HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মাবরুর হজ

লেখকঃ মুহাম্মদ ইবন জামীল যাইনু

ইহরাম অবস্থায় বৈধ কাজসমূহ:
গোসল করা, মাথা-শরীর মুড়ানোতেও কোনো অসুবিধা নেই। শরীর-মাথা চুলকানো ও চুল আচড়ানো, এ কারণে দুয়েকটি চুল কিংবা পশম পড়ে গেলেও সমস্যা নেই। সিংগা লাগানো। (চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি করে এমন) ভাঙ্গা নখ কেটে ফেলা। দাঁত উপড়ানো। তাঁবু, ঘরের ছাদ, গাছ-পালা কিংবা ছাতা ইত্যাদি দ্বারা ছায়া গ্রহণ করা, তবে শর্ত হচ্ছে এগুলো মাথার সাথে লাগানো যাবে না। ইজার তথা নিচে পরিহিত চাদর বেল্ট দ্বারা বাঁধা, প্রয়োজন হলে গিট্টুও দেওয়া যাবে। চপ্পল পরিধান করা। আংটি, হাত ঘড়ি ও চশমা ব্যবহার করা। ইহরামের কাপড় ধোয়া ও পরিবর্তন করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يُرِيدُ ٱللَّهُ بِكُمُ ٱلۡيُسۡرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ ٱلۡعُسۡرَ ١٨٥﴾ [ البقرة : ١٨٥ ]

“আল্লাহ তোমাদের সাথে সহজ করতে চান, তিনি তোমাদের সাথে কঠিন করতে চান না”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৫]

দ্বিতীয়ত: তাওয়াফ

১. মক্কা পৌঁছে তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দিন। অযু করুন। অতঃপর মসজিদে হারামে প্রবেশ কালে নির্ধারিত দো‘আ পাঠ করুন, বলুন:

«اللهم صل على محمد اللهم أفتح لي أبواب رحمتك»

“হে আল্লাহ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, আমার জন্য আপনার রহমতের দরজা খুলে দিন”। [হাদীসের দ্বিতীয় অংশ মুসলিমে রয়েছে, হাদীস নং ৭১৩। আবূ দাউদ, হাদীস নং ৪৬৫, আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]

এবং ডান পা দিয়ে প্রবেশ করুন। কা‘বা শরীফ পরিদৃষ্ট হলে দু’হাত তুলে ইচ্ছে মতো দো‘আ করতে পারেন অথবা এই দো‘আটি পাঠ করুন-

«اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ، وَمِنْكَ السَّلَامُ، فَحَيِّنَا رَبَّنَا بِالسَّلَامِ» [মুসনাদে শাফে‘য়ী, হাদীস নং পৃষ্ঠা নং ১২৫, সুনানে সগীর লিল বাইহাকী, হাদীস নং ১৬০৭।]

২. পবিত্র কা‘বার চার পাশে সাত বার প্রদক্ষিণ করে তাওয়াফ সম্পন্ন করুন। এটি আপনার ওমরার তাওয়াফের সাথে সাথে তাওয়াফে কুদূমও বটে, তাই প্রথম তিন পাকে ছোট ছোট কদম ফেলে ইসৎ দ্রুত চলে রমল করুন এবং পুরো তাওয়াফে ডান কাঁধ উন্মুক্ত রেখে ইজতেবা করুন। রমল আর ইজতেবা এই প্রথম তাওয়াফেই চলবে অন্য কোনো তাওয়াফে নয়। তাওয়াফ হাজরে আসওয়াদ থেকে শুরু হবে। আল্লাহু আকবার বলে তিনভাবে শুরু করতে পারেন আপনি তাওয়াফ। সরাসরি হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করে অথবা হাত বা অন্য কিছু দ্বারা স্পর্শ করে তাতে চুমু খেয়ে। ভিড়ের কারণে এ দু’টো সম্ভব না হলে দূর হতে ডান হাত তুলে ইশারা করে। হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করতে গিয়ে এবং সেখানে অবস্থান করে অযথা ভিড় বাড়াবেন না, এতে অপর লোকের কষ্ট হবে। তাওয়াফের সময় সম্ভব হলে রুকনে য়ামানি স্পর্শ করুন। রুকনে য়ামানিকে চুম্বন করার কোনো বিধান নেই। অনুরূপ স্পর্শ করা সম্ভব না হলে দূর হতে ইশারা করারও বিধান নেই। তাওয়াফ অবস্থায় মনের আকুতি ব্যক্ত করে অনুচ্চ স্বরে যে কোনো দো‘আ করতে পারেন। যিকিরও করা যায়। আওয়াজ উঁচু করে অপরের নিমগ্নতায় বিঘ্নতা সৃষ্টির কোনো অনুমতি নেই। একইভাবে দলবদ্ধভাবে সম্মিলিত দো‘আরও অনুমোদন নেই। কোনো চক্করের জন্য নির্দিষ্ট কোনো দো‘আও নেই। তবে রুকনে য়ামানি ও হাজরে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে পাঠ করার দো‘আটি হাদীস দ্বারা সমর্থিত। সেখানে পাঠ করুন-

﴿رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِي ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةٗ وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِ حَسَنَةٗ وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ ٢٠١﴾ [ البقرة : ٢٠١ ]

“হে আমাদের রব, আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দিন। আর আখিরাতেও কল্যাণ দিন এবং আমাদেরকে আগুনের আযাব থেকে রক্ষা করুন”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২০১]

৩. তাওয়াফ শেষ করে ডান কাঁধ ঢেকে ফেলুন। এবং মাকামে ইবরাহীমের পেছনে চলে যান আর পড়ুন

﴿وَٱتَّخِذُواْ مِن مَّقَامِ إِبۡرَٰهِ‍ۧمَ مُصَلّٗىۖ ١٢٥﴾ [ البقرة : ١٢٥ ]

“তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ কর”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১২৫]

অতঃপর দু’রাকাত সালাত আদায় করুন। প্রথম রাকাতে সূরা ফাতেহার পর সূরা কাফিরুন আর দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ইখলাস পাঠ করুন। মাকামে ইবরাহীমের পেছনে সম্ভব না হলে মসজিদুল হারামের যে কোনো জায়গায় উক্ত সালাত আদায় করতে পারেন। অনুরূপভাবে উক্ত সূরাদ্বয় জানা না থাকলে যে কোনো সূরা দিয়ে আদায় করা যায়।

৪. সালাত শেষ করে জমজমের পানি পান করুন এবং কিছু পানি মাথার উপর ঢেলে দিন। এরপর হাজরে আসওয়াদের নিকট ফিরে আসুন। সম্ভব হলে আল্লাহু আকবার বলে চুমু খান। না হলে দূর হতে ডান হাত দ্বারা ইশারা করুন।

তৃতীয়ত: সাঈ

১. সাফার দিকে অগ্রসর হোন। পাহাড়ের কাছাকাছি পৌঁছলে পাঠ করুন-

﴿إِنَّ ٱلصَّفَا وَٱلۡمَرۡوَةَ مِن شَعَآئِرِ ٱللَّهِۖ ١٥٨ ﴾ [ البقرة : ١٥٨ ] «أَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللهُ بِهِ»

“নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৫৮] আল্লাহ যেখান থেকে শুরু করেছেন আমিও সেখান থেকে শুরু করব”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২১৮।]

সাফায় আরোহন করে সম্ভব হলে কা‘বার দিকে তাকান। কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে তাকবির, তাহলিল ও দো‘আ করুন। বলুন-

«لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ، أَنْجَزَ وَعْدَهُ، وَنَصَرَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ»

“আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোনো শরীক নেই, তাঁর জন্য রাজত্ব এবং তাঁর জন্য সমস্ত প্রশংসা, তিনি প্রতিটি জিনিসের ওপর শক্তিমান। আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি এক, তিনি নিজের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন, নিজের বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং একাই সমস্ত সম্মিলিত শক্তিকে পরাভূত করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২১৮।]

এরপর হাত উঠিয়ে দো‘আ করুন। এরূপ পর পর তিন বার করুন।

২. দো‘আ শেষ করে সামান্য ডান দিকে সরে গিয়ে মারওয়া পানে অগ্রসর হোন। চলার গতি থাকবে স্বাভাবিক। সবুজ দুই আলামতের মাঝের জায়গা একটু দ্রুত অতিক্রম করুন। আর মুখে-

«رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ إِنَّكَ أَنْتَ الْأَعَزُّ الْأَكْرَمُ» [মুসান্নাফ ইবন আবী শাইবা, হাদীস নং ২৯৬৪৭।]

দো‘আটি পাঠ করতে পারলে খুবই ভালো।

৩. মারওয়ায় পৌঁছে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে সাফার ন্যায় তাকবির, তাহলিল ও দো‘আ তিন তিনবার করে পাঠ করুন।

৪. এভাবে সাত সাঈ সম্পন্ন করুন। সাফা থেকে মারওয়া পর্যন্ত এক সাঈ আবার মারওয়া থেকে সাফায় ফিরে আসলে দ্বিতীয় সাঈ। সাফা থেকে শুরু হবে আর শেষ হবে মারওয়ায় ।

সাঈ শেষ করে হারাম থেকে বের হয়ে আসুন। বাম পা দিয়ে মসজিদ হতে বের হোন এবং পাঠ করুন-

«اللهم صل على محمد اللهم إني أسألك من فضلك» .

“হে আল্লাহ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, হে আল্লাহ আমি আপনার অনুগ্রহ কামনা করি”। [হাদিসের দ্বিতীয় অংশ মুসলিমে রয়েছে, হাদীস নং ৭১৩। আবূ দাউদ, হাদীস নং ৪৬৫, আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]

চতুর্থত: মাথা মুণ্ডন

১. (হারাম থেকে বের হয়ে) সমস্ত মাথা মুণ্ডন করুন-এটিই উত্তম। কিংবা চুল ছোট করুন। বিশেষ করে হজের সময় যদি অতি সন্নিকটে হয়। নারী হজকারীগণ সর্বাবস্থায় চুল কর্তন করবেন। চুলের গোছা একত্রিত করে মাথা হতে আঙ্গুলের এক কড়া পরিমাণ চুল কেটে নেওয়া হবে।

এরই সাথে আপনার ওমরার কাজ সম্পন্ন হয়ে গেল। স্বাভাবিক পোশাক পরে নিন। ইহরামের কারণে যে সব বিষয় হারাম হয়ে গিয়েছিল এখন থেকে আপনার জন্য সবই হালাল।

স্মর্তব্য: যিনি ইফরাদ কিংবা কেরান হজের ইহরাম বেঁধে এসেছেন তিনিও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরামর্শ-নির্দেশ মেনে নিয়ে মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেটে হালাল হয়ে যান। নবীজী বলেছেন,

«فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ لَيْسَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيَحِلَّ، وَلْيَجْعَلْهَا عُمْرَةً»

“তোমাদের যার সাথে হাদী নেই সে যেন হালাল হয়ে যায় এবং তাকে ওমরায় পরিণত করে নেয়”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১২১৮।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন