়ারত করা মুস্তাহাব। এটি নিজ আখিরাতকে স্মরণ করার জন্য। সেখানে গিয়ে দো‘আ করার জন্য নয়।
১৮- সাওয়াবের উদ্দেশ্যে সাত মসজিদে যিয়ারতে যাওয়ার কোনো অনুমোদন নেই। তাই এ উদ্দেশে সেখানে যাবেন না। বরং আপনি কোবা মসজিদে যেতে পারেন এবং সেখানে দু’রাকাত সালাত আদায় করতে পারেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“যে ব্যক্তি নিজ বাসস্থান হতে পবিত্র হয়ে মসজিদে কোবায় এসে দু’রাকাত সালাত আদায় করবে। তাকে একটি ওমরার সমপরিমাণ সাওয়াব দেওয়া হবে”। [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৪১২, আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/152/13
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।