HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের মূলনীতিসমূহের ব্যাখ্যা

লেখকঃ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উছাইমীন

১২
ইসলামী আক্বীদার লক্ষ্যসমূহ
অর্থাৎ তার মহৎ উদ্দেশ্যাবলী যা এ আক্বীদাকে দৃঢ়ভাবে ধারণ ও পালন করার ফলে অর্জিত হয়ে থাকে, সেগুলো অনেক ও বহুবিধ যেমন,

১। সর্বপ্রকার নিয়ত ও ইবাদত শুধু আল্লাহ তা‘লার জন্য একনিষ্ঠভাবে সম্পাদন করা। কেননা, তিনিই আমাদের একমাত্র স্রষ্টা, এতে তাঁর কোনো অংশীদার নেই। তাই ইবাদত একমাত্র তাঁরই জন্য হতে হবে।

২। আক্বীদার শূণ্যতার ফলে উদ্ভব নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা থেকে চিন্তাধারা ও বুদ্ধিমত্তাকে মুক্ত করা। কারণ, এই আক্বীদাবিহীন ব্যক্তি আক্বীদাশূন্য ও বস্তুপূজারী হয় অথবা কুসংস্কার ও নানাবিধ আক্বীদাগত ভ্রান্তিতে নিমজ্জিত থাকে।

৩। মানুষিক ও চিন্তাগত প্রশান্তি অর্জন। এর ফলে ব্যক্তির মনে না কোনো প্রকারের উদ্বেগ ও বিষন্নতা থাকে, না চিন্তাধারায় থাকে কোনো অস্থিরতা। কারণ, এই আক্বীদা আল্লাহর সাথে মুমিনের সম্পর্ককে জোরদার ও সুদৃঢ় করে দেয়। ফলে, সে তার স্রষ্টা ও রবের তাক্বদীর বা সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকে। তার আত্মা লাভ করে প্রশান্তি। ইসলামের জন্য তার অন্তর হয় উন্মোচিত এবং জীবনধর্ম হিসেবে সে ইসলাম ছাড়া বিকল্প কোনো কিছুর দিকে তাকায় না।

৪। আল্লাহর ইবাদত বা মানুষের সাথে লেন-দেন ও আচার আচরণের ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যে ও কর্মে পথবিচ্যুতি হতে নিরাপত্তা অর্জন। কেননা, এ আক্বীদার ভিত্তি হচ্ছে রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাস ও তাঁদের অনুসরণের ওপর, যা উদ্দেশ্য ও কর্মগত দিক দিয়ে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ।

৫। সব বিষয়ে সুচিন্তিত ও দৃঢ়তার সাথে পদক্ষেপ নিতে সাহায্য লাভ হয়। যাতে বান্দা সওয়াবের আশায় সৎ ও পুণ্য কাজের কোনো সুযোগ হাতছাড়া করে না এবং আখেরাতের কঠোর ও ভয়াবহ শাস্তির ভয়ে সব ধরণের পাপের স্থান থেকে নিজেকে দূরে রাখে। কারণ, ইসলামী আক্বীদার অন্যতম মৌলিক বিশ্বাস হচ্ছে পুনরুত্থান ও কাজের প্রতিফল লাভের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلِكُلّٖ دَرَجَٰتٞ مِّمَّا عَمِلُواْۚ وَمَا رَبُّكَ بِغَٰفِلٍ عَمَّا يَعۡمَلُونَ ١٣٢﴾ [ الانعام : ١٣٢ ]

“প্রত্যেকের জন্য রয়েছে তাদের কর্মের আনুপাতিক মর্যাদা এবং আপনার রব তাদের কর্ম সম্পর্কে বে-খবর নন।’’ [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১৩২]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই লক্ষ্য সাধনের জন্য উৎসাহিত করে বলেন,

«الْمُؤْمِنُ الْقَوِيُّ خَيْرٌ وَأَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنْ الْمُؤْمِنِ الضَّعِيفِ وَفِي كُلٍّ خَيْرٌ احْرِصْ عَلَى مَا يَنْفَعُكَ وَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ وَلا تَعْجَزْ وَإِنْ أَصَابَكَ شَيْءٌ فَلا تَقُلْ لَوْ أَنِّي فَعَلْتُ كَانَ كَذَا وَكَذَا وَلَكِنْ قُلْ قَدَرُ اللَّهِ وَمَا شَاءَ فَعَلَ فَإِنَّ لَوْ تَفْتَحُ عَمَلَ الشَّيْطَان»

“শক্তিশালী মু’মিন আল্লাহর নিকট দুর্বল মু’মিনের চেয়ে উত্তম ও অধিক প্রিয়। প্রত্যেকের মধ্যেই কল্যাণ নিহিত আছে। তোমার জন্য যা কল্যাণকর ও উপকারী তা করতে সচেষ্ট হও এবং আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা কর। অপারগ ও অক্ষম হয়ো না। বিপদগ্রস্ত হলে এ কথা বলবে না যে, আমি যদি এটা করতাম, ওটা করতাম, তাহলে এমনটা হতো। বরং বল, আল্লাহ তাক্বদীরে যা রেখেছেন তা হয়েছে, আল্লাহ যা চান, তাই করেন। কারণ, ‘‘যদি’’ শব্দটি শয়তানী কাজের দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়।” (সহীহ মুসলিম)

৬। এমন এক শক্তিশালী জাতি গঠন করা যে জাতি আল্লাহর দীনকে প্রতিষ্ঠিত করার, তার ভিত্তিসমূহ মজবুত ও তার পতাকা সমুন্নত করার লক্ষ্যে দুনিয়ার সব প্রতিকূল পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে জান ও মাল ব্যয় করবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿إِنَّمَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ ثُمَّ لَمۡ يَرۡتَابُواْ وَجَٰهَدُواْ بِأَمۡوَٰلِهِمۡ وَأَنفُسِهِمۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِۚ أُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلصَّٰدِقُونَ ١٥﴾ [ الحجرات : ١٥ ]

“তারাই মু’মিন, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনার পর সন্দেহ পোষণ করে না এবং আল্লাহর পথে জীবন ও ধন-সম্পদ দ্বারা জেহাদ করে। তারাই সত্যবাদী।” [সূরা আল-হুজরাত, আয়াত: ১৫]

৭। ব্যক্তি ও দল সংশোধন করে ইহ ও পরকালের শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য অর্জন করা এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে সওয়াব ও সম্মান লাভ করা। এই প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿مَنۡ عَمِلَ صَٰلِحٗا مِّن ذَكَرٍ أَوۡ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَلَنُحۡيِيَنَّهُۥ حَيَوٰةٗ طَيِّبَةٗۖ وَلَنَجۡزِيَنَّهُمۡ أَجۡرَهُم بِأَحۡسَنِ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ٩٧﴾ [ النحل : ٩٧ ]

“যে সৎ কর্ম করে সে ঈমানদার পুরুষ হোক কিংবা নারী, আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরুষ্কার দেব, যা তারা করত।” [সূরা আন-নাহল আয়াত: ৯৭]

উপরোক্ত বিষয়গুলো হচ্ছে, ইসলামী আক্বীদার কতিপয় উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাদেরকে এবং সকল মুসলমানকে এগুলো অর্জনের তাওফীক দান করেন।

আল্লাহর পক্ষ থেকে সালাত ও সালাম আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাহাবায়ে কেরামদের ওপর। আমীন।

সমাপ্ত

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন