HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মাবরুর হজ

লেখকঃ মুহাম্মদ ইবন জামীল যাইনু

খুৎবা হতে শিক্ষনীয় কিছু বিষয়
এই খুৎবায় আমাদের জন্য অনেক শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে। সম্মানিত পাঠকদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে অল্প কয়েকটি উল্লেখ করছি,

১- নিরপরাধ ব্যক্তির রক্ত ঝরানো এবং অন্যায়ভাবে তাদের সম্পদ কেড়ে নেয়া শরিয়তের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ও হারাম। মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করণে এটি ইসলামের একটি যুগান্তকারী বিধান। এর মাধ্যমে মানবতার কল্যাণ সাধনে ব্যর্থ, অসার সমাজতন্ত্রের বাতুলতা প্রকৃষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সমাজতন্ত্র নাস্তিক্যবাদী কমিউনিজমেরই একটি শাখা। ইতিমধ্যেই বিশ্বমানবতা সমাজতন্ত্রের ব্যর্থতা ও অকার্যকারিতা সম্পর্কে ধারণ লাভ করে ফেলেছে। এবং তার অভিশাপ হতে বের হয়ে আসার জন্য সংগ্রাম শুরু করে দিয়েছে।

২- জাহেলি যুগের যাবতীয় কর্মকাণ্ড ও রক্তপাত বাতিল করা হয়েছে। সে সময়ে সঙ্ঘটিত হত্যাযজ্ঞের কারণে এখন আর কেসাস নেওয়া হবে না।

৩- সুদকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। (প্রদেয়) মূলধনের অতিরিক্ত আদায়কৃত অর্থই হচ্ছে সুদ। পরিমাণে কম হোক কিংবা বেশি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَإِن تُبۡتُمۡ فَلَكُمۡ رُءُوسُ أَمۡوَٰلِكُمۡ ٢٧٩﴾ [ البقرة : ٢٧٩ ]

“যদি তোমরা তাওবা কর তাহলে তোমাদের মূলধন তোমরা ফেরত পাবে”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৭৯]

৪- সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে বাধা প্রদানকারীর জন্য জরুরি হচ্ছে, প্রথমে নিজে ও নিজ আপনজনের মাধ্যমে উক্ত কাজের বাস্তবায়ন শুরু করা।

৫- এই খুৎবা আমাদেরকে নারীর অধিকার বিষয়ে সতর্ক হতে সাহায্য করে। তাদের প্রতি যত্নবান ও তাদের হিতাকাঙ্খী হতে উৎসাহিত করে। তাদের খোর-পোশের ব্যাপারে গুরুত্বদানে প্রণোদিত করে। নারীদের প্রতি সদয় ও তাদের অধিকার আদায়ে গুরুত্বদান বিষয়ে বহু সহিহ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এবং অবহেলাকারীদেরকে কঠিন শাস্তির ভয়ও দেখানো হয়েছে।

৬- শরী‘আত সমর্থিত পন্থায় বিবাহের মাধ্যমে নারীর যৌনাঙ্গ ব্যবহার হালাল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَٱنكِحُواْ مَا طَابَ لَكُم مِّنَ ٱلنِّسَآءِ ٣ ﴾ [ النساء : ٣ ]

“তোমরা বিয়ে কর নারীদের মাঝে যাদের তোমাদের ভালো লাগে”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৩]

৭- স্বামীর পছন্দ নয় এমন ব্যক্তিদের তার বাড়িতে প্রবেশ করতে দেওয়া স্ত্রীর জন্য জায়েয নয়। সে সব লোক অপরিচিত হোক কিংবা মহিলা। এমনকি স্ত্রীর মাহরাম হলেও না। এই নিষিদ্ধতা উপরোক্ত সকলকেই শামিল করে। ইমাম নববী এমনটিই বলেছেন।

৮- এই নিষেধাজ্ঞা স্ত্রী অমান্য করলে স্বামীর পক্ষে তাকে হালকা প্রহার করার অনুমতি আছে, তবে কঠিন শাস্তি দিতে পারবে না। অনুরূপভাবে ভৎসণা ও চেহারায় আঘাত করতে পারবে না। কারণ, এটি আল্লাহর সৃষ্টি। তাছাড়া এ বিষয়ে হাদীসে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই শাস্তি প্রদানের অধিকার নারীর উপর পুরুষের তত্ত্ববধান ও কর্তৃত্বের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ٱلرِّجَالُ قَوَّٰمُونَ عَلَى ٱلنِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ ٱللَّهُ بَعۡضَهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖ وَبِمَآ أَنفَقُواْ مِنۡ أَمۡوَٰلِهِمۡۚ ٣٤﴾ [ النساء : ٣٤ ]

“পুরুষরা নারীদের তত্ত্ববধায়ক, এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু তারা নিজেদের সম্পদ থেকে ব্যয় করে”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৩৪]

৯- খুৎবায় মুসলিমদেরকে আল্লাহ তা‘আলার কিতাব মহাগ্রন্থ আল-কুরআনকে আকড়ে ধরার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। যাতে রয়েছে তাদের ইজ্জত এবং সাহায্য প্রাপ্তির নিশ্চিয়তা। আরো উৎসাহিত করা হয়েছে সেই কোরআনের ব্যাখ্যা রাসূলুল্লাহর হাদীসকে আকড়ে ধরার জন্য। চলমান সময়ে বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের দুর্বলতার একটিই মাত্র কারণ, তারা কোরআন ও সুন্নাহকে ছেড়ে দিয়েছে। বাস্তব জীবনের কোনো ক্ষেত্রেই কুরআন-সুন্নাহর বিধানের অনুবর্তন নেই। সত্য কথা হল, বিশ্বমুসলিম কোরআন-সুন্নাহর দিকে ফিরে না আসলে আল্লাহর পক্ষ হতে কোনোরূপ সাহায্যের নিশ্চয়তা নেই।

১০- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যথাযথভাবে রিসালত পৌঁছিয়েছেন, আমানত আদায় করেছেন এবং উম্মতের হিতাকাঙ্খিতা করেছেন মর্মে সাহাবীদের সাক্ষ্য প্রদান।

১১- আল্লাহ তা‘আলা ‘আরশে অবস্থান করেন, এই খুৎবায় বিষয়টি খুবই প্রকৃষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ তর্জনী আকাশ পানে উঠিয়ে আল্লাহকে সাক্ষী করেছেন যে তিনি রিসালাত পৌঁছিয়েছেন।

১২- হজসহ যাবতীয় আমল সম্পাদনের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

১৩- খুৎবাতে প্রচ্ছন্নভাবে রাসূলুল্লাহর বিদায়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।

১৪- মুসলিমদেরকে পরস্পর মারামারি-হানাহানি হতে সতর্ক করা হয়েছে। এবং একে কুফরি বলে অভহিত করা হয়েছে। এটি আমলি কুফর। এ কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে না। এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী-

«سِبَابُ المُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتَالُهُ كُفْرٌ»

“মুসলিমকে গাল-মন্দ করা ফাসেকী আর হত্যা করা কুফুরী”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৪৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৪।]-এর মত।

কোনো কোনো লেখক এখানে এসে মারাত্মক ভুল করেছেন। তারা (কর্মগত) আমলি কুফরকে (বিশ্বাসগত) ইতেকাদি কুফরের ন্যায় জ্ঞান করে উভয়ের একই হুকুম নির্ধারণ করেছেন। আমলি কুফরের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ইসলাম হতে খারিজ করে দিয়েছেন। এটি মারাত্মক ভুল। ইসলাম হতে খারিজ করে কেবল ইতেকাদী কুফর। আর আমলি কুফর কবিরা গুনাহের অন্তর্ভূক্ত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন